Friday, November 17, 2017
ইসলামের পাঁচ স্তম্ভের ভিন্নমাত্রিক ব্যাখ্যা
আলী রেজা
হওয়াটা জরুরি ধরা হয়েছে।
জন্য রয়েছে অফুরন্ত পুরস্কার।’ [৪১(৮)]
সূরাহ ৮৫, আয়াত ১১; সূরাহ ৯৮ আয়াত ৭ ও ৮।
সার্বক্ষণিক ভাবে সৎকর্মশীল।
Friday, October 13, 2017
স্রষ্টাকে জানার একমাত্র উপায়
আল্লাহকে জানার কোন পথ তার বান্দার জন্য খোলা রাখেননি। একটি মাত্র পথ খোলা
আছে-তাকে জানা সম্ভব নয়।এটাই জানার পথ।- হযরত আবু বকরের (রাঃ) এই কথাটি
লেখাছিল আমার ছোটো বেলার নোট বইতে। বড় হলে আমি লিখব, লেখা ছাপা হবে সে
চিন্তা তখন একদম ছিলনা। তাই রেফারেন্স লিখে রাখিনি। বেশ আগে নয়া দিগন্তে
আমার লেখায় এটি জুড়ে দেই। ছাপা ও হয়। এক ফেসবুক বন্ধু প্রশ্ন করেন - এ
কেমন ক্থা; পরস্পর বিরোধী কথা নয় কি? বললামঃ অসীম এর ধারনা কারো জানা নেই।
মহাবিশ্ব অসীম কিন্ত আমরা জানিনা অসীম কি? অসীম সৃষ্টিকর্তার সৃষ্টি সেই
সৃষ্টিকে আমরা জানিনা বা জানার কোন পথ আমাদের কাছে একদম নেই। যেখানে একটা
নগণ্য সৃষ্টি কেই আমরা জানিনা সেখানে এরই স্রষ্টাকে জানার সুযোগ আমাদের
কোথায়! 'তাঁর সৃষ্টিকে অনুভব করা যায়, কিন্তু তাকে কল্পনা করা যায় না।’........আইনস্টাইনের ভাষায়ঃ
‘নিশ্চয়ই এর পেছনে রয়েছে এক অকল্পনীয় মহাজ্ঞানী সত্তার এক রহস্যময় অভিপ্রেত। বিজ্ঞানীর দূরভিসারী জিজ্ঞাসা সেখানে বিমূঢ় হয়ে যায়। বিজ্ঞানের চূড়ান্ত অগ্রগতিও সেখান থেকে স্তব্ধ হয়ে ফিরে আসবে। কিন্তু সেই অনন্ত মহাজাগতিক রহস্যের প্রতিভাস বিজ্ঞানীর মনকে এই নিশ্চিত প্রত্যয়ে উদ্বেল করে তোলে যে, এই মহাবিশ্বের একজন নিয়ন্তা রয়েছেন। তিনি অলৌকিক জ্ঞানময়, তাঁর সৃষ্টিকে অনুভব করা যায়, কিন্তু তাকে কল্পনা করা যায় না।’
রাসুলুল্লাহ স্রষ্টাকে নিয়ে নয় বরং তার সৃষ্টি নিয়ে আমাদের গবেষনা, চিন্তা ভাবনা করতে নির্দেশ দিয়েছেন। আসলে আল্লাহকে জানার একমাত্র পথ / উপায় হচ্ছে তার সৃষ্টিকে অনুধাবনের মাধ্যমে পরোক্ষভাবে এটা হৃদয়ঙ্গম করা ~যিনি এর স্রষ্টা তিনি আরও কত বড়, মহান -আর সব প্রশংসা কেবলমাত্র তারই জন্য।
কেবলমাত্র চোখের দিকে তাকান। বিজ্ঞানীদের হিসাব মতে, মানুষের একটি চোখ ৭০০ টি সুপার ডিজিটাল ক্যামেরার সমান। এই চোখ কে দিয়েছে আমাদের?
আমাদের ব্রেইন সম্পর্কে জানেন? গবেষণা মতে, একজন মানুষের ব্রেইনের ক্ষমতা কয়েক শ সুপার কম্পিউটারের চাইতেও বেশি।
আমাদের শরীরের DNA সম্পর্কে কতটুকু জানি? এমনকি নাস্তিক বিজ্ঞানী রিচার্ড ডকিন্স DNA সম্পর্কে বলেছেন,-
‘There is enough information capacity in a single human cell to store the Encyclopaedia Britannica, all 30 volumes of it , three or four Edittimes over’.
অর্থাৎ, একটি DNA তে এতো পরিমাণ স্পেস আছে যেখানে চাইলেই আপনি ৩০ ভলিউমের ৩-৪ টি এনসাইক্লোপিডিয়া ব্রিটানিকা লিখে রাখতে পারবেন। একটি ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র DNA সেলের মধ্যে এই ক্ষমতা কে দিয়েছে? কোন মানুষ? কোন বিজ্ঞানী? নাহ! কে তিনি?
এই প্রশ্নের উত্তর পেতে আমরা এমন একজন দার্শনিকের শরণাপন্ন হতে পারি যাকে বিংশ শতাব্দীর নাস্তিকদের 'Spiritual Leader' বলা হতো। কিন্তু তিনি পরে নাস্তিকতা ছেড়ে আস্তিক হয়ে যান। তাঁর নাম Antony Flew..
DNA' র এই বিস্ময়কর কাজ দেখে তিনি বলেছেন,- ‘almost entirely because of the DNA investigations . What I think the DNA material has done is that it has shown, by the almost unbelievable complexity of the arrangements which are needed to produce( life ), that intelligence must have been involved in getting these extraordinarily diverse elements to work together'
অর্থাৎ, DNA ইনভেস্টিগেশন থেকে তিনি এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন যে, প্রাণ (Life) সৃষ্টিতে অবশ্য অবশ্যই Intelligence তথা বুদ্ধিমান সত্ত্বার উপস্থিতি আবশ্যক। সেই বুদ্ধিমান সত্ত্বা কে?
পৃথিবীর কোন বিজ্ঞানী? তিনি হলেন স্রষ্টা।
এরকম মহাকাশের গ্রহ, নক্ষত্র, গ্যালাক্সিগুলোর দিকে তাকাই।
ওপেন স্ট্রীটম্যাপের মতো ফ্রিম্যাপ ব্যবহার করে কম্পিউটার ডাটার মাধ্যমে দেখা যাচ্ছে বরফাচ্ছন্ন এলাকাসহ সব সমুদ্রের উপকূলীয় এলাকার দৈর্ঘ্য ১১ লাখ কিলোমিটারের মতো।
যার মধ্যে তিন লাখ কিলোমিটার এলাকা বালুময় সৈকত।
এখন যদি তারার সংখ্যার সঙ্গে তুলনা করতে হয়, তাহলে দেখা যাবে, মহাবিশ্বে তারার সংখ্যা ১০ সেক্সটিলিয়ন, যেখানে বালুকণার সংখ্যা হবে চার সেক্সটিলিয়ন। তাহলে এটি ঠিকই যে মহাবিশ্বে বালুকণার চেয়ে তারার সংখ্যা বেশি। সূত্র : বিবিসি।
NASA (13 October 2016 ) থেকে পাওয়া তথ্য,দুই ট্রিলিয়ণ ছায়াপথআছে মাত্র ১০শতাংশ মহাবিশ্বের মধ্যে। কিন্ত ছায়াপথগুলোর৯০শতাংশর খোজ এখনও বাকি।ছায়াপথ হচ্ছে এমন একটি সিস্টেম যেখানে মিলিয়ন থেকে বিলিয়ন সংখ্যক তারা মাধ্যাকর্ষনের টানে এক সাথে আটকে থাকে। গানিতিক মডেল ব্যবহার করে জ্যোতি বিজ্ঞানীরা ‘অদৃশ্যমান’ ছায়াপথ গুলোকে
শনাক্ত করার চেষ্টা করছেন । কেননা এই সব ছায়াপথ টেলিস্কোপের
আওতায় আসে না।সেখান থেকে ই ধারনা করা হচ্ছে,মানুষের
ধারনারওবাইরে রয়ে গেছে আরওলাখ লাখ ছায়াপথ।সূত্রঃগার্ডিয়ান। তার মাণে দাড়ায় মহাবিশ্বে ২০ ট্রিলিয়ণ ছায়াপথ ছাড়িয়ে যেতে পারে!
