'মানুষের সৃষ্টি অপেক্ষা নভোমন্ডল ও ভূ-মন্ডলের সৃষ্টি কঠিনতর। কিন্তু অধিকাংশ মানুষ বোঝে না।' [ সুরা মু’মিন ৪০:৫৭ ]
নয়াদিগন্তে প্রকাশিত বিরল ঘটনা!
নয়াদিগন্ত ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যোতির্বিজ্ঞানী অধ্যাপক গ্যারি গিলমোরের গবেষণা মূলক একটি লেখার নিচে আমার দু'বছর পূর্বের একটি লেখা যুক্ত করে সেটিও পড়ার জন্য অনুরোধ রেখেছে ! কেন?
অবশ্য রহস্যটা পড়লেই অনুধাবন করা যাবে সেই সাথে ঈমানও বাড়তে সহযোগিতা করবে শত সহস্র গুন!~যেন ম্যাজিক! দেখুন না কাজ হয় কিনা!
আসলে বিজ্ঞান সুপার কল্প কাহিনী শেষে হার মেনে এখন যদি প্রকৃতিরই বাস্তবতা হ্য়, নিঃসন্দেহে স্রষ্টার অপার ক্ষমতা বুঝতে এসব ঘটনা খুবই সহায়ক ভূমিকা পালন করবে, সে সাথে ঈমান অবশ্যই শত সহস্রগুণ বাড়াতে ভুমিকা রাখবে।
ক> সমুদ্র তীরের বালুকণার চেয়ে তারা বেশি
খ> সেকেন্ডে ৭০ মাইলের ও বেশি বেগে মহাবিশ্ব প্রসারিত হচ্ছে।
নয়াদিগন্ত অন লাইনে ২৭ জুলাই ২০১৮, ১২:০৮ যে লেখাটি প্রকাশিত হয়েছে:
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যোতির্বিজ্ঞানী অধ্যাপক গ্যারি গিলমোরঃনয়াদিগন্ত অন লাইনে ২৭ জুলাই ২০১৮, ১২:০৮ যে লেখাটি প্রকাশিত হয়েছে:
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
বেশিরভাগ ছায়াপথে আমাদের ছায়াপথের মতোই তারা থাকে। মহাবিশ্বের তারারমোট সংখ্যা পৃথিবীর বালুকণার চেয়ে বেশি’ এমন দাবি করেছেন একজন অ্যামেরিকান জ্যোতির্বিজ্ঞানী।
আশির দশকের নিজের জনপ্রিয় টিভি শো কসমস-এ তিনি এ কথা বলেছিলেন।কিন্তু এটা কতটা সত্যি?
এটা কি আসলে গণনা করা সম্ভব?
আশির দশকের নিজের জনপ্রিয় টিভি শো কসমস-এ তিনি এ কথা বলেছিলেন।কিন্তু এটা কতটা সত্যি?
এটা কি আসলে গণনা করা সম্ভব?
আমরা এখন সেটাই মিলিয়ে দেখার চেষ্টা করব : ছায়পথের সংখ্যা
অধ্যাপক গ্যারি গিলমোর ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন জ্যোতির্বিজ্ঞানী, যিনি মহাবিশ্বেতারার সংখ্যা গণনা করছেন অনেক বছর যাবত।
যুক্তরাজ্যের চালানো প্রকল্প গাইয়া’র নেতৃত্ব দিচ্ছেন তিনি।
এর মধ্যে রয়েছে একটি ইউরোপীয় মহাকাশযান, যেটি এখন আকাশের মানচিত্র তৈরির কাজ করছে।
আমাদের মহাবিশ্বে কত তারা আছে, তা গণনার জন্য গাইয়া দল এখন তাদের ডাটা ব্যবহারকরে মিল্কিওয়ে বা ছায়াপথের একটি বড় ত্রিমাত্রিক মডেল তৈরি করেছে।
অধ্যাপক গিলমোর বলছেন, প্রতিটি তারার পরস্পরের থেকে দূরত্ব অনুযায়ী পাওয়া তথ্যে দেখা গেছে দুইশো কোটির চেয়ে বড় তারা রয়েছে।
অর্থাৎ ইউরোপের অংশে যদি মোট তারার এক শতাংশ থাকে, তাহলে আমাদের ছায়াপথে হয়তো সব মিলে কুড়ি হাজার কোটি তারা আছে। কিন্তু এতো কেবল একটি ছায়াপথেরহিসাব।
সার্বজনীন চিত্র
সৌভাগ্যজনকভাবে, মহাবিশ্বে আমাদের ছায়াপথ একটি টিপিক্যাল বা সাধারণ ধরণের।বেশিরভাগ ছায়াপথে আমাদের ছায়াপথের মতোই তারা থাকে।
অধ্যাপক গিলমোর বলছেন, সে কারণে আমরা একে গড় হিসাব তৈরির কাজে লাগাতেপারি।
অর্থাৎ যদি মোট ছায়াপথের সংখ্যা ধারণা করা যায়,তাহলে তারার সংখ্যা বের করা সম্ভবহবে। জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের জন্য সেটা হয়তো বড় সমস্যা নয়।
মহাবিশ্বে যদি দশ হাজার ছায়াপথ থাকে, মনে রাখতে হবে একেকটিতে হয়তো কুড়ি হাজার করে তারা আছে।
এবার সাগর তীরের অংক
