ইমাম গাজ্জালি 'নপুংসক ঈমানদার' বলতে কি বুঝাতে চেয়েছেন?..........
.
নপুংসক বুঝাতে তিনি কোন জেন্ডার উল্লেখ না করে সব ঈমানদারদের শ্রেণী/স্তর বর্ণনা করেছেন মাত্র।
নপুংসক বুঝাতে তিনি কোন জেন্ডার উল্লেখ না করে সব ঈমানদারদের শ্রেণী/স্তর বর্ণনা করেছেন মাত্র।
সেই মধ্যযুগে ইমাম গাজ্জালি 'খুলুকে মুসলিমীন' গ্রন্থে লিখেছেন, "মহাকাশের তারকা, নক্ষত্র সম্পর্কে যাদের কোন ধারনা নেই তাদের ঈমানের উপমা হচ্ছে একজন Impotent (নপুংসক) ব্যক্তির সমতুল্য যাদের লাভ মেকিং এর অপার মজা/ ফুর্তি/স্বাদ সম্পর্কে কোনো অনুভূতিই নেই।"
একটু চিন্তা করে প্রশ্ন করিঃ বর্তমান যুগে বসে তিনি এই কথাটি কিভাবে উপস্থাপন করতেন? তাঁর মতেঃ প্রকৃত ঈমানের সত্যিকার স্বাদ পেতে জরুরী মহাকাশ ধারনাও। তাহলে দেখিঃ সর্বশেষ বিজ্ঞানে আজকের মহাকাশ ঈমান বাড়াতে, সুদৃঢ় করতে ঈমানদারদের জন্য কি বার্তা দেয়?
প্রসঙ্গক্রমে এখানে বিশেষভাবে উল্লেখ্যঃ ‘আমরা এখন আকাশে যে নক্ষত্র ও তারকাগুলো দেখি, সেগুলোর মধ্যে অসংখ্য তারকার নাম আরবিতে, কারণ মুসলিমরাই এগুলো আবিষ্কার করে এবং তারাই এগুলোর নাম দেন। আমরা ক’জন ওয়াকিবহাল, সে সময়ে সমরকন্দ, দামেস্ক, কায়রো আর করদ্যোভায় প্রথম বড় বড় মান-মন্দির গড়ে তোলেন আরব মুসলমানেরা। মুসলিম জ্যোতির্বেত্তারা এমন সব পর্যবেক্ষণ চালিয়েছেন, যেসব ১২ বছরের ওপরে দীর্ঘায়িত হয়েছিল।
সে সময়ের মুসলিম বিশ্বের জ্যোতির্বিজ্ঞান কোন অবস্থানে পৌঁছেছিল তার বর্ণনা একটি ঘটনায় ফুটে ওঠে: সন্ন্যাসী গারভাট (দ্বিতীয় সিলভেস্ট নামে তিনি ৯৯৯ সালে পোপ হন) যখন করডোভার মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া শেষ করে খ্রিষ্ট ধর্মাচরণে পুনরায় ফিরে এলেন তখন লোকে বলে, তিনি নাকি সেখানে শয়তানের সাথে দহরম পর্যন্ত করে এসেছেন। ইতিহাস সাক্ষ দিচ্ছে,মহাকাশ গবেষণাকে তখন পশ্চিমাদের কাছে অনেকটা শয়তানি ফালতু কাজ হিসাবে বিবেচিত হত।’
আমাদের সূর্য একটি অতি সাধারণ তারকা। এর আকার তারকাগুলোর গড় আকারের মতোই। আমাদের বাসভূমির তারকা সূর্যের ব্যাস ১৪ লাখ কিলোমিটার। এর অর্থ হলো ১০৯টি পৃথিবী সূর্যের পৃষ্ঠে সাজিয়ে রাখা যায়। এটি এত বড় যে, ১৩ লাখ পৃথিবী এর মধ্যে ভর্তি করা যায়। আমাদের সৌরগ্রহগুলো সূর্যের চতুর্দিকে চাকতির মতো জায়গাজুড়ে আছে, যার দূরত্ব সূর্য থেকে সাড়ে চার বিলিয়ন কিলোমিটার। একটি তারকার বর্ণনা যদি এমন হয়, সে ক্ষেত্রে মহাবিশ্বে তারকার সংখ্যা কত? বাস্তবে বিশাল সংখ্যার তারকা নিয়ে একটি ছায়াপথ। তাহলে মহাবিশ্বে তারকা ও ছায়াপথ আসলে কয়টি?