‘নিশ্চয়ই এর পেছনে রয়েছে এক অকল্পনীয় মহাজ্ঞানী সত্তার এক রহস্যময় অভিপ্রেত। বিজ্ঞানীর দূরভিসারী জিজ্ঞাসা সেখানে বিমূঢ় হয়ে যায়। বিজ্ঞানের চূড়ান্ত অগ্রগতিও সেখান থেকে স্তব্ধ হয়ে ফিরে আসবে। কিন্তু সেই অনন্ত মহাজাগতিক রহস্যের প্রতিভাস বিজ্ঞানীর মনকে এই নিশ্চিত প্রত্যয়ে উদ্বেল করে তোলে যে, এই মহাবিশ্বের একজন নিয়ন্তা রয়েছেন। তিনি অলৌকিক জ্ঞানময়, তাঁর সৃষ্টিকে অনুভব করা যায়, কিন্তু তাকে কল্পনা করা যায় না।’
রাসুলুল্লাহ স্রষ্টাকে নিয়ে নয় বরং তার সৃষ্টি নিয়ে আমাদের গবেষনা, চিন্তা ভাবনা করতে নির্দেশ দিয়েছেন। আসলে আল্লাহকে জানার একমাত্র পথ / উপায় হচ্ছে তার সৃষ্টিকে অনুধাবনের মাধ্যমে পরোক্ষভাবে এটা হৃদয়ঙ্গম করা ~যিনি এর স্রষ্টা তিনি আরও কত বড়, মহান -আর সব প্রশংসা কেবলমাত্র তারই জন্য।
কেবলমাত্র চোখের দিকে তাকান। বিজ্ঞানীদের হিসাব মতে, মানুষের একটি চোখ ৭০০ টি সুপার ডিজিটাল ক্যামেরার সমান। এই চোখ কে দিয়েছে আমাদের?
আমাদের ব্রেইন সম্পর্কে জানেন? গবেষণা মতে, একজন মানুষের ব্রেইনের ক্ষমতা কয়েক শ সুপার কম্পিউটারের চাইতেও বেশি।
আমাদের শরীরের DNA সম্পর্কে কতটুকু জানি? এমনকি নাস্তিক বিজ্ঞানী রিচার্ড ডকিন্স DNA সম্পর্কে বলেছেন,-
‘There is enough information capacity in a single human cell to store the Encyclopaedia Britannica, all 30 volumes of it , three or four Edittimes over’.
অর্থাৎ, একটি DNA তে এতো পরিমাণ স্পেস আছে যেখানে চাইলেই আপনি ৩০ ভলিউমের ৩-৪ টি এনসাইক্লোপিডিয়া ব্রিটানিকা লিখে রাখতে পারবেন। একটি ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র DNA সেলের মধ্যে এই ক্ষমতা কে দিয়েছে? কোন মানুষ? কোন বিজ্ঞানী? নাহ! কে তিনি?
এই প্রশ্নের উত্তর পেতে আমরা এমন একজন দার্শনিকের শরণাপন্ন হতে পারি যাকে বিংশ শতাব্দীর নাস্তিকদের 'Spiritual Leader' বলা হতো। কিন্তু তিনি পরে নাস্তিকতা ছেড়ে আস্তিক হয়ে যান। তাঁর নাম Antony Flew..
DNA' র এই বিস্ময়কর কাজ দেখে তিনি বলেছেন,- ‘almost entirely because of the DNA investigations . What I think the DNA material has done is that it has shown, by the almost unbelievable complexity of the arrangements which are needed to produce( life ), that intelligence must have been involved in getting these extraordinarily diverse elements to work together'
অর্থাৎ, DNA ইনভেস্টিগেশন থেকে তিনি এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন যে, প্রাণ (Life) সৃষ্টিতে অবশ্য অবশ্যই Intelligence তথা বুদ্ধিমান সত্ত্বার উপস্থিতি আবশ্যক। সেই বুদ্ধিমান সত্ত্বা কে?
পৃথিবীর কোন বিজ্ঞানী? তিনি হলেন স্রষ্টা।
এরকম মহাকাশের গ্রহ, নক্ষত্র, গ্যালাক্সিগুলোর দিকে তাকাই।
ওপেন স্ট্রীটম্যাপের মতো ফ্রিম্যাপ ব্যবহার করে কম্পিউটার ডাটার মাধ্যমে দেখা যাচ্ছে বরফাচ্ছন্ন এলাকাসহ সব সমুদ্রের উপকূলীয় এলাকার দৈর্ঘ্য ১১ লাখ কিলোমিটারের মতো।
যার মধ্যে তিন লাখ কিলোমিটার এলাকা বালুময় সৈকত।
এখন যদি তারার সংখ্যার সঙ্গে তুলনা করতে হয়, তাহলে দেখা যাবে, মহাবিশ্বে তারার সংখ্যা ১০ সেক্সটিলিয়ন, যেখানে বালুকণার সংখ্যা হবে চার সেক্সটিলিয়ন। তাহলে এটি ঠিকই যে মহাবিশ্বে বালুকণার চেয়ে তারার সংখ্যা বেশি। সূত্র : বিবিসি।
NASA (13 October 2016 ) থেকে পাওয়া তথ্য,দুই ট্রিলিয়ণ ছায়াপথআছে মাত্র ১০শতাংশ মহাবিশ্বের মধ্যে। কিন্ত ছায়াপথগুলোর৯০শতাংশর খোজ এখনও বাকি।ছায়াপথ হচ্ছে এমন একটি সিস্টেম যেখানে মিলিয়ন থেকে বিলিয়ন সংখ্যক তারা মাধ্যাকর্ষনের টানে এক সাথে আটকে থাকে। গানিতিক মডেল ব্যবহার করে জ্যোতি বিজ্ঞানীরা ‘অদৃশ্যমান’ ছায়াপথ গুলোকে
শনাক্ত করার চেষ্টা করছেন । কেননা এই সব ছায়াপথ টেলিস্কোপের
আওতায় আসে না।সেখান থেকে ই ধারনা করা হচ্ছে,মানুষের
ধারনারওবাইরে রয়ে গেছে আরওলাখ লাখ ছায়াপথ।সূত্রঃগার্ডিয়ান। তার মাণে দাড়ায় মহাবিশ্বে ২০ ট্রিলিয়ণ ছায়াপথ ছাড়িয়ে যেতে পারে!