শুরুতেই ধরে নিতে হবে, বিশ্বের সব সাগরের তীরে ঠিক কি পরিমাণ বালু থাকে।
এজন্য সমুদ্র পৃষ্ঠের দৈর্ঘ্য, প্রস্থ এবং গভীরতা পরিমাপ করতে হবে।
সেজন্য সাগরের তীরের হিসাব করলে হবে না, হিসাব করতে হবে উপকূলীয় এলাকার পরিমাপের।
এ নিয়ে অবশ্য বিশেষজ্ঞরা একমত হতে পারেন না তেমন, কারণ উপকূলীয় এলাকার মাপবাড়ে কমে, স্থির থাকে না।
তারপরেও বিবিসি একজনের সঙ্গে কথা বলেছে যিনি একটি সংখ্যা জানিয়েছেন। উপকূল নিয়ে গবেষণা করে এমন প্রতিষ্ঠান ডেল্টারসের গবেষক জেনাডি ডনসিটস বলছেন, পুরো পৃথিবীর উপকূলের পরিমাপ করা বিশাল দুঃসাধ্য এক কাজ।
ওপেন স্ট্রীটম্যাপের মতো ফ্রিম্যাপ ব্যবহার করে কম্পিউটার ডাটার মাধ্যমে দেখা যাচ্ছেবরফাচ্ছন্ন এলাকাসহ উপকূলীয় এলাকার দৈর্ঘ্য ১১ লাখ কিলোমিটারের মতো।
যার মধ্যে তিন লাখ কিলোমিটার এলাকা বালুময় সৈকত।
এখন যদি তারার সংখ্যার সঙ্গে তুলনা করতে হয়, তাহলে দেখা যাবে, মহাবিশ্বে তারার সংখ্যা১০ সেক্সটিলিয়ন, যেখানে বালুকণার সংখ্যা হবে চার সেক্সটিলিয়ন।
তাহলে এটি ঠিকই যে মহাবিশ্বে বালুকণার চেয়ে তারার সংখ্যা বেশি। সূত্র : বিবিসি
অধ্যাপক গ্যারি গিলমোর ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন জ্যোতির্বিজ্ঞানী, যিনি মহাবিশ্বেতারার সংখ্যা গণনা করছেন অনেক বছর যাবত।
যুক্তরাজ্যের চালানো প্রকল্প গাইয়া’র নেতৃত্ব দিচ্ছেন তিনি।
এর মধ্যে রয়েছে একটি ইউরোপীয় মহাকাশযান, যেটি এখন আকাশের মানচিত্র তৈরির কাজ করছে।
আমাদের মহাবিশ্বে কত তারা আছে, তা গণনার জন্য গাইয়া দল এখন তাদের ডাটা ব্যবহারকরে মিল্কিওয়ে বা ছায়াপথের একটি বড় ত্রিমাত্রিক মডেল তৈরি করেছে।
অধ্যাপক গিলমোর বলছেন, প্রতিটি তারার পরস্পরের থেকে দূরত্ব অনুযায়ী পাওয়া তথ্যে দেখা গেছে দুইশো কোটির চেয়ে বড় তারা রয়েছে।
অর্থাৎ ইউরোপের অংশে যদি মোট তারার এক শতাংশ থাকে, তাহলে আমাদের ছায়াপথে হয়তো সব মিলে কুড়ি হাজার কোটি তারা আছে। কিন্তু এতো কেবল একটি ছায়াপথেরহিসাব।
সার্বজনীন চিত্র
সৌভাগ্যজনকভাবে, মহাবিশ্বে আমাদের ছায়াপথ একটি টিপিক্যাল বা সাধারণ ধরণের।বেশিরভাগ ছায়াপথে আমাদের ছায়াপথের মতোই তারা থাকে।
অধ্যাপক গিলমোর বলছেন, সে কারণে আমরা একে গড় হিসাব তৈরির কাজে লাগাতেপারি।
অর্থাৎ যদি মোট ছায়াপথের সংখ্যা ধারণা করা যায়,তাহলে তারার সংখ্যা বের করা সম্ভবহবে। জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের জন্য সেটা হয়তো বড় সমস্যা নয়।
মহাবিশ্বে যদি দশ হাজার ছায়াপথ থাকে, মনে রাখতে হবে একেকটিতে হয়তো কুড়ি হাজার করে তারা আছে।
এবার সাগর তীরের অংক
শুরুতেই ধরে নিতে হবে, বিশ্বের সব সাগরের তীরে ঠিক কি পরিমাণ বালু থাকে।
এজন্য সমুদ্র পৃষ্ঠের দৈর্ঘ্য, প্রস্থ এবং গভীরতা পরিমাপ করতে হবে।
সেজন্য সাগরের তীরের হিসাব করলে হবে না, হিসাব করতে হবে উপকূলীয় এলাকার পরিমাপের।
এ নিয়ে অবশ্য বিশেষজ্ঞরা একমত হতে পারেন না তেমন, কারণ উপকূলীয় এলাকার মাপবাড়ে কমে, স্থির থাকে না।
তারপরেও বিবিসি একজনের সঙ্গে কথা বলেছে যিনি একটি সংখ্যা জানিয়েছেন। উপকূল নিয়ে গবেষণা করে এমন প্রতিষ্ঠান ডেল্টারসের গবেষক জেনাডি ডনসিটস বলছেন, পুরো পৃথিবীর উপকূলের পরিমাপ করা বিশাল দুঃসাধ্য এক কাজ।
ওপেন স্ট্রীটম্যাপের মতো ফ্রিম্যাপ ব্যবহার করে কম্পিউটার ডাটার মাধ্যমে দেখা যাচ্ছেবরফাচ্ছন্ন এলাকাসহ উপকূলীয় এলাকার দৈর্ঘ্য ১১ লাখ কিলোমিটারের মতো।
