বুশের নাইন ইলেভেন মঞ্চস্থের আসল কারন জেনে আপনি নিশ্চিত অবাক হবেন!
{ লেখাটির সমাপ্তি্তে আছেঃ ট্রাম্পকে কেন বলা যায় ‘মডার্ন ডে Nostrodomas ' US Presidential hopeful Donald Trump "warned" of the horrific September 11 attack on the World Trade Center in a book published less than two years before the world's worst terror strikes happened, it is being claimed. By JON AUSTIN PUBLISHED: 03:42, Tue, Feb 23, 2016 | }নয়-এগারোর ঘটনার ১৫ তম বার্ষিকী উপলক্ষে ইএসআই বা ইউরোপিয়ান সায়েন্টিফিক ইন্সটিটিউটের প্রকাশনা 'ইউরোপিয়ান সায়েন্টিফিক জার্নাল' বলছে: অব্যাহত নানা অনুসন্ধানের ফলাফলে দেখা যাচ্ছে যে মার্কিন বিশ্ব বাণিজ্য কেন্দ্রের টুইন টাওয়ার্স ধ্বংস করা হয়েছিল নিয়ন্ত্রিত ধ্বংস-প্রক্রিয়ার মাধ্যমে।
ঘটনা প্রবাহ
বিশ্লেষণে সামগ্রিকভাবে গত ১৭ বছরে যে
জিনিষ গুলো বাস্তবে একেবারেই পরিষ্কারঃ
১) BLDG. # 7, সম্পুর্ণ controlled demolition, এটা এখন
বিতর্কের উর্ধে।
২) কোন
বিমান Pentagon কে আঘাত করেনি, ওটা
ছিল missile, যা সবসময় আমেরিকার Air Force অথবা Navy এর নিয়ন্ত্রণে। তাছাড়া
Pentagon এর কোন অংশে Renovation চলছে এটা
বাইরের কারও
জানার কথা
না।
৯/১১ অজুহাত দিয়ে আমেরিকার সরকার জনমত সৃষ্টকরে ইরাকে আর আফগানিস্তানে এক মিলিয়নের বেশী মানব নিধন করে আর ৯/১১ এর পর আইন পাশ করে মানুষের মুখ চেপে ধরে রাখলেও তিনটা ঘটনা ৯/১১ কে বিতর্কিত করেছে। Building #7- ৪৭ তালা ভবন, কোন বিমান আঘাত করেনি অথচ পরিষ্কার ওটা ছিল controlled demolition, Free Fall, তারপর পেন্টাগনে যাত্রীবাহী বিমান ধংসের যাত্রীদের মালামাল আর মৃতদেহের কোন প্রমান সরকার দেখাতে পারেনি। আর Shanksville, Pennsylvania-তেও কোন যাত্রীবাহী বিমান ধ্বংসের নমুনা CNN, ABC, FOXNEWS তুলে ধরতে পারেনি।আসলে কিন্ত টুইন টাওয়ার ঘটনার আসল কারন/রহস্য ফাঁস হবে/ বেরিয়ে আসবে যদি বুশ- আল্ গোরের মধ্যকার জাতীয় টেলিভিশন বিতর্কে্র বিষয়ের দিকে অনুসন্ধানী দৃষ্টি নিবন্ধ করা হয়।।
৯/১১ অজুহাত দিয়ে আমেরিকার সরকার জনমত সৃষ্টকরে ইরাকে আর আফগানিস্তানে এক মিলিয়নের বেশী মানব নিধন করে আর ৯/১১ এর পর আইন পাশ করে মানুষের মুখ চেপে ধরে রাখলেও তিনটা ঘটনা ৯/১১ কে বিতর্কিত করেছে। Building #7- ৪৭ তালা ভবন, কোন বিমান আঘাত করেনি অথচ পরিষ্কার ওটা ছিল controlled demolition, Free Fall, তারপর পেন্টাগনে যাত্রীবাহী বিমান ধংসের যাত্রীদের মালামাল আর মৃতদেহের কোন প্রমান সরকার দেখাতে পারেনি। আর Shanksville, Pennsylvania-তেও কোন যাত্রীবাহী বিমান ধ্বংসের নমুনা CNN, ABC, FOXNEWS তুলে ধরতে পারেনি।আসলে কিন্ত টুইন টাওয়ার ঘটনার আসল কারন/রহস্য ফাঁস হবে/ বেরিয়ে আসবে যদি বুশ- আল্ গোরের মধ্যকার জাতীয় টেলিভিশন বিতর্কে্র বিষয়ের দিকে অনুসন্ধানী দৃষ্টি নিবন্ধ করা হয়।।