Kornreich (কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ের 'Ask an Astronomer' এর ফাউনডার) মহাবিশ্বে ১০ ট্রিলিয়ন ছায়াপথ ধরে একটি রাফ হিসাব বের করেছেন- ছায়াপথের ১০০ বিলিয়ন তারকার সাথে এই সংখ্যা গুণ করলে হয় ১০০ অকটিলিয়ন (octillion) তারকা। তার মানে ১ এর সাথে ২৯টা শূন্য। Kornreich জোর দিয়ে বলেন, এটা সাধারণ হিসাব, তবে গভীর পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, মহাবিশ্বে ছায়াপথের সংখ্যা আরো বেশি।
আবার সবচেয়ে বড় তারকাগুলো সূর্যের চেয়ে পাঁচ শ’ গুণ শুধু বড় নয়, সেই সাথে এক লাখ গুণ বেশি উজ্জ্বল। ছায়াপথের কেন্দ্রে অবস্থিত যে কৃষ্ণগহ্বর বা ব্ল্যাকহোল তার ভর তিন মিলিয়ন সূর্যের সমান হয়ে থাকে। আপনি যদি প্রতি সেকেন্ডে একটি করে তারকা গণনা করেন, সে ক্ষেত্রে এই হারে সব তারকা গুনতে পাঁচ হাজার বছর লাগবে। ছায়াপথগুলো মহাকাশে এলোমেলোভাবে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে না থেকে সঙ্ঘবদ্ধভাবে একে অপর থেকে বহু দূরত্ব বজায় রেখে অবস্থান করে। সব ছায়াপথ এক করলে তারা মহাশূন্যের এক মিলিয়ন ভাগের এক ভাগ স্থান দখল করবে, যার অর্থ দাঁড়ায় বাস্তবে মহাশূন্য এত বিশাল যে, বিজ্ঞানের সুপার কল্পকাহিনী পর্যন্ত এর কাছে হার মানবে।
আবার সবচেয়ে বড় তারকাগুলো সূর্যের চেয়ে পাঁচ শ’ গুণ শুধু বড় নয়, সেই সাথে এক লাখ গুণ বেশি উজ্জ্বল। ছায়াপথের কেন্দ্রে অবস্থিত যে কৃষ্ণগহ্বর বা ব্ল্যাকহোল তার ভর তিন মিলিয়ন সূর্যের সমান হয়ে থাকে। আপনি যদি প্রতি সেকেন্ডে একটি করে তারকা গণনা করেন, সে ক্ষেত্রে এই হারে সব তারকা গুনতে পাঁচ হাজার বছর লাগবে। ছায়াপথগুলো মহাকাশে এলোমেলোভাবে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে না থেকে সঙ্ঘবদ্ধভাবে একে অপর থেকে বহু দূরত্ব বজায় রেখে অবস্থান করে। সব ছায়াপথ এক করলে তারা মহাশূন্যের এক মিলিয়ন ভাগের এক ভাগ স্থান দখল করবে, যার অর্থ দাঁড়ায় বাস্তবে মহাশূন্য এত বিশাল যে, বিজ্ঞানের সুপার কল্পকাহিনী পর্যন্ত এর কাছে হার মানবে।
যে ছায়াপথটি যত দূরে অবস্থিত তার দূরাপসারণের গতিও তত বে শি। দেখা যায়এক মিলিয়ন আলোকবর্ষ দূরের ছায়াপথ প্রতি সেকেন্ডে২২ .৪ কিলোমিটার বেগে এবং দুই মিলি য়ন আলোকবর্ষ দূরের ছায়াপথ প্রতি সেকেন্ডে ৪৪.৮কিলোমিটার বেগে দূ রাপসরণ করছে। অবাক বিস্ময়ের সা থে ভাবার বিষয়,বাস্তবে প্রতিনি য়ত মহাবিশ্ব আমাদের থেকে কত দূ রে বিস্তৃতি লাভ করছে!
প্রত্যেক জায়গায় আমরা দেখতে পাব তার অপার সৃষ্টি রহস্য।
প্রত্যেক জায়গায় আমরা দেখতে পাব তার অপার সৃষ্টি রহস্য।
Wednesday, September 20, 2017
Conversation: It is impossible to create something out of nothing.
M Ali Reza ·
বিজ্ঞান বলছেঃ
It is impossible to create something out of nothing.
তাই জদি হয় তখন বিবর্তন নাথিং থেকে কি ভাবে হলো?
বিবর্তনের নিয়ম নাথিং কিভাবে আরম্ভ করলো ?
নাথিং থেকে কেব্ ল মত্র নাথিংই সম্ভব , অবশ্যই বিবর্তন নয়।
বিজ্ঞান এইই বলে । সব নাথিং / ফেইক। বিবর্তন ?
Plabon Dutta ·
I don't know which science you are talking about. Science never told that it was impossible to create something out of nothing, Sir. Paul Dirac proved this years ago. You should study a bit about something called: "Dirac's Equation" and "Quantum Mechanics"!! :)
M Ali Reza ·
Plabon Dutta Only if you assume, "A vacuum is a balanced combination of matter and antimatter, or particles and antiparticles. " then you can . But from where you could get matter and antimatter.Nothing is absolutely nothing, no trace of anything.Then Nothing will give only Nothing.
M Ali Reza ·
Nothing (empty space without energy) is only a logical state!
The General Relativity Vacuum is a space-time model region without matter.
and Luboš Motl says: "By definition, the space without energy is the space whose total value of energy is equal to 0."
But this is only mathematical Euclidean space + time so this is only a mathematics and not physics! With other words: this is only a method of mathematical mapping. But, in real (not theoretic) physics we can't mapping empty things. Empty is only a logical state!
বিজ্ঞান বলছেঃ
It is impossible to create something out of nothing.
তাই জদি হয় তখন বিবর্তন নাথিং থেকে কি ভাবে হলো?
বিবর্তনের নিয়ম নাথিং কিভাবে আরম্ভ করলো ?
নাথিং থেকে কেব্ ল মত্র নাথিংই সম্ভব , অবশ্যই বিবর্তন নয়।
বিজ্ঞান এইই বলে । সব নাথিং / ফেইক। বিবর্তন ?
It is impossible to create something out of nothing.
তাই জদি হয় তখন বিবর্তন নাথিং থেকে কি ভাবে হলো?
বিবর্তনের নিয়ম নাথিং কিভাবে আরম্ভ করলো ?
নাথিং থেকে কেব্ ল মত্র নাথিংই সম্ভব , অবশ্যই বিবর্তন নয়।
বিজ্ঞান এইই বলে । সব নাথিং / ফেইক। বিবর্তন ?
Plabon Dutta ·
I don't know which science you are talking about. Science never told that it was impossible to create something out of nothing, Sir. Paul Dirac proved this years ago. You should study a bit about something called: "Dirac's Equation" and "Quantum Mechanics"!! :)
M Ali Reza ·
Plabon Dutta Only if you assume, "A vacuum is a balanced combination of matter and antimatter, or particles and antiparticles. " then you can . But from where you could get matter and antimatter.Nothing is absolutely nothing, no trace of anything.Then Nothing will give only Nothing.
M Ali Reza ·
Nothing (empty space without energy) is only a logical state!
The General Relativity Vacuum is a space-time model region without matter.
and Luboš Motl says: "By definition, the space without energy is the space whose total value of energy is equal to 0."