যার মধ্যে তিন লাখ কিলোমিটার এলাকা বালুময় সৈকত।
এখন যদি তারার সংখ্যার সঙ্গে তুলনা করতে হয়, তাহলে দেখা যাবে, মহাবিশ্বে তারার সংখ্যা১০ সেক্সটিলিয়ন, যেখানে বালুকণার সংখ্যা হবে চার সেক্সটিলিয়ন।
তাহলে এটি ঠিকই যে মহাবিশ্বে বালুকণার চেয়ে তারার সংখ্যা বেশি। সূত্র : বিবিসি
আরো পড়ুন :
প্রসারণশীল মহাবিশ্ব
মুহাম্মাদ আলী রেজা, ০২ অক্টোবর ২০১৬
মহাবিশ্ব প্রসারমাণ- এ আবিষ্কারটি বিংশ শতাব্দীর বৃহত্তম বৌদ্ধিক বিপ্লবগুলোর অন্যতম।রাতের আকাশের দিকে তাকিয়ে আমরা কি কখনো ভাবার সুযোগ পাই, প্রতি সেকেন্ডে ৭০[৭৪.৩ যোগ অথবা বিয়োগ ২. ১] কিলোমিটারের চেয়ে বেশি ও প্রতি মেঘাপারসেকে (১ মেঘাপারসেক হচ্ছে প্রায় ৩ মিলিয়ন আলোক বর্ষ)] ছায়াপথগুলো দুরাপসরণ করছে।
প্রসারণশীল মহাবিশ্ব
মুহাম্মাদ আলী রেজা, ০২ অক্টোবর ২০১৬
মহাবিশ্ব প্রসারমাণ- এ আবিষ্কারটি বিংশ শতাব্দীর বৃহত্তম বৌদ্ধিক বিপ্লবগুলোর অন্যতম।রাতের আকাশের দিকে তাকিয়ে আমরা কি কখনো ভাবার সুযোগ পাই, প্রতি সেকেন্ডে ৭০[৭৪.৩ যোগ অথবা বিয়োগ ২. ১] কিলোমিটারের চেয়ে বেশি ও প্রতি মেঘাপারসেকে (১ মেঘাপারসেক হচ্ছে প্রায় ৩ মিলিয়ন আলোক বর্ষ)] ছায়াপথগুলো দুরাপসরণ করছে।
আসলে প্রত্যাশিত হিসাবের চেয়েও দ্রুতগতিতে সম্প্রসারিত হচ্ছে মহাবিশ্ব। নাসা ওইউরোপিয়ান স্পেস অ্যাজেন্সির দেয়া তথ্য অনুযায়ী, ধারণার চেয়ে ৫ থেকে ৯ শতাংশদ্রুতগতিতে মহাবিশ্বের সম্প্রসারণ ঘটে চলেছে। ১৩ দশমিক ৮ বিলিয়ন বছর আগে ঘটাবিগব্যাঙ থেকে পাওয়া বিকিরণ পরিমাপ করে যে হিসাব বের করা হয়েছিল, তার সাথেমিলছে না বর্তমানে মহাবিশ্বের সম্প্রসারণের হার। প্রসারণশীল মহাবিশ্বের এই অভিক্রিয়া আমাদের দৈনন্দিন জীবনের ঘটনার উপমার মাধ্যমেসহজেই উপলব্ধি করা যাবে। রাস্তায় চলন্ত একটি গাড়ি যখন কাছে এগিয়ে আসে তখন এরইঞ্জিনের শব্দের তীব্রতা তীব্রতর হয় এবং গাড়িটি যখন কাছে এসে দূরে অপসারণ করে,তখন শব্দের তীব্রতা নিম্নতর হয়ে থাকে। আলোকের তরঙ্গের আচরণও একই রকম।আলোকের স্পন্দাঙ্ক খুব বেশি- সেকেন্ডে চার থেকে সাত লাখ মিলিয়ন। এর রয়েছে বিভিন্নধরনের স্পন্দাঙ্ক। আমাদের দৃষ্টিতে যা বিভিন্ন বর্ণ হিসেবে প্রতিভাত হয় সেগুলো হলো-আলোকের বিভিন্ন স্পন্দাঙ্ক। সর্বনিম্ন স্পন্দাঙ্ক দেখা যায় বর্ণালীর লালের দিকে। তারকা যদিআমাদের দিকে আসে তাহলে প্রতি সেকেন্ডে আমরা যে স্পন্দাঙ্ক পাব তা বেড়ে যাবে, যেমনটিশব্দ শ্রোতার দিকে এগিয়ে আসার সময় ঘটে থাকে। অনুরূপভাবে তারকা যদি আমাদের কাছথেকে দূরে অপসারমাণ হয়, সে ক্ষেত্রে আমাদের কাছে যে তরঙ্গগুলো পৌঁছাচ্ছে তার স্পন্দাঙ্কহবে দ্রুততর।তারকার আলোর স্পন্দাঙ্ক মেপে এর লাল বিচ্যুতি হলে স্পষ্টত বোঝা যাবে,তারকাগুলো আমাদের কাছ থেকে দূরাপসরণ করছে।
সূরা আয জারিয়ার ৪৭ আয়াতে নভোমণ্ডল প্রসারিত হচ্ছে উল্লিখিত হয়েছেঃ ' নভোমণ্ডলনির্মাণ করেছি আমার ক্ষমতাবলে এবং আমি অবশ্যই মহাসম্প্রসারণকারী।'এডউইন হাবল ১৯২৯ সালে প্রকাশ করেন যে, মহাবিশ্ব স্থিতাবস্থায় নেই। যে ছায়াপথটি যতদূরে অবস্থিত তার দূরাপসারণের গতি ও তত বেশি। দেখা যায়- এক মিলিয়ন আলোকবর্ষদূরের ছায়াপথ প্রতি সেকেন্ডে ২২ দশমিক ৪ কিলোমিটার বেগে এবং দুই মিলিয়নআলোকবর্ষ দূরের ছায়াপথ প্রতি সেকেন্ডে ৪৪ দশমিক ৮ কিলোমিটার বেগে দূরাপসরণ করছে। অবাক বিস্ময়ের সাথে ভাবার বিষয়, বাস্তবে প্রতিনিয়ত মহাবিশ্ব আমাদের থেকে কতদূরে বিস্তৃতি লাভ করছে!