মসজিদে
জামাতে নারী ও আগামী গ্রজন্ম
★★★নামাজ পড়ার সময় যদি পেছনের সারি থেকে বাচ্চাদের হাসির আওয়াজ না আসে তাহলে পরবর্তী প্রজন্মের ব্যাপারে ভয় করুন।এই কোটেশন তুর্কীর মসজিদে দেয়ালে লেখা থাকে।★★★
মায়ের কোলে একটা জাতি গড়ে ওঠে।-হযরত আলী(রা:)
রাসুলুল্লাহ (সঃ) ও প্রথম খলিফার সময়ে মহিলারা ঈদ,জুমাহ সহ মসজিদে জামাতে অংশ নিতেন। এমনকি মাসিক(পিরিয়ড)চলাকালীন সময়েও মহিলাদের ঈদগাহ সমাবেশে যোগদানের জন্য রাসুলুল্লাহ(দঃ) উৎসাহিত করেছেন।‘আমাদের সকলের হিজাব/জেলবাব নেই’সে কথা জানানো হলে রাসুলুল্লাহ্র(দঃ) পরামর্শ ছিল, যাদের একাধিক বা বেশি আছে তাদের থেকে নিয়ে হলেও সকলে ঈদগাহে যাবে।
রাসুলুল্লাহ (সঃ) ও প্রথম খলিফার সময়ে মহিলারা ঈদ,জুমাহ সহ মসজিদে জামাতে অংশ নিতেন। এমনকি মাসিক(পিরিয়ড)চলাকালীন সময়েও মহিলাদের ঈদগাহ সমাবেশে যোগদানের জন্য রাসুলুল্লাহ(দঃ) উৎসাহিত করেছেন।‘আমাদের সকলের হিজাব/জেলবাব নেই’সে কথা জানানো হলে রাসুলুল্লাহ্র(দঃ) পরামর্শ ছিল, যাদের একাধিক বা বেশি আছে তাদের থেকে নিয়ে হলেও সকলে ঈদগাহে যাবে।
নারীরা মসজিদে নামাজ পড়াটা রাসূলের যুগে কতটা স্বাভাবিক ঘটনা ছিলো, তা এ হাদীস থেকে বুঝা যায়।
https://www.youtube.com/watch?v=JvG85KOWEY0&feature=youtu.be&fbclid=IwAR1ml_Y3OSuYt4OdMONl1i4-GwoTl2623fcCxIApX_qSezHVWpuKJlwQWwYনারীরা ঈদের মাঠে উপস্থিত হওয়া সম্পর্কে বুখারী ও মুসলিম গ্রন্থে কমপক্ষে ২০টি সহীহ হাদিস রয়েছে। অথচ, এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ সহীহ সুন্নাহকে অনেক মুসলিম অবহেলা করেন। এ সুন্নাহ নিয়ে আমাদের আলেমদের ও তেমন কোনো ভুমিকা নেই।
রাসূল (স)-এর সবচেয়ে প্রিয় কাজ ছিলো নামাজ। কিন্তু নামাজ পড়ার সময়ে যখন বাচ্চারা কান্না শুরু করতো, তখন বাচ্চাদের মায়ের কথা চিন্তা করে রাসূল (স) তাঁর প্রিয় কাজটি সংক্ষিপ্ত করে ফেলতেন। [সূত্র - বুখারী, ১/১৪৩]তার অর্থ দাড়ায় মহিলারা জামাতে শরীক হতেন।
নারীদেরকে ঈদগাহে নিয়ে যাবার জন্যে রাসূল (সঃ) নির্দেশ দিয়েছেন। যদি কোনো নারী অসুস্থ হয়, তবুও তাঁকে ঈদগাহে যেতে বলা হয়েছে। যদি কোনো নারীর পরার মতো ওড়না বা জামা না থাকে, তাহলে অন্য বান্ধবী থেকে একটা ওড়না নিয়ে হলেও ঈদের মাঠে নারীদেরকে উপস্থিত থাকার জন্যে রাসূল (স) আদেশ করেছেন।
রাসূল (স) বলেন -উম্মু ‘আতিয়্যাহ (রা:) থেকে বর্ণিত,
"ঈদের দিন আমাদের বের হবার আদেশ দেয়া হত। এমন কি আমরা কুমারী মেয়েদেরকেও অন্দর মহল হতে বের করতাম এবং ঋতুবতী মেয়েদেরকেও। তারা পুরুষদের পিছনে থাকতো এবং তাদের তাকবীরের সাথে তাকবীর বলতো এবং তাদের দু’আর সাথে দু’আ করত- সে দিনের বরকত এবং পবিত্রতা তারা আশা করত।"
সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৯৭১
হাফসা বিন্ত সীরীন (রহঃ) থেকে বর্ণিত,