But this is only mathematical Euclidean space + time so this is only a mathematics and not physics! With other words: this is only a method of mathematical mapping. But, in real (not theoretic) physics we can't mapping empty things. Empty is only a logical state!
The General Relativity Vacuum is a space-time model region without matter.
and Luboš Motl says: "By definition, the space without energy is the space whose total value of energy is equal to 0."
But this is only mathematical Euclidean space + time so this is only a mathematics and not physics! With other words: this is only a method of mathematical mapping. But, in real (not theoretic) physics we can't mapping empty things. Empty is only a logical state!
ট্রাম্পের বই ‘নয়-এগারো’ হামলার ভবিষ্যদ্বাণী
মুহাম্মাদ আলীরেজা
নয়াদিগন্তঃ ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৭,বৃহস্পতিবার,
সাম্প্রতিক সাড়া জাগানো খবর : টুইন টাওয়ার হামলার প্রায় দুই বছর আগেভাগে বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার বইতে ‘The America We Deserve’ প্রকাশ জানুয়ারি ২০০০ : Nostrodomas -এর মতো ভবিষ্যদ্বাণী
করেছিলেন; ওসামা বিন লাদেন টুইন টাওয়ারে হামলা চালাবেন। US Presidential
hopeful Donald Trump "warned" of the horrific September 11 attack on
the World Trade Center in a book published less than two years before the
world's worst terror strikes happened, it is being claimed. By JON AUSTIN
PUBLISHED: 03:42, Tue, Feb 23, 2016| ট্রাম্পকে এখন বলা হচ্ছে ‘মডার্ন ডে নসট্রডোমাস।’ Alex Jenes Radio সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি ওই বইতে বলেছি, আমাদের সতর্ক থাকতে হবে এই ব্যক্তি ওসামা বিন লাদেন সম্পর্কে।’ ঘটনাপ্রবাহ বিশ্লেষণে সামগ্রিকভাবে দেখা যায়, আসলে টুইন টাওয়ারে হামলা ছিল অভ্যন্তরীণ বিষয় (পরিকল্পনা) মাত্র। ‘নয়-এগারো’তে ইতিহাসের ভয়ঙ্করতম হামলা হলেও এর নীলনকশা শুরু হয়েছিল ১৯৯৩ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি একই প্রতিষ্ঠানে
বোমা বিস্ফোরণের মধ্য দিয়ে। এভাবে তখন এটা প্রমাণ করার চেষ্টা চলে যে, বিশ্বে জাতি হিসেবে মুসলমানরাই সন্ত্রাসী। তখন রিডার্স ডাইজেস্ট এক নিবন্ধে লিখেছিল, হামলার জন্য বিশ্ববাণিজ্যকেন্দ্র বাছাই করার লক্ষ্য হলো, এটা দেখানো যে, এটা মূলত সমগ্র বিশ্বসম্প্রদায়ের
ওপরই আক্রমণ। কারণ, এখানে সব দেশের, সব জাতির এবং সব ধর্মের লোকেরা অবস্থান করেন। সিএনএনের প্রথম রিপোর্টে স্বীকার করা হয় যদি বোমা হামলাকারীরা
বাণিজ্যকেন্দ্র সমূলে ধ্বংস করার পরিকল্পনা করত, তাহলে বিস্ফোরক রাস্তার সমতলে বসাত। ফলে শত শত মানুষ নিহত বা জখম হতো। বাল্টিমোর নিউ ট্রেন্ড পত্রিকা লিখেছেন, বোমা হামলাটি পরিকল্পিতভাবে ঘটানো হয়, যার ফলে সবচেয়ে কম ক্ষতি হয়েছে এবং এর আওতার মধ্যে পড়েছে সবচেয়ে কম লোক। সামগ্রিকভাবে
বিশ্ববাণিজ্যকেন্দ্রে প্রথম হামলাটি আসলেই ছিল এক আগাম কৌশল। এর একমাত্র ল্য ছিল, প্রচারমাধ্যমে স্পর্শকাতর অনুভূতি সৃষ্টির মাধ্যমে মুসলমানদের ‘সন্ত্রাসী’ ব্রান্ডে চিহ্নিত করে তাদের ব্যাপারে আমেরিকানদের সতর্ক ও উত্তেজিত করা। ১৯৯৩ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত চলতে থাকে বিরামহীন ‘মিডিয়াক্রুসেড’,
যার ল্ক্ষ্য ছিল মুসলমানদের ‘সন্ত্রাসী জাতি’ হিসেবে চিহ্নিত করা। ‘জিহাদ ইন আমেরিকা’ নামে এক ঘণ্টার ডকুমেন্টারি
ফিল্ম পাবলিক টেলিভিশনে দেখিয়ে উত্তেজিত করা হলো আমেরিকানদের।‘ওয়াগ দ্য ডগ’ও ‘সিজ’ নামে তিন ঘণ্টার মুভি প্রোগৃহে দেখান হয় সেই উদ্দেশ্যে। এগুলো আমার নিজেরই দেখা বলে এখানে উল্লেখ করছি।
৯-১১-এর একটা গোপন স্যাটেলাইট ইমেজ রয়েছে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের কাছে। এমনটাই দাবি করলেন রাশিয়ান কূটনীতিকেরা। জানা গেছে, ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে জঙ্গি হামলার এমন এক ছবি তার কাছে রয়েছে যা দিয়ে প্রমাণ করা সম্ভব যে, কাজটা আসলে করিয়েছিল আমেরিকাই। এই ছবি প্রমাণ করবে, বিশ্বের ভয়ঙ্করতম জঙ্গি হামলার দায় আসলে মার্কিন প্রশাসন ও মার্কিন গোয়েন্দাদের। এমনটাই দাবি করেছে রাশিয়া। আরো দাবি করা হয়েছে, এই হামলার পুরো দায়ভার পড়ে বুশ প্রশাসনের ঘাড়ে। আর এই হামলায় ওসামা বিন লাদেনের লোকজনকে দাবার ঘুঁটি হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছিল মাত্র।
রহস্য উদঘাটন : কেন বুশ ৯-১১ সুপার ড্রামা মঞ্চস্থ করার পরিকল্পনা করেছিলেন?
