এই একটি মাত্র উদাহরণ ঈমানকে লক্ষ- কোটি গুন বাড়াতে পারে কি?
M Ali Reza <mareza333@gmail.com> |
| Apr 11, 2022, 5:33 PM (17 hours ago)
| | |
|
এই একটি মাত্র উদাহরণ ঈমানকে লক্ষ- কোটি গুন বাড়াতে পারে কি?
২০০০ বছর আগেই গোটা বিশ্বে ত্রা'সের সৃষ্টি করা করোনাভাইরাসের কথা বলে গিয়েছিলেন তুর্কি জ্যোতি'ষবিদরা। ২০২০ সালে গোটা পৃথিবী যে ম'হামা'রীর ক'বলে পড়বে, সেই পূ'র্বাভা'স দেওয়া হয়েছে প্রাচীন তুর্কি ক্যালেন্ডারে। করোনা ছাড়াও আরও কয়েকটি বি'প'র্যয়ের কথা উল্লেখ রয়েছে এখানে।
যিশু খ্রিস্টের জন্মের ২০৯ বছর আগে তৈরি এই ক্যালেন্ডারে এমন এক ভাইরাসের কথা বলা হয়, যাকে স'র্দি-কা'শি-জ্ব'র ও শ্বা'সক'ষ্ট প্রধান উপস'র্গ। করোনাভাইরাসের ক্ষেত্রেও যে একই উপস'র্গ তা আমরা সবাই জানি।
করোনাভাইরাস ছাড়াও ২০২০ সালে ভ'য়াব'হ আগুন ও ভূমিক'ম্প হতে পারে বলেও জানিয়েছে প্রাচীন তুর্কি ক্যালেন্ডার। ভ'য়াব'হ আগুন বলতে বিশ্বব্যাপী ভয়া বহ দাবানলের কথা এখানে বলা হয়েছে বলে অনেকেই মনে করছেন।সূত্র: এই সময়। কাকতলিয় ভাবো এটি মিলে গেছে দাবি করা হলে তার সমর্থনে কোন ধরনের গ্রহনযোগ্য দর্শন/ যুক্তি দার করানোর উপায় নাই। কেন?
বাস্তব দুনিয়ায় আমরা তখনই কোনো নির্দিষ্ট ঘটনা, বিষয় বা ব্যাপারে ভবিষ্যদ্বাণী করতে সক্ষম , যদি মূল ঘটনা বা বিষয়টি সুপরিকল্পিত ও সুনিয়ন্ত্রিত হয়। এ ছাড়া ভবিষ্যদ্বাণী করার প্রশ্নই আসে না। উদাহরণস্বরূপ ধরা যাক একটি মহাশূন্য যানকে মঙ্গল গ্রহের মাটি, আবহাওয়া, গঠন প্রকৃতি ইত্যাদি তথ্য সংগ্রহের জন্য পৃথিবী থেকে পাঠানো হলো। যানটির সব যন্ত্রপাতি সেভাবেই তৈরি, সন্নিবেশিত ও নিয়ন্ত্রিত করা হবে যাতে এটি পূর্বপরিকল্পিত সব কাজ ঠিক ঠিকভাবে সম্পন্ন করতে সক্ষম হয়। যানটি যেহেতু সুপরিকল্পিত ও সুনিয়ন্ত্রিত তাই সহজেই এর মিশনের প্রতিটি মুহূর্তের সব খবরাখবর যেমন এটি কোথায়,কখন থাকবে এবং কি কি করবে তা আগেই বলে দেয়া সম্ভব। উপরের উদাহরণ থেকে এটা স্পষ্ট যে, শুধু পরিকল্পিত ঘটনার ক্ষেত্রে ভবিষ্যদ্বাণী করা বাস্তব এবং যুক্তি সম্মত। একই যুক্তিতে আমাদের মহাবিশ্ব যদি সুপরিকল্পিত ও সুনিয়ন্ত্রিত ভাবে তৈরি / বানানো হয়ে থাকে কেবল মাত্র সে ক্ষেত্রেই যুক্তিসম্মতভাবে এর প্রতিটি কাজের ভবিষ্যদ্বাণী সম্ভব হবে। অতএব, মহাবিশ্বের যেকোনো ব্যাপারে কোনো ভবিষ্যদ্বাণী ফলপ্রসূ হওয়ার অর্থ দাঁড়ায়, মহাবিশ্ব নিছক দুর্ঘটনার ফসল নয় বা স্বয়ংক্রিয় ভাবেও এটা সৃষ্ট নয় যেমনটি দাবি করা হয়ে থাকে অবিশ্বাসীদের থেকে । ‘নিশ্চয়ই এর পেছনে রয়েছে এক অকল্পনীয় মহাজ্ঞানী সত্তার এক রহস্যময় অভিপ্রেত। বিজ্ঞানীর দূরভিসারী জিজ্ঞাসা সেখানে বিমূঢ় হয়ে যায়। বিজ্ঞানের চূড়ান্ত অগ্রগতিও সেখান থেকে স্তব্ধ হয়ে ফিরে আসবে। কিন্ত সেই অনন্ত মহাজাগতিক রহস্মের প্রতিভাস বিজ্ঞানীর মনকে এই নিশ্চিত প্রত্যয়ে উদ্বেল করে তোলে যে, এই মহাবিশ্বের একজন নিয়ন্তা রয়েছেন। তিনি অলৌকিক জ্ঞানময়, তাঁর সৃষ্টিকে অনুভব করা যায়, কিন্তু তাকে কল্পনা করা যায় না।’{আইনস্টাইন}
No comments:
Post a Comment