পবিত্র ধর্মগ্রন্থে মহান স্রষ্টা বারংবার বলেছেন.."নিশ্চয়ই চিন্তাশীলদের জন্য অনেক নিদর্শন (আয়াত) রয়েছে"
ক'জন অবহিত প্রকৃতিতে আল্লাহর এই আয়াত (নিদর্শন) তালাশ করতে যেয়ে প্রচলিত বিজ্ঞানের উদ্ভাবন করেছে মুসলিম জাতি যে রেকর্ড রয়েছে ওয়াশিংটনের লাইব্রেরী অব কংগ্রেস লাইব্রেরীতে। ঘুরে দেখার সুযোগ হয়েছে আমার। পরিশেষে ভ্রমণ বর্ণনা সংযোজিত হয়েছে।
খুব সহজ কিন্ত সবচেয়ে কার্যকর একটি ইবাদত যা একেবারে অতি সহজে অনায়াসেই করা সম্ভব হলেও সঠিকভাবে না জানার কারনে প্রায় সবাই সাধারণত উপেক্ষা করে থাকে আর যার গুরুত্ব সম্পর্কে আমরা বেশীরভাগই বিশেষভাবে অসচেতন।
@# এই অতি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদতটি জিকরুল্লাহ (আল্লাহকে স্মরণ)।সবচেয়ে সুবিধাজনক/সহজ ইবাদত হচ্ছে এটি, কারন এ জন্য অজু, গোসল বা পবিত্রতার জন্য নেই কোনো বাধ্যবাধকতা। বসে, দাড়িয়ে, শুয়ে, ভ্রমণে যে কোনো পরিস্থিতিতে, সময়ে বা যে কোনো যায়গায় অনায়াসে এই জিকরুল্লাহ পালন অতি সহজেই সম্ভব কার্যত প্রকৃতিতে আল্লাহ পাকের অগণিত সৃষ্টি রহস্য দেখে। কেবল শর্ত একটিঃ সকল পরিস্থিতিতে প্রকৃতির সবকিছুতে সৃষ্টিকর্তার আয়াত (নিদর্শন) খুজতে গভীর মনোযোগ সহকারে জ্ঞান ও চিন্তা শক্তিকে কাজে লাগাতে হবে।
'যারা দাড়িয়ে, বসে ও শায়িত অবস্থায় আল্লাহর জিকির করে এবং চিন্তা -গবেষণা করে আসমান ও জমিন সৃষ্টির বিষয়ে; তারা বলে হে আমাদের প্রতিপালক! এসব তুমি অনর্থক সৃষ্টি করনি। সব পবিত্রতা তোমারই, আমাদিগকে তুমি আগুনের শাস্তি থেকে বাচাও' [ইমরান ঃ ৩~১৯১]
এখানে আল্লাহ তায়ালার জিকির করার অর্থ হলো পৃথিবী ও পৃথিবীর বাইরের জগত সম্পর্কে চিন্তাভাবনা ও গবেষণা করা।
@# টেলিস্কোপের মাধ্যমে মহাকাশের সব চিত্র আমরা দেখছি তেমনি সিসিটিভিতে দুনিয়ার বিভিন্নস্থানে আমরা সব মানুষের কাজকর্ম খবরাখবর অতি সহজেই পর্যবেক্ষণ করছি, তাহলে কি অবশ্যই কোন মহাশক্তিধর সিসিটিভি/দুরবিন আছে, যা সমগ্র বিশ্ব-ব্রহ্মান্ড পর্যবেক্ষণ করছে?
"নিশ্চয়ই তিনি(আল্লাহ) সব দেখেন"
@# কারও মনের চিন্তা, গোপন পরিকল্পনা, ভাবনা অন্য কারোরই জানার সুযোগ একেবারেই নেই একমাত্র স্রষ্টা ছাড়া্ - বিঞান এখানে সম্পূর্ণ কিন্ত অসহায়। "সেদিন সবকিছু প্রকাশ হয়ে পড়বে
তোমার পালনকর্তার আদেশ অনুযায়ী "
@# মা যখন বাচ্চা প্রসব করে, তখন সেই বাচ্চার দেহের পুষ্টিগুণের চাহিদা অনুযায়ী মায়ের বুকে দুধ কিভাবে কার পরিকল্পনায় আসে?
"মানুষ সৃষ্টিগতভাবেই দুর্বল"
@# পৃথিবীতে মহাকালের একটি সময়ে কেন আমাকেপাঠানো হলো? আবার বিদায়ও নিতে হবে আমার ইচ্ছা ছাড়াই। কেন? কার ইচ্ছামত পৃথিবীতে আসলাম, বসবাস করলাম আবার এখান থেকে বিদায় নিতেই হবে। মরণকে ঠেকানোর কোনো উপায় নাই কেন?
