Monday, September 13, 2021

প্রমান মিলছেঃ বুশ স্বয়ং 9/ 11 ঘটিয়েছিলেন- কিন্ত কেন?

প্রমান মিলছেঃ বুশ  স্বয়ং 9/ 11  ঘটিয়েছিলেন- কিন্ত কেন?
নাইন-ইলেভেন নাটকের  সিক্রেট আসল  ইতিহাসঃ-ঐতিহাসিক  যে ভীষণ  জরুরী  রাজনৈতিক  বাস্তবতায় বুশ   9/ 11  ঘটিয়েছিলেন-কেন?
বুশের নাইন-ইলেভেনের ঐতিহাসিক নাটক মঞ্চস্থের পর সমগ্র দুনিয়ায় কিন্ত এর মিশ্র প্রতিক্রিয়া পরিলক্ষিত হতে দেখা যায়।   নয় এগারোর ঘটনার ১৫ তম বার্ষিকী উপলক্ষে (ইএসআই)- ইউরোপিয়ান সায়েন্টিফিক ইন্সটিটিউটের প্রকাশনা 'ইউরোপিয়ান সায়েন্টিফিক জার্নাল' এ প্রকাশিত  হয় : 'অব্যাহত নানা অনুসন্ধানের ফলাফলে দেখা যাচ্ছে যে মার্কিন বিশ্ব বাণিজ্য কেন্দ্রের টুইন টাওয়ার্স ধ্বংস করা হয়েছিল নিয়ন্ত্রিত ধ্বংস-প্রক্রিয়ার মাধ্যমে। '  
এটা এখন প্রমানিত/ প্রতিপ্ষ্ঠিত  সত্য  যে, Building #7- ৪৭ তালা ভবন- কোন বিমান আঘাত করেনি অথচ পরিষ্কার ওটা ছিল controlled demolition, Free Fall.
# # বাস্তব   ঘটনা প্রবাহের  বিচারে/ আলোকে দেখা যেতে পারে- কেন স্বয়ং  প্রেসিডেন্ট  বুশই  টুইন টাওয়ার ধবংশের   রুপ রেখা  প্রনয়নের ঐতিহাসিক  দায়িত্ব  গ্রহণ  করে তা বাস্তবায়িত  করেছিলেনঃ-
     প্রকৃত সত্য উদ্ঘাটন আসলে  কিন্ত  কেবল মাত্র বুশের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন প্রক্রিয়া গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণ করলেই   পরিষ্কার  ধরা পড়বেঃ  বুশ কেন, কি স্বার্থ হাসিলের প্রত্যাশায় ৯/১১ নাটক বিশ্বকে উপহার দিলেন? আসল  সত্যটা জানলে সবাই  কিন্ত একেবারেই স্তম্ভিত হবেন! 
    আমেরিকার স্বাধীনতা প্রাপ্তির সময় জনসংখ্যার বেশির ভাগ ছিল খ্রিষ্টান। এরপর ছিল ইহুদি। অন্যান্য ধর্মের লোক আনুপাতিকভাবে উল্লেখযোগ্য ছিল না। সরকারিভাবে তখন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়, খ্রিষ্টান ও ইহুদি এই দুই ধর্মের পতাকা হোয়াইট হাউজের আকাশে স্থান পাবে।  দেখতে দেখতে ধারাবাহিকভাবে মুসলিমদের সংখ্যা (ভোট!)  ইহুদিদের টপকাতে শুরু  করে।  ফলশ্রুতিতে  হোয়াইট হাউজে ক্লিনটনের সময় থেকে ইসলামের পতাকাও স্থান করে নেয়।
  ভুলে গেলে চলবেনা- ইতিহাসের এই সন্ধিক্ষনে বুশের  নির্বাচন  অনুষ্ঠিত  হয়। আর একই সাথে  ধারাবাহিকভাবে  ইহুদি   ভোট   ব্যাঙ্কের সাথে পাল্লা দিয়ে  বাড়ে কিন্ত মুসলিম ভোটও।  এর আগে সব নি্বাচনে  খ্রিস্টান   ভোট দু দলের মধ্যে  অনেকটা প্রায়  সমান  ভাবে একেবারে যেন কাছাকাছি  আকারে দুভাগ হতে দেখা যেত। বিশাল   খ্রিস্টান জনসংখ্যার কারনে    দুদলের মধ্যে  সে জন্য  সর্বদা   প্রতিযোগিতা  করতে  দেখা  যেত   সব ইহুদি ভোট  যে কোন ভাবে নিজদের পাল্লায়  পেতে। তুলনামুলক বিচারে  এই                 সংখ্যাটা অতি নগণ্য দেখা গেলেও হাডডা  হাডিড কঠিন প্রতিযোগিতায়  এই অতিরিক্ত ভোট এক দিকে গেলে  জয় পরাজয় নি্ধারণ   করতে  বিশেষ ভুমিকা রাখে কিন্ত।  সময়ের  পরিক্র মায়    নতুন  এক   পরিবেশের উদ্ভব  হয়। ফলে  বুশ নি্বাচনে ইহুদিদের সব ভোট থেকে বঞ্চিত  হন।   আমেরিকার ইতিহাসে এবারই প্রথম কোনো ইহুদি (অখ্রিষ্টান) হোয়াইট হাউজের একটি গুরুত্বপূর্ণ  পদে(ভাইস প্রেসিডেন্ট)   নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন। স্পষ্টতঃ বাস্তবতা হচ্ছে আল্ গোরের প্যানেলই কেবলমাত্র  শুধু সব ইহুদী ভোটই   পেতে  যাচ্ছে না-বরং সেই সাথে ইহুদি লবি সর্বশক্তি দিয়ে এই প্যানেলকে জেতাবার জন্য কাজ করবে। কেননা এই প্যানেলে ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রার্থী আমেরিকার  ইতিহাসে প্রথম- একজন ইহুদী। উদ্ভুত পরিস্থিতির সার্বিক বিবেচনায়, বুশ জয়ের বিকল্প পথ হিসেবে  প্রত্যক্ষভাবেই কিন্ত মুসলমানদের  দ্বারস্থ হন। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে এই প্রথম একজন প্রার্থী জাতীয় বিতর্কের সময়ে কোন রকম লুকোচুরি  না করে একেবারে  সরাসরি  খোলামেলা  ভাবে  আমেরিকান মুসলমানদের কাছে  অত্যন্ত  সাহসের সাথেই সুকৌশলে ভোট   চান।  কি ভাবে?.... সেই সময়ে আমেরিকান মুসলমানদের প্রাণের একমাত্র দাবি ছিল, জননিরাপত্তা আইনে সংযুক্ত ‘সিক্রেট এভিডেন্স’ রহিত করন।  ঐতিহাসিকভাবে আইনটি উদ্দেশ্যমূলকভাবে সংযুক্ত হয়েছিল মুসলমানদেরকে সামাজিকভাবে কোণঠাসা ও জব্দ করার মানসে। এই সিক্রেট এভিডেন্সের দোহাই দিয়ে বা এর ফাঁকফোকড়  উদ্ভাবন  করে শুধু মুসলিম সম্প্রদায়ের লোকদের জেলে পাঠানো হতো। বুশ দেখলেন, এ বিষয়ে কথা বললে সব মুসলিম ভোটারের ভোট অতি সহজে, অনায়াসে পাওয়া যাবেই । প্রেসিডেন্ট   প্রাথীদের   জাতীয়  বিতর্কের সময় তিনি অতি গুরুত্ব দিয়ে রাখ ঢাক না  রেখে সরাসরি খোলাখুলিভাবেই  মত প্রকাশ  করেন: ‘নিরাপত্তা আইনে সিক্রেট এভিডেন্সকে discriminatory(বৈষম্যমূলক) মনে করি। ক্ষমতায় গেলে এটি বাতিল করব।' জবাবে    প্রেসিডেন্ট  প্রা্থী   আল গোর বলেন :‘আমি এটাকে বৈষম্যমূলক মনে করি না।’ [লেখক   যুক্তরাষ্ট্রে টিভিতে লাইভ বিতর্ক   দর্শক।]                                     