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বুশ আর তার প্রতিদ্বন্দ্বী আলগোরের মধ্যকার টেলিভিশন বিতর্ক প্রতিযোগিতাটি ছিল খুবই ইউনিক ও রোমাঞ্চকর। বিতর্কের একটি বিষয় থেকে
এটা স্পষ্ট যে পরবর্তীকালে কেন বুশ সেই বিতর্কিত ক্রুসেডের ঘোষক এবং
নাইন-ইলেভেনের পরিকল্পক হয়েছিলেন? ডেমোক্র্যাট প্রার্থী আল গোর ভাইস
প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে বেছে নিলেন গোঁড়া ইহুদি লিবারম্যানকে। বুশে্র কাছে দিন রাতের মতোই পরিষ্কার হলো, ইহুদি সব ভোট আল গোরের পাল্লায় যাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রে
ইহুদি লবি খুবই সক্রিয় ও সুসংগঠিত আবার সাধারণত খ্রিষ্টান ভোট দুই ভাগে
প্রায় সমানভাবে বিভক্ত হয়ে ভোটের ভারসাম্য মোটামুটি বজায় রাখে দুই দলের মধ্যে।
এতদিন ধরে দেখা যায় , ইহুদি ভোট যে দিকে মোড় নেয় তারাই বিজয়ের হাসি দিতে নির্বাচনে সুবিধাজনক অবস্থায় থাকে।
ক্লিনটন তখন মসনদে। আমি মেরিল্যান্ডের বাল্টিমোরে একদিন ঘুম থেকে উঠে এক অবিশ্বাস্য নাটকীয় সংবাদ জানতে পারি। হোয়াইট হাউজে ইসলামের চাঁদতারা পতাকা উড়ছে। ভয়ের কিছু ছিল না। কারণ আলকায়দার জন্ম তখনো হয়নি এবং বিন লাদেনেরও পাত্তা ছিল না, যিনি হোয়াইট হাউজে এসে এ ধরনের অঘটন ঘটানোর হিম্মত রাখেন। তবে সে সময় এখানকার মিডিয়ায় প্রচণ্ড ঝড় বয়ে যাচ্ছিল- যুক্তরাষ্ট্রে দ্রুত সম্প্রসারণশীল ধর্ম হচ্ছে ইসলাম। এ সময়টিতে আমি বাল্টিমোর জনস হপকিন্সে গবেষণা করছি। এই বিশ্ববিদ্যালয়টি যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষস্থানীয় মেডিক্যাল রিসার্চ ইউনিভার্সিটি। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের হোমউড ক্যাম্পাসের লাইব্রেরির বেসমেন্টের দেয়ালে একটি তথ্য/লেখা আমার চোখে পড়ে- প্রতি বছর মুস্যলমানের সংখ্যা যুক্তরাষ্ট্রে একশত হাজার(১০০,০০০)করে বাড়ছে। উল্লেখ্যঃ স্বাধীনতার পর থেকে দু’টি ধর্মের পতাকা হোয়াইট হাউজে উঠানো হতো যেহেতু এই দু' ধর্মের লোক অন্য সব ধর্মের চেয়ে সংখ্যায় অনেক বেশি ছিল। দেখতে দেখতে মুসলমানদের সংখ্যা ইহুদিদের টপকিয়ে যায়। মুসলমানদের সংখ্যা ইহুদিদের চেয়ে আর কম না হওয়ায় সরকারি ভাবেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, এখন থেকে তিন ধর্মের পতাকা হোয়াইট হাউজে স্থান পাবে/উড়বে। ।
প্রেসিডেন্ট নির্বাচন:
ইতিহাসে এবারই প্রথম কোনো ইহুদি (অখ্রিষ্টান) হোয়াইট হাউজের একটি গুরুত্বপূর্ণ পদে নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন।স্পষ্টতঃ বাস্তবতা হচ্ছে আল্ গোরের প্যানেল সব ইহুদী ভোট পাচ্ছে কেননা এই প্যানেলে ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রার্থী একজন ইহুদী। পরিশেষে বুশ জয়ের বিকল্প পথ খোলা না দেখে দিশেহারা হয়ে মুসলমানদের দ্বারস্থ হন। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে এই প্রথম একজন প্রার্থী জাতীয় বিতর্কের সময়ে মুসলমানদের কাছে ভোট ভিক্ষা চান। সেই সময়ে মুসলমানদের প্রাণের একমাত্র দাবি ছিল, জননিরাপত্তা আইনে সংযুক্ত ‘সিক্রেট এভিডেন্স’ রহিত করা। আইনটি উদ্দেশ্যমূলকভাবে সংযুক্ত হয়েছিল মুসলমানদেরকে সামাজিকভাবে চেপে রাখা ও কোণঠাসা করারই মানসে। এই সিক্রেট এভিডেন্সের দোহাই দিয়ে বা এর ফাঁকফোকড় তৈরি করে শুধু মুসলিম সম্প্রদায়ের লোকদের জেলে পাঠানো হতো। বুশ দেখলেন, এ বিষয়ে কথা বললে সব মুসলমান ভোটারের ভোট অতি সহজে অনায়াসেই পাওয়া যাবে। প্রেসিডেন্ট বিতর্কের সময় তিনি সরাসরি বলেন : ‘নিরাপত্তা আইনে সিক্রেট এভিডেন্সকে discriminatory/বৈষম্যমূলক মনে করি। ক্ষমতায় গেলে এটি বাতিল করব। জবাবে আল গোর বলেন : ‘আমি এটাকে বৈষম্যমূলক মনে করি না।’ [ আমি তখন যুক্তরাষ্ট্রে টিভিতে লাইভ বিতর্ক দর্শক।]
মুসলমান ভোটারদের মনে হলো, বুশ তাদের পক্ষ নিয়েছেন। এই প্রথম মুসলমানরা যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে জোটবদ্ধভাবে একদিকে ভোট প্রয়োগ করেন।
আগে বিতর্ক ছিল, এদেশে ভোট প্রয়োগ জায়েজ কিনা? পরিস্থিতি এবং বুশের আশ্বাস সবকিছু পাল্টে দিলো।এমনকি বুশের পক্ষে সক্রিয়ভাবে নির্বাচনী প্রচারে জড়িয়েও পড়েন তারা। শেষে ইহুদি লবির সাথে প্রতিযোগিতায় বিজয় ছিনিয়ে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেন, মুসললমানরা ও মার্কিন মাটিতে রাজনৈতিক শক্তি প্রদর্শনে এখন সক্ষম। মুসলিম ভোট ব্যাংকের শক্তির মহড়া কে বরং দেখা হলো যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিতে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হিসেবে। প্রচারমাধ্যম এটা লুফে নিলো। ইনভেস্টরস বিজিনেস ডেইলি এক নিবন্ধে লিখে ‘আমেরিকান মুসলমানদের জন্য এটা ছিল বিজয়ের চেয়ে অনেক বেশি।’ [যেন বুশের নয় বিজয়টা মুসলমানদের] । ক্ষমতায় যেয়ে বুশ অবশ্য তার কথা আদৌ রক্ষা করেননি বরং কার্যত নাইন ইলেভেনেরই রুপকার হলেন যাতে আমেরিকার রাজনীতিতে মুসলমানদের ভুমিকা অদূর ভবিষ্যতে চিরতরে নির্মূল করা যায়।
নাইন-ইলেভেনে মাত্র ১৫ মিনিটের ব্যবধানে দু’টি যাত্রীবাহী বিমান আছড়ে পড়েছিল নিউ ইয়র্কের বিশ্ববাণিজ্য কেন্দ্রে। অতঃপর আগুন, ধোঁয়া; তাসের ঘরের মতো দু’টি টাওয়ার ভেঙে পড়ে। ‘নয়-এগারো’র ভয়াল সন্ত্রাসী হামলার দশক পূর্তির পরেও বিবিসি, রয়টার, এএফপি পরিবেশিত সংবাদে প্রশ্ন করা হলো : আসলে কী ঘটেছিল ২০০১-এর এই দিনে? সত্যিই কি আলকায়েদা মার্কিন শৌর্যে আঘাত হেনেছিল, নাকি সবই পাতানো?