"বলুন,আমি আশ্রয় নিচ্ছি মানুষের পালনকর্তার কাছে, মানুষের অধিপতির কাছে, মানুষের প্রকৃত মাবুদের কাছে"
@# আকাশ থেকে বৃষ্টির পানি মানুষের টাক মাথায় পড়লে কক্ষনও কি চুল গজায়? কিন্তু মৃত জমিতে পড়লে ঠিকই নানা প্রকার গাছ ও হরেক রকম ফসল জন্মে। কি কি জিনিষ আছে এতে আর কার নির্দেশে এমটি হয়?
"আর যিনি আসমান থেকে পরিমিতভাবে পানি বর্ষণ করেন। অতঃপর তা দ্বারা আমি মৃত জনপদকে সঞ্জীবিত করি। এভাবেই তোমাদেরকে বের করা হবে"
@# উট তার উদরে পানি ধরে রাখতে পারে, যা মরুভূমিতে প্রয়োজনমতো কাজে লাগায়। মানুষ কেন পারেনা? উটকে এমনভাবে প্রোগ্রাম করলো কে?
"তারা উটের দিকে কি তাকিয়ে দেখেনা,
যে কিভাবে তাকে সৃষ্টি করা হয়েছে"
@# সুপার কম্পিউটারের বাস্তবে পরিচিতিও কিন্ত মাত্র একটিইঃ 'সুপার ইডিয়ট '। কারন তাকে যা যা যেভাবেই করতে বলা হয় বা প্রগ্রাম দেওয়া হয় সে ইডিয়টের মত ঠিক তাই করে, এক চুল ও এদিক ওদিক করেনা বা করতে পারেনা। কম্পিউটারকে প্রগ্রাম দেয় মানুষ। তাকে কে এই জ্ঞান দান করেছেন কে-অবশ্যই আল্লাহ।
@# সমুদ্রের অনেক গভীরে যেখানে সূর্যালোক প্রবেশ করতে পারেনা, সেখানে কিছু মাছ আছে যাদের শরীরে বিদ্যুৎ তথা আলো তৈরী হয়। এত গভীরে পানির চাপেও তারা মারা যায়না, অথচ এই চাপে লোহাও বেকে যায়। কে এদের এভাবে সৃষ্টি করলো?
"তিনি যা ইচ্ছা তাই সৃষ্টি করেন"
#*# আল্লাহ তায়ালা এরশাদ করেন; 'মানুষের সৃষ্টি অপেক্ষা নভোমন্ডল ও ভূ-মন্ডলের সৃষ্টি কঠিনতর। কিন্তু অধিকাংশ মানুষ বোঝেনা।'[সুরামু’মিন৪০:৫৭] ঈমানকে সুদৃঢ়, মজবুত ও পাকাপোক্ত করতে দরকার আল্লাহর অসীম শক্তি, ক্ষমতা সম্পর্কে মোটামুটি একটা স্পষ্ট ধারনা থাকা/ তার অসীম সৃষ্টি রহস্য সম্পর্কে কমপক্ষে কিছ্টা হলেও উপলব্ধি অর্জন। আল্লাহ পাকের সৃষ্ট দৃশ্যমান প্রকৃতি তথা মহাকাশ/ নভোমণ্ডলের দিকে দৃষ্টিপাত করলে এটা সহজেই অনুধাবন কিন্ত সম্ভব।
মহাকাশ ও মহাবিশ্ব সম্পর্কে বিজ্ঞানের সর্বশেষ চিত্রঃ
[ক] সমুদ্র তীরের বালুকণার চেয়ে তারা বেশি।
প্রথমে দেখা যেতে পারে- সব সমুদ্র তীরের বালুকনার সংখ্যা কত?