  আমেরিকান মুসলিম ভোটারদের সবারই মনে হলো, বুশ তাদের পক্ষ নিয়েছেন। ফলে এই প্রথম  সেখানকার  সব মুসলমানরা যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে দরজায় কড়া নেড়ে  জোটবদ্ধভাবে একদিকে/ এক পাল্লায় ভোট প্রয়োগ করেন। আগে বিতর্ক ছিল, এদেশে ভোটে  অংশ নিবে কিনা বা এখানে ভোট প্রদান  জায়েজ কিনা? সার্বিক পরিস্থিতি এবং বুশের আশ্বাস সবকিছুই কিন্ত  ওলট পালট  করে  দিলো। এমনকি বুশের পক্ষে সক্রিয়ভাবে নির্বাচনী প্রচারে  কার্যত জড়িয়েও পড়েন আমেরিকান মুসলমানরা ।   নিজেদের   প্রা্থীর   জয়ে্র   প্রয়োজনে      ইহুদি  লবির  প্রানপন  প্রচেষ্টা  সত্ত্বেও  শেষে ইহুদি লবির সাথে প্রতিযোগিতায় বিজয় ছিনিয়ে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেন; মুসললমানরা ও মার্কিন মাটিতে একটি  শক্তি। মুসলিম ভোট ব্যাংকের শক্তির মহড়া কে বরং দেখা হলো যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিতে বড় ধরনের  অশনি   সংকেত  বা  চ্যালেঞ্জ হিসেবে। প্রচারমাধ্যম এটা লুফে নিলো। ইনভেস্টরস বিজিনেস ডেইলি এক নিবন্ধে লিখে ‘আমেরিকান মুসলমানদের জন্য এটা ছিল বিজয়ের চেয়ে অনেক বেশি।’ [যেন বুশের নয় বিজয়টা আমেরিকার মুসলমানদের!] । ক্ষমতায় যেয়ে বুশ অবশ্য তার কথা আদৌ রক্ষা করেননি বরং কার্যত  বাস্তবতা হচ্ছেঃ  নাইন ইলেভেনেরই রুপকার হলেন যাতে আমেরিকার রাজনীতিতে মুসলমানদের ভুমিকা অদূর ভবিষ্যতে চিরতরে নির্মূল করা যায়। নাইন-ইলেভেনে মাত্র ১৫ মিনিটের ব্যবধানে দু’টি যাত্রীবাহী বিমান আছড়ে পড়েছিল নিউ ইয়র্কের বিশ্ববাণিজ্য কেন্দ্রে। অতঃপর আগুন, ধোঁয়া; তাসের ঘরের মতো দু’টি টাওয়ার ভেঙে পড়ে।
       ‘নয়-এগারো’র ভয়াল সন্ত্রাসী হামলার দশক পূর্তির পরেও বিবিসি, রয়টার, এএফপি পরিবেশিত সংবাদে প্রশ্ন করা হলো : আসলে কী ঘটেছিল ২০০১-এর এই দিনে? সত্যিই কি আলকায়েদা মার্কিন শৌর্যে আঘাত হেনেছিল, নাকি সবই পাতানো?
       কানাডার দি গেজেট পত্রিকায় ডেভিড গোল্ডস্টেইন টুইন টাওয়ার ধ্বংসের জন্য খোদ বুশকে দায়ী করে একাধিক বাস্তবসম্মত যুক্তি দিয়ে বলেছেন এ কাজ কোনোভাবেই বিন লাদেনকে দিয়ে সম্ভব নয়।                           
       ঘটনা প্রবাহ বিশ্লেষণে সামগ্রিকভাবে গত দুই দশকে  বিশ্ববাসীর কাছে যে জিনিষ গুলো বাস্তবে একেবারেই    দিবালোকের মত  এখন  সম্পূর্ণ পরিষ্কারঃ 
    # কোন বিমান Pentagon কে আঘাত করেনি, ওটা ছিল missile, যা সবসময় আমেরিকার Air Force অথবা Navy এর নিয়ন্ত্রণে। তাছাড়া Pentagon এর কোন অংশে Renovation চলছে এটা বাইরের কারও জানার কথা না।
    # Building #7- ৪৭ তালা ভবন, কোন বিমান আঘাত করেনি অথচ পরিষ্কার ওটা ছিল controlled demolition, Free Fall.
# বিমানের আঘা্তে   চূড়া ভেঁঙ্গে যে ভাবে Free Fall  দেখানো হয়েছে এটা সম্পূর্ণই কিন্ত   পদার্থবিঙ্গানের   সুত্র  বিরোধী।
  #একটা ৪৭ তালা বিল্ডিং যদি আগুনে পোড়ে সরকারের ভাষ্য অনুযায়ী তাহলে তা এবরো থেবরো অবস্থায় ভেঁঙ্গে পড়বে। কেন তা Free Fall হবে? Free Fall একমাত্র control demolition এই সম্ভব। আর control demolition করতে কয়েক মাসের precise calculation এর প্রয়োজন। Central column গুলোকে প্রথমে ভাংতে হয় তাহলে আঁশে পাশের building এর ক্ষতি হবে না। ঠিক এমনটি  করা হয়েছিল building  7 এর সেই  9/11 এ।
#   পেন্টাগনে যাত্রীবাহী বিমান ধংসের যাত্রীদের মালামাল আর মৃতদেহের কোন প্রমানই  সরকার দেখাতে পারেনি।
#  আর  Shanksville, Pennsylvania-তেও কোন যাত্রীবাহী বিমান ধ্বংসের নমুনা CNN, ABC, FOXNEW তুলে ধরতে পারেনি।
# যুক্তরাষ্ট্রের উটাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞানের অধ্যাপক স্টিভেন জোন্সের নেতৃত্বে ৭৫ জন শীর্ষস্থানীয় বুদ্ধিজীবীর অভিযোগ নিউইয়র্ক ও পেন্টাগনে সে হামলা যাত্রীবাহী বিমানের নয়, এটা ছিল ভেতর থেকেই সংঘটিত। নিউ ইয়র্ক টাইমস পত্রিকাকে অধ্যাপক স্টিভেন বলেন, ভেঙে পড়া টুইন টাওয়ারে ধ্বংসস্তূপ পরীক্ষার পর নিশ্চিত প্রমাণ পাওয়া গেছে সেখানে ভবন ধসানোর বিস্ফোরক ব্যবহারের।  জোন্স বলেন, আফগান গুহায় বসে কিছু লোক এবং ১৯ জন বিমান ছিনতাইকারী এমন ঘটনা ঘটিয়েছে বলে আমরা মনে করি না। সরকারের এই তত্ত্বের বিরুদ্ধে আমরা চ্যালেঞ্জ করছি।
# কথিত  ১৯ জন বিমান ছিনতাইকারীর কারোরই  এই প্রকার বিমান চালানোর পুর্বের কো্ন  দক্ষতা  বা অভিজ্ঞতা  কিন্তূ একদম  ছিলনা। ৪টি বিমান ছিনতাই  করে দেড় ঘণ্টা ধরে  বে আইনী ভাবে  ওয়াশিংটন ডিসিতে ১০০  মাইলের মত  প্থ  পাড়ি দিলেও    বিমান বাহিনী কোন রকম হস্তক্ষেপ  কেন করেনা?
# ৩,৩২৫ জন আরকিটেকট এবং ইঞ্জিনিয়ার আমেরিকার কংগ্রেস ও সিনেট সদস্যদের কাছে  আবেদন জানিয়েছিলেন 9/11 Truth উৎঘাটনের জন্যেঃTo the Members of the House of Representatives and of the Senate of the United States of America,PLEASE TAKE NOTICE THAT:On Behalf of the People of the United States of America, the undersigned Architects and Engineers for 9/11 Truth and affiliates hereby petition for, and demand, a truly independent investigation with subpoena power in order to uncover the full truth surrounding the events of 9/11/01 — specifically the collapses of the World Trade Center Towers and Building 7. We believe there is sufficient doubt about the official story and therefore the 9/11 investigation must be re-opened and must include a full inquiry into the possible use of explosives that might have been the actual cause of the destruction of the World Trade Center Twin Towers and Building 7. Architect and Engineer Signatories: 3,325
#৩,৩২৫ জন আরকিটেকট এবং ইঞ্জিনিয়ারের আবেদনে কোন সাড়া দেয়নি  সরকার। 
@@ Here is the DNA evidence of the truth of 9/11. 