তদানীন্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশের সুদূর পরিকল্পিত ৯-১১ সুপার ড্রামা মঞ্চস্থ হওয়ার প্রাক্কালে যুক্তরাষ্ট্রের মিডিয়ায় প্রচণ্ড তোলপাড় শুরু হয়ে যায় : [সর্বনাশ!] ইসলাম এ দেশে সবচেয়ে দ্রুত সম্প্রসারণশীল ধর্ম। এটি আরো তীব্র হয়ে ওঠে যখন কিনটন সরকার হোয়াইট হাউজে স্থায়ীভাবে ইসলামের প্রতীক চাঁদ-তারা পতাকা ওড়ায়। যেদিন ইসলামের এই পতাকা উত্তোলন করা হয়, পরের দিনই পতাকাটি হাইজ্যাক হয়ে যায়। মিডিয়ায় খবর ছড়িয়ে পড়লে পরের দিন আবার চাঁদ-তারা পতাকা শোভা পায়। আর মিডিয়া খোঁজ নিয়ে জানতে পারে, হোয়াইট হাউজ জানেই না কে বা কারা এ কাজটি করেছে। তাদের অগোচরে এটাও কি সম্ভব হতে পারে? একই যুক্তিতে বলা যায়, বিশ্বের শীর্ষ সুপার পাওয়ার যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থাকে ফাঁকি দিয়ে একসাথে চারটি বিমান ছিনতাই করে হামলা চালানো ক্ষুব্ধ আরব মুসলমানদের পে কোনো পরিস্থিতিতেই কি সম্ভব? এটা কি বিশ্বাস করা যায়? আফগান গুহায় বসে কিছু লোক এবং ১৯ জন বিমান ছিনতাইকারী বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়ে ‘নয়-এগারো’র মতো নজিরবিহীন ভয়াল সন্ত্রাসী হামলার এমন ঘটনা কখনো ঘটাতে পারে কি? এসব বিশ্বাসযোগ্য হওয়া তো দূরের কথা, কল্পকাহিনীকেও হার মানায়। তবুও যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি বর্ণনা এরকমই দেয়া হচ্ছে।
স্বাধীনতার পর থেকে দু’টি ধর্মীয় পতাকা হোয়াইট হাউজে ওঠানো হতো। দেখতে দেখতে মুসলমানদের সংখ্যা ইহুদিদের টপকিয়ে যেতে দেখা যায়। সিদ্ধান্ত হয়, এখন থেকে তিন ধর্মের পতাকা হোয়াইট হাউজে উড়বে। জন্স হপকিন্স যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষস্থানীয় মেডিক্যাল রিসার্চ ইউনিভার্সিটি। বাল্টিমোরে এর দু’টি ক্যাম্পাস। হোমউড ক্যাম্পাসের
লাইব্রেরির নিচ তলার দেয়ালে পরিবেশিত একটি নিউজ আমার নজরে পড়েছিল : প্রতি বছর যুক্তরাষ্ট্রে
এক শত হাজার মানুষ মানে এক লাখ ইসলাম গ্রহণ করছে। মিডিয়ায় দেখি : এই ধর্মান্তরিতদের
মধ্যে বেশির ভাগই মহিলা। এ সময় একটি বই হাতে পাই : ‘ডটার অব অ্যানাদার ওয়ে’। লিখেছেন একজন খ্রিষ্টান মা। বইটিতে বিবৃত হয়েছে লেখিকা মিসেস অ্যানওয়ের অভিজ্ঞতাসহ নিজ কন্যা ও আমেরিকান অন্যান্য নারীর মুসলমান হতে চাওয়ার কাহিনী।
আমার সাথে যেসব মহিলার কথা হয়েছে, তারা জানেনই না এরকম বই বাজারে আছে! এক মহিলা জানালেন, সবাই প্রশ্ন করে, কেন মুসলমান হলাম? আমিও ভাবছি এ সম্পর্কে বই লিখব। কিন্তু এরকম বই দেখছি বাজারে এসে গেছে। তিনি এক সৌদি ইঞ্জিনিয়ারকে বিয়ে করেছেন। সৌদি আরবেও গিয়েছেন। বললেন : সৌদি আরবে মহিলারা আমাদের মতো ইসলাম সম্পর্কে এত ভালো জ্ঞান রাখে না। মূলত এর কারণ হচ্ছে এখানে যারা মুসলমান হন, সব ধর্ম পড়াশোনা করে তার পরই ধর্মান্তরিত হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। ইন্টারনেটে একজন লিখেছেন : বইটি পেয়ে পড়ে দেখি, এ তো আমারই কথা। সাথে সাথে আব্বা-আম্মাকে কপি দিয়ে বলি, দেখ কেন আমি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছি। একজন আইরিশের সাথে পরিচয়, তিনি হিন্দু ধর্ম সম্পর্কে যতটা জানেন আমি তার মতো জানি না, যদিও আমার বাড়ি গোপালগঞ্জে হিন্দুপ্রধান এলাকায়। তিনি বললেন : সব ধর্মের তুলনামূলক পড়াশোনা করে তার পরে মুসলমান হয়েছি। বললেন, তার স্ত্রী তখনো খ্রিষ্টান থাকলেও জেনে শুনে পড়াশোনা করে অনেক পরে ইসলাম গ্রহণ করেছেন।
‘ডটার অব অ্যানাদার ওয়ে’ বইটি বিশ্বে বেশ সাড়া জাগায়। দেশে এসে এর বাংলা অনুবাদ ‘অন্য পথের কন্যারা’ দেখতে পাই।
বর্তমান দুনিয়ায় একটি অপ্রকাশিত বিষয় হচ্ছে : আগে বিশ্বের সবাই প্রধানত কমিউনিজম, পুঁজিবাদ ও সমাজতন্ত্র নিয়ে বিতর্ক, আলোচনায় মেতে থাকত। ঠাণ্ডা যুদ্ধের অবসানে দুনিয়াব্যাপী বর্তমানে কিন্তু জমে উঠেছে তুলনামূলক ধর্মের বিষয় বা বক্তব্য নিয়ে আলোচনা, পর্যালোচনা ও বিতর্ক। এ কারণে বিশ্বের সব দেশে দেখা যাচ্ছে ইসলামের প্রতি আকর্ষণ নাটকীয়ভাবে বেড়ে যাচ্ছেই।
পিউ রিসার্চ সেন্টার (Pew Research Center) যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক জনমত জরিপ পরিচালনাকরী একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান। তাদের গবেষণায় দেখা গেছে, এখন তুলনামূলকভাবে বিশ্বে দ্রুত বর্ধনশীল একমাত্র ধর্মবিশ্বাস হচ্ছে ইসলাম, যদিও বর্তমানে পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্ম হলো ইসলাম আর সবচেয়ে বেশি অনুসারী হলো খ্রিষ্টান ধর্মের।
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বুশের প্রতিদ্বন্দ্বী আল গোর
সে নির্বাচনের বিতর্ক প্রতিযোগিতাটি ছিল রোমাঞ্চকর। বিতর্কের একটি বিষয় থেকে এটা স্পষ্ট যে, পরবর্তীকালে কেন বুশ সেই বিতর্কিত ক্রুসেডের ঘোষক এবং নাইন-ইলেভেনের পরিকল্পক হলেন? প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী আল গোর ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে বেছে নিলেন গোঁড়া ইহুদি লিবারম্যানকে। বুশের কাছে স্পষ্ট হলো, ইহুদি সব ভোট অবশ্যই গোরের পাল্লায় যাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রে ইহুদি লবি খুবই সক্রিয় ও সুসংগঠিত। সে দেশে সাধারণত খ্রিষ্টান ভোট দুই ভাগে প্রায় সমানভাবে বিভক্ত হয়ে ভোটের ভারসাম্য বজায় রাখে দুই দলের মধ্যে। এতদিন ধরে দেখা যাচ্ছে, ইহুদি ভোট যে দিকে মোড় নেয়, তারাই বিজয়ের দিকে আগিয়ে থাকে । বুশ দেখলেন, কথা ঘুরিয়ে বললে সব মুসলমান ভোটারের ভোট অতি সহজে অনায়াসে পাওয়া যাবে। বিতর্কের সময় তিনি সরাসরি বললেন : ‘নিরাপত্তা আইনে সিক্রেট এভিডেন্সকে বৈষম্যমূলক মনে করি। ক্ষমতায় গেলে এটি বাতিল করব।’ জবাবে আল গোর বলেন : ‘আমি এটাকে বৈষম্যমূলক মনে করি না।’ এই লেখক তখন যুক্তরাষ্ট্রে বসে টিভিতে বিতর্কটির দর্শক ছিলেন।
মুসলমান ভোটারদের মনে হলো, বুশ তাদের পক্ষ নিয়েছেন। এই প্রথম মুসলমানেরা যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে জোটবদ্ধভাবে একদিকে ভোট প্রয়োগ করেন। এমনকি, বুশের পক্ষে সক্রিয়ভাবে নির্বাচনী প্রচারে জড়িয়েও পড়েন। শেষে ইহুদি লবির সাথে প্রতিযোগিতায় বিজয় ছিনিয়ে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়া হলো, মুসলমানরাও মার্কিন মাটিতে রাজনৈতিক শক্তি প্রদর্শনে সক্ষম। মুসলিম ভোট ব্যাংকের শক্তির মহড়াকে বরং দেখা হলো যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিতে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হিসেবে। প্রচারমাধ্যম এটা লুফে নিলো। ইনভেস্টরস বিজনেস ডেইলি এক নিবন্ধে লিখেছিল ‘আমেরিকান মুসলমানদের জন্য এটা ছিল বিজয়ের চেয়ে অনেক বেশি।’ ক্ষমতা পেয়ে বুশ অবশ্য তার কথা আদৌ রক্ষা করেননি, বরং কার্যত নাইন-ইলেভেনের রূপকার হলেন।
নাইন-ইলেভেনে মাত্র ১৫ মিনিটের ব্যবধানে দু’টি যাত্রীবাহী বিমান আছড়ে পড়েছিল নিউ ইয়র্কের বিশ্ববাণিজ্যকেন্দ্রে। অতঃপর আগুন, ধোঁয়া; তাসের ঘরের মতো দু’টি টাওয়ার ভেঙে পড়ে। ‘নয়-এগারো’র ভয়াল সন্ত্রাসী হামলার দশক পূর্তির পরও বিবিসি, রয়টার, এএফপি পরিবেশিত সংবাদে প্রশ্ন করা হলো : আসলে কী ঘটেছিল ২০০১-এর এই দিনে? সত্যিই কি আলকায়েদা মার্কিন শৌর্যে আঘাত হেনেছিল, নাকি সবই পাতানো?