আমরা ক’জন গুরুত্বসহকারে ভেবে দেখেছি, প্রকৃত ঈমানের স্বাদ সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা পেতেহলে সর্বশেষ বিজ্ঞানের নভোমণ্ডল ও মহাবিশ্ব সম্পর্কে ন্যূনতম একটি ধারণা একেবারে নাথাকলেই নয়? প্রশ্ন আসা স্বাভাবিক- ঈমানের সত্যিকার স্বাদ পাওয়ার জন্য এসব তথ্য জেনেকী হবে? মুজাদ্দেদ ইমাম গাজ্জালি রহ: সেই মধ্যযুগের শ্রেষ্ঠ ইসলামি চিন্তাবিদ। বর্তমানেমহাকাশ বিজ্ঞানের যে বিকাশ হয়েছে,সেই প্রেক্ষাপটে মধ্যযুগে এই বিজ্ঞানের অগ্রযাত্রাকোন পর্যায়ে ছিল, তা সহজেই অনুমেয়। সেই যুগে তার একটি উপমা এখানে তুলে ধরলেআমরা সকলেই একেবারে চমকে উঠব!তিনি তার সময়ের এবং পরে সব কালের ঈমানদারদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছেনএকটি উপমার মাধ্যমে,আল্লাহ পাকের প্রতি ঈমান সুদৃঢ় করার অতি সহজ একটি পথ। এটিহচ্ছে- ঈমানদারদের দৌড় শুধু মসজিদ নয়, বরং মহাকাশ বা মহাবিশ্ব সম্পর্কে যে ব্যক্তিরকোনো ধারণাই নেই, তার ঈমানের স্বাদ বা স্তর হচ্ছে একজন Impotent ব্যাক্তির মতো,যার কোনো অনুভূতিই নেই নর-নারীর দৈহিক সম্পর্কের আসল মজা সম্পর্কে। বাস্তবদুনিয়ায় সবচেয়ে মজাদার, অপার ফুর্তির কোনো কিছু থেকে থাকলে তা হচ্ছে একমাত্র এটি।তেমনি গাজ্জালি রহ:-এর মতে, প্রকৃত ঈমানের আসল স্বাদ বা তৃপ্তি পেতে প্রয়োজন এবংপাওয়ার সহজ পথ হচ্ছে আল্লাহ পাকের অপার রহস্য মহাবিশ্ব সম্পর্কে ওয়াকিবহাল হওয়া।ঈমানদারদের তাচ্ছিল্য করে প্রচলিত কথায় বলে- ‘মোল্লার দৌড় মসজিদ’! কিন্তু আমরাক’জন ওয়াকিবহাল, সে সময়ে সমরকন্দ, দামেস্ক, কায়রো আর করডোভায় প্রথম বড় বড়মানমন্দির গড়ে তুলে আরব মুসলমানেরা। মুসলিম জ্যোতিবেত্তারা এমন সব পর্যবেক্ষণচালিয়েছেন , যে সব ১২ বছরের ওপরে দীর্ঘায়িত হয়েছিল। সে সময়ের মুসলিম বিশ্বেরজ্যোতির্বিজ্ঞান কোন অবস্থানে পৌঁছেছিল তার বর্ণনা একটি ঘটনায় ফুটে ওঠে।
সন্ন্যাসী গারভাট (দ্বিতীয় সিলভেস্ট নামে তিনি ৯৯৯ সালে পোপ হন) যখন করডোভারমুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া শেষ করে খ্রিষ্ট ধর্মাচরণে পুনরায় ফিরে এলেন তখনলোকে রটাল, তিনি নাকি সেখানে শয়তানের সাথে দহরম পর্যন্ত করে এসেছেন।
পৃথিবীর চার ভাগের তিন ভাগ পানি আর এক ভাগ স্থল। এ স্থলভাগে সাত শ’ কোটি মানুষছাড়াও রয়েছে কোটি কোটি জীবজন্তু, পশুপাখি, ক্ষেত-খামার, রাস্তাঘাট, পাহাড়-পর্বত, বিশাল বিশাল মরুদ্যান, বনজঙ্গল এবং আরো কত কী। আর এরকম সবকিছু নিয়েইআমাদের আবাসভূমি পৃথিবী, যার বিশালত্ব কল্পনা করাও অনেক দুরূহ নয় কি?তাহলে রাতের আকাশের অগণিত তারকারাজি ও ছায়াপথ?
আমাদের সূর্য একটি অতি সাধারণ তারকা। এর আকার তারকাগুলোর গড় আকারেরমতোই।
আমাদের বাসভূমির তারকা সূর্যের ব্যাস ১দশমিক ৪ মিলিয়ন কিলোমিটার এর অর্থ হলো১০৯টি পৃথিবী সূর্যের পৃষ্ঠে সাজিয়ে রাখা যায়।এটি এত বড় যে, ১ দশমিক ৩ মিলিয়নপৃথিবী এর মধ্যে ভরে রাখা যায়। আমাদের সৌরগ্রহগুলো সূর্যের চতুর্দিকে চাকতির মতোজায়গাজুড়ে আছে, যার দূরত্ব সূর্য থেকে সাড়ে চার বিলিয়ন কিলোমিটারএকটি তারকারবর্ণনা যদি এমন হয়,সে ক্ষেত্রে মহাবিশ্বে তারকার সংখ্যা কত? বাস্তবে বিশাল সংখ্যারতারকা নিয়ে একটি ছায়াপথ। তাহলে মহাবিশ্বে তারকা ও ছায়াপথ আসলে কয়টি?