শুরুতেই ধরে নিতে হবে,বিশ্বের স ব সাগরের তীরে ঠিক কি পরিমাণ বালু থাকে।এজন্য সমু দ্র পৃষ্ঠের দৈর্ঘ্য, প্রস্থ এবং গভীরতা পরিমাপ করতে হবে।
সেজন্য সাগরের তীরের হিসাব করলে হবে না, হিসাব করতে হবে উপকূলীয় এলাকার পরিমাপের।
এ নিয়ে অবশ্য বিশেষজ্ঞরা একমত হতে পারেন না তেমন, কারণ উপকূলীয় এলাকার মাপ বাড়ে কমে, স্থির থাকে না।
তারপরেও বিবিসি একজনের সঙ্গে কথা বলেছে যিনি একটি সংখ্যা জানিয়ে ছেন। উপকূল নিয়ে গবেষণা করে এম ন প্রতিষ্ঠান ডেল্টারসের গবেষক জেনা ডিডনসিটস বলছেন, পুরো পৃথিবীর উপকূলের পরিমাপ করা বিশাল দুঃসাধ্য এক কা জ। ওপেন স্ট্রীটম্যাপের মতো ফ্রিম্যাপ ব্যবহার করে কম্পিউটার ডাটার মাধ্যমে দেখা যাচ্ছে বরফাচ্ছন্ন এলাকা সহ উপকূলীয় এলাকার দৈর্ঘ্য ১১ লাখ কিলোমিটারের মতো।
যার মধ্যে তিন লাখ কিলোমিটার এলা কা বালুময় সৈকত।এখন যদি তারার সংখ্যার সঙ্গে তু লনা করতে হয়, তাহলে দেখা যাবে, মহাবিশ্বে তা রার সংখ্যা১০ সেক্সটিলিয়ন,যেখানে বালুকণার সংখ্যা হবে চার সেক্ সটি লিয়ন ।
তাহলে এটি ঠিকই যে মহাবিশ্বে বালু কণার চেয়ে তারার সংখ্যা বেশি। সূত্র : বিবিসি
[খ] আমাদের সূর্য একটি অতি সাধারণ তারকা। এর আকার তারকাগুলোর গড় আকারের মতোই।আমাদের বাসভূমির তারকা সূর্যের ব্যাস ১৪ লাখ কিলোমিটার। এর অর্থ হলো ১০৯টি পৃথিবী সূর্যের পৃষ্ঠে সাজিয়ে রাখা যায়। এটি এত বড় যে, ১৩ লাখ পৃথিবী এর মধ্যে ভরে রাখা যায়। একটি তারকার বর্ণনা যদি এমন হয়, সেক্ষেত্রে মহাবিশ্বে তারকার সংখ্যা কত? বাস্তবে বিশাল সংখ্যার তারকা নিয়ে একটি ছায়াপথ। তাহলে মহাবিশ্বে তারকা ও ছায়াপথ আসলে কয়টি? Kornreich মহাবিশ্বে ১০ ট্রিলিয়ন ছায়াপথ ধরে একটি মোটামুটি হিসাব বের করেছেন ছায়াপথের ১০ হাজার কোটি তারকার সাথে এই সংখ্যা গুণ করলে হয় ১০০অকটিলিয়ন (octillion) তারকা। তার মানে দাঁড়ায়, ১- এরসাথে ২৯টি শূন্য। Kornreich জোর দিয়ে বলেন, এটা সাধারণ হিসাব, তবে গভীর পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, মহাবিশ্বে ছায়াপথের সংখ্যা আরো বেশি। ১৩ অক্টোবর ২০১৬, নাসা থেকে পাওয়া তথ্য হচ্ছে, দুই ট্রিলিয়ন ছায়াপথই আছে মাত্র ১০ শতাংশ মহাবিশ্বের মধ্যে; কিন্তু ছায়াপথগুলোর ৯০ শতাংশের খোঁজ এখনো বাকি। আবার দেখা যায়, সবচেয়ে বড় তারকাগুলো সূর্যের চেয়ে ৫০০ গুণ শুধু বড় নয়, সেই সাথে একলাখ গুণ বেশি উজ্জ্বল। ছায়াপথের কেন্দ্রে অবস্থিত যে কৃষ্ণগহ্বর বা ব্ল্যাকহোল, তার ভর ৩০ লাখ সূর্যের সমান হয়ে থাকে। যদি প্রতি সেকেন্ডে একটি করে তারকা গণনা করা হয়, সেক্ষেত্রে এই হারে সব তারকা গুনতে পাঁচ হাজার বছর লাগবে। সব ছায়াপথ এক করলে সে সব মহাশূন্যের ১০ লাখ ভাগের এক ভাগ স্থান দখল করবে, যার অর্থ দাঁড়ায় বাস্তবে মহাশূন্য এত বিশাল যে, বিজ্ঞানের সুপার কল্পকাহিনী পর্যন্ত এর আওতার অনেক বাইরে।
@# মানুষের এক জিহবা এতো স্বাদ কিভাবে বুঝে? কে প্রোগ্রাম করলো? কিভাবে সম্ভব?
৯. খাদ্যহজম প্রক্রিয়া এতো নিখুঁত কিভাবে? যেমন, শর্করা হয় মুখবিবরে, এর জন্য আলাদা এনজাইম, আবার আমিষ হয় পাকস্থলীতে, তার জন্য আলাদা এনজাইম? আবার ফিল্টার হিসেবে কিডনি, অপাচ্য নির্গমনের পথ.. কে সেই মহা বিজ্ঞানময় সত্ত্বা!! ইশারা কি বুঝেন??