তিনি বলেন, আমরা ‘ঈদের দিন আমাদের যুবতীদের বের হতে নিষেধ করতাম। একদা জনৈকা মহিলা এলেন এবং বনু খালাফের প্রাসাদে অবস্থান করলেন। আমি তাঁর নিকট গেলে তিনি বললেন, তাঁর ভগ্নীপতি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)- এর সাথে বারটি যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছেন, এর মধ্যে ছয়টি যুদ্ধে স্বয়ং তাঁর বোনও স্বামীর সাথে অংশগ্রহণ করেছেন, (মহিলা বলেন) আমার বোন বলেছেন, আমরা রুগ্নদের সেবা করতাম, আহতদের শুশ্রূষা করতাম। একবার তিনি প্রশ্ন করেছিলেন, হে আল্লাহর রসূল ! যদি আমাদের কারো ওড়না না থাকে, তখন কি সে বের হবে না? নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন: এ অবস্থায় তার বান্ধবী যেন তাকে নিজ ওড়না পরিধান করতে দেয় এবং এভাবে মহিলাগণ যেন কল্যাণকর কাজে ও মু‘মিনদের দু’আয় অংশগ্রহণ করেন। হাফসা (রহঃ) বলেন, যখন উম্মু আতিয়্যাহ (রা:) এলেন, তখন আমি তাঁকে জিজ্ঞেস করলাম যে, আপনি কি এসব ব্যাপারে কিছু শুনেছেন? তিনি বললেন, হাঁ, হাফসা (রহঃ) বলেন, আমরা পিতা আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)- এর জন্য উৎসর্গিত হোক এবং তিনি যখনই আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)- এর নাম উল্লেখ করতেন, তখনই একথা বলতেন। তাঁবুতে অবস্থানকারিণী যুবতীরা এবং ঋতুবতী নারীরা যেন বের হন। তবে ঋতুবতী নারীরা যেন সালাতের স্থান হতে সরে থাকেন। তারা সকলেই যেন কল্যাণকর কাজে ও মু’মিনদের দু’আয় অংশগ্রহণ করেন। হাফসা (রহঃ) বলেন, আমি তাকে বললাম, ঋতুবতী নারীরাও? তিনি বললেন, হাঁ, ঋতুবতী নারী কি আরাফাত এবং অন্যান্য স্থানে উপস্থিত হয় না?
সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৯৮০
উপরোক্ত হাদিস দুটি ইমাম বুখারী "ঈদ" অধ্যায়ে উল্লেখ করেছেন। এ ছাড়াও বুখারী শরীফে আরো অন্তত ১০টি হাদিস রয়েছে, যা দ্বারা প্রমাণিত হয়, রাসূল নারীদেরকে ঈদের মাঠে উপস্থিত হতে নির্দেশ দিয়েছেন। এমনকি পরার মতো কোনো কাপড় না থাকলেও, অন্যের থেকে ধার নিয়ে ঈদের মাঠে উপস্থিত হতে বলেছেন।
আসুন, নারীদেরকে ঈদের মাঠে নিয়ে যাবার ব্যবস্থা করে একটি হারানো সুন্নাতকে পুনর্জীবিত করুন।
সম্প্রতি [১৫জুন,২০১৮]ফেসবুক এক ভাইয়ের অভিজ্ঞতাঃ রাত ৩:০০ টায় মসজিদুল হারামে পৌঁছে গেলাম। ইতেকাফে যেখানে অবস্থান করেছি ১০টি দিন তার পাশেই অবস্থানের সুযোগ হলো। ভোর ৪:১০ এ আজান এবং ৪:২০ এ ফজরের জামা'ত অনুষ্ঠিত হলো। এর পরপরই অনন্য অভিজ্ঞতার পালা। বড়'রা চা, কফি (গাওয়া), খেজুর আর বাচ্চারা চকলেট, ক্যান্ডি ইত্যাদির ঝুড়ি নিয়ে কাতারে ঢুঁকে সবার সামনে ধরতে লাগলো। সমগ্র বিশ্বের নানা বর্ণের, বয়স ও ভাষারঅভিন্ন বিশ্বাসের মানুষগুলো (নারী পুরুষ) কী পরম মমতা আর হৃদ্যতায় পাশাপাশি অবস্থান করছে! সূর্যোদয় ৫:৪৮ মিনিট। জামাত এশরাক সময়ে ইন শা আল্লাহ।
এবার ক্বা'বা শরিফে মহিলাদের জামাতের জন্য পর্যাপ্ত পৃথক স্থানের স্থায়ী ব্যবস্থা লক্ষ করলাম।
কোন পাল্লাটা ভারী?
