অবিশ্বাস্য হলেওঃকদর রাতে বাইডেনের বাংলাদেশ আগমন- অতপ র~~
বাইডেন বাংলাদেশে আসলেন আলট্রা সুপার ডিজিটাল মিরাকল বিমানে। এদেশের সতের কোটি মানুষ সবাই এক সাথে মেতে উঠল তাঁর বাহন সেই আলট্রা সুপার মিরাকল বিমান নিয়ে -সবাই যেন একেবারে হিতাহিত ঞ্জান হারিয়ে হৈ হুল্লা করে প্রতিযোগিতা শুরু করে দিয়েছে সেই অলৌকিক আলট্রা সুপার বিমান নিয়ে। আর অন্যদিকে কি আজব ঘটনা ঘটছে - বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর সুপার ব্যক্তি সেই বাইডেন বেচারার কোনো খোজ কেউ নেবার সময় একদমই যেন পাচ্ছে না, কারও মধ্যেই রাখার কোন প্রয়োজন/ উদ্যোগ পরি লক্ষিত যেন হচ্ছে না, এমনকি তাকে নিয়ে কারও মাথা ব্যাথা একেবারেই যেন একটুও নেই! --- তেমনি ভাবে যে কারনে রাতটি হাজার মাস থেকেও এত গুরুত্ব পেল সবার ভেবে দেখা দরকার কি ছিল,না আসলে গুরুত্বটা রাতের প্রাপ্য না কোরআন করিমের?
যার নাযিলের জন্যই রাত এত সুপার গুরুত্বপেল , প্রকৃত গুরুত্ব আসলে কিন্ত অবশ্যই প্রাপ্য কোরআনের ! আলট্রা সুপার রাতের আরোধোনার চেয়ে কোরআনে র প্রতি বিশেষ গুরুত্ব/ অনুপ্রেরনা সৃষ্টি করার জন্যই এই উপমা দেওয়া হয়েছে;
{ যার নাযিল হবার সময়টা যদি সীমাহীন সম্মান, অপরিসীম মূল্য / গুরুত্ব পায়, সেক্ষেত্রে সামগ্রিক জীবনে তার ( কোরানের ) অনুশীলনের মুল্য/দাম/ গুরুত্ব কত বেশি হবে কেউ একটিবারও কল্পনা করেছে কি! নিযুত কোটি কোটি গুনের ও অনেক অনেক বেশি হবার কথা নয় কি?}
কোরআনের বিধান মেনে জীবন গঠন করাকে লোভনীয় / গুরুত্বপূর্ণ করার জন্য এর নাযিলের সময়টাকে এত গুরুত্ব দিয়ে চিত্রিত করা হয়েছে।
ওদিকে কার্যত সেই কোরআনকে একেবারে পাশ কাটিয়ে মুসলিম বিশ্ব যেন বাইডেন নয় তার বিমান নিয়ে সব বাজীমাত শুরু কর দিয়েছে! কেউ ভাবছে কি- এক রাতে ৮৩ বছরের সওয়াবে আসলে লাভ কি যদি না দোজোগই ঠিকানা হয় ?আসমান উচু পরিমাণ নেকী অর্জন করেও প্রকৃত সঠিক কথা হচ্ছে, সারা জীবন যাদের হক নষ্ট করা হয়েছে নিজের উপার্জিত মূলধনের সব নেকী দিয়ে তাদের সাথে বিনিময় করতে হবে। আর এভাবে পরিশোধ করতে করতে আগেই যদি নেকী সব শেষ হয়ে যায় সেক্ষত্রে প্রাপকের গুনাহ নিজের কাঁধে নিয়ে জাহান্নামের ভয়াবহ আগুনে জ্বলতে হবে।হাদিসে এসেছেঃবিড়ালের সাথে সঠিক আচরণ না করার জন্য জনৈক দ্বীনদার মহিলাকে পর্যন্ত জাহান্নামে যেতে হয়।আর সৃষ্টির সেরা যে কোন বনি আদমের সাথে দুর্নীতির ঘোমটার আড়ালে অযাচিত ব্যাবহার বা আচরণ করা হলে তার পরিণাম কি হতে পারে সহজে অনুমেয়, সে বিষয়টি দুনিয়ার মুসলিমগন সবিশেষ গুরুত্ব সহকারে কখন ও একটিবারও ভেবে দেখেছে/ প্রচার করেছে কি? তাহলে কি আজকে সারা দুনিয়ায় দুর্নীতিপরায়ণ দেশ/ জাতির তকমা পেত?