যুক্তরাষ্ট্রের উটাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞানের অধ্যাপক স্টিভেন জোন্সের নেতৃত্বে ৭৫ জন শীর্ষস্থানীয় বুদ্ধিজীবীর অভিযোগ : নিউ ইয়র্ক ও পেন্টাগনে সে হামলা যাত্রীবাহী বিমানের নয়, এটা ছিল ‘ভেতর থেকেই’ সংঘটিত। নিউ ইয়র্ক টাইমস পত্রিকাকে অধ্যাপক স্টিভেন বলেন, ভেঙে পড়া টুইন টাওয়ারের ধ্বংসস্তূপ পরীক্ষার পর নিশ্চিত প্রমাণ পাওয়া গেছে সেখানে ভবন ধসিয়ে দেয়ার বিস্ফোরক ব্যবহারের।
কিউবার নেতা ফিদেল ক্যাস্ট্রোর মতে, ৯-১১ ঘটনাটি ছিল একটি ষড়যন্ত্র। পেন্টাগনে আসলে বিমান নয়, রকেট বা পেণাস্ত্র হামলা হয়েছিল। কারণ, বিমানের যাত্রীদের কোনো চিহ্ন খুঁজে পাওয়া যায়নি। তিনি বলেন, যাত্রী ও ক্রুদের মৃতদেহ পাওয়া যায়নি। মৃতদেহ পাওয়া গেলে উঘঅ পরীক্ষা করে অবশ্যই তাদের শনাক্ত করা হতো। জাতিসঙ্ঘের সাধারণ পরিষদের ৬৫তম অধিবেশনে ইরানের তদানীন্তন প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আহমাদিনেজাদ বলেন, ‘নয়-এগারো’ হামলা ছিল গোয়েন্দা সংস্থার জটিল দৃশ্যকল্প ও কর্মকাণ্ড। আর পেন্টাগনে যে বিমানটি হামলা করেছিল, তার ধ্বংসাবশেষের খোঁজ পাওয়া গেল না’ কিংবা আরোহীদের ছিন্নভিন্ন মৃতদেহের খোঁজ মিলল না কেন? একই দিনে আর একটি বিমান যুক্তরাষ্ট্রের একটি খেলার মাঠে বিধ্বস্ত হয়েছে বলে দাবি করা হলেও এর কোনো ধ্বংসাবশেষ পাওয়া যায়নি এ কথা উল্লেখ করে মাহাথির বলেন, বিমানটি কি শেষ পর্যন্ত হাওয়ায় মিলিয়ে গেল? মার্কিন গণমাধ্যম ‘৯-১১’ ঘটনা সম্পর্কে রহস্যজনক নীরবতা বজায় রাখে। এর উদ্দেশ্য কী?
বিশ্বকে ফাঁকি দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে নতুন কৌশলে চলমান রয়েছে বুশের সেই নাইন-ইলেভেন ক্রসেড।
সিএআইআরের মুখপাত্র উইলফ্রেডো আমর রুইজ আলজাজিরাকে জানিয়েছেন, ‘এই কর্মকাণ্ডটি এখন একটি শিল্পের রূপ নিয়েছে। ইসলাম-বিদ্বেষ ছড়ানোর এ কাজ থেকে লাখ লাখ টাকা উপার্জন করা হচ্ছে। তারা কখনো কখনো নিজেদের ইসলামি বিশেষজ্ঞ হিসেবে উপস্থাপন করছে।’ ‘তারা এমন একটি পরিবেশ সৃষ্টি করছে যেন, মুসলমানদের প্রতি অবিশ্বাস সৃষ্টি হয়। তারা আমেরিকানদের বোঝানোর চেষ্টা করছে যে, মুসলমানেরা আমেরিকান কমিউনিটির অংশ নয় এবং তারা আমেরিকার বিশ্বস্ত নাগরিকও নয়।’
তিনি বলছিলেন, এর দু’টি বিপজ্জনক দিক : একটি, ঘৃণা থেকে অপরাধ বৃদ্ধি করছে এবং অন্যটি হলো, মুসলমানদের বিপে আইন প্রয়োগ করা হচ্ছে।
লেখক : সাবেক পদার্থবিজ্ঞান শিক্ষক,
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
৯-১১-এর একটা গোপন স্যাটেলাইট ইমেজ রয়েছে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের কাছে। এমনটাই দাবি করলেন রাশিয়ান কূটনীতিকেরা। জানা গেছে, ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে জঙ্গি হামলার এমন এক ছবি তার কাছে রয়েছে যা দিয়ে প্রমাণ করা সম্ভব যে, কাজটা আসলে করিয়েছিল আমেরিকাই। এই ছবি প্রমাণ করবে, বিশ্বের ভয়ঙ্করতম জঙ্গি হামলার দায় আসলে মার্কিন প্রশাসন ও মার্কিন গোয়েন্দাদের। এমনটাই দাবি করেছে রাশিয়া। আরো দাবি করা হয়েছে, এই হামলার পুরো দায়ভার পড়ে বুশ প্রশাসনের ঘাড়ে। আর এই হামলায় ওসামা বিন লাদেনের লোকজনকে দাবার ঘুঁটি হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছিল মাত্র।
রহস্য উদঘাটন : কেন বুশ ৯-১১ সুপার ড্রামা মঞ্চস্থ করার পরিকল্পনা করেছিলেন?