* আল্লাহ ও আল্লাহর রাসুলের না খলিফার!
* আল্লাহ ও আল্লাহর রাসুলের সমর্থন থাকলে তার সাথে বিরোধিতা/বিপরীত অবস্থান প্রশ্নবোধক নয় কি?
খলিফা খুতবায় মহিলাদের জামাতে না আসতে বলেন।
তার স্ত্রী প্রতিবাদ করেন -আল্লাহ আর তার রাসুল (দঃ)আমাদের মসজিদে জামাতে নামাজ আদায়ের সুজোগ দিয়েছেন। এটা মহিলাদের অধিকার। আমি জামাতে অংশ নিব। খলিফা হেরে গেলেন কোরআন-হাদিসের
দলিল ও যুক্তি্র কাছে। তার স্ত্রী মসজিদে জামাতে ঠিকই আসলেন। (উল্লেখ্যঃ দ্বিতীয় খলীফার মেয়ে উম্মুল
মুমিনিন ছিলেন)। খলিফা এশার নামাজের আঁধার সময়টা বেছে নিলেন। সে রাতে তিনি তাড়া তাড়ি
নামাজ শেষ করে গৃহে যাবার পথে, এক স্থানে নিজকে এমনভাবে লুকিয়ে রাখলেন যে স্ত্রী সে
পথ দিয়ে যাবার সময় যেন কোনো ভাবেই বুঝতে না
পারেন সেখনে তিনি গোপনে অপেক্ষায় আছেন। যে মুহূর্তে স্ত্রী তাকে অতিক্রম করে
যাচ্ছিলেন, খলিফা লুকিয়ে তার চাদরের নিচের অংশ
হাত দিয়ে ধরে ফেলেন। স্ত্রী স্পষ্ট বুঝলেনঃ তিনি কোনো বেগানা পুরুষ দ্বারা আক্রান্ত হয়েছেন। আত্ম রক্ষার্থে সব শক্তি দিয়ে চাদর ছাড়িয়ে নিয়ে দিক বিদিক জ্ঞানশূন্য হয়ে গৃহের পানে ছোটা শুরু
করলেন।দ্বিতীয় খলিফা ধীরে সুস্থে গৃহে আসলে স্ত্রী বলেন, “মানুষ এখন আর আগের মত নেই।
মহিলাদের জামাতে যাবার সামাজিক পরিবেশ বিলকুল নষ্ট হয়ে গেছে।’- এই ঘটনাটা দ্বিতীয় খলিফা
নিজ থেকে ফাঁস করে দিয়েছিলেন- কি ভাবে স্ত্রীকে জামাতে যাওয়া থেকে বিরত রাখেন।
জনৈক ফেসবুক বন্ধু লিখেছেনঃ
জনৈক ফেসবুক বন্ধু লিখেছেনঃ
'নামাজ পড়ার সময় যদি পেছনের সারি থেকে বাচ্চাদের হাসির আওয়াজ না আসে তাহলে পরবর্তী প্রজন্মের ব্যাপারে ভয় করুন।' এই কোটেশন তুর্কীর মসজিদে দেয়ালে লেখা থাকে।
ওমানের মসজিদে নামাজে দেখা যায় প্রায় সবখানে বাচ্চারা মসজিদে মোটামোটি উপস্থিত
থাকে।তারা
যেখানে ইচ্ছা খেয়াল খুশী মতো কাতারে দাড়ায়।বড় রা কিছু বলেনা,এমনকি অনেক সময় দেখলাম নামাজের সময় বাচ্চারা পেছনে বা সামনে কোন কাতারে হইহুল্লোড় করছে,নামাজ শেষে ইমাম,মুসল্লি কেউ কিছু বলেনা।আমি একদিন একজন কে জিজ্ঞেস করলাম এর কারন কি? তিনি বললেন -বাচ্চারা হলো ফেরেস্তার মতো ,এরা এখানে আসবে একটু দুষ্টামি করবে কিন্তু দেখতে দেখতে এটাতে অভ্যস্ত হয়ে পড়বে।দুষ্টামির ব্যপারটা বয়স বাড়ার সাথে সাথে ঠিক হয়ে যাবে সেটা কোন ব্যাপার না।