যুক্তরাষ্ট্রের উটাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞানের অধ্যাপক স্টিভেন জোন্সের নেতৃত্বে ৭৫ জন শীর্ষস্থানীয় বুদ্ধিজীবীর অভিযোগ নিউইয়র্ক ও পেন্টাগনে সে হামলা যাত্রীবাহী বিমানের নয়, এটা ছিল ভেতর থেকেই সংঘটিত। নিউ ইয়র্ক টাইমস পত্রিকাকে অধ্যাপক স্টিভেন বলেন, ভেঙে পড়া টুইন টাওয়ারে ধ্বংসস্তূপ পরীক্ষার পর নিশ্চিত প্রমাণ পাওয়া গেছে সেখানে ভবন ধসানোর বিস্ফোরক ব্যবহারের। জোন্স বলেন, আফগান গুহায় বসে কিছু লোক এবং ১৯ জন বিমান ছিনতাইকারী এমন ঘটনা ঘটিয়েছে বলে আমরা মনে করি না। সরকারের এই তত্ত্বের বিরুদ্ধে আমরা চ্যালেঞ্জ করছি।কানাডার দি গেজেট পত্রিকায় ডেভিড গোল্ডস্টেইন টুইন টাওয়ার ধ্বংসের জন্য খোদ বুশকে দায়ী করে একাধিক বাস্তবসম্মত যুক্তি দিয়ে বলেছেন এ কাজ কোনোভাবেই বিন লাদেনকে দিয়ে সম্ভব নয়। ওদিকে আবার
টুইন টাওয়ার হামলার প্রায় দুবছর আগে ভাগে ট্রাম্প তার বইতে (‘The America We Deserve’প্রকাশিত জানুয়ারি ২০০০) Nostrodomas এর মত ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেনঃ ওসামা বিন লাদেন টুইন টাওয়ারে হামলা চালাবেন। US Presidential hopeful Donald Trump "warned" of the horrific September 11 attack on the World Trade Center in a book published less than two years before the world's worst terror strikes happened, it is being claimed. By JON AUSTIN PUBLISHED: 03:42, Tue, Feb 23, 2016 |
ট্রাম্পকে সেজন্যে বলা হয় ‘মডার্ন ডে Nostrodomas '।’
Alex Jenes Radio Show সাক্ষাতকারে ট্রাম্প বলেন, “আমি ওই বইতে বলেছি, আমাদের সতর্ক থাকতে হবে এই ব্যাক্তি ওসামা বিন লাদেন সম্পর্কে।’’ ঘটনা প্রবাহ বিশ্লেষণে সামগ্রিকভাবে দেখা যায় আসলে টুইন টাওয়ারে হামলা ছিল আভ্যন্তরীণ বিষয় (পরিকল্পনা) মাত্র।
লেখকঃসাবেক শিক্ষক, জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়।
ক্লিনটন তখন মসনদে। আমি মেরিল্যান্ডের বাল্টিমোরে একদিন ঘুম থেকে উঠে এক অবিশ্বাস্য নাটকীয় সংবাদ জানতে পারি। হোয়াইট হাউজে ইসলামের চাঁদতারা পতাকা উড়ছে। ভয়ের কিছু ছিল না। কারণ আলকায়দার জন্ম তখনো হয়নি এবং বিন লাদেনেরও পাত্তা ছিল না, যিনি হোয়াইট হাউজে এসে এ ধরনের অঘটন ঘটানোর হিম্মত রাখেন। তবে সে সময় এখানকার মিডিয়ায় প্রচণ্ড ঝড় বয়ে যাচ্ছিল- যুক্তরাষ্ট্রে দ্রুত সম্প্রসারণশীল ধর্ম হচ্ছে ইসলাম। এ সময়টিতে আমি বাল্টিমোর জনস হপকিন্সে গবেষণা করছি। এই বিশ্ববিদ্যালয়টি যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষস্থানীয় মেডিক্যাল রিসার্চ ইউনিভার্সিটি। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের হোমউড ক্যাম্পাসের লাইব্রেরির বেসমেন্টের দেয়ালে একটি তথ্য/লেখা আমার চোখে পড়ে- প্রতি বছর মুস্যলমানের সংখ্যা যুক্তরাষ্ট্রে একশত হাজার(১০০,০০০)করে বাড়ছে। উল্লেখ্যঃ স্বাধীনতার পর থেকে দু’টি ধর্মের পতাকা হোয়াইট হাউজে উঠানো হতো যেহেতু এই দু' ধর্মের লোক অন্য সব ধর্মের চেয়ে সংখ্যায় অনেক বেশি ছিল। দেখতে দেখতে মুসলমানদের সংখ্যা ইহুদিদের টপকিয়ে যায়। মুসলমানদের সংখ্যা ইহুদিদের চেয়ে আর কম না হওয়ায় সরকারি ভাবেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, এখন থেকে তিন ধর্মের পতাকা হোয়াইট হাউজে স্থান পাবে/উড়বে। ।
প্রেসিডেন্ট নির্বাচন:
ইতিহাসে এবারই প্রথম কোনো ইহুদি (অখ্রিষ্টান) হোয়াইট হাউজের একটি গুরুত্বপূর্ণ পদে নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন।স্পষ্টতঃ বাস্তবতা হচ্ছে আল্ গোরের প্যানেল সব ইহুদী ভোট পাচ্ছে কেননা এই প্যানেলে ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রার্থী একজন ইহুদী। পরিশেষে বুশ জয়ের বিকল্প পথ খোলা না দেখে দিশেহারা হয়ে মুসলমানদের দ্বারস্থ হন। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে এই প্রথম একজন প্রার্থী জাতীয় বিতর্কের সময়ে মুসলমানদের কাছে ভোট ভিক্ষা চান। সেই সময়ে মুসলমানদের প্রাণের একমাত্র দাবি ছিল, জননিরাপত্তা আইনে সংযুক্ত ‘সিক্রেট এভিডেন্স’ রহিত করা। আইনটি উদ্দেশ্যমূলকভাবে সংযুক্ত হয়েছিল মুসলমানদেরকে সামাজিকভাবে চেপে রাখা ও কোণঠাসা করারই মানসে। এই সিক্রেট এভিডেন্সের দোহাই দিয়ে বা এর ফাঁকফোকড় তৈরি করে শুধু মুসলিম সম্প্রদায়ের লোকদের জেলে পাঠানো হতো। বুশ দেখলেন, এ বিষয়ে কথা বললে সব মুসলমান ভোটারের ভোট অতি সহজে অনায়াসেই পাওয়া যাবে। প্রেসিডেন্ট বিতর্কের সময় তিনি সরাসরি বলেন : ‘নিরাপত্তা আইনে সিক্রেট এভিডেন্সকে discriminatory/বৈষম্যমূলক মনে করি। ক্ষমতায় গেলে এটি বাতিল করব। জবাবে আল গোর বলেন : ‘আমি এটাকে বৈষম্যমূলক মনে করি না।’ [ আমি তখন যুক্তরাষ্ট্রে টিভিতে লাইভ বিতর্ক দর্শক।]
মুসলমান ভোটারদের মনে হলো, বুশ তাদের পক্ষ নিয়েছেন। এই প্রথম মুসলমানরা যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে জোটবদ্ধভাবে একদিকে ভোট প্রয়োগ করেন।
আগে বিতর্ক ছিল, এদেশে ভোট প্রয়োগ জায়েজ কিনা? পরিস্থিতি এবং বুশের আশ্বাস সবকিছু পাল্টে দিলো।এমনকি বুশের পক্ষে সক্রিয়ভাবে নির্বাচনী প্রচারে জড়িয়েও পড়েন তারা। শেষে ইহুদি লবির সাথে প্রতিযোগিতায় বিজয় ছিনিয়ে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেন, মুসললমানরা ও মার্কিন মাটিতে রাজনৈতিক শক্তি প্রদর্শনে এখন সক্ষম। মুসলিম ভোট ব্যাংকের শক্তির মহড়া কে বরং দেখা হলো যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিতে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হিসেবে। প্রচারমাধ্যম এটা লুফে নিলো। ইনভেস্টরস বিজিনেস ডেইলি এক নিবন্ধে লিখে ‘আমেরিকান মুসলমানদের জন্য এটা ছিল বিজয়ের চেয়ে অনেক বেশি।’ [যেন বুশের নয় বিজয়টা মুসলমানদের] । ক্ষমতায় যেয়ে বুশ অবশ্য তার কথা আদৌ রক্ষা করেননি বরং কার্যত নাইন ইলেভেনেরই রুপকার হলেন যাতে আমেরিকার রাজনীতিতে মুসলমানদের ভুমিকা অদূর ভবিষ্যতে চিরতরে নির্মূল করা যায়।