১০. মানুষের শ্রবণ ও দর্শন মেকানিজম যে কি জটিল তা ভাবা যায়না। কে এতো নিখুঁতভাবে ডিজাইন করলো?
মানুষের একটি চোখ ৭০০ টি সুপার ডিজিটাল ক্যামেরার সমান।
"চোখের পানি ".... কোনো সাধারন পানি নয়!!
চোখের পানি নিয়ে উইলিয়াম ফ্রে নামে একজন বিজ্ঞানী প্রায় ১৫ বছর গবেষণা করেছেন। গবেষণা শেষে তিনি বলেছেনঃ "চোখের পানি কোনো সাধারণ কিছু নয়। এটি পানি, শ্লেষ্মা, তেল, ইলেক্ট্রোলাইট-এর এক জটিল মিশ্রণ। . এটি ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধী, যা চোখকে ইনফেকশন থেকে রক্ষা করে। এটি কর্নিয়াকে মসৃণ করে, যা পরিষ্কার দৃষ্টির জন্য অত্যাবশ্যকীয়। . এটি কর্নিয়াকে যথেষ্ট আর্দ্র রাখে এবং অক্সিজেন সরবরাহ দেয়। . এটি চোখের জন্য ওয়াইপার হিসেবে কাজ করে, যা চোখকে ধুয়ে ধুলোবালি থেকে পরিষ্কার করে।" . চোখের পানি যদি শুধুই পানি হতো, তাহলে তা ঘর্ষণের কারণে চোখ শুকিয়ে জ্বালা পোড়া করত। শীতকালে তাপমাত্রা শূন্য ডিগ্রি হলে পানি শুকিয়ে জমে বরফ হয়ে যেত! . আবার চোখের পানি যদি শুধুই এক ধরনের তেল হতো, তাহলে তা চোখের ধুলাবালি পরিষ্কার না করে উলটো আরও ঘোলা করে দিত। . চোখের পানির মধ্যে প্রকৃতির লক্ষ উপাদান থেকে এমন বিশেষ কিছু উপাদান ব্যবহার করা হয়েছে, যার এক বিশেষ মিশ্রণ একই সাথে পরিষ্কার, মসৃণ এবং জীবাণু মুক্ত করতে পারে এবং অক্সিজেন সরবরাহ করতে পারে। . চোখের পানির এই ব্যাপারটা চিন্তা করলেই আল্লাহ্'র প্রতি কৃতজ্ঞতায় মস্তক অবনত হয়ে যায়। . সুবহান'আল্লাহ্! এক চোখের পানিতেই আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তা'আলা কত-শত অনুগ্রহ দেখিয়েছেন, কত সুক্ষ্ম, কত পরিকল্পনা করে সৃষ্টি করেছেন! একটু উনিশ থেকে বিশ হলেই ঘ্যাচাং! ভাবনার মোড়কে আটকানো অসম্ভব!
"চোখের পানি ".... কোনো সাধারন পানি নয়!!
চোখের পানি নিয়ে উইলিয়াম ফ্রে নামে একজন বিজ্ঞানী প্রায় ১৫ বছর গবেষণা করেছেন। গবেষণা শেষে তিনি বলেছেনঃ "চোখের পানি কোনো সাধারণ কিছু নয়। এটি পানি, শ্লেষ্মা, তেল, ইলেক্ট্রোলাইট-এর এক জটিল মিশ্রণ। . এটি ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধী, যা চোখকে ইনফেকশন থেকে রক্ষা করে। এটি কর্নিয়াকে মসৃণ করে, যা পরিষ্কার দৃষ্টির জন্য অত্যাবশ্যকীয়। . এটি কর্নিয়াকে যথেষ্ট আর্দ্র রাখে এবং অক্সিজেন সরবরাহ দেয়। . এটি চোখের জন্য ওয়াইপার হিসেবে কাজ করে, যা চোখকে ধুয়ে ধুলোবালি থেকে পরিষ্কার করে।" . চোখের পানি যদি শুধুই পানি হতো, তাহলে তা ঘর্ষণের কারণে চোখ শুকিয়ে জ্বালা পোড়া করত। শীতকালে তাপমাত্রা শূন্য ডিগ্রি হলে পানি শুকিয়ে জমে বরফ হয়ে যেত! . আবার চোখের পানি যদি শুধুই এক ধরনের তেল হতো, তাহলে তা চোখের ধুলাবালি পরিষ্কার না করে উলটো আরও ঘোলা করে দিত। . চোখের পানির মধ্যে প্রকৃতির লক্ষ উপাদান থেকে এমন বিশেষ কিছু উপাদান ব্যবহার করা হয়েছে, যার এক বিশেষ মিশ্রণ একই সাথে পরিষ্কার, মসৃণ এবং জীবাণু মুক্ত করতে পারে এবং অক্সিজেন সরবরাহ করতে পারে। . চোখের পানির এই ব্যাপারটা চিন্তা করলেই আল্লাহ্'র প্রতি কৃতজ্ঞতায় মস্তক অবনত হয়ে যায়। . সুবহান'আল্লাহ্! এক চোখের পানিতেই আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তা'আলা কত-শত অনুগ্রহ দেখিয়েছেন, কত সুক্ষ্ম, কত পরিকল্পনা করে সৃষ্টি করেছেন! একটু উনিশ থেকে বিশ হলেই ঘ্যাচাং! ভাবনার মোড়কে আটকানো অসম্ভব!