কিন্তু এখন যদি ওরে মসজিদে হুমকি দামকি দেওয়া হয়,মারা হয় তাহলে সে তো আর এইখানে আসতেই চাইবেনা,একটা ভয় নিয়ে বেড়ে উঠবে এটা তো ঠিক না।রাসুল (সঃ) এর সালাত আদায়কালে যখন সিজদায় যেতেন তখন তার দুই নাতি ইমাম হাসান এবং হোসাইন তার দুই কাধে উঠতেন। রাসুল (সঃ) এতে মোটেই বিরক্ত হতেন না বরং যতক্ষন তারা পিঠ থেকে না নামতেন ততক্ষন তিনি সিজদায় থাকতেন।
কি সুন্দর অনুকরনীয় উদাহরন। আর ঠিক উল্টো চিত্র আমাদের বাংলাদেশে। এমনও দেখেছি নাতী কে মসজিদে নিয়ে আসার কারনে নানার সাথে আরেকজনের মারামারি লেগে গেছে।আর এলাকার সিজনাল মুরব্বিরা তো মসজিদে বড় বড় মোল্লা হয়ে যায়, সামনের কাতারে ছোটদের দাড়াতে দেই না,বাচ্চারা আওয়াজ করলে চড় থাপ্পর এসব তো আছেই। হুজুরেরাও এটাকে এড়িয়ে যায় বা বাচ্চাদের মসজিদে আনতে না বলে। এই ব্যাপারে তরুনদের সতর্ক হওয়া দরকার।মুরব্বিদের কে তাদের এইসব বুঝানো দরকার।আমাদের ইমামদের বয়ানে এইসব স্পষ্ট করা দরকার।তাহলে বাচচারা মসজিদ মুখি হতে আগ্রহী হবে।
আর যারা চান না যে, আগামী গ্রজন্ম মসজিদে যাক তারাই এর বিরোধীতা করেই যাবে।
****************************************
তুরস্কের প্রতিটি মসজিদেই নারীদের নামাজ পড়ার জায়গা রয়েছে এবং বড় মসজিদগুলোতে নারী ও পুরুষ উভয়ে একই দরজা দিয়ে প্রবেশ করে। পশ্চিমা বিশ্বের অধিকাংশ মসজিদে নারীদের জন্যে স্থান রয়েছে, যদিও তা তুরস্কের মতো এতো সচরাচর নয়। আরব দেশগুলোতে নারীরা মসজিদে নামাজ পড়তে পারে, যদিও পুরুষ ও নারীদের স্থান ভিন্ন ভিন্ন। চীনে অনেক নারী মসজিদ রয়েছে, এবং সেসব মসজিদের ইমাম নারী। মালয়েশিয়ার নারীরা মসজিদে এসে নামাজ পড়ে। আফ্রিকার কিছু মসজিদে নারীদের জন্যে স্থান রয়েছে, আবার কিছু মসজিদে নেই।
কিন্তু, বিশ্বের সবচেয়ে বেশি বঞ্চিত হলো উপমহাদেশ অর্থাৎ ভারত, পাকিস্তান ও বাংলাদেশের নারীরা। কারণ, এসব দেশে হাতেগোনা দু'একটি মসজিদ ব্যতীত অন্য মসজিদগুলোতে নারীদের জন্যে কোনো স্থান নেই,।
কারন হয়তো, পরবর্তী প্রজন্মের ব্যাপারে এই উপমহাদেশের
লোকদের সম্ভবত বিন্দুমাত্র ভয়ডরও নেই। সচেতন মুসলিম হতে হলে পরবর্তী প্রজন্মের ব্যাপারে সঠিক সিদ্ধান্ত ও পদক্ষেপ কি সময়ের দাবি
নয়-এখনই কি নিতে হবে না? আর যারা মনের অজান্তে পরোক্ষভাবে হলেও চান না যে, আগামী গ্রজন্ম মসজিদে আসুক তারা আমৃত্যু এর বিরোধীতা করেই যাবেন। আর কতদিন তাদের পদাঙ্ক সমাজে যারা সচেতন তারাও অনুসরণ করবে?