তদানীন্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশের সুদূর পরিকল্পিত ৯-১১ সুপার ড্রামা মঞ্চস্থ হওয়ার প্রাক্কালে যুক্তরাষ্ট্রের মিডিয়ায় প্রচণ্ড তোলপাড় শুরু হয়ে যায় : [সর্বনাশ!] ইসলাম এ দেশে সবচেয়ে দ্রুত সম্প্রসারণশীল ধর্ম। এটি আরো তীব্র হয়ে ওঠে যখন কিনটন সরকার হোয়াইট হাউজে স্থায়ীভাবে ইসলামের প্রতীক চাঁদ-তারা পতাকা ওড়ায়। যেদিন ইসলামের এই পতাকা উত্তোলন করা হয়, পরের দিনই পতাকাটি হাইজ্যাক হয়ে যায়। মিডিয়ায় খবর ছড়িয়ে পড়লে পরের দিন আবার চাঁদ-তারা পতাকা শোভা পায়। আর মিডিয়া খোঁজ নিয়ে জানতে পারে, হোয়াইট হাউজ জানেই না কে বা কারা এ কাজটি করেছে। তাদের অগোচরে এটাও কি সম্ভব হতে পারে? একই যুক্তিতে বলা যায়, বিশ্বের শীর্ষ সুপার পাওয়ার যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থাকে ফাঁকি দিয়ে একসাথে চারটি বিমান ছিনতাই করে হামলা চালানো ক্ষুব্ধ আরব মুসলমানদের পে কোনো পরিস্থিতিতেই কি সম্ভব? এটা কি বিশ্বাস করা যায়? আফগান গুহায় বসে কিছু লোক এবং ১৯ জন বিমান ছিনতাইকারী বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়ে ‘নয়-এগারো’র মতো নজিরবিহীন ভয়াল সন্ত্রাসী হামলার এমন ঘটনা কখনো ঘটাতে পারে কি? এসব বিশ্বাসযোগ্য হওয়া তো দূরের কথা, কল্পকাহিনীকেও হার মানায়। তবুও যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি বর্ণনা এরকমই দেয়া হচ্ছে।
গত ১৬ বছরে ৯/১১ তিনটা জিনিস পরিষ্কার,
১) BLDG. # 7, সম্পুর্ণ controlled demolition, এটা এখন বিতর্কের উর্ধে।
২) কোন বিমান Pentagon কে আঘাত করেনি, ওটা ছিল missile, যা সবসময় আমেরিকার Air Force অথবা Navy এর নিয়ন্ত্রণে। তাছাড়া Pentagon এর কোন অংশে Renovation চলছে এটা বাইরের কারও জানার কথা না।
৩) Shanksville, Pennsylvania তে কোন বিমান ধ্বংস হয়নি, CNN, FoxNews, NBC কোন বিমানের ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পায়নি।
আমেরিকার সরকারের ভাষ্য অনুযায়ী এটা পরিষ্কার, ৯/১১ এ ইরাকীরা জড়িত ছিলোনা, কিন্তু WMD খুঁজার নাম করে প্রায় এক মিলিয়ন নির্দোষী মানুষকে নিধন করে ।
৯/১১ এর Victim পরিবারের সদস্যরা অনেক এগিয়েছেন, তাঁরা চাচ্ছেন চারজনকে আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড় করাবেনই, President George W. Bush, Vice-President Dick Chaney, Defense Secretary (Minister) Donald Rumsfeld and Deputy Secretary of Defense Paul
আমার সাথে যেসব মহিলার কথা হয়েছে, তারা জানেনই না এরকম বই বাজারে আছে! এক মহিলা জানালেন, সবাই প্রশ্ন করে, কেন মুসলমান হলাম? আমিও ভাবছি এ সম্পর্কে বই লিখব। কিন্তু এরকম বই দেখছি বাজারে এসে গেছে। তিনি এক সৌদি ইঞ্জিনিয়ারকে বিয়ে করেছেন। সৌদি আরবেও গিয়েছেন। বললেন : সৌদি আরবে মহিলারা আমাদের মতো ইসলাম সম্পর্কে এত ভালো জ্ঞান রাখে না। মূলত এর কারণ হচ্ছে এখানে যারা মুসলমান হন, সব ধর্ম পড়াশোনা করে তার পরই ধর্মান্তরিত হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। ইন্টারনেটে একজন লিখেছেন : বইটি পেয়ে পড়ে দেখি, এ তো আমারই কথা। সাথে সাথে আব্বা-আম্মাকে কপি দিয়ে বলি, দেখ কেন আমি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছি। একজন আইরিশের সাথে পরিচয়, তিনি হিন্দু ধর্ম সম্পর্কে যতটা জানেন আমি তার মতো জানি না, যদিও আমার বাড়ি গোপালগঞ্জে হিন্দুপ্রধান এলাকায়। তিনি বললেন : সব ধর্মের তুলনামূলক পড়াশোনা করে তার পরে মুসলমান হয়েছি। বললেন, তার স্ত্রী তখনো খ্রিষ্টান থাকলেও জেনে শুনে পড়াশোনা করে অনেক পরে ইসলাম গ্রহণ করেছেন।
‘ডটার অব অ্যানাদার ওয়ে’ বইটি বিশ্বে বেশ সাড়া জাগায়। দেশে এসে এর বাংলা অনুবাদ ‘অন্য পথের কন্যারা’ দেখতে পাই।
বর্তমান দুনিয়ায় একটি অপ্রকাশিত বিষয় হচ্ছে : আগে বিশ্বের সবাই প্রধানত কমিউনিজম, পুঁজিবাদ ও সমাজতন্ত্র নিয়ে বিতর্ক, আলোচনায় মেতে থাকত। ঠাণ্ডা যুদ্ধের অবসানে দুনিয়াব্যাপী বর্তমানে কিন্তু জমে উঠেছে তুলনামূলক ধর্মের বিষয় বা বক্তব্য নিয়ে আলোচনা, পর্যালোচনা ও বিতর্ক। এ কারণে বিশ্বের সব দেশে দেখা যাচ্ছে ইসলামের প্রতি আকর্ষণ নাটকীয়ভাবে বেড়ে যাচ্ছেই।
পিউ রিসার্চ সেন্টার (Pew Research Center) যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক জনমত জরিপ পরিচালনাকরী একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান। তাদের গবেষণায় দেখা গেছে, এখন তুলনামূলকভাবে বিশ্বে দ্রুত বর্ধনশীল একমাত্র ধর্মবিশ্বাস হচ্ছে ইসলাম, যদিও বর্তমানে পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্ম হলো ইসলাম আর সবচেয়ে বেশি অনুসারী হলো খ্রিষ্টান ধর্মের।
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বুশের প্রতিদ্বন্দ্বী আল গোর