Kornreich মহাবিশ্বে ১০ ট্রিলিয়ন ছায়াপথ ধরে একটি মোটামুটি হিসাব বের করেছেন- ছায়াপথের ১০ হাজার কোটি তারকার সাথে এই সংখ্যা গুণ করলে হয় ১০০ অকটিলিয়ন (octillion) তারকা। তার মানে দাঁড়ায়, এক-এর সাথে ২৯টি শূন্য। Kornreich জোর দিয়ে বলেন, এটা সাধারণ হিসাব- তবে গভীর পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, মহাবিশ্বে ছায়াপথের সংখ্যা আরো বেশি।
১৩ অক্টোবর ২০১৬, নাসা থেকে পাওয়া তথ্য হচ্ছে, দুই ট্রিলিয়ন ছায়াপথ আছে মাত্র ১০ শতাংশ মহাবিশ্বের মধ্যে; কিন্তু ছায়াপথগুলোর ৯০ শতাংশের খোঁজ এখনো বাকি। ছায়াপথ হচ্ছে এমন একটি সিস্টেম, যেখানে মিলিয়ন থেকে বিলিয়ন সংখ্যক তারা মাধ্যাকর্ষণের টানে একসাথে আটকে থাকে। গাণিতিক মডেল ব্যবহার করে জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা ‘অদৃশ্যমান’ ছায়াপথগুলোকে শনাক্ত করার চেষ্টা করছেন। কেননা, এসব ছায়াপথ টেলিস্কোপের আওতায় আসে না। সেখান থেকেই ধারণা করা হচ্ছে, মানুষের ধারণারও বাইরে রয়ে গেছে আরো লাখ লাখ ছায়াপথ (সূত্র:গার্ডিয়ান)।
এর অর্থ দাঁড়ায়, মহাবিশ্বে ২০ ট্রিলিয়ন ছায়াপথও ছাড়িয়ে যেতে পারে! আবার দেখা যায়, সবচেয়ে বড় তারকাগুলো সূর্যের চেয়ে ৫০০ গুণ শুধু বড় নয়, সেই সাথে এক লাখ গুণ বেশি উজ্জ্বল। ছায়াপথের কেন্দ্রে অবস্থিত যে কৃষ্ণ গহ্বর বা ব্ল্যাকহোল, তার ভর ৩০ লাখ সূর্যের সমান হয়ে থাকে। যদি প্রতি সেকেন্ডে একটি করে তারকা গণনা করা হয়, সেক্ষেত্রে এই হারে সব তারকা গুণতে পাঁচ হাজার বছর লাগবে।
ছায়াপথগুলো মহাকাশে এলোমেলোভাবে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে না থেকে সঙ্ঘবদ্ধভাবে একে অপর থেকে বহু দূরত্ব বজায় রেখে অবস্থান করে। সব ছায়াপথ এক করলে তারা মহাশূন্যের ১০ লাখ ভাগের এক ভাগ স্থান দখল করবে, যার অর্থ দাঁড়ায় বাস্তবে মহাশূন্য এত বিশাল যে, বিজ্ঞানের সুপার কল্পকাহিনী পর্যন্ত এর আওতার অনেক বাইরে।
★ছায়াপথ কত বড়ঃ এত বড় যে, বড় ধরনের ছায়াপথের আড়াআড়ি দূরত্ব ১০ লাখ আলোকবর্ষেরও বেশি হবে। এক আলোকবর্ষ = ৯.৪ ট্রিলিয়ন কিলোমিটার।