If you have the semiotic/epistemic eye, you can see what is signified by this phenomenon.  The video shows the hardest materials--i.e., the half a million tons of finest concrete and more than 200,000 tons of best quality steel--'vaporized' (burned into 'ashes') in a matter of seconds but the papers of the so-called 'burned down' building remained littering and flying around. 
So we're told that jet fuel fires have turned the WTC towers into 'ashes' but magically or miraculously the fires forgot to burn the papers. 
If we believe in this magic or miracle, then must check our epistemology.   What we are being treated like infants, with a pure fairy tale of the horrors of 9/11.
#টুইন টাওয়ার হামলার প্রায় দুবছর আগে ভাগে ট্রাম্প তার বইতে (‘The America We Deserve’প্রকাশিত জানুয়ারি ২০০০) Nostrodomas এর মত ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন~~ ও সামা বিন লাদেন টুইন টাওয়ারে হামলা চালাবেন।                        US Presidential hopeful Donald Trump "warned" of the horrific September 11 attack on the World Trade Center in a book published less than two years before the world's worst terror strikes happened, it is being claimed. By JON AUSTIN PUBLISHED: 03:42, Tue, Feb 23, 2016 |                                    
ট্রাম্প ইতিহাসে তাই নাম লিখালেন /হয়ে  গেলেন কিন্ত ‘মডার্ন ডে নসটডোমাস {Nostrodomas}’ হিসাবে। Alex Jenes Radio Show সাক্ষাতকারে ট্রাম্প বলেছিলেন, “আমি ওই বইতে বলেছি, আমাদের সতর্ক থাকতে হবে এই ব্যাক্তি ওসামা বিন লাদেন সম্পর্কে।’’ঘটনা প্রবাহ বিশ্লেষণে সামগ্রিকভাবে দেখা যায় আসলে টুইন টাওয়ারে হামলা ছিল আভ্যন্তরীণ বিষয় (পরিকল্পনা) মাত্র।বুশ এটি বাস্তবায়ন  করেছিলেন মাত্র। 
# কানাডার দি গেজেট পত্রিকায় ডেভিড গোল্ডস্টেইন টুইন টাওয়ার  ধবংশে র জন্য খোদ বুশকে দায়ী করে একাধিক বাস্তবসম্মত যুক্তি দিয়ে বলেছেন এ কাজ কোনোভাবেই বিন লাদেনকে দিয়ে সম্ভব নয়।

Sunday, September 12, 2021

আজকের বিজ্ঞান ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তি কী?

আজকের বিজ্ঞান ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তি কী?
                                   মুহাম্মাদ আলীরেজা। নয়া দিগন্তঃ রবিবার,২১ মে ২০১৭
আরবিতে‘জুমলাহ’অর্থবাক্যহলেও দুনিয়ার সব মুসলমান কুরআন পাকের বাক্যকে বাক্য (জুমলাহ) না বলে আয়াত বলে থাকে। আসলে আয়াত অর্থ নিদর্শন।যুক্তরাষ্ট্রের একটি সর্বাধিক বিক্রীত বই হচ্ছে,ক্যারেন আর্মস্ট্রংয়ের ‘অ্যা হিস্ট্রি অব গড’। এতে বর্ণিত হয়েছে,‘কুরআন পাকে সব সময়ই বিশেষভাবে গুরুত্বারোপ করা হয়েছে আল্লাহ পাকের নিদর্শন বা বাণীর (আয়াত) রহস্য উদঘাটনের বিষয়কে আর এ কারণেই ইসলামের অনুসারীরা যুক্তি ও কারণকে এড়িয়ে না গিয়ে গভীর মনোযোগ এবং বিশেষকৌতূহলের সাথে পৃথিবীর সব কিছুকে পর্যবেক্ষণ করছে।এই মনোভাব ও দৃষ্টিভঙ্গির ফলে পরে দেখা যায় প্রাকৃতিক বিজ্ঞানে (ন্যাচারাল সায়েন্স) মুসলমানদের এক উৎকৃষ্ট ঐতিহ্য গড়ে উঠেছে, যা কখনো বিজ্ঞানের সাথে ধর্মের বিরোধ বা সংঘর্ষ ঘটায়নি।অথচ খ্রিষ্টান ধর্মে সেটা দেখা গেছে।’
           ‘মুহাম্মাদ দ্য প্রফেট অব ইসলাম’গ্রন্থে প্রফেসর রাও লিখেছেন, "কুরআন পাকে যতগুলো আয়াত মৌলিক ইবাদত সম্পর্কিত তার চেয়ে অনেক বেশি সেই সম্পর্কিত আয়াত যেখানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে প্রকৃতি বা সৃষ্টিরহস্য নিয়ে গভীরভাবে চিন্তাভাবনা, পর্যবেক্ষণ ও অনুসন্ধানের। আরবীয় মুসলমানেরা এইপ্রেরণায় প্রকৃতির রহস্য নিয়ে নিয়মিত পর্যবেক্ষণ শুরু করে দিয়েছিলেন, যেটা বর্তমান সময়ের বৈজ্ঞানিক পর্যবেক্ষণ, পরীক্ষা ও গবেষণার মূলনীতির ভিত্তি নির্মাণ করে, যা অজ্ঞাত ছিল গ্রিকদের কাছে।'' এটা কি ভাবে সম্ভব হয়েছে-পবিত্র কোরআন সরাসরিভাবেই বলছেঃ "যারা দাঁড়িয়ে, বসে ও শুয়ে আল্লাহকে স্মরণ করে এবং আসমান ও জমিনের সৃষ্টি নিয়ে‏ গবেষণা করে, (তাঁরা বলে) হেআমাদের প্রভু, আপনি এসব কিছুই অনর্থক সৃষ্টি করেননি। সকল পবিত্রতা আপনার-ই। আমাদেরকে আপনি দোযখের আগুন থেকে রক্ষা করুন"।[সূরাআলেইমরান,১৯১]
  আসল কথা হচ্ছেঃবাস্তবে কিন্ত প্রকৃতির সব কিছুই আল্লাহর নিদর্শন; যেমন বায়ু, পানি, গাছপালা, মাটি, প্রাণী, সমুদ্র, পাহাড় এবং আরো কত অগণিত জিনিস। এসবই আল্লাহ পাকের বিশেষ উপহার। এগুলোর কোনো কিছুই মানুষ বানাতে পারে না, তেমনি কিন্ত কুরআন পাকের কোনো বাক্যের সমতুল্য কোনো বাক্যও মানুষের পক্ষে বানানো সম্ভব হয়নি বা নয়। জগতের সব মুসলমান কুরআনের বাক্যকে শুধু ‘বাক্য’ না বলে এ কারণে ‘আয়াত’(আল্লাহ পাকের নিদর্শন) বলে অভিহিত করেন বলে উল্লেখ করেছেন ক্যারেন আর্মস্ট্রং তার বই ‘অ্যা হিস্ট্রি অব গড’এ; বইটি আমেরিকায় সর্বাধিক পঠিত বইয়ের মধ্যে তালিকাভুক্ত। আজকের বিজ্ঞানের উদ্ভাবক একটি ধর্ম, এই ঐতিহাসিক রেকর্ডটি সংরক্ষিত রয়েছে ওয়াশিংটন ডিসিতে অবস্থিত বিশ্বের সবচেয়ে বড় পাঠাগার ‘লাইব্রেরি অব কংগ্রেস’-এ।