Kornreich(কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ের 'Ask an Astronomer' এর ফাউনডার)মহাবিশ্বে১০ ট্রিলিয়ন ছায়াপথ ধরে একটি রাফ হিসাব বের করেছেন- ছায়াপথের ১০০ বিলিয়নতারকার সাথে এই সংখ্যা গুণ করলে হয়১০০অকটিলিয়ন(octillion) তারকা। তার মানে১ এর সাথে ২৯টা শূন্য। Kornreich জোর দিয়ে বলেন, এটা সাধারণ হিসাব, তবে গভীরপর্যবেক্ষণে দেখা যায়, মহাবিশ্বে ছায়াপথের সংখ্যা আরো বেশিNASA (13October2016) থেকে পাওয়া তথ্য হচ্ছে,দুই ট্রিলিয়ণ(20লাখকোটি)ছায়াপথআছে মাত্র ১০শতাংশ মহাবিশ্বের মধ্যে। কিন্ত ছায়াপথগুলোর ৯০ শতাংশর খোজ এখনও বাকি। ছায়াপথ হচ্ছে এমন একটি সিস্টেম যেখানে মিলিয়ন থেকে বিলিয়ন সংখ্যক তারা মাধ্যাকষনের টানে এক সাথে আটকে থাকে। গানিতিক মডেল ব্যবহার করে জ্যোতিবিজ্ঞানীরা ‘অদৃশ্যমান’ ছায়াপথগুলোকে শনাক্ত করার চেষ্টা করছেন । কেননা এই সব ছায়াপথ টেলিস্কোপের আওতায় আসে না।সেখান থেকে ই ধারনা করা হচ্ছে, মানুষের ধারনারও বাইরে রয়ে গেছে আরও লাখ লাখ ছায়াপথ। সূত্রঃ গার্ডিয়ান।
সূরা আয জারিয়ার ৪৭ আয়াতে নভোমণ্ডল প্রসারিত হচ্ছে উল্লিখিত হয়েছেঃ ' নভোমণ্ডলনির্মাণ করেছি আমার ক্ষমতাবলে এবং আমি অবশ্যই মহাসম্প্রসারণকারী।'এডউইন হাবল ১৯২৯ সালে প্রকাশ করেন যে, মহাবিশ্ব স্থিতাবস্থায় নেই। যে ছায়াপথটি যতদূরে অবস্থিত তার দূরাপসারণের গতি ও তত বেশি। দেখা যায়- এক মিলিয়ন আলোকবর্ষদূরের ছায়াপথ প্রতি সেকেন্ডে ২২ দশমিক ৪ কিলোমিটার বেগে এবং দুই মিলিয়নআলোকবর্ষ দূরের ছায়াপথ প্রতি সেকেন্ডে ৪৪ দশমিক ৮ কিলোমিটার বেগে দূরাপসরণ করছে। অবাক বিস্ময়ের সাথে ভাবার বিষয়, বাস্তবে প্রতিনিয়ত মহাবিশ্ব আমাদের থেকে কতদূরে বিস্তৃতি লাভ করছে!আমরা ক’জন গুরুত্বসহকারে ভেবে দেখেছি, প্রকৃত ঈমানের স্বাদ সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা পেতেহলে সর্বশেষ বিজ্ঞানের নভোমণ্ডল ও মহাবিশ্ব সম্পর্কে ন্যূনতম একটি ধারণা একেবারে নাথাকলেই নয়? প্রশ্ন আসা স্বাভাবিক- ঈমানের সত্যিকার স্বাদ পাওয়ার জন্য এসব তথ্য জেনেকী হবে? মুজাদ্দেদ ইমাম গাজ্জালি রহ: সেই মধ্যযুগের শ্রেষ্ঠ ইসলামি চিন্তাবিদ। বর্তমানেমহাকাশ বিজ্ঞানের যে বিকাশ হয়েছে,সেই প্রেক্ষাপটে মধ্যযুগে এই বিজ্ঞানের অগ্রযাত্রাকোন পর্যায়ে ছিল, তা সহজেই অনুমেয়। সেই যুগে তার একটি উপমা এখানে তুলে ধরলেআমরা সকলেই একেবারে চমকে উঠব!তিনি তার সময়ের এবং পরে সব কালের ঈমানদারদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছেনএকটি উপমার মাধ্যমে,আল্লাহ পাকের প্রতি ঈমান সুদৃঢ় করার অতি সহজ একটি পথ। এটিহচ্ছে- ঈমানদারদের দৌড় শুধু মসজিদ নয়, বরং মহাকাশ বা মহাবিশ্ব সম্পর্কে যে ব্যক্তিরকোনো ধারণাই নেই, তার ঈমানের স্বাদ বা স্তর হচ্ছে একজন Impotent ব্যাক্তির মতো,যার কোনো অনুভূতিই নেই নর-নারীর দৈহিক সম্পর্কের আসল মজা সম্পর্কে। বাস্তবদুনিয়ায় সবচেয়ে মজাদার, অপার ফুর্তির কোনো কিছু থেকে থাকলে তা হচ্ছে একমাত্র এটি।তেমনি গাজ্জালি রহ:-এর মতে, প্রকৃত ঈমানের আসল স্বাদ বা তৃপ্তি পেতে প্রয়োজন এবংপাওয়ার সহজ পথ হচ্ছে আল্লাহ পাকের অপার রহস্য মহাবিশ্ব সম্পর্কে ওয়াকিবহাল হওয়া।ঈমানদারদের তাচ্ছিল্য করে প্রচলিত কথায় বলে- ‘মোল্লার দৌড় মসজিদ’! কিন্তু আমরাক’জন ওয়াকিবহাল, সে সময়ে সমরকন্দ, দামেস্ক, কায়রো আর করডোভায় প্রথম বড় বড়মানমন্দির গড়ে তুলে আরব মুসলমানেরা। মুসলিম জ্যোতিবেত্তারা এমন সব পর্যবেক্ষণচালিয়েছেন , যে সব ১২ বছরের ওপরে দীর্ঘায়িত হয়েছিল। সে সময়ের মুসলিম বিশ্বেরজ্যোতির্বিজ্ঞান কোন অবস্থানে পৌঁছেছিল তার বর্ণনা একটি ঘটনায় ফুটে ওঠে।
সন্ন্যাসী গারভাট (দ্বিতীয় সিলভেস্ট নামে তিনি ৯৯৯ সালে পোপ হন) যখন করডোভারমুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া শেষ করে খ্রিষ্ট ধর্মাচরণে পুনরায় ফিরে এলেন তখনলোকে রটাল, তিনি নাকি সেখানে শয়তানের সাথে দহরম পর্যন্ত করে এসেছেন।
পৃথিবীর চার ভাগের তিন ভাগ পানি আর এক ভাগ স্থল। এ স্থলভাগে সাত শ’ কোটি মানুষছাড়াও রয়েছে কোটি কোটি জীবজন্তু, পশুপাখি, ক্ষেত-খামার, রাস্তাঘাট, পাহাড়-পর্বত, বিশাল বিশাল মরুদ্যান, বনজঙ্গল এবং আরো কত কী। আর এরকম সবকিছু নিয়েইআমাদের আবাসভূমি পৃথিবী, যার বিশালত্ব কল্পনা করাও অনেক দুরূহ নয় কি?তাহলে রাতের আকাশের অগণিত তারকারাজি ও ছায়াপথ?