এক বছরে প্রতি সেকেন্ডে এক লাখ ৮৬ হাজার মাইল বেগে যে দূরত্ব অতিক্রম করা যায় সেটি হলো ১ আলোকবর্ষ।
এক বছরে প্রতি সেকেন্ডে এক লাখ ৮৬ হাজার মাইল বেগে যে দূরত্ব অতিক্রম করা যায় সেটি হলো ১ আলোকবর্ষ।
আমরা এমন একটি ছায়াপথে থাকি,
যেটা আড়াআড়ি মাপে প্রায় এক লাখ আলোকবর্ষ। আমাদের ছায়াপথটি ধীর গতিতে ঘূর্ণায়মান। এর সর্পিল বাহুগুলোয় অবস্থিত তারকাগুলো প্রায় কয়েকশ মিলিয়ন বছরে একবার করে কেন্দ্রকে প্রদক্ষিণ করে। সবচেয়ে ছোট ছায়াপথের নাম ডর্ফ, যার প্রশস্থতা কয়েক হাজার আলোকবর্ষের দূরত্বের। অ্যান্ড্রোমেডা ছায়াপথটির এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তের দূরত্ব হবে দুই লাখ ৫০ হাজার আলোকবর্ষ।
যেটা আড়াআড়ি মাপে প্রায় এক লাখ আলোকবর্ষ। আমাদের ছায়াপথটি ধীর গতিতে ঘূর্ণায়মান। এর সর্পিল বাহুগুলোয় অবস্থিত তারকাগুলো প্রায় কয়েকশ মিলিয়ন বছরে একবার করে কেন্দ্রকে প্রদক্ষিণ করে। সবচেয়ে ছোট ছায়াপথের নাম ডর্ফ, যার প্রশস্থতা কয়েক হাজার আলোকবর্ষের দূরত্বের। অ্যান্ড্রোমেডা ছায়াপথটির এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তের দূরত্ব হবে দুই লাখ ৫০ হাজার আলোকবর্ষ।
মজার বিষয় হচ্ছে, এই মুহূর্তে মহাবিশ্বের দিকে তাকালে দূর অতীতের মহাবিশ্বকে আমরা আসলে কিন্তু দেখতে পাবো, কেননা এই সময়ে দূর তারকা ছায়াপথ থেকে আলো এসে কেবল আমাদের কাছে পৌঁছেছে। যে কোয়াসারগুলো এখন আমরা দেখছি, সেই আলো আমাদের কাছে পৌঁছতে শত শত কোটি বছর লেগে গেছে।
সমুদ্র তীরের বালুকণার হিসাব বের করে প্রমান করা যায়= বালুকনার চেয়ে তারা বেশি। ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যোতির্বিজ্ঞানী অধ্যাপক গ্যারি গিলমোরঃ
বেশিরভাগ ছায়াপথে আমাদের ছায়াপথের মতোই তারা থাকে। মহাবিশ্বের তারারমোট সংখ্যা পৃথিবীর বালুকণার চেয়ে বেশি’ এমন দাবি করেছেন একজন অ্যামেরিকান জ্যোতির্বিজ্ঞানী।
আশির দশকের নিজের জনপ্রিয় টিভি শো কসমস-এ তিনি এ কথা বলেছিলেন।কিন্তু এটা কতটা সত্যি?
এটা কি আসলে গণনা করা সম্ভব?