নাইন-ইলেভেনে মাত্র ১৫ মিনিটের ব্যবধানে দু’টি যাত্রীবাহী বিমান আছড়ে পড়েছিল নিউ ইয়র্কের বিশ্ববাণিজ্য কেন্দ্রে। অতঃপর আগুন, ধোঁয়া; তাসের ঘরের মতো দু’টি টাওয়ার ভেঙে পড়ে। ‘নয়-এগারো’র ভয়াল সন্ত্রাসী হামলার দশক পূর্তির পরেও বিবিসি, রয়টার, এএফপি পরিবেশিত সংবাদে প্রশ্ন করা হলো : আসলে কী ঘটেছিল ২০০১-এর এই দিনে? সত্যিই কি আলকায়েদা মার্কিন শৌর্যে আঘাত হেনেছিল, নাকি সবই পাতানো?
যুক্তরাষ্ট্রের উটাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞানের অধ্যাপক স্টিভেন জোন্সের নেতৃত্বে ৭৫ জন শীর্ষস্থানীয় বুদ্ধিজীবীর অভিযোগ নিউইয়র্ক ও পেন্টাগনে সে হামলা যাত্রীবাহী বিমানের নয়, এটা ছিল ভেতর থেকেই সংঘটিত। নিউ ইয়র্ক টাইমস পত্রিকাকে অধ্যাপক স্টিভেন বলেন, ভেঙে পড়া টুইন টাওয়ারে ধ্বংসস্তূপ পরীক্ষার পর নিশ্চিত প্রমাণ পাওয়া গেছে সেখানে ভবন ধসানোর বিস্ফোরক ব্যবহারের। জোন্স বলেন, আফগান গুহায় বসে কিছু লোক এবং ১৯ জন বিমান ছিনতাইকারী এমন ঘটনা ঘটিয়েছে বলে আমরা মনে করি না। সরকারের এই তত্ত্বের বিরুদ্ধে আমরা চ্যালেঞ্জ করছি।কানাডার দি গেজেট পত্রিকায় ডেভিড গোল্ডস্টেইন টুইন টাওয়ার ধ্বংসের জন্য খোদ বুশকে দায়ী করে একাধিক বাস্তবসম্মত যুক্তি দিয়ে বলেছেন এ কাজ কোনোভাবেই বিন লাদেনকে দিয়ে সম্ভব নয়। ওদিকে আবার
টুইন টাওয়ার হামলার প্রায় দুবছর আগে ভাগে ট্রাম্প তার বইতে (‘The America We Deserve’প্রকাশিত জানুয়ারি ২০০০) Nostrodomas এর মত ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেনঃ ওসামা বিন লাদেন টুইন টাওয়ারে হামলা চালাবেন। US Presidential hopeful Donald Trump "warned" of the horrific September 11 attack on the World Trade Center in a book published less than two years before the world's worst terror strikes happened, it is being claimed. By JON AUSTIN PUBLISHED: 03:42, Tue, Feb 23, 2016 |
ট্রাম্পকে সেজন্যে বলা হয় ‘মডার্ন ডে Nostrodomas '।’
Alex Jenes Radio Show সাক্ষাতকারে ট্রাম্প বলেন, “আমি ওই বইতে বলেছি, আমাদের সতর্ক থাকতে হবে এই ব্যাক্তি ওসামা বিন লাদেন সম্পর্কে।’’ ঘটনা প্রবাহ বিশ্লেষণে সামগ্রিকভাবে দেখা যায় আসলে টুইন টাওয়ারে হামলা ছিল আভ্যন্তরীণ বিষয় (পরিকল্পনা) মাত্র।
লেখকঃসাবেক শিক্ষক, জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়।
No comments:
Post a Comment