আমাদের সূর্য একটি অতি সাধারণ তারকা। এর আকার তারকাগুলোর গড় আকারেরমতোই।
আমাদের বাসভূমির তারকা সূর্যের ব্যাস ১দশমিক ৪ মিলিয়ন কিলোমিটার এর অর্থ হলো১০৯টি পৃথিবী সূর্যের পৃষ্ঠে সাজিয়ে রাখা যায়।এটি এত বড় যে, ১ দশমিক ৩ মিলিয়নপৃথিবী এর মধ্যে ভরে রাখা যায়। আমাদের সৌরগ্রহগুলো সূর্যের চতুর্দিকে চাকতির মতোজায়গাজুড়ে আছে, যার দূরত্ব সূর্য থেকে সাড়ে চার বিলিয়ন কিলোমিটারএকটি তারকারবর্ণনা যদি এমন হয়,সে ক্ষেত্রে মহাবিশ্বে তারকার সংখ্যা কত? বাস্তবে বিশাল সংখ্যারতারকা নিয়ে একটি ছায়াপথ। তাহলে মহাবিশ্বে তারকা ও ছায়াপথ আসলে কয়টি?
Kornreich(কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ের 'Ask an Astronomer' এর ফাউনডার)মহাবিশ্বে১০ ট্রিলিয়ন ছায়াপথ ধরে একটি রাফ হিসাব বের করেছেন- ছায়াপথের ১০০ বিলিয়নতারকার সাথে এই সংখ্যা গুণ করলে হয়১০০অকটিলিয়ন(octillion) তারকা। তার মানে১ এর সাথে ২৯টা শূন্য। Kornreich জোর দিয়ে বলেন, এটা সাধারণ হিসাব, তবে গভীরপর্যবেক্ষণে দেখা যায়, মহাবিশ্বে ছায়াপথের সংখ্যা আরো বেশিNASA (13October2016) থেকে পাওয়া তথ্য হচ্ছে,দুই ট্রিলিয়ণ(20লাখকোটি)ছায়াপথআছে মাত্র ১০শতাংশ মহাবিশ্বের মধ্যে। কিন্ত ছায়াপথগুলোর ৯০ শতাংশর খোজ এখনও বাকি। ছায়াপথ হচ্ছে এমন একটি সিস্টেম যেখানে মিলিয়ন থেকে বিলিয়ন সংখ্যক তারা মাধ্যাকষনের টানে এক সাথে আটকে থাকে। গানিতিক মডেল ব্যবহার করে জ্যোতিবিজ্ঞানীরা ‘অদৃশ্যমান’ ছায়াপথগুলোকে শনাক্ত করার চেষ্টা করছেন । কেননা এই সব ছায়াপথ টেলিস্কোপের আওতায় আসে না।সেখান থেকে ই ধারনা করা হচ্ছে, মানুষের ধারনারও বাইরে রয়ে গেছে আরও লাখ লাখ ছায়াপথ। সূত্রঃ গার্ডিয়ান।
তার মাণে দাড়ায় মহাবিশ্বে ২০ ট্রিলিয়ণ ছায়াপথও ছাড়িয়ে যেতে পারে!
আবার সবচেয়ে বড় তারকাগুলো সূর্যের চেয়ে পাঁচ শ’ গুণ শুধু বড় নয়, সেই সাথে এক লাখগুণ বেশি উজ্জ্বল। ছায়াপথের কেন্দ্রে অবস্থিত যে কৃষ্ণগহ্বর বা ব্ল্যাকহোল তার ভর তিনমিলিয়ন সূর্যের সমান হয়ে থাকে। আপনি যদি প্রতি সেকেন্ডে একটি করে তারকা গণনাকরেন, সে ক্ষেত্রে এই হারে সব তারকা গুনতে পাঁচ হাজার বছর লাগবে। ছায়াপথগুলোমহাকাশে এলোমেলোভাবে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে না থেকে সঙ্ঘবদ্ধভাবে একে অপর থেকে বহুদূরত্ব বজায় রেখে অবস্থান করে। সব ছায়াপথ এক করলে তারা মহাশূন্যের এক মিলিয়নভাগের এক ভাগ স্থান দখল করবে, যার অর্থ দাঁড়ায় বাস্তবে মহাশূন্য এত বিশাল যে,বিজ্ঞানের সুপার কল্পকাহিনী পর্যন্ত এর কাছে হার মানবে।
ছায়াপথ কত বড়?