আসলে ঐতিহাসিকভাবে আদিতে বিজ্ঞান বলতে শুধু পদার্থবিজ্ঞানকে বোঝানো হতো। বর্তমানেও পদার্থবিজ্ঞানের সূত্র, তত্ত্ব এবং আবিষ্কৃত কলকব্জা ও যন্ত্রপাতি ব্যতিরেকে বিজ্ঞানের অপরাপর শাখাগুলো হয় ‘ভোঁতা’, না হয় নিষ্প্রাণ হয়ে পড়বে। বিদ্যুৎ, বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি, কম্পিউটার, রোবট, ইন্টারনেট অর্থাৎ দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহৃত সব কিছু প্রত্যক্ষ অথবা পরোক্ষভাবে পদার্থবিজ্ঞানেরই ফসল বা অবদান।                         প্রাণ পদার্থবিজ্ঞান, ভূপদার্থবিজ্ঞান, মহাকাশ পদার্থবিজ্ঞান ইত্যাদি হরেকরকম নামকরণ থেকে সহজেই ধারণা করা যায়, মূল বিজ্ঞান পরিবারে পদার্থবিজ্ঞানের অবস্থান তার কেন্দ্র বিন্দুতে। চট্টগ্রাম ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্থবিজ্ঞান বিভাগে শিক্ষকতা করেছি, যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষস্থানীয় মেডিক্যাল রিসার্চ বিশ্ববিদ্যালয় জন্স হপকিন্সে প্রাণ পদার্থবিজ্ঞানে গবেষণা করেছি কিন্তু কোথাও শুনিনি, দেখিনি, পাইনি পদার্থবিজ্ঞানের উদ্ভাবক একটি ধর্ম! বিশ্বের সচেতন এবং অভিজ্ঞ মহল অবগত যে, রসায়ন, গণিত এবং জ্যোতিষশাস্ত্রে ইসলামের অনুসারীরা অভূতপূর্ব যুগান্তকারী অবদান রেখেছেন, কিন্তু একই সাথে পদার্থবিজ্ঞানের ও উদ্ভাবক ইসলাম ধর্ম এ রেকর্ডটি কোথায় লিপিবদ্ধ রয়েছে তা দেখার জন্য লাইব্রেরি অব কংগ্রেসে ঘুরে আসা যেতে পারে। ২০০ বছরেরও বেশি পুরনো বিশ্বের সবচেয়ে সমৃদ্ধ এই পাঠাগারের সব বই ওয়াশিংটন ডিসির তিনটি ভবনে সংরক্ষিত। ১৮৯৭ সালের জেফারসন ম্যাগনিফিসেন্ট ভবনটি শুধু দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত রাখা হয়েছে। লাইব্রেরি অব কংগ্রেসের বিশাল সংগ্রহশালার মধ্য থেকে ২০০টি ঐতিহাসিক পুস্তক ভবনটির দ্বিতীয় তলার ট্রেজারি গ্যালারিতে সংরক্ষিত রয়েছে।এই তলার মাঝখানে একটি বড় গম্বুজ। গম্বুজের মধ্যে একেকটি চিত্রের নিচে একেকটি দেশের নাম। ব্যতিক্রম চোখে পড়ল, এত দেশের মধ্যে এক স্থানে শুধু একটি ধর্মের নাম। কোন দেশ কী উদ্ভাবন করেছে, সেটি গাইড আমাদের বুঝিয়ে দিলেন। দেশের নামের বদলে যে চিত্রের নিচে ‘ইসলাম’ লেখা ছিল, সেটি দেখিয়ে গাইড আমাদের বললেন, এটার মাধ্যমে বোঝানো হয়েছে যে, পদার্থবিজ্ঞানের উদ্ভাবন করেছে ইসলাম ধর্ম।ওই সময়ে বাল্টিমোরে ইসলামিক সার্কেল অব নর্থ আমেরিকার বার্ষিক সম্মেলন চলছিল।প্রফেসর রাওয়ের লেখা ‘মুহাম্মাদ দ্য প্রফেট অব ইসলাম’ বইটি হাতে পাই।লেখকের বর্ণনা মতে, রবার্ট ব্রিফল্ট তার বিখ্যাত গ্রন্থ দ্য মেকিং অব হিউম্যানিটিতে অনেক উদাহরণ পরিবেশন করে সমাপ্তি টেনেছেন এভাবে- ‘আমাদের বিজ্ঞান আরব মুসলমানদের কাছেঋণী শুধু এটুকুর জন্য নয় যে,বিজ্ঞানকে তারা কেবল চমকপ্রদ আবিষ্কার অথবা বৈপ্লবিকবৈজ্ঞানিক তত্ত্ব উপহার দিয়েছে বিজ্ঞান আরবীয় সংস্কৃতির কাছে আরো অনেক বেশি ঋণী বিজ্ঞান তার নিজের অস্তিত্বের জন্য ঋণী।’ একই লেখক কথাটির ব্যাখ্যায় বলেছেন, গ্রিকরা নিয়মাবদ্ধ ও সর্বজনীন করা এবং তত্ত্ব সম্বন্ধে সিদ্ধান্ত নেয়ার পথ বাতলে দিয়েছিল,কিন্ত ধৈর্য ধরে গবেষণার পদ্ধতি, সন্দেহাতীত জ্ঞানকে পুঞ্জীভূতকরণ, বিজ্ঞানের প্রতিটি ক্ষুদ্রব্যাপারেও বিশদ পরীক্ষণ পদ্ধতি, বিস্তারিত ও দীর্ঘ প্রসারিত নিয়মিত পর্যবেক্ষণ, পরীক্ষামূলক অনুসন্ধানএসবই গ্রিক মানসিক ধাত বা মেজাজে ছিল বহিরাগত। আমরা যেটাকে আজ বিজ্ঞান বলি, তার উত্থান ইউরোপে হয়েছিল নতুন পদ্ধতি গবেষণার ফলে এবং পরীক্ষা, পর্যবেক্ষণ, পরিমাপন ও গণিতশাস্ত্রের উন্নয়ন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে যে পদ্ধতিগুলো গ্রিকদের কাছে অজানা ছিল... ইউরোপকে আরবীয় মুসলমানেরা এসব মূলনীতি ও পদ্ধতিগুলো পরিচয় করিয়ে দেয়। রবার্ট ব্রিফল্ট যেসব উদাহরণ থেকে এই মন্তব্যে পৌঁছেছেন সেসবের মধ্যে রয়েছে : মুসলিম উদ্ভিদবিজ্ঞানী ইবনে বতুতা বিশ্বের সব অঞ্চল থেকে উদ্ভিদ সংগ্রহ করে যে গ্রন্থ লিখেছেন সেটিকে World famous : The Giant Bible & The Giant Bible of Maing-তে অধ্যবসায়ের এক উল্লেখযোগ্য উদাহরণ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। অপর দিকে আল বিরুনি ৪০ বছর ভ্রমণ করেছিলেন মানিকবিদ্যা সম্পর্কিত (মিনারোলজি) নমুনা সংগ্রহের জন্য এবং মুসলিম জ্যোতির্বেত্তারা এমন সব পর্যবেক্ষণ পর্যন্ত চালিয়েছেন, যেসব পর্যবেক্ষণ ১২ বছর দীর্ঘায়িত হয়েছিল। পক্ষান্তরে অ্যারিস্টটল পদার্থবিজ্ঞানের ওপর একটি বই লিখেছেন, এমনকি কোনো পরীক্ষা না চালিয়েই এবং প্রকৃতির ইতিহাসের ওপর গ্রন্থ রচনা করেছেন একেবারেই নিশ্চিত না হয়ে, অসতর্কতার সাথে বলেছেন প্রাণীদের চেয়ে মানুষের অর্ধেক দাঁত রয়েছে এ তথ্য অতি সহজেই অনুসন্ধান করা যেত। গ্যালেন, যিনি ক্লাসিক্যাল অ্যানাটমির নির্ভরযোগ্য বিশেষজ্ঞ, জানিয়েছিলেন যে নিচের চোয়াল দু’টি হাড় দিয়ে গঠিত। এ প্রতিবেদনটি শতাব্দী ধরে গ্রহণ করে নেয়া হয়েছিল একেবারে কোনো আপত্তি ছাড়াই, যখন পর্যন্ত না আবদুল লতিফ কষ্ট স্বীকার করে মানুষের কঙ্কাল পরীক্ষা করে এর সত্যমিথ্যা যাচাই করলেন। নিচের তালিকা বলে দিচ্ছে বিজ্ঞান জগতে মুসলিম বিজ্ঞানীদের অবদানঃ
* রসায়নের জনক— জাবির ইবনে হাইয়ান
* বিশ্বের সেরা ভূগোলবিদ— আল-বিরুনি
* আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের জনক— ইবনে সিনা
* হৃদযন্ত্রে রক্ত চলাচল আবিষ্কারক—ইবনুল নাফিস
* বীজগণিতের জনক— আল-খাওয়ারিজমি
* পদার্থ বিজ্ঞানে শূন্যের অবস্থান নির্ণয়কারী— আল-ফারাবি
* আলোক বিজ্ঞানের জনক— ইবনে আল-হাইসাম
* এনালিটিক্যাল জ্যামিতির জনক— ওমর খৈয়াম
* সাংকেতিক বার্তার পাঠোদ্ধারকারী— আল-কিন্দি
* গুটিবসন্ত আবিষ্কারক— আল-রাযী
* টলেমির মতবাদ ভ্রান্ত প্রমাণকারী —আল-বাত্তানি
* ত্রিকোণমিতির জনক — আবুল ওয়াফা
* স্টাটিক্সের প্রতিষ্ঠাতা — ছাবেত ইবনে কোরা
* পৃথিবীর আকার ও আয়তন নির্ধারণকারী—বানু মুসা
* মিল্কিওয়ের গঠন শনাক্তকারী — নাসিরুদ্দিন তুসি
* এলজাব্রায় প্রথম উচ্চতর পাওয়ার ব্যবহারকারী — আবু কামিল
* ল’ অব মোশনের পথ প্রদর্শক— ইবনে বাজ্জাহ
* ঘড়ির পেন্ডুলাম আবিষ্কারক — ইবনে ইউনূস
* পৃথিবীর ব্যাস নির্ণয়কারী— আল-ফরগানি
* পৃথিবীর প্রথম নির্ভুল মানচিত্র অঙ্কনকারী— আল-ইদ্রিসী
* বিশ্বের প্রথম স্বয়ংক্রিয় যন্ত্রের আবিষ্কারক —আল-জাজারি
* সূর্যের সর্বোচ্চ উচ্চতার গতি প্রমাণকারী—আল-জারকালি
* বীজগণিতের প্রতীক উদ্ভাবক — আল-কালাসাদি
   স্পষ্টত ঐতিহাসিক বাস্তবতা বলছে, ধর্ম বিজ্ঞানবিরোধী এবং এ দুয়ে সহাবস্থান সাংঘর্ষিক, অন্যান্য ধর্মের সাথে এ ধরনের বক্তব্যের মিল খুঁজে পাওয়া সম্ভব হলেও ইসলামের ব্যাপারে এটা ঐতিহাসিকভাবে প্রমাণিত যে, সত্যিকার বিজ্ঞান বলতে আজ আমরা যেটাকে বলে থাকি এবং বুঝে থাকি, ঐতিহাসিক রেকর্ড প্রমান করছে, প্রকৃতপক্ষে ইসলামের অনুসারীরাই সেই আদি বিজ্ঞানের উদ্ভাবক।
    আবার ইতিহাস বলছে, বিশ্বের প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ৮৫৯সালে একটি মসজিদের অংশ হিসেবে।মরক্কোর এই কারওয়াইন বিশ্ববিদ্যালয়টি হচ্ছে ইউনেস্কো স্বীকৃত বিশ্বেরপ্রথমবিশ্ববিদ্যলয়। গিনেস বুকের রেকর্ড অনুসারেও মরক্কোর ফেজ নগরীর কারওয়াইন বিশ্ববিদ্যালয় পৃথিবীর সর্বপ্রথম বিশ্ববিদ্যালয়।ফাতেমা নামে এক মহীয়সী নারী পৈতৃক সূত্রে প্রাপ্ত সব অর্থ ব্যয় করেছিলেন তার সমাজের লেখকদের জন্য একটি মসজিদ তৈরির পেছনে এই মসজিদ হয়ে ওঠে ধর্মীয় নির্দেশনা এবং জ্ঞানবিজ্ঞানের আলোচনার স্থান।মসজিদটি পুরোপুরি নির্মাণে লেগে যায় ২৭৮ বছর। পৃথিবীর সর্বপ্রথম কারওয়াইন বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠারও দুইশত বছরের অনেক পরে ইতালির বোনায় ১০৮৮ সালে প্রথম ইউরোপীয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়।তারও আগে কারওয়াইন হয়ে ওঠে এক বিশ্ববিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয়। ফেজকে তখন বলা হতো ‘বাগদাদ অব দ্য ওয়েস্ট’। ইন্টারনেটের বক্তব্যঃ The oldest existing, and continually operating educational institution in the world is the University of Karueein, founded in 859 AD in Fez, Morocco. The University of Bologna, Italy, was founded in 1088 and is the oldest one in Europe.
  বৃটিশ গোয়েন্দা ও লেখক উইলিয়াম হান্টার তার দি ইন্ডিয়ান মুসলমান্স বইতে লিখেছেন, মুর্শিদাবাদের মতো এমন সুন্দর নগরী সেকালে ইউরোপে ছিল না। তিনি আরো লিখেছেন, দিল্লীর এক মাদ্রাসা শিক্ষকের সাথে আলাপ হলো। অত্যন্ত বিচক্ষণ ব্যক্তি তিনি। বিজ্ঞান, দর্শনসহ সব বিষয়ে এমন পন্ডিত ব্যক্তি আমি খুব কম দেখতে পেয়েছি। বর্তমানে মুসলিম বিশ্বে স্বনামধন্য আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয় মূলত আদিতে ছিল একটি মসজিদ। একটি মসজিদ হিসেবে এটির ভিত্তি প্রতিষ্ঠিত হয়। যেহেতু মসজিদ জ্ঞানচর্চার মূলকেন্দ্র হিসেবে বিবেচিত হতো এটি ধীরে ধীরে সম্প্রসারিত হয়ে শেষে একটি বিরাট বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপ নেয়।‘ইসলামের এক গৌরবময় কীর্তি হচ্ছে কুরআন, হাদিস ও মুসলিম বিধানশাস্ত্র ফিকাহর অধ্যয়ন অনুশীলনের অনুরূপ অন্যসব জ্ঞান-বিজ্ঞানের সাধনাকেও সমান আসন ও মর্যাদা দিয়েছে এবং মসজিদের মধ্যেই তাকে প্রতিষ্ঠিত করেছে।’ পাশ্চাত্য চিন্তাবিদের এই মন্তব্য থেকে স্পষ্টত উপলব্ধি করা যায় দুনিয়ার সুখ, কল্যাণেরজন্য মুসলমানেরা কাজ করছে আর তার বিনিময়ে আখেরাতের কল্যাণ লাভে তারা সফল হবে। ‘তোমরা স্ত্রীদের সাথে মেকিং লাভের জন্য পুরস্কৃত হবে’ রাসূলুুল্লাহ সা:-এর কাছ থেকে এ কথা শোনার পর সাহাবিরা জানতে চাইলেন, ‘যে কাজে আমরা সবচেয়ে বেশি তৃপ্তি এবং মজা পাই তাতেও আমরা প্রতিদান পাবো?’ উত্তরে রাসূলুল্লাহ সা: বললেন, ‘তোমরা যদি এটা অনির্ধারিত পন্থায় নিতে তাহলে কি সে জন্য শাস্তি পেতে না?’ জবাবে উপস্থিত সাহাবিরা যখন বললেন ‘অবশ্যই পেতাম’, শুনে রাসূলুল্লাহ সা: বললেন, ‘তোমরা যে নির্ধারিত পন্থায় এটা উপভোগ করছো, সে জন্য তোমাদের পুরস্কৃত করা হবে।’ ইসলামে এমনকি জ্ঞানীদের ঘুমকেও ইবাদত হিসেবে বিবেচনা করা হয়। লেখক:সাবেক শিক্ষক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়।

Monday, September 6, 2021

ইবাদত বিশ্ব সভ্যতার মৌলিক কাঠামো গঠণে কিভাবে প্রত্যক্ষ ভূমিকা রেখেছে?


  তালেবান{মাদ্রাসার ছাত্র} আদিতে যেমন  বিশ্ববাসীকে সভ্যতা / বিজ্ঞান উপহার দিয়ে সভ্য   করেছে আজকের  সেই তালেবান  সেটা দেখাতে /প্রমান করতে কি  আবার ও পারবে !