"রিক্লেইমিং দ্যা মস্ক" বইয়ের অনুবাদ পাওয়া যাবে এই লিংকে: https://cscsbd.com/series/reclaiming-the-mosque
'"Unfortunately, as in Christianity, the
religion was later hijacked by the men, who interpreted texts in a way
that was negative for Muslim women.
Muhammad
encouraged women to play an active role in the affairs of the ummah,
and they expressed their views forthrightly, confident that they would
be heard. On one occasion, for example, the women of Medina had
complained to the Prophet that the men were outstripping them in the
study of the Quran and asked him to help them catch up. This He did.
One of their most important questions was why the Quran addressed men
only when women had also made their surrender to God. The result was a
revelation that addressed women as well as men and emphasized the
absolute moral and spiritual equality of the sexes. Thereafter the Quran
quite frequently addressed women explicitly, something that rarely
happens in either the Jewish or Christian scriptures.
The
Quran does not prescribe the veil (Niqab) for all women but only for
Muhammad's wives, as a mark of their status. Once Islam had taken
its place in the civilized world, however,Muslim adopted those customs
of the Oikumene which relegated women to second-class status. They
adopted the customs of veiling women and secluding them in harems from
Persia and Christian Byzantium, where women had long been marginalized
in this way. By the time of the Abbasid caliphate (750-1258), the
position of Muslim women was as bad as that of their sisters in Jewish
and Christian society. Today Muslim feminists urge their menfolk to
return to the original spirit of the Quran.
This
reminds us that, like any other faith, Islam could be interpreted in a
number of different ways; consequently it evolved its own sects and
divisions:...
...During
Muhammad's lifetime,this had included the equality of the sexes.
Today it is common in the west to depict Islam as an inherently
misogynistic religion, but, like Christianity, the religion of Allah was
originally positive for women.Women had been among Muhammad's earliest converts, and their emancipation was a project that was dear to
his heart.The Quran strictly forbade the killing of female children and
rebuked the Arabs for their dismay when a girl was born. It also gave
women legal rights of inheritance and divorce: most Western women had
nothing comparable until the nineteenth century. "
Excerpt from
The New York Times Bestseller
A HISTORY OF GOD
by Karen Armstrong
________________________________________________ ]
{Excerpt from ,Islamic Thoughts ,Author Shamsul Alam
Islamic Foundation Bangladesh,Published 1986
Page
316: " .....Many of us who are unknowingly fanatic about a particular
form and style of Parda do forget that the word Parda is not Quranic in
origin. Al Quran mentions of Al Hijab i.e. household privacy and
decorum, Jilbab i.e. outer garments. Al Hijab and Jilbab are not
identical with Parda system. It existed among the Persian for centuries
before the advent of our Prophet.
During the time of our Prophet(s) the present form of
Burqa did not exist. ... The covering of the face was uncommon.
The Persians had the custom of veiling head, face and the body of the women. .......
When the Muslims came to Persia, they could not ignore the long-standing customs of the Persians.............."
Muhammad
encouraged women to play an active role in the affairs of the ummah,
and they expressed their views forthrightly, confident that they would
be heard. On one occasion, for example, the women of Medina had
complained to the Prophet that the men were outstripping them in the
study of the Quran and asked him to help them catch up. This He did.