এত বড় যে, বড় ধরনের ছায়াপথের আড়াআড়ি দূরত্ব এক মিলিয়ন আলোকবর্ষেরও বেশিহবে [এক বছরে প্রতি সেকেন্ডে এক লাখ ৮৬ হাজার মাইল বেগে যে দূরত্ব অতিক্রম করাযায়, সেটি হলো- এক আলোকবর্ষ (৯ দশমিক ৪ ট্রিলিয়ন কিলোমিটার।)]আমরা এমন একটি ছায়াপথে থাকি, যেটা আড়াআড়ি মাপে প্রায় এক লাখ আলোকবর্ষ।আমাদের ছায়াপথটি ধীর গতিতে ঘূর্ণায়মান। এর সর্পিল বাহুগুলোতে অবস্থিত তারকাগুলোপ্রায় কয়েক শ’ মিলিয়ন বছরে একবার করে কেন্দ্রকে প্রদক্ষিণ করে।
সবচেয়ে ছোট ছায়াপথের নাম ডর্ফ, যার প্রশস্ত কয়েক হাজার আলোকবর্ষের দূরত্বের।অ্যান্ড্রোমেডার ছায়াপথটির এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তের দূরত্ব হবে দুই লাখ ৫০ হাজারআলোকবর্ষ। মজার বিষয় হচ্ছে, এই মুহূর্তে মহাবিশ্বের দিকে তাকালে দূর অতীতেরমহাবিশ্বকে আমরা আসলে কিন্তু দেখতে পাবো, কেননা এই সময়ে দূর তারকা ছায়াপথথেকে আলো এসে কেবল আমাদের কাছে পৌঁছেছে। যে কোয়সারগুলো এখন আমরা দেখছি,সেই আলো আমাদের কাছে পৌঁছতে শত শত কোটি বছর লেগে গেছে। আমাদের নিকটতমতারকা Proxima Centauri থেকে আলো আসতে লাগবে ৪ দশমিক ৩ বর্ষ। যুক্তরাষ্ট্রের একটি সর্বাধিক বিক্রীত ক্যারেন আর্মস্ট্রংয়ের বই ‘অ্যা হিস্ট্রি অব গড’ পুস্তকেবর্ণিত হয়েছে, ‘কুরআন পাকে সব সময়ই বিশেষভাবে গুরুত্বারোপ করা হয়েছে আল্লাহপাকের নিদর্শন বা বাণীর (আয়াত) রহস্য উদঘাটনের জন্য। আর এ কারণে ইসলামেরঅনুসারীরা যুক্তি ও কারণকে এড়িয়ে না গিয়ে গভীর মনোযোগ এবং বিশেষ কৌতূহলেরসাথে পৃথিবীর সব কিছুকে পর্যবেক্ষন করছে। এই মনোভাব ও দৃষ্টিভঙ্গির ফলে পরে দেখা যায়প্রাকৃতিক বিজ্ঞানে (ন্যাচারাল সায়েন্স) মুসলমানদের এক উৎকৃষ্ট ঐতিহ্য গড়ে তোলার, যাকখনো বিজ্ঞানের সাথে ধর্মের বিরোধ বা সংঘর্ষ ঘটায়নি, খ্রিষ্টান ধর্মের ক্ষেত্রে যেটা দেখাগেছে। কাজেই মহাবিশ্বের সব কিছুকে পর্যবেণ ও রহস্য উদঘাটনের মাধ্যমেই কেবলআল্লাহকে খুঁজে পাওয়া ও তার নৈকট্য লাভ করা যেতে পারে। ঈমান বাড়ানোর পথ বা উপায়হলো সৃষ্টি রহস্য নিয়ে গভীরভাবে চিন্তাভাবনা করা। হাদিস শরিফে আছে- সৃষ্টিরহস্য নিয়েকিছু সময় চিন্তাভাবনা করা, সারা রাত নফল এবাদত থেকেও উত্তম।
মহাবিজ্ঞানী আইনস্টাইনের ভাষায়, ‘নিশ্চয়ই এর পেছনে রয়েছে এক অকল্পনীয় মহাজ্ঞানীসত্তার এক রহস্যময় অভিপ্রেত। বিজ্ঞানীর দুরভিসারি জিজ্ঞাসা সেখানে বিমূঢ় হয়ে যায়-বিজ্ঞানের সমাগত চূড়ান্ত অগ্রগতিও সেখান থেকে স্তব্ধ হয়ে ফিরে আসবে; কিন্তু সেই অনন্ত মহাজাগতিক রহস্যের প্রতিভাস বিজ্ঞানীর মনকে এই নিশ্চিত প্রত্যয়ে উদ্বেল করে তোলে,এই মহাবিশ্বের একজন নিয়ন্ত্রা রয়েছেন। তিনি অলৌকিক জ্ঞানময়, তাঁর সৃষ্টিকে অনুভবকরা যায় কিন্তু তাকে কল্পনা করা যায় না।’
আবার সবচেয়ে বড় তারকাগুলো সূর্যের চেয়ে পাঁচ শ’ গুণ শুধু বড় নয়, সেই সাথে এক লাখগুণ বেশি উজ্জ্বল। ছায়াপথের কেন্দ্রে অবস্থিত যে কৃষ্ণগহ্বর বা ব্ল্যাকহোল তার ভর তিনমিলিয়ন সূর্যের সমান হয়ে থাকে। আপনি যদি প্রতি সেকেন্ডে একটি করে তারকা গণনাকরেন, সে ক্ষেত্রে এই হারে সব তারকা গুনতে পাঁচ হাজার বছর লাগবে। ছায়াপথগুলোমহাকাশে এলোমেলোভাবে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে না থেকে সঙ্ঘবদ্ধভাবে একে অপর থেকে বহুদূরত্ব বজায় রেখে অবস্থান করে। সব ছায়াপথ এক করলে তারা মহাশূন্যের এক মিলিয়নভাগের এক ভাগ স্থান দখল করবে, যার অর্থ দাঁড়ায় বাস্তবে মহাশূন্য এত বিশাল যে,বিজ্ঞানের সুপার কল্পকাহিনী পর্যন্ত এর কাছে হার মানবে।
ছায়াপথ কত বড়?