রাসুলুল্লাহ(দঃ)কে তার সাহাবিরা জিজ্ঞেস করেছিলেন, হে আল্লাহর রাসুল- গীবত কি জিনার চেয়েও মারাত্মক? জবাবে তিনি বললেন, হ্যাঁ, কারণ কোনো ব্যক্তি জিনার পর (বিশুদ্ধ) তওবা করলে আল্লাহ ক্ষমা করেন। কিন্তু গীবতকারীকে যার গীবত করা হয়েছে, তিনি মাফ না করলে আল্লাহ মাফ করবেন না। (মুসলিম)আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত , হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, তোমরা কি জান গীবত কাকে বলে? সাহাবিরা বললেন, আল্লাহ ও তার রাসুল (সঃ) ভালো জানেন।তিনি বলেন, তোমার কোনো ভাই সম্পর্কে এমন কথা বলা, যা সে অপছন্দ করে, তাই গীবত। সাহাবায়ে কেরাম জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহর রাসুল, আমি যে দোষের কথা বলি সেটা যদি আমার ভাইয়ের মধ্যে থাকে তাহলেও কি গীবত হবে? উত্তরে রাসুল সাল্লাল্লাহ (সঃ) বলেন, তুমি যে দোষের কথা বল, তা যদি তোমার ভাইয়ের মধ্যে থাকে তবে তুমি অবশ্যই গীবত করলে আর তুমি যা বলছো তা যদি তার মধ্যে না থাকে তবে তুমি তার ওপর মিথ্যা অপবাদ দিয়েছো।(মুসলিম) ইসলামে অপবাদ কারীর শাস্তি কিন্ত অত্যন্ত ভয়াবহ কঠোর। আবার সার্বিকভাবে দেখলে কিন্ত গীবতকে বলা যায় অনেক অসীম দুরথেকে পরোক্ষ ভাবে গুনাহ করা। আর তার থেকেই যদি কোন পরিত্রাণ না থাকে / একেবারে (সরাসরি) না জোটে তবে ভেবে দেখা জরুরী, মানুষের সাথে প্রত্যক্ষভাবে ঘটে যাওয়া দুর্নীতির সাজা কত কঠিন/ ভয়াবহ হবে?
''সেই সত্তার শপথ, যাঁর হাতে আমার প্রাণ! যদি কোনো ব্যক্তি আল্লাহর পথে শহীদ হয়, তারপর পুনর্জীবিত হয়ে আবার আল্লাহর রাস্তায় শহীদ হয়, তারপর পুনর্জীবিত হয়ে আবার আল্লাহর রাস্তায় শহীদ হয় তথা তিনবার শাহাদাতের মর্যাদা লাভ করে, আর তার অনাদায়ী ঋণ থেকে যায়, তাহলে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে না, যতক্ষণ তার ঋণ পরিশোধ না করা হয়।" (আবু দাউদ, মিশকাত পৃষ্ঠা. ১৬৩)আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃরসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, তোমরা কি বলতে পার অভাবী লোক কে? তাঁরা বললেন, আমাদের মাঝে যার দিরহাম (টাকা কড়ি) ও ধন-সম্পদ নেই সে তো অভাবী লোক। তখন তিনি বললেন, আমার উম্মতের মধ্যে সে প্রকৃত অভাবী লোক, যে ব্যক্তি কিয়ামতের দিন সলাত, সাওম ও যাকাত নিয়ে আসবে; অথচ সে এ অবস্থায় আসবে যে, সে কাউকে গালি দিয়েছে, কাউকে অপবাদ দিয়েছে, অমুকের সম্পদ ভোগ করেছে, অমুককে হত্যা করেছে ও আরেকজনকে প্রহার করেছে। এরপর সে ব্যক্তিকে তার নেক ‘আমাল থেকে দেয়া হবে, অমুককে নেক ‘আমাল থেকে দেয়া হবে। এরপর যদি পাওনাদারের হাক্ব তার নেক ‘আমাল থেকে পূরণ করা না যায় সে ঋণের পরিবর্তে তাদের পাপের একাংশ তার প্রতি নিক্ষেপ করা হবে। এরপর তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে। (সহিহ মুসলিম, হাদিস নং ৬৪৭৩)
আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘রমজান মাস! যে মাসে কোরআন নাজিল হয়েছে মানবের দিশারি রূপে ও হিদায়াতের সুস্পষ্ট নিদর্শন হিসেবে।’ (সুরা-২ বাকারা, আয়াত: ১৮৫)।
No comments:
Post a Comment