সে নির্বাচনের বিতর্ক প্রতিযোগিতাটি ছিল রোমাঞ্চকর। বিতর্কের একটি বিষয় থেকে এটা স্পষ্ট যে, পরবর্তীকালে কেন বুশ সেই বিতর্কিত ক্রুসেডের ঘোষক এবং নাইন-ইলেভেনের পরিকল্পক হলেন? প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী আল গোর ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে বেছে নিলেন গোঁড়া ইহুদি লিবারম্যানকে। বুশের কাছে স্পষ্ট হলো, ইহুদি সব ভোট অবশ্যই গোরের পাল্লায় যাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রে ইহুদি লবি খুবই সক্রিয় ও সুসংগঠিত। সে দেশে সাধারণত খ্রিষ্টান ভোট দুই ভাগে প্রায় সমানভাবে বিভক্ত হয়ে ভোটের ভারসাম্য বজায় রাখে দুই দলের মধ্যে। এতদিন ধরে দেখা যাচ্ছে, ইহুদি ভোট যে দিকে মোড় নেয়, তারাই বিজয়ের দিকে আগিয়ে থাকে । বুশ দেখলেন, কথা ঘুরিয়ে বললে সব মুসলমান ভোটারের ভোট অতি সহজে অনায়াসে পাওয়া যাবে। বিতর্কের সময় তিনি সরাসরি বললেন : ‘নিরাপত্তা আইনে সিক্রেট এভিডেন্সকে বৈষম্যমূলক মনে করি। ক্ষমতায় গেলে এটি বাতিল করব।’ জবাবে আল গোর বলেন : ‘আমি এটাকে বৈষম্যমূলক মনে করি না।’ এই লেখক তখন যুক্তরাষ্ট্রে বসে টিভিতে বিতর্কটির দর্শক ছিলেন।
মুসলমান ভোটারদের মনে হলো, বুশ তাদের পক্ষ নিয়েছেন। এই প্রথম মুসলমানেরা যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে জোটবদ্ধভাবে একদিকে ভোট প্রয়োগ করেন। এমনকি, বুশের পক্ষে সক্রিয়ভাবে নির্বাচনী প্রচারে জড়িয়েও পড়েন। শেষে ইহুদি লবির সাথে প্রতিযোগিতায় বিজয় ছিনিয়ে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়া হলো, মুসলমানরাও মার্কিন মাটিতে রাজনৈতিক শক্তি প্রদর্শনে সক্ষম। মুসলিম ভোট ব্যাংকের শক্তির মহড়াকে বরং দেখা হলো যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিতে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হিসেবে। প্রচারমাধ্যম এটা লুফে নিলো। ইনভেস্টরস বিজনেস ডেইলি এক নিবন্ধে লিখেছিল ‘আমেরিকান মুসলমানদের জন্য এটা ছিল বিজয়ের চেয়ে অনেক বেশি।’ ক্ষমতা পেয়ে বুশ অবশ্য তার কথা আদৌ রক্ষা করেননি, বরং কার্যত নাইন-ইলেভেনের রূপকার হলেন।
নাইন-ইলেভেনে মাত্র ১৫ মিনিটের ব্যবধানে দু’টি যাত্রীবাহী বিমান আছড়ে পড়েছিল নিউ ইয়র্কের বিশ্ববাণিজ্যকেন্দ্রে। অতঃপর আগুন, ধোঁয়া; তাসের ঘরের মতো দু’টি টাওয়ার ভেঙে পড়ে। ‘নয়-এগারো’র ভয়াল সন্ত্রাসী হামলার দশক পূর্তির পরও বিবিসি, রয়টার, এএফপি পরিবেশিত সংবাদে প্রশ্ন করা হলো : আসলে কী ঘটেছিল ২০০১-এর এই দিনে? সত্যিই কি আলকায়েদা মার্কিন শৌর্যে আঘাত হেনেছিল, নাকি সবই পাতানো?
যুক্তরাষ্ট্রের উটাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞানের অধ্যাপক স্টিভেন জোন্সের নেতৃত্বে ৭৫ জন শীর্ষস্থানীয় বুদ্ধিজীবীর অভিযোগ : নিউ ইয়র্ক ও পেন্টাগনে সে হামলা যাত্রীবাহী বিমানের নয়, এটা ছিল ‘ভেতর থেকেই’ সংঘটিত। নিউ ইয়র্ক টাইমস পত্রিকাকে অধ্যাপক স্টিভেন বলেন, ভেঙে পড়া টুইন টাওয়ারের ধ্বংসস্তূপ পরীক্ষার পর নিশ্চিত প্রমাণ পাওয়া গেছে সেখানে ভবন ধসিয়ে দেয়ার বিস্ফোরক ব্যবহারের।
কিউবার নেতা ফিদেল ক্যাস্ট্রোর মতে, ৯-১১ ঘটনাটি ছিল একটি ষড়যন্ত্র। পেন্টাগনে আসলে বিমান নয়, রকেট বা পেণাস্ত্র হামলা হয়েছিল। কারণ, বিমানের যাত্রীদের কোনো চিহ্ন খুঁজে পাওয়া যায়নি। তিনি বলেন, যাত্রী ও ক্রুদের মৃতদেহ পাওয়া যায়নি। মৃতদেহ পাওয়া গেলে উঘঅ পরীক্ষা করে অবশ্যই তাদের শনাক্ত করা হতো। জাতিসঙ্ঘের সাধারণ পরিষদের ৬৫তম অধিবেশনে ইরানের তদানীন্তন প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আহমাদিনেজাদ বলেন, ‘নয়-এগারো’ হামলা ছিল গোয়েন্দা সংস্থার জটিল দৃশ্যকল্প ও কর্মকাণ্ড। আর পেন্টাগনে যে বিমানটি হামলা করেছিল, তার ধ্বংসাবশেষের খোঁজ পাওয়া গেল না’ কিংবা আরোহীদের ছিন্নভিন্ন মৃতদেহের খোঁজ মিলল না কেন? একই দিনে আর একটি বিমান যুক্তরাষ্ট্রের একটি খেলার মাঠে বিধ্বস্ত হয়েছে বলে দাবি করা হলেও এর কোনো ধ্বংসাবশেষ পাওয়া যায়নি এ কথা উল্লেখ করে মাহাথির বলেন, বিমানটি কি শেষ পর্যন্ত হাওয়ায় মিলিয়ে গেল? মার্কিন গণমাধ্যম ‘৯-১১’ ঘটনা সম্পর্কে রহস্যজনক নীরবতা বজায় রাখে। এর উদ্দেশ্য কী?
বিশ্বকে ফাঁকি দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে নতুন কৌশলে চলমান রয়েছে বুশের সেই নাইন-ইলেভেন ক্রসেড।
সিএআইআরের মুখপাত্র উইলফ্রেডো আমর রুইজ আলজাজিরাকে জানিয়েছেন, ‘এই কর্মকাণ্ডটি এখন একটি শিল্পের রূপ নিয়েছে। ইসলাম-বিদ্বেষ ছড়ানোর এ কাজ থেকে লাখ লাখ টাকা উপার্জন করা হচ্ছে। তারা কখনো কখনো নিজেদের ইসলামি বিশেষজ্ঞ হিসেবে উপস্থাপন করছে।’ ‘তারা এমন একটি পরিবেশ সৃষ্টি করছে যেন, মুসলমানদের প্রতি অবিশ্বাস সৃষ্টি হয়। তারা আমেরিকানদের বোঝানোর চেষ্টা করছে যে, মুসলমানেরা আমেরিকান কমিউনিটির অংশ নয় এবং তারা আমেরিকার বিশ্বস্ত নাগরিকও নয়।’
তিনি বলছিলেন, এর দু’টি বিপজ্জনক দিক : একটি, ঘৃণা থেকে অপরাধ বৃদ্ধি করছে এবং অন্যটি হলো, মুসলমানদের বিপে আইন প্রয়োগ করা হচ্ছে।
লেখক : সাবেক পদার্থবিজ্ঞান শিক্ষক,
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
Subscribe to:
Posts (Atom)