আমরা এখন সেটাই মিলিয়ে দেখার চেষ্টা করব :
সাগর তীরের অংক
শুরুতেই ধরে নিতে হবে, বিশ্বের সব সাগরের তীরে ঠিক কি পরিমাণ বালু থাকে।
এজন্য সমুদ্র পৃষ্ঠের দৈর্ঘ্য, প্রস্থ এবং গভীরতা পরিমাপ করতে হবে।
সেজন্য সাগরের তীরের হিসাব করলে হবে না, হিসাব করতে হবে উপকূলীয় এলাকার পরিমাপের।
এ নিয়ে অবশ্য বিশেষজ্ঞরা একমত হতে পারেন না তেমন, কারণ উপকূলীয় এলাকার মাপ বাড়ে কমে, স্থির থাকে না।
তারপরেও বিবিসি একজনের সঙ্গে কথা বলেছে যিনি একটি সংখ্যা জানিয়েছেন উপকূল নিয়ে গবেষণা করে এমন প্রতিষ্ঠান ডেল্টারসের গবেষক জেনাডি ডনসিটস বলছেন, পুরো পৃথিবীর উপকূলের পরিমাপ করা বিশাল দুঃসাধ্য এক কাজ।
ওপেন স্ট্রীটম্যাপের মতো ফ্রিম্যাপ ব্যবহার করে কম্পিউটার ডাটার মাধ্যমে দেখা যাচ্ছেবরফাচ্ছন্ন এলাকাসহ উপকূলীয় এলাকার দৈর্ঘ্য ১১ লাখ কিলোমিটারের মতো।
যার মধ্যে তিন লাখ কিলোমিটার এলাকা বালুময় সৈকত।
যেখানে বালুকণার সংখ্যা হবে চার সেক্সটিলিয়ন।
আখন আমরা দেখব তারকার সংখ্যাঃ দেখা যাবে, মহাবিশ্বে তারার সংখ্যা১০ সেক্সটিলিয়ন,
তাহলে এটি ঠিকই যে মহাবিশ্বে বালুকণার চেয়ে তারার সংখ্যা বেশি। সূত্র : বিবিসি
ছায়পথের সংখ্যাঃ অধ্যাপক গ্যারি গিলমোর ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন জ্যোতির্বিজ্ঞানী, যিনি মহাবিশ্বে তারার সংখ্যা গণনা করছেন অনেক বছর যাবত।
যুক্তরাজ্যের চালানো প্রকল্প গাইয়া’র নেতৃত্ব দিচ্ছেন তিনি।এর মধ্যে রয়েছে একটি ইউরোপীয় মহাকাশযান, যেটি এখন আকাশের মানচিত্র তৈরির কাজ করছে। আমাদের মহাবিশ্বে কত তারা আছে,তা গণনার জন্য গাইয়া দল এখন তাদের ডাটা ব্যবহার করে মিল্কিওয়ে বা ছায়াপথের একটি বড় ত্রিমাত্রিক মডেল তৈরি করেছে।
অধ্যাপক গিলমোর বলছেন, প্রতিটি তারার পরস্পরের থেকে দূরত্ব অনুযায়ী পাওয়া তথ্যে দেখা গেছে দুইশো কোটির চেয়ে বড় তারা রয়েছে।অর্থাৎ ইউরোপের অংশে যদি মোট তারার এক শতাংশ থাকে, তাহলে আমাদের ছায়াপথে হয়তো সব মিলে কুড়ি হাজার কোটি তারা আছে। কিন্তু এতো কেবল একটি ছায়াপথেরহিসাব।
সার্বজনীন চিত্র
সৌভাগ্যজনকভাবে, মহাবিশ্বে আমাদের ছায়াপথ একটি টিপিক্যাল বা সাধারণ ধরণের।বেশিরভাগ ছায়াপথে আমাদের ছায়াপথের মতোই তারা থাকে।অধ্যাপক গিলমোর বলছেন, সে কারণে আমরা একে গড় হিসাব তৈরির কাজে লাগাতেপারি।
অর্থাৎ যদি মোট ছায়াপথের সংখ্যা ধারণা করা যায়,তাহলে তারার সংখ্যা বের করা সম্ভব হবে। জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের জন্য সেটা হয়তো বড় সমস্যা নয়।
মহাবিশ্বে যদি দশ হাজার ছায়াপথ থাকে, মনে রাখতে হবে একেকটিতে হয়তো কুড়ি হাজার করে তারা আছে।
তাহলে এটি ঠিকই যে মহাবিশ্বে বালুকণার চেয়ে তারার সংখ্যা বেশি। সূত্র : বিবিসি
‘মানুষের
সৃষ্টি অপেক্ষা
নভোমন্ডল ও ভূ-মন্ডলের সৃষ্টি
কঠিনতর। কিন্তু
অধিকাংশ মানুষ বোঝে না।' [ সুরা মু’মিন ৪০:৫৭ ]
★ সম্প্রসারণশীল মহাবিশ্বঃ
সূরা আয্যারিয়ার ৪৭ আয়াতে নভোমণ্ডল প্রসারিত হচ্ছে উল্লিখিত হয়েছে।
‘নভোমণ্ডল নির্মাণ করেছি আমার ক্ষমতাবলে এবং আমি অবশ্যই মহাসম্প্রসারণকারী।’
সূরা আয্যারিয়ার ৪৭ আয়াতে নভোমণ্ডল প্রসারিত হচ্ছে উল্লিখিত হয়েছে।
‘নভোমণ্ডল নির্মাণ করেছি আমার ক্ষমতাবলে এবং আমি অবশ্যই মহাসম্প্রসারণকারী।’
মহাবিশ্ব প্রসারমান, এই আবিষ্কারটি বিংশ শতাব্দীর বৃহত্তম বৌদ্ধিক বিপ্লবগুলোর অন্যতম। রাতের আকাশের দিকে তাকিয়ে আমরা কি কখনো ভাবার সুযোগ পাই ছায়াপথগুলো প্রায় ৭০ কিমি/সেকেন্ড গতিতে দূরাপসরণ করছে?