বর্তমান বিশ্বে  ক'জন  সত্যিকারেই  সজাগ / সচে্তনঃ কেবল মাত্র  ইবাদতই বিশ্ব সভ্যতার মৌলিক কাঠামো গঠণে কি ভাবে  প্রত্যক্ষ ভূমিকা/অবদান রেখেছে?
       প্রচলিত বিশ্বাস ও ধারনা হচ্ছে উপাসনা বা ইবাদত করা হয় একমাত্র পরকালে স্বর্গ বা বেহেশত লাভের জন্য। তাই উপাসনা/ ইবাদত একমাত্র পরকাল কে কেন্দ্র করে আবর্তিত। ইহকালের জীবনে মানবসভ্যতা ইবাদত থেকে কি পাচ্ছে সে বিষয়টা গৌণ বা উপেক্ষিত।
        মূলত শিক্ষা ও বিজ্ঞান এই দুই কাঠামোর উপরে আজকের বিশ্বসভ্যতা তিলে তিলে গড়ে উঠেছে এবং ইতিহাস বলছে ইসলামে আল্লাহ্‌র প্রতি ইবাদতের প্রক্রিয়া/পদ্ধতি বিশ্বে শিক্ষা, জ্ঞান ও বিজ্ঞানে উৎকর্ষতা বাড়িয়ে মানব জাতিকে আজকের সভ্যতা উপহার দিয়েছে। তবে যে প্রশ্নটা আসা একেবারেই স্বাভাবিকঃ উপাসনা বা ইবাদতে তো কেবলমাত্র স্রষ্টার প্রশস্তি, প্রশংসা আর গুণকীর্তনই করা হয়ে থাকে। আর সে পদ্ধতি/প্রক্রিয়া কিভাবে বিশ্বকে বিজ্ঞানে ও শিক্ষায় সভ্য করে আজকের বিশ্ব সভ্যতা নির্মাণের পথ দেখিয়েছে?আসলে ইসলামে ইবাদতের ধারনাটাই গতনাগতিক প্রচলিত ধর্মীয় বিশ্বাস/ধারনা থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। শুরুতে মসজিদে জ্ঞান চর্চা ছিল অন্যতম বড় ইবাদত।সে কারনে
  ১) ইবাদতগৃহ মসজিদ বিশ্ববাসীকে বিশ্বের প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় উপহার দেয়। ইবাদতগৃহে শিক্ষা ও বিজ্ঞান চর্চাকে ইবাদতেরই মৌলিক কাজ হিসেবে বিবেচিত হয়েছে বিধায় একাধিক মসজিদ বিশ্বখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয় গঠন করতে সক্ষম হয়েছে। মুজাদ্দেদ ইমাম গাজ্জালি রহ: লিখেছেন ‘কোনো মুসলমান যদি প্রয়োজনীয় ধর্মীয় শিাক্ষাশেষে মানুষের কল্যাণ চিন্তা করে ব্যবহারিক জ্ঞান অর্জন করে, সে ধর্মীয় শিক্ষারই সওয়াবলাভ করবে'। পশ্চাতের মনীষীরাও স্বীকার করেছেনঃ ‘ইসলামের এক গৌরবময় কীর্তি হচ্ছে কুরআন, হাদিস ও মুসলিম বিধান শাস্ত্র ফিকাহরঅধ্যয়ন অনুশীলনের অনুরূপ অন্যসব জ্ঞান-বিজ্ঞানের সাধনাকেও সমান আসন ও মর্যাদাদিয়েছে এবং মসজিদের মধ্যেই তাকে প্রতিষ্ঠিত করেছে।’
  ২)ইবাদতের নির্যাস হচ্ছে জিকির (স্রষ্টাকে স্মরন)।ইবাদতের মানসে কেবলমাত্র এই কাজটি করতে যেয়ে ইসলামের অনুসারীরা আজকের বিজ্ঞানের জন্ম দেয় যে রেকর্ডটি লাইব্রেরী অব কংগ্রেসে সংরক্ষিত আছে। আসলে ইবাদতের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ হচ্ছে আল্লাহ্‌র জিকির(স্মরণ)। নামাজে/প্রার্থনায় স্রষ্টার যে সব প্রশস্তি, গুণকীর্তন হয় এর সবই কিন্ত তাকে স্মরণের জন্যই। আবার আল্লাহ্‌কে স্মরণ করার সবচেয়ে উত্তম পন্থা / মাধ্যম হচ্ছে তার সৃষ্টিকে পর্যবেক্ষণ, সৃষ্টি কৌশলের উপরে চিন্তা ও গবেষণা করে এই বিশ্বাস/ সিদ্বান্তে উপনীত হওয়া যে যিনি এর স্রষ্টা তিনি কত বড় মাপের ক্ষমতাবান হলেই কেবল মাত্র তাঁর পক্ষেই এরকম অলৌকিক কিছু করা সম্ভবপর। কার্যত দেখা যাচ্ছে বিশ্বের বা প্রকৃতির সব কিছু নিয়েই গভীরভাবে চিন্তা ভাবনা ও গবেষণা বড় ধরনের ইবাদত যার মাধ্যমে আল্লাহ পাককেই স্মরণ করা যাচ্ছে মুল ইবাদতের দাবি পূরণ করছে। আবার এ প্রক্রিয়ায় এক ঢিলে দু’ পাখি সম্পাদন হচ্ছে- একদিকে বিশ্ব জগতের সৃষ্টি রহস্য উন্মোচনে স্রষ্টার অপার ক্ষমতা হৃদয়ঙ্গম করে তাকে স্মরণ/জিকিরের মাধ্যমে সামগ্রিক ইবাদতের আসল শর্ত পুরন করা হচ্ছে সেই সাথে আবার সৃষ্টি রহস্য জেনে/উন্মোচন করে বিজ্ঞানের জ্ঞান অর্জনের মাধ্যমে মানব জাতিকে সেবা দেওয়ার সক্ষমতা অর্জিত হচ্ছে। 'পৃথিবীর মধ্যে অনেক নিদর্শন রয়েছে বিশ্বাসীদের জন্য এবং তোমাদের নিজেদের মধ্যেও'- এধরনের আয়াতের প্রেরণায় মুসলামানেরা তাদের ইবাদতখানা পবিত্র মসজিদকেও বিজ্ঞানচর্চা ও অনুশীলনের জন্য ব্যবহার করেছেন। একমাত্র এ কারনে ইসলাম মানবজাতিকেউপহার দিতে সক্ষম হয়েছে আজকের প্রচলিত বিজ্ঞানকে।
  যুক্তরাষ্ট্রের একটি সর্বাধিক বিক্রীত বই হচ্ছে, ক্যারেন আর্মস্ট্রংয়ের ‘অ্যা হিস্ট্রি অব গড’। এতে বর্ণিত হয়েছে,‘কুরআন পাকে সব সময়ই বিশেষভাবে গুরুত্বারোপ করা হয়েছেআল্লাহ পাকের নিদর্শন বা বাণীর (আয়াত) রহস্য উদঘাটনের বিষয়কে। আর এ কারণে ইসলামের অনুসারীরা যুক্তি ও কারণকে এড়িয়ে না গিয়ে গভীর মনোযোগ এবং বিশেষ কৌতূহলের সাথে পৃথিবীর সব কিছুকে পর্যবেক্ষণ করছে। এই মনোভাব ও দৃষ্টিভঙ্গির ফলে পরে দেখা যায় প্রাকৃতিক বিজ্ঞানে (ন্যাচারালসায়েন্স) মুসলমানদের মধ্যে এক উৎকৃষ্ট ঐতিহ্য গড়ে উঠেছে, যা কখনো বিজ্ঞানের সাথে ধর্মের বিরোধ বা সংঘর্ষ ঘটায়নি। অথচ খ্রিষ্টান ধর্মে সেটা দেখা গেছে।’
       ‘মুহাম্মাদ দ্য প্রফেট অব ইসলাম’ গ্রন্থে প্রফেসর রাও লিখেছেন,‘কুরআন পাকে যতগুলো আয়াত মৌলিক(ফরজ)ইবাদত সম্পর্কিত তার চেয়ে অনেক বেশি সেই সম্পর্কিত আয়াত যেখানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে প্রকৃতিবা সৃষ্টিরহস্য নিয়ে গভীরভাবে চিন্তাভাবনা,পর্যবেক্ষণ ও অনুসন্ধানের। আরবীয় মুসলমানেরা এই প্রেরণায়প্রকৃতির রহস্য নিয়ে নিয়মিত পর্যবেক্ষণ শুরু করে দিয়েছিলেন, যেটা বর্তমান সময়ের বৈজ্ঞানিক পর্যবেক্ষণ, পরীক্ষা ও গবেষণার মূলনীতির ভিত্তি নির্মাণ করে, যা অজ্ঞাত ছিল গ্রিকদের কাছে।’