. . فَبِأَىِّ ءَالَآءِ رَبِّكُمَا تُكَذِّبَانِ "অতএব, তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন অনুগ্রহকে অস্বীকার করবে?" |সূরাহ আর-রহমান,আয়াত-
১১. বিজ্ঞান শুধু দুটো প্রশ্ন নিয়ে কাজ করে। কি এবং কিভাবে? কেন'র কোন উত্তর বিজ্ঞানের কাছে একবারেই কিন্ত অনুপস্থিত।
মহাশূন্যের কিভাবে সৃষ্টি, মৌলিক কনিকা যার থেকে অণু, প্রমানু,মহা বিশ্বের সব পদার্থের জন্ম কোথায় ছিল আর কে সব কিছুর নিয়ম বাতলিয়ে দিয়ে সু পরিকল্পিতভাবে মহাবিশ্ব সৃষ্টি ও নিয়ন্ত্রণ করছেন?
@# আজকের বিজ্ঞানের উদ্ভাবক একটি ধর্ম, এই ঐতিহাসিক রেকর্ডটি সংরক্ষিত রয়েছে ওয়াশিংটন ডিসিতে অবস্থিত বিশ্বের সবচেয়ে বড় পাঠাগার ‘লাইব্রেরি অব কংগ্রেস’-এ।আসলে ঐতিহাসিকভাবে আদিতে বিজ্ঞান বলতে শুধু পদার্থবিজ্ঞানকে বোঝানো হতো।
বর্তমানেও পদার্থবিজ্ঞানের সূত্র, তত্ত্ব এবং আবিষ্কৃত কলকব্জা ও যন্ত্রপাতি ব্যতিরেকে বিজ্ঞানের অপরাপর শাখাগুলো হয় ‘ভোঁতা’, না হয় নিষ্প্রাণ হয়ে পড়বে। বিদ্যুৎ, বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি, কম্পিউটার, রোবট, ইন্টারনেট অর্থাৎ দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহৃত সব কিছু প্রত্যক্ষ অথবা পরোক্ষভাবে পদার্থবিজ্ঞানেরই ফসল বা অবদান।
প্রাণ পদার্থবিজ্ঞান, ভূপদার্থবিজ্ঞান, মহাকাশ পদার্থবিজ্ঞান ইত্যাদি হরেকরকম নামকরণ থেকে সহজেই ধারণা করা যায়, মূল বিজ্ঞান পরিবারে পদার্থবিজ্ঞানের অবস্থানতারকেন্দ্রবিন্দুতে। চট্টগ্রাম ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্থবিজ্ঞান বিভাগে শিক্ষকতা করেছি, যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষস্থানীয় মেডিক্যাল রিসার্চ বিশ্ববিদ্যালয় জন্স হপকিন্সে প্রাণ পদার্থবিজ্ঞানে গবেষণা করেছি কিন্তু কোথাও শুনিনি, দেখিনি, পাইনি পদার্থবিজ্ঞানের উদ্ভাবক একটি ধর্ম! বিশ্বের সচেতন এবং অভিজ্ঞ মহল অবগত যে, রসায়ন, গণিত এবং জ্যোতিষশাস্ত্রে ইসলামের অনুসারীরা অভূতপূর্ব যুগান্তকারী অবদান রেখেছেন, কিন্তু একই সাথে পদার্থবিজ্ঞানের ও উদ্ভাবক ইসলাম ধর্ম এ রেকর্ডটি কোথায় লিপিবদ্ধ রয়েছে তা দেখার জন্য লাইব্রেরি অব কংগ্রেসে ঘুরে আসা যেতে পারে।
২০০ বছরেরও বেশি পুরনো বিশ্বের সবচেয়ে সমৃদ্ধ এই পাঠাগারের সব বই ওয়াশিংটন ডিসির তিনটি ভবনে সংরক্ষিত। ১৮৯৭ সালের জেফারসন ম্যাগনিফিসেন্ট ভবনটি শুধু দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত রাখা হয়েছে।
লাইব্রেরি অব কংগ্রেসের বিশাল সংগ্রহশালার মধ্য থেকে ২০০টি ঐতিহাসিক পুস্তক ভবনটির দ্বিতীয় তলার ট্রেজারি গ্যালারিতে সংরক্ষিত রয়েছে।এই তলার মাঝখানে একটি বড় গম্বুজ।
গম্বুজের মধ্যে একেকটি চিত্রের নিচে একেকটি দেশের নাম।
