Friday, May 14, 2021

ঈমানকে পাকাপোক্ত, দৃঢ় মজবুতের জন্য নভোমণ্ডল/মহাকাশের ধারনা থাকাটা প্রত্যেকের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ/আবশ্যিক কেন?

ঈমানকে পাকাপোক্ত,  দৃঢ় মজবুতের জন্য নভোমণ্ডল/মহাকাশের  ধারনা থাকাটা প্রত্যেকের জন্যই কেন গুরুত্বপূর্ণ/আবশ্যিক ?

ইমপটেনট ব্যক্তি তুল্য ঈমান বনাম সজীব তরতাজা ঈমানের পার্থক্যটি খুজলে বিষয়টি বুঝতে অতি সহজ হবারই কথা! ইমাম গাজ্জালির মতেঃ মহাকাশ সম্পর্কে যাদের কোনো রকম ধারনাই নেই তাদের ঈমানের স্তর হচ্ছে একজন ইমপটেনট ব্যাক্তির মতই যার মেকিং লাভের অপার মজা সম্পর্কে কোনো ধারনা/অনুভুতি একদমই নেই। কাজেই ভেবে দেখুন না একবারঃ- ঈমানের সত্যিকার স্বাদ/ তৃপ্তি পেতে হলে নভোমণ্ডল সম্পর্কে মোটামুটি একটা ধারনা থাকাটা প্রত্যেক ভালো ঈমানদারদের জন্য একান্ত আবশ্যক/ অপরিহার্য নয় কি?

স্বয়ং আল্লাহ তায়ালা এরশাদ করেন; 'মানুষের সৃষ্টি অপেক্ষা নভোমন্ডল ও ভূ-মন্ডলের সৃষ্টি কঠিনতর। কিন্তু অধিকাংশ মানুষ বোঝেনা।'[সুরামু’মিন৪০:৫৭] ঈমানকে সুদৃঢ়, মজবুত ও পাকাপোক্ত করতে দরকার আল্লাহর অসীম শক্তি, ক্ষমতা সম্পর্কে মোটামুটি একটা স্পষ্ট ধারনা থাকা/ তার অসীম সৃষ্টি রহস্য সম্পর্কে কমপক্ষে কিছ্টা হলেও উপলব্ধি।আল্লাহ পাকের সৃষ্ট দৃশ্যমান প্রকৃতি তথা মহাকাশ/ নভোমণ্ডলের দিকে দৃষ্টিপাত করলে এটা সহজেই অনুধাবন কিন্ত সম্ভব।
মহাকাশ ও মহাবিশ্ব সম্পর্কে বিজ্ঞানের সর্বশেষ চিত্রঃ
[১] সমুদ্র তীরের বালুকণার চেয়ে তারা বেশি। আবার সবচেয়ে ছোট তারাটিও ক্ষুদ্র বালুকনার চেয়ে যে কত প্রকাণ্ড বড় তা কখন ওকি কল্পনা করাও সম্ভব? হাতের মাত্র এক মুষ্টি বালুকনায় বালুকনার সংখ্যা কত হবে? সে ক্ষেত্রে সব সমুদ্রতীরের বালুর সংখ্যা!
প্রথমে দেখা যেতে পারে- সব সমুদ্র তীরের বালুকনার সংখ্যা কত?
শুরুতেই ধরে নিতে হবে,বিশ্বের    সাগরের   তীরে   ঠিক   কি পরিমাণ বালু থাকে।এজন্য সমুদ্র পৃষ্ঠের দৈর্ঘ্য,   প্রস্থ এবং   গভীরতা পরিমাপ করতে হবে।
সেজন্য সাগরের তীরের হিসাব করলে হবে নাহিসাব   করতে   হবে উপকূলীয়   এলাকার   পরিমাপের।
 নিয়ে অবশ্য বিশেষজ্ঞরা একমত হতে পারেন না তেমন,   কারণ উপকূলীয়     এলাকার মাপ বাড়ে কমেস্থির থাকে না।
তারপরেও বিবিসি