  "যারা দাঁড়িয়ে, বসে ও শুয়ে আল্লাহকে স্মরণ করে এবং আসমান ও জমিনের সৃষ্টি নিয়ে‏ গবেষণা করে, (তাঁরা বলে) হে আমাদের প্রভু, আপনি এসব কিছুই অনর্থক সৃষ্টি করেননি। সকল পবিত্রতা আপনার-ই। আমাদেরকে আপনি দোযখের আগুন থেকে রক্ষা করুন"। [সূরা আলে ইমরান - ১৯১]
   মূলত প্রকৃতির সব কিছুই আল্লাহ তায়ালার নিদর্শন; যেমন বায়ু, পানি, গাছপালা, মাটি, প্রাণী, সমুদ্র, পাহাড় পর্বত এবং আরো কত কি? এসবই আল্লাহ পাকের বিশেষ উপহার। এগুলোর কোনো কিছু মানুষবানাতে পারে না। আজকের বিজ্ঞানের উদ্ভাবক একটি ধর্ম, এই ঐতিহাসিক রেকর্ডটি সংরক্ষিত রয়েছে ওয়াশিংটনডিসিতে অবস্থিত বিশ্বের সবচেয়ে বড় পাঠাগার লাইব্রেরী অব কংগ্রেসে। ঐতিহাসিকভাবে আদিতেবিজ্ঞান বলতে শুধু পদার্থবিজ্ঞানকে বোঝানো হতো। বর্তমানেও পদার্থবিজ্ঞানের সূত্র, তত্ত্ব এবং আবিষ্কৃত কলকব্জা ও যন্ত্রপাতি ব্যতিরেকে বিজ্ঞানের অপরাপর শাখাগুলো হয় ‘ভোঁতা’, না হয় নিষ্প্রাণ হয়ে পড়বে।বিদ্যুৎ, বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি, কম্পিউটার, রোবট, ইন্টারনেট অর্থাৎ দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহৃত সব কিছু কিন্ত প্রত্যক্ষ অথবা পরোক্ষভাবে পদার্থবিজ্ঞানেরই ফসল বা অবদান। প্রাণ পদার্থবিজ্ঞান, ভূপদার্থবিজ্ঞান,মহাকাশ পদার্থবিজ্ঞান ইত্যাদি হরেকরকম নামকরণ থেকে সহজেই ধারণা করা যায়, মূল বিজ্ঞান পরিবারেপদার্থবিজ্ঞানের অবস্থান তার কেন্দ্রে। চট্টগ্রাম ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্থবিজ্ঞানে শিক্ষকতা করেছি, যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষস্থানীয় মেডিক্যাল রিসার্চ বিশ্ববিদ্যালয় জন হপকিন্সে প্রাণ পদার্থবিজ্ঞানে গবেষণা করেছি কিন্তু কোথাও শুনিনি, দেখিনি, পাইনি পদার্থবিজ্ঞানের উদ্ভাবক একটি ধর্ম।! বিশ্বেরসচেতন এবং অভিজ্ঞ মহল অবগত যে, রসায়ন, গণিত এবং জ্যোতিষশাস্ত্রে ইসলামের অনুসারীরা অভূতপূর্ব যুগান্তকারী অবদান রেখেছেন, কিন্তু পদার্থবিজ্ঞানের উদ্ভাবক ইসলাম ধর্ম এ রেকর্ডটি কোথায় লিপিবদ্ধরয়েছে তা দেখার জন্য লাইব্রেরী অব কংগ্রেসে ঘুরে আসা যেতে পারে।
    ২০০ বছরেরও বেশি পুরনো বিশ্বের সবচেয়ে সমৃদ্ধ এই পাঠাগারের সব বই ওয়াশিংটন ডিসির তিনটিভবনে সংরক্ষিত। ১৮৯৭ সালের জেফারসন ম্যাগনিফিসেন্ট ভবনটি শুধু দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত রাখাহয়েছে। লাইব্রেরি অব কংগ্রেসের বিশাল সংগ্রহশালার মধ্য থেকে ২০০ টিঐতিহাসিক পুস্তক ভবনটির দ্বিতীয় তলার ট্রেজারি গ্যালারিতে সংরক্ষিত রয়েছে। এই তলার মাঝখানে একটি বড় গম্বুজ। গম্বুজের মধ্যে একেকটি চিত্রের নিচে একেকটি দেশের নাম। ব্যতিক্রম চোখে পড়ল, এতদেশের মধ্যে এক স্থানে শুধু একটি ধর্মের নাম। কোন দেশ কী উদ্ভাবন বা আবিস্কার করেছে, সেটি গাইড আমাদেরবুঝিয়ে দিলেন। দেশের নামের বদলে যে চিত্রের নিচে ‘ইসলাম’ লেখা ছিল, সেটি দেখিয়ে গাইড আমাদেরবলেন, এটার মাধ্যমে বোঝানো হয়েছে যে, পদার্থবিজ্ঞানের উদ্ভাবন করেছে ইসলাম ধর্ম। ওই সময়ে বাল্টিমোরে ICNA (ইসলামিক সার্কেল অব নর্থ আমেরিকা) বার্ষিক সম্মেলন চলছিল। প্রফেসর রাওয়ের লেখা ‘মুহাম্মাদ দ্য প্রফেট অব ইসলাম’ বইটি হাতে পাই।
        লেখকের বর্ণনা মতে, রবার্ট ব্রিফল্ট তার বিখ্যাত বই দ্য মেকিং অব হিউম্যানিটিতে অনেক উদাহরণ পরিবেশন করে সমাপ্তি টেনেছেন এভাবে‘আমাদের বিজ্ঞান আরব মুসলমানদের কাছে ঋণী শুধু এটুকুর জন্য নয় যে, বিজ্ঞানকে তারা কেবলচমকপ্রদ আবিষ্কার অথবা বৈপ্লবিক বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব উপহার দিয়েছে। বিজ্ঞান আরবীয় সংস্কৃতির কাছেআরো অনেক বেশি ঋণী। বিজ্ঞান তার নিজের অস্তিত্বের জন্য ঋণী।’ একই লেখক কথাটির ব্যাখ্যায়বলেছেন, গ্রিকরা নিয়মাবদ্ধ ও সর্বজনীন করা এবং তত্ত্ব সম্বন্ধে সিদ্ধান্ত নেয়ার পথ বাতলে দিয়েছিল, কিন্তধৈর্য ধরে গবেষণার পদ্ধতি, সন্দেহাতীত জ্ঞানকে পুঞ্জীভূতকরণ, বিজ্ঞানের প্রতিটি ক্ষুদ্র ব্যাপারেও বিশদ পরীক্ষণ পদ্ধতি, বিস্তারিত ও দীর্ঘ প্রসারিত নিয়মিত পর্যবেক্ষণ, পরীক্ষামূলক অনুসন্ধান এসবই গ্রিকমানসিক ধাত বা মেজাজে ছিল বহিরাগত। আমরা যেটাকে আজ বিজ্ঞান বলি, তার উত্থান ইউরোপেহয়েছিল নতুন পদ্ধতি গবেষণার ফলে এবং পরীক্ষা, পর্যবেক্ষণ, পরিমাপন ও গণিতশাস্ত্রের উন্নয়ন প্রক্রিয়ারমাধ্যমে যে পদ্ধতিগুলো গ্রিকদের কাছে অজানা ছিল... ইউরোপকে আরবীয় মুসলমানেরা এসব মূলনীতি ওপদ্ধতিগুলো পরিচয় করিয়ে দেয়।