ব্যতিক্রম চোখে পড়ল, এত দেশের মধ্যে এক স্থানে শুধু একটি ধর্মের নাম। কোন দেশ কী উদ্ভাবন করেছে, সেটি গাইড আমাদের বুঝিয়ে দিলেন। দেশের নামের বদলে যে চিত্রের নিচে ‘ইসলাম’ লেখা ছিল, সেটি দেখিয়ে গাইড আমাদের বললেন, এটার মাধ্যমে বোঝানো হয়েছে যে, পদার্থবিজ্ঞানের উদ্ভাবন করেছে ইসলাম ধর্ম।ওই সময়ে বাল্টিমোরে ইসলামিক সার্কেল অব নর্থ আমেরিকার বার্ষিক সম্মেলন চলছিল।প্রফেসর রাওয়ের লেখা ‘মুহাম্মাদ দ্য প্রফেট অব ইসলাম’ বইটি হাতে পাই।লেখকের বর্ণনা মতে, রবার্ট ব্রিফল্ট তার বিখ্যাত গ্রন্থ দ্য মেকিং অব হিউম্যানিটিতে অনেক উদাহরণ পরিবেশন করে সমাপ্তি টেনেছেনএভাবে-‘আমাদের বিজ্ঞান আরব মুসলমানদের কাছেঋণী শুধু এটুকুর জন্য নয় যে,বিজ্ঞানকে তারা কেবল চমকপ্রদ আবিষ্কার অথবা বৈপ্লবিকবৈজ্ঞানিক তত্ত্ব উপহার দিয়েছে বিজ্ঞান আরবীয় সংস্কৃতির কাছে আরো অনেক বেশি ঋণী বিজ্ঞান তার নিজের অস্তিত্বের জন্য ঋণী।’ একই লেখক কথাটির ব্যাখ্যায় বলেছেন, গ্রিকরা নিয়মাবদ্ধ ও সর্বজনীন করা এবং তত্ত্ব সম্বন্ধে সিদ্ধান্ত নেয়ার পথ বাতলে দিয়েছিল,কিন্ত ধৈর্য ধরে গবেষণার পদ্ধতি, সন্দেহাতীত জ্ঞানকে পুঞ্জীভূতকরণ, বিজ্ঞানের প্রতিটি ক্ষুদ্রব্যাপারেও বিশদ পরীক্ষণ পদ্ধতি, বিস্তারিত ও দীর্ঘ প্রসারিত নিয়মিত পর্যবেক্ষণ, পরীক্ষামূলক অনুসন্ধানএসবই গ্রিক মানসিক ধাত বা মেজাজে ছিল বহিরাগত। আমরা যেটাকে আজ বিজ্ঞান বলি, তার উত্থান ইউরোপে হয়েছিল নতুন পদ্ধতি গবেষণার ফলে এবং পরীক্ষা, পর্যবেক্ষণ, পরিমাপন ও গণিতশাস্ত্রের উন্নয়ন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে যে পদ্ধতিগুলো গ্রিকদের কাছে অজানা ছিল... ইউরোপকে আরবীয় মুসলমানেরা এসব মূলনীতি ও পদ্ধতিগুলো পরিচয় করিয়ে দেয়।
রবার্ট ব্রিফল্ট যেসব উদাহরণ থেকে এই মন্তব্যে পৌঁছেছেন সেসবের মধ্যে রয়েছে : মুসলিম উদ্ভিদবিজ্ঞানী ইবনে বতুতা বিশ্বের সব অঞ্চল থেকে উদ্ভিদ সংগ্রহ করে যে গ্রন্থ লিখেছেন সেটিকে World famous : The Giant Bible & The Giant Bible of Maing-তে অধ্যবসায়ের এক উল্লেখযোগ্য উদাহরণ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।অপর দিকে আল বিরুনি ৪০ বছর ভ্রমণ করেছিলেন মানিকবিদ্যা সম্পর্কিত (মিনারোলজি) নমুনা সংগ্রহের জন্য এবং মুসলিম জ্যোতির্বেত্তারা এমন সব পর্যবেক্ষণ পর্যন্ত চালিয়েছেন, যেসব পর্যবেক্ষণ ১২ বছর দীর্ঘায়িত হয়েছিল।
পক্ষান্তরে অ্যারিস্টটল পদার্থবিজ্ঞানের ওপর একটি বই লিখেছেন, এমনকি কোনো পরীক্ষা না চালিয়েই এবং প্রকৃতির ইতিহাসের ওপর গ্রন্থ রচনা করেছেন একেবারেই নিশ্চিত না হয়ে, অসতর্কতার সাথে বলেছেন প্রাণীদের চেয়ে মানুষের অর্ধেক দাঁত রয়েছে এ তথ্য অতি সহজেই অনুসন্ধান করা যেত।
গ্যালেন, যিনি ক্লাসিক্যাল অ্যানাটমির নির্ভরযোগ্য বিশেষজ্ঞ, জানিয়েছিলেন যে নিচের চোয়াল দু’টি হাড় দিয়ে গঠিত।
এ প্রতিবেদনটি শতাব্দী ধরে গ্রহণ করে নেয়া হয়েছিল একেবারে কোনো আপত্তি ছাড়াই, যখন পর্যন্ত না আবদুল লতিফ কষ্ট স্বীকার করে মানুষের কঙ্কাল পরীক্ষা করে এর সত্যমিথ্যা যাচাই করলেন।
নিচের তালিকা বলে দিচ্ছে বিজ্ঞান জগতে মুসলিম বিজ্ঞানীদের অবদানঃ
* রসায়নের জনক— জাবির ইবনে হাইয়ান
* বিশ্বের সেরা ভূগোলবিদ— আল-বিরুনি
* আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের জনক— ইবনে সিনা
* হৃদযন্ত্রে রক্ত চলাচল আবিষ্কারক—ইবনুল নাফিস
* বীজগণিতের জনক— আল-খাওয়ারিজমি
* পদার্থ বিজ্ঞানে শূন্যের অবস্থান নির্ণয়কারী— আল-ফারাবি
* আলোক বিজ্ঞানের জনক— ইবনে আল-হাইসাম
* এনালিটিক্যাল জ্যামিতির জনক— ওমর খৈয়াম
* সাংকেতিক বার্তার পাঠোদ্ধারকারী— আল-কিন্দি
* গুটিবসন্ত আবিষ্কারক— আল-রাযী
* টলেমির মতবাদ ভ্রান্ত প্রমাণকারী —আল-বাত্তানি
* ত্রিকোণমিতির জনক — আবুল ওয়াফা
* স্টাটিক্সের প্রতিষ্ঠাতা — ছাবেত ইবনে কোরা
* পৃথিবীর আকার ও আয়তন নির্ধারণকারী—বানু মুসা
* মিল্কিওয়ের গঠন শনাক্তকারী — নাসিরুদ্দিন তুসি
* এলজাব্রায় প্রথম উচ্চতর পাওয়ার ব্যবহারকারী — আবু কামিল
* ল’ অব মোশনের পথ প্রদর্শক— ইবনে বাজ্জাহ
* ঘড়ির পেন্ডুলাম আবিষ্কারক — ইবনে ইউনূস
* পৃথিবীর ব্যাস নির্ণয়কারী— আল-ফরগানি
* পৃথিবীর প্রথম নির্ভুল মানচিত্র অঙ্কনকারী— আল-ইদ্রিসী
* বিশ্বের প্রথম স্বয়ংক্রিয় যন্ত্রের আবিষ্কারক —আল-জাজারি
* সূর্যের সর্বোচ্চ উচ্চতার গতি প্রমাণকারী—আল-জারকালি
* বীজগণিতের প্রতীক উদ্ভাবক — আল-কালাসাদি
স্পষ্টত ঐতিহাসিক বাস্তবতা বলছে, ধর্ম বিজ্ঞানবিরোধী এবং এ দুয়ে সহাবস্থান সাংঘর্ষিক, অন্যান্য ধর্মের সাথে এ ধরনের বক্তব্যের মিল খুঁজে পাওয়া সম্ভব হলেও ইসলামের ব্যাপারে এটা ঐতিহাসিকভাবে প্রমাণিত যে, সত্যিকার বিজ্ঞান বলতে আজ আমরা যেটাকে বলে থাকি এবং বুঝে থাকি, ঐতিহাসিক রেকর্ড প্রমান করছে, প্রকৃতপক্ষে ইসলামের অনুসারীরাই সেই আদি বিজ্ঞানের উদ্ভাবক। আবার ইতিহাস বলছে, বিশ্বের প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ৮৫৯সালে একটি মসজিদের অংশ হিসেবে।মরক্কোর এই কারওয়াইন বিশ্ববিদ্যালয়টি হচ্ছে ইউনেস্কো স্বীকৃত বিশ্বেরপ্রথমবিশ্ববিদ্যলয়। গিনেস বুকের রেকর্ড অনুসারেও মরক্কোর ফেজ নগরীর কারওয়াইন বিশ্ববিদ্যালয় পৃথিবীর সর্বপ্রথম বিশ্ববিদ্যালয়।ফাতেমা নামে এক মহীয়সী নারী পৈতৃক সূত্রে প্রাপ্ত সব অর্থ ব্যয় করেছিলেন তার সমাজের লেখকদের জন্য একটি মসজিদ তৈরির পেছনে এই মসজিদ হয়ে ওঠে ধর্মীয় নির্দেশনা এবং জ্ঞানবিজ্ঞানের আলোচনার স্থান।মসজিদটি পুরোপুরি নির্মাণে লেগে যায় ২৭৮ বছর। পৃথিবীর সর্বপ্রথম কারওয়াইন বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠারও দুইশত বছরের অনেক পরে ইতালির বোনায় ১০৮৮ সালে প্রথম ইউরোপীয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়।তারও আগে কারওয়াইন হয়ে ওঠে এক বিশ্ববিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয়।
ফেজকে তখন বলা হতো ‘বাগদাদ অব দ্য ওয়েস্ট’। ইন্টারনেটের বক্তব্যঃ The oldest existing, and continually operating educational institution in the world is the University of Karueein, founded in 859 AD in Fez, Morocco. The University of Bologna, Italy, was founded in 1088 and is the oldest one in Europe.