One of their most important questions was why the Quran addressed men
only when women had also made their surrender to God. The result was a
revelation that addressed women as well as men and emphasized the
absolute moral and spiritual equality of the sexes. Thereafter the Quran
quite frequently addressed women explicitly, something that rarely
happens in either the Jewish or Christian scriptures.
The Quran does not prescribe the veil (Niqab) for all women but only for Muhammad's wives, as a mark of their status. Once Islam had taken its place in the civilized world, however,Muslim adopted those customs of the Oikumene which relegated women to second-class status. They adopted the customs of veiling women and secluding them in harems from Persia and Christian Byzantium, where women had long been marginalized in this way. By the time of the Abbasid caliphate (750-1258), the position of Muslim women was as bad as that of their sisters in Jewish and Christian society. Today Muslim feminists urge their menfolk to return to the original spirit of the Quran.
This reminds us that, like any other faith, Islam could be interpreted in a number of different ways; consequently it evolved its own sects and divisions:...
...During Muhammad's lifetime,this had included the equality of the sexes. Today it is common in the west to depict Islam as an inherently misogynistic religion, but, like Christianity, the religion of Allah was originally positive for women.Women had been among Muhammad's earliest converts, and their emancipation was a project that was dear to his heart.The Quran strictly forbade the killing of female children and rebuked the Arabs for their dismay when a girl was born. It also gave women legal rights of inheritance and divorce: most Western women had nothing comparable until the nineteenth century. "
Excerpt from
The New York Times Bestseller
A HISTORY OF GOD
by Karen Armstrong
________________________________________________ ]
The Quran does not prescribe the veil (Niqab) for all women but only for Muhammad's wives, as a mark of their status. Once Islam had taken its place in the civilized world, however,Muslim adopted those customs of the Oikumene which relegated women to second-class status. They adopted the customs of veiling women and secluding them in harems from Persia and Christian Byzantium, where women had long been marginalized in this way. By the time of the Abbasid caliphate (750-1258), the position of Muslim women was as bad as that of their sisters in Jewish and Christian society. Today Muslim feminists urge their menfolk to return to the original spirit of the Quran.
This reminds us that, like any other faith, Islam could be interpreted in a number of different ways; consequently it evolved its own sects and divisions:...
...During Muhammad's lifetime,this had included the equality of the sexes. Today it is common in the west to depict Islam as an inherently misogynistic religion, but, like Christianity, the religion of Allah was originally positive for women.Women had been among Muhammad's earliest converts, and their emancipation was a project that was dear to his heart.The Quran strictly forbade the killing of female children and rebuked the Arabs for their dismay when a girl was born. It also gave women legal rights of inheritance and divorce: most Western women had nothing comparable until the nineteenth century. "
Excerpt from
The New York Times Bestseller
A HISTORY OF GOD
by Karen Armstrong
________________________________________________ ]
{Excerpt from ,Islamic Thoughts ,Author Shamsul Alam
Islamic Foundation Bangladesh,Published 1986
Page 316: " .....Many of us who are unknowingly fanatic about a particular form and style of Parda do forget that the word Parda is not Quranic in origin. Al Quran mentions of Al Hijab i.e. household privacy and decorum, Jilbab i.e. outer garments. Al Hijab and Jilbab are not identical with Parda system. It existed among the Persian for centuries before the advent of our Prophet.
During the time of our Prophet(s) the present form of
Burqa did not exist. ... The covering of the face was uncommon.
The Persians had the custom of veiling head, face and the body of the women. .......
When the Muslims came to Persia, they could not ignore the long-standing customs of the Persians.............."
Islamic Foundation Bangladesh,Published 1986
Page 316: " .....Many of us who are unknowingly fanatic about a particular form and style of Parda do forget that the word Parda is not Quranic in origin. Al Quran mentions of Al Hijab i.e. household privacy and decorum, Jilbab i.e. outer garments. Al Hijab and Jilbab are not identical with Parda system. It existed among the Persian for centuries before the advent of our Prophet.
During the time of our Prophet(s) the present form of
Burqa did not exist. ... The covering of the face was uncommon.
The Persians had the custom of veiling head, face and the body of the women. .......
When the Muslims came to Persia, they could not ignore the long-standing customs of the Persians.............."
No comments:
Post a Comment