      রবার্ট ব্রিফল্ট যেসব উদাহরণ থেকে এই মন্তব্যে পৌঁছেছেন সেসবের মধ্যেরয়েছে : মুসলিম উদ্ভিদবিজ্ঞানী ইবনে বতুতা বিশ্বের সব অঞ্চল থেকে উদ্ভিদ সংগ্রহ করে যে গ্রন্থ লিখেছেনসেটিকে World famous : The Giant Bible & The Giant Bible of Maing তে অধ্যবসায়ের একউল্লেখযোগ্য উদাহরণ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। অপর দিকে আল বিরুনি ৪০ বছর ভ্রমণ করেছিলেনখনিজবিদ্যা সম্পর্কিত (মিনারোলজি) নমুনা সংগ্রহের জন্য এবং মুসলিম জ্যোতির্বেত্তারা এমন সবপর্যবেক্ষণ পর্যন্ত চালিয়েছেন, যেসব পর্যবেক্ষণ ১২ বছর দীর্ঘায়িত হয়েছিল। পক্ষান্তরে অ্যারিস্টটলপদার্থবিজ্ঞানের ওপর একটি বই লিখেছেন, এমনকি কোনো পরীক্ষা না চালিয়েই এবং প্রকৃতির ইতিহাসেরওপর গ্রন্থ রচনা করেছেন একেবারেই নিশ্চিত না হয়ে, অসতর্কতার সাথে বলেছেন প্রাণীদের চেয়ে মানুষেরঅর্ধেক দাঁত রয়েছে এ তথ্য অতি সহজেই অনুসন্ধান করা যেত। গ্যালেন, যিনি ক্লাসিক্যাল অ্যানাটমিরনির্ভরযোগ্য বিশেষজ্ঞ, জানিয়েছিলেন যে নিচের চোয়াল দু’টি হাড় দিয়ে গঠিত। এ প্রতিবেদনটি শতাব্দীধরে গ্রহণ করে নেয়া হয়েছিল একেবারে কোনো আপত্তি ছাড়াই, যখন পর্যন্ত না আবদুল লতিফ কষ্ট স্বীকারকরে মানুষের কঙ্কাল পরীক্ষা করে এর সত্য-মিথ্যা যাচাই করলেন। নিচের তালিকা বলে দিচ্ছে বিজ্ঞান জগতে মুসলিম বিজ্ঞানীদের অবদানঃ
* রসায়নের জনক— জাবির ইবনে হাইয়ান
* বিশ্বের সেরা ভূগোলবিদ— আল-বিরুনি
* আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের জনক— ইবনে সিনা
* হৃদযন্ত্রে রক্ত চলাচল আবিষ্কারক—ইবনুল নাফিস
* বীজগণিতের জনক— আল-খাওয়ারিজমি
* পদার্থ বিজ্ঞানে শূন্যের অবস্থান নির্ণয়কারী— আল-ফারাবি
*আলোক বিজ্ঞানের জনক— ইবনে আল-হাইসাম
* এনালিটিক্যাল জ্যামিতির জনক— ওমর খৈয়াম
*সাংকেতিক বার্তার পাঠোদ্ধারকারী— আল-কিন্দি
* গুটিবসন্ত আবিষ্কারক— আল-রাযী
* টলেমির মতবাদ ভ্রান্ত প্রমাণকারী —আল-বাত্তানি
*ত্রিকোণমিতির জনক — আবুল ওয়াফা
*স্টাটিক্সের প্রতিষ্ঠাতা — ছাবেত ইবনে কোরা
* পৃথিবীর আকার ও আয়তন নির্ধারণকারী—বানু মুসা
* মিল্কিওয়ের গঠন শনাক্তকারী — নাসিরুদ্দিন তুসি
*এলজাব্রায় প্রথম উচ্চতর পাওয়ার ব্যবহারকারী — আবু কামিল
* ল’ অব মোশনের পথ প্রদর্শক— ইবনে বাজ্জাহ
*ঘড়ির পেন্ডুলাম আবিষ্কারক — ইবনে ইউনূস
* পৃথিবীর ব্যাস নির্ণয়কারী— আল-ফরগানি
* পৃথিবীর প্রথম নির্ভুল মানচিত্র অঙ্কনকারী— আল-ইদ্রিসী
* বিশ্বের প্রথম স্বয়ংক্রিয় যন্ত্রের আবিষ্কারক —আল-জাজারি
* সূর্যের সর্বোচ্চ উচ্চতার গতি প্রমাণকারী—আল-জারকালি
*বীজগণিতের প্রতীক উদ্ভাবক — আল-কালাসাদি
  স্পষ্টত ঐতিহাসিক বাস্তবতা বলছে, ধর্ম- বিজ্ঞানবিরোধী এবং এ দুয়ে সহাবস্থান সাংঘর্ষিক, অন্যান্য ধর্মেরসাথে এ ধরনের বক্তব্যের মিল খুঁজে পাওয়া সম্ভব হলেও ইসলামের ব্যাপারে এটা ঐতিহাসিকভাবে প্রমাণিতযে, সত্যিকার বিজ্ঞান বলতে আজ আমরা যেটাকে বলে থাকি এবং বুঝে থাকি, ইসলামের অনুসারীরা তাদের ধর্মের ইবাদতের প্রয়োজনে এই আদি বিজ্ঞানের উদ্ভাবক।
  আবার ইতিহাস বলছে, বিশ্বের প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ৮৫৯ সালে একটি মসজিদের অংশহিসেবে। মরক্কোর এই কারওয়াইন বিশ্ববিদ্যালয়টি হচ্ছে ইউনেস্কো স্বীকৃত বিশ্বের প্রথম বিশ্ববিদ্যালয়।গিনেস বুকের রেকর্ড অনুসারেও মরক্কোর ফেজ নগরীর কারওয়াইন বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে পৃথিবীর সর্বপ্রথম বিশ্ববিদ্যালয়। ফাতেমা নামে এক মহীয়সী নারী পৈতৃক সূত্রে প্রাপ্ত সব অর্থ ব্যয় করেছিলেন তার সমাজের লেখকদের জন্য একটি মসজিদ তৈরির পেছনে। এই মসজিদ হয়ে ওঠে ধর্মীয় নির্দেশনা এবং জ্ঞানবিজ্ঞানেরআলোচনার স্থান। মসজিদটি পুরোপুরি নির্মাণে লেগে যায় ২৭৮ বছর। ইতালির বোনায় ১০৮৮ সালে প্রথমইউরোপীয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। তারও আগে কারওয়াইন হয়ে ওঠে এক বিশ্ববিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয়।ফেজকে তখন বলা হতো ‘বাগদাদ অব দ্য ওয়েস্ট’।
  The oldest existing, and continually operating educational institution in the world is the University of Karueein, founded in 859 AD in Fez, Morocco.The University of Bologna, Italy, was founded in 1088 and is the oldest one in Europe.[Source: Internet]     
  বর্তমানে মুসলিম বিশ্বে স্বনামধন্য আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয় মূলত আদিতে ছিল একটি মসজিদ। একটি মসজিদ হিসেবে এটির ভিত্তি প্রতিষ্ঠিত হয়। যেহেতু মসজিদ জ্ঞানচর্চার মূলকেন্দ্র হিসেবে বিবেচিত হতো এটি ধীরে ধীরে সম্প্রসারিত হয়ে শেষে একটি বিরাট বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপ নেয়।
একমাত্র ইসলামই  কিন্ত তার ইবাদতখানাকে জ্ঞান বিজ্ঞানের অনুশীলন কেন্দ্র বানিয়ে বিশ্বকে প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় উপহার দিয়েছে সেই সাথে ইবাদতের ফলস্বরূপ আদি বিজ্ঞান [পদার্থ বিজ্ঞান] উদ্ভাবন করে আজকের বিশ্বকে বৈজ্ঞানিক সভ্যতা অর্জনের পথ বাতলিয়ে দিয়ে সভ্য  করেছে।  পরা সক্তি  আমেরিকাকে খালিহাতে  শোচনীয়ভাবে  পরাস্ত  করে বর্তমান  তালেবানরা্  ইসলামের সেই বারতা আবার সব দেশে  পৈছে দিতে সক্ষম হবে ইন্শা আল্লাহ।