বৃটিশ গোয়েন্দা ও লেখক উইলিয়াম হান্টার তার দি ইন্ডিয়ান মুসলমান্স বইতে লিখেছেন, মুর্শিদাবাদের মতো এমন সুন্দর নগরী সেকালে ইউরোপে ছিল না। তিনি আরো লিখেছেন, দিল্লীর এক মাদ্রাসা শিক্ষকের সাথে আলাপ হলো। অত্যন্ত বিচক্ষণ ব্যক্তি তিনি। বিজ্ঞান, দর্শনসহ সব বিষয়ে এমন পন্ডিত ব্যক্তি আমি খুব কম দেখতে পেয়েছি।
বর্তমানে মুসলিম বিশ্বে স্বনামধন্য আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয় মূলত আদিতে ছিল একটি মসজিদ। একটি মসজিদ হিসেবে এটির ভিত্তি প্রতিষ্ঠিত হয়। যেহেতু মসজিদ জ্ঞানচর্চার মূলকেন্দ্র হিসেবে বিবেচিত হতো এটি ধীরে ধীরে সম্প্রসারিত হয়ে শেষে একটি বিরাট বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপ নেয়।‘ইসলামের এক গৌরবময় কীর্তি হচ্ছে কুরআন, হাদিস ও মুসলিম বিধানশাস্ত্র ফিকাহর অধ্যয়ন অনুশীলনের অনুরূপ অন্যসব জ্ঞান-বিজ্ঞানের সাধনাকেও সমান আসন ও মর্যাদা দিয়েছে এবং মসজিদের মধ্যেই তাকে প্রতিষ্ঠিত করেছে।’ পাশ্চাত্য চিন্তাবিদের এই মন্তব্য থেকে স্পষ্টত উপলব্ধি করা যায় দুনিয়ার সুখ, কল্যাণেরজন্য মুসলমানেরা কাজ করছে আর তার বিনিময়ে আখেরাতের কল্যাণ লাভে তারা সফল হবে। ‘তোমরা স্ত্রীদের সাথে মেকিং লাভের জন্য পুরস্কৃত হবে’ রাসূলুুল্লাহ সা:-এর কাছ থেকে এ কথা শোনার পর সাহাবিরা জানতে চাইলেন, ‘যে কাজে আমরা সবচেয়ে বেশি তৃপ্তি এবং মজা পাই তাতেও আমরা প্রতিদান পাবো?’ উত্তরে রাসূলুল্লাহ সা: বললেন, ‘তোমরা যদি এটা অনির্ধারিত পন্থায় নিতে তাহলে কি সে জন্য শাস্তি পেতে না?’ জবাবে উপস্থিত সাহাবিরা যখন বললেন ‘অবশ্যই পেতাম’, শুনে রাসূলুল্লাহ সা: বললেন, ‘তোমরা যে নির্ধারিত পন্থায়
এভাবে আরো অনেক অনেক বিষয় আছে গভীরভাবে চিন্তা করার, যা আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়-
ALLAH is the only explanation of all physical phenomena in this universe..
"আমিই তোমাদের সৃষ্টি করেছি.
তারপরও তোমরা কেন বিশ্বাস করছ না? "
হে মানুষ! কিসে তোমাকে তোমার মহামহিম প্রতিপালক সম্পর্কে ধোঁকায় ফেলে দিয়েছে?(কোরআন ৮২ঃ৬
No comments:
Post a Comment