এত বড় যে, বড় ধরনের ছায়াপথের আড়াআড়ি দূরত্ব এক মিলিয়ন আলোকবর্ষেরও বেশিহবে [এক বছরে প্রতি সেকেন্ডে এক লাখ ৮৬ হাজার মাইল বেগে যে দূরত্ব অতিক্রম করাযায়, সেটি হলো- এক আলোকবর্ষ (৯ দশমিক ৪ ট্রিলিয়ন কিলোমিটার।)]আমরা এমন একটি ছায়াপথে থাকি, যেটা আড়াআড়ি মাপে প্রায় এক লাখ আলোকবর্ষ।আমাদের ছায়াপথটি ধীর গতিতে ঘূর্ণায়মান। এর সর্পিল বাহুগুলোতে অবস্থিত তারকাগুলোপ্রায় কয়েক শ’ মিলিয়ন বছরে একবার করে কেন্দ্রকে প্রদক্ষিণ করে।
সবচেয়ে ছোট ছায়াপথের নাম ডর্ফ, যার প্রশস্ত কয়েক হাজার আলোকবর্ষের দূরত্বের।অ্যান্ড্রোমেডার ছায়াপথটির এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তের দূরত্ব হবে দুই লাখ ৫০ হাজারআলোকবর্ষ। মজার বিষয় হচ্ছে, এই মুহূর্তে মহাবিশ্বের দিকে তাকালে দূর অতীতেরমহাবিশ্বকে আমরা আসলে কিন্তু দেখতে পাবো, কেননা এই সময়ে দূর তারকা ছায়াপথথেকে আলো এসে কেবল আমাদের কাছে পৌঁছেছে। যে কোয়সারগুলো এখন আমরা দেখছি,সেই আলো আমাদের কাছে পৌঁছতে শত শত কোটি বছর লেগে গেছে। আমাদের নিকটতমতারকা Proxima Centauri থেকে আলো আসতে লাগবে ৪ দশমিক ৩ বর্ষ। যুক্তরাষ্ট্রের একটি সর্বাধিক বিক্রীত ক্যারেন আর্মস্ট্রংয়ের বই ‘অ্যা হিস্ট্রি অব গড’ পুস্তকেবর্ণিত হয়েছে, ‘কুরআন পাকে সব সময়ই বিশেষভাবে গুরুত্বারোপ করা হয়েছে আল্লাহপাকের নিদর্শন বা বাণীর (আয়াত) রহস্য উদঘাটনের জন্য। আর এ কারণে ইসলামেরঅনুসারীরা যুক্তি ও কারণকে এড়িয়ে না গিয়ে গভীর মনোযোগ এবং বিশেষ কৌতূহলেরসাথে পৃথিবীর সব কিছুকে পর্যবেক্ষন করছে। এই মনোভাব ও দৃষ্টিভঙ্গির ফলে পরে দেখা যায়প্রাকৃতিক বিজ্ঞানে (ন্যাচারাল সায়েন্স) মুসলমানদের এক উৎকৃষ্ট ঐতিহ্য গড়ে তোলার, যাকখনো বিজ্ঞানের সাথে ধর্মের বিরোধ বা সংঘর্ষ ঘটায়নি, খ্রিষ্টান ধর্মের ক্ষেত্রে যেটা দেখাগেছে। কাজেই মহাবিশ্বের সব কিছুকে পর্যবেণ ও রহস্য উদঘাটনের মাধ্যমেই কেবলআল্লাহকে খুঁজে পাওয়া ও তার নৈকট্য লাভ করা যেতে পারে। ঈমান বাড়ানোর পথ বা উপায়হলো সৃষ্টি রহস্য নিয়ে গভীরভাবে চিন্তাভাবনা করা। হাদিস শরিফে আছে- সৃষ্টিরহস্য নিয়েকিছু সময় চিন্তাভাবনা করা, সারা রাত নফল এবাদত থেকেও উত্তম।
মহাবিজ্ঞানী আইনস্টাইনের ভাষায়, ‘নিশ্চয়ই এর পেছনে রয়েছে এক অকল্পনীয় মহাজ্ঞানীসত্তার এক রহস্যময় অভিপ্রেত। বিজ্ঞানীর দুরভিসারি জিজ্ঞাসা সেখানে বিমূঢ় হয়ে যায়-বিজ্ঞানের সমাগত চূড়ান্ত অগ্রগতিও সেখান থেকে স্তব্ধ হয়ে ফিরে আসবে; কিন্তু সেই অনন্ত মহাজাগতিক রহস্যের প্রতিভাস বিজ্ঞানীর মনকে এই নিশ্চিত প্রত্যয়ে উদ্বেল করে তোলে,এই মহাবিশ্বের একজন নিয়ন্ত্রা রয়েছেন। তিনি অলৌকিক জ্ঞানময়, তাঁর সৃষ্টিকে অনুভবকরা যায় কিন্তু তাকে কল্পনা করা যায় না।’
প্রতিনিয়ত মহাবিশ্ব কত বিস্তৃতি লাভ করছে! আবার যেহেতু সব ছায়াপথ মহাকাশের দশ লাখ ভাগের মাত্র এক ভাগ জায়গা দখল করে আছে,সে ক্ষেত্রে১০পৃথিবীর সমান নিম্নস্তরের জান্নাত হওয়াটা একেবারে সাধারণ ঘটনা। ‘নিশ্চয়ই এর পেছনে রয়েছে একঅকল্পনীয় মহাজ্ঞানী সত্তার এক রহস্যময় অভিপ্রেত।’
আবু হোরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত রাসুলুল্লাহ (দঃ) বলেছেন, "আল্লাহ্ পাক বলেন - জান্নাতেএমন নেয়ামত তৈরী করে রেখেছি যা কোন চোখ দেখেনি, কোন কান যার কথা শোনেনি,এবং কোন মানুষের কল্পনায়েও যা আসেনি।" জান্নাতে অসুস্থ্যতা ও বার্ধক্যতা নেই, চিরযৌবন লাভ করবে জান্নাতবাসীরা। রাসুলুল্লাহ (দঃ) একদিন বলেন, "বৃদ্ধদের জান্নাতে যায়গাহবে না।" নিকটে অবস্থানরত এক বৃদ্ধা এ কথা শুনে কেঁদে ফেলেন। যখন তাঁকে কান্নার কারণ জিজ্ঞাসা করা হলো, তিনি বললেন, "আমি বৃদ্ধা হয়ে গেছি। আগে যদি মারা যেতাম,জান্নাত লাভের সৌভাগ্য হত।" তাঁকে আশ্বস্ত করে রাসুল (সাঃ) বললেন, "জান্নাতবাসীসকলেই চির যৌবন লাভ করবে, সুতরাং ভয়ের কিছু নেই।"
লেখক : সাবেক শিক্ষক, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
No comments:
Post a Comment