নাসা এবং ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি এর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ধারণার চেয়ে পাঁচ থেকে নয় শতাংশ দ্রুতগতিতে মহাবিশ্বের সম্প্রসারণ ঘটে চলেছে। এডউইন হাবল ১৯২৯ সালে প্রকাশ করেন যে, মহাবিশ্ব স্থিতাবস্থায় নেই। যে ছায়াপথটি যত দূরে অবস্থিত তার দূরাপসারণের গতিও তত বেশি। প্রতিনিয়ত মহাবিশ্ব কত বিস্তৃতি লাভ করছে!
আবার যেহেতু সব ছায়াপথ মহাকাশের দশ লাখ ভাগের মাত্র এক ভাগ জায়গা দখল করে আছে, সে ক্ষেত্রে ১০ পৃথিবীর সমান নিম্ন স্তরের জান্নাত হওয়াটা একেবারে সাধারণ ঘটনা নয়কি?
মহাবিশ্বের সব কিছুকে পর্যবেক্ষণ ও রহস্য উদ্ঘাটনের মাধ্যমেই কেবল আল্লাহকে খুঁজে পাওয়া ও তার নৈকট্য লাভ করা যেতে পারে।
ঈমান বাড়ানোর পথ বা উপায় হলো সৃষ্টি রহস্য নিয়ে গভীরভাবে চিন্তা ভাবনা করা।
হাদিস শরিফে আছেঃ সৃষ্টি রহস্য নিয়ে কিছু সময় চিন্তা ভাবনা করা, সারা রাত নফল এবাদত থেকেও উত্তম। মহাবিজ্ঞানী আইন স্টাইনের ভাষায়: ‘নিশ্চয়ই এর পেছনে রয়েছে এক অকল্পনীয় মহা জ্ঞানী সত্তার এক রহস্যময় অভিপ্রেত।
হাদিস শরিফে আছেঃ সৃষ্টি রহস্য নিয়ে কিছু সময় চিন্তা ভাবনা করা, সারা রাত নফল এবাদত থেকেও উত্তম। মহাবিজ্ঞানী আইন স্টাইনের ভাষায়: ‘নিশ্চয়ই এর পেছনে রয়েছে এক অকল্পনীয় মহা জ্ঞানী সত্তার এক রহস্যময় অভিপ্রেত।
বিজ্ঞানীর দুরভিসারি জিজ্ঞাসা সেখানে বিমূঢ় হয়ে যায় বিজ্ঞানের সমাগত চূড়ান্ত অগ্রগতিও সেখান থেকে স্তব্ধ হয়ে ফিরে আসবে; কিন্তু সেই অনন্ত মহাজাগতিক রহস্যের প্রতিভাস বিজ্ঞানীর মনকে এই নিশ্চিত প্রত্যয়ে উদ্বেল করে তোলে, এই মহাবিশ্বের একজন নিয়ন্তা রয়েছেন। তিনি অলৌকিক জ্ঞানময়, তাঁর সৃষ্টিকে অনুভব করা যায় কিন্তু তাকে কল্পনা করা যায় না।’
No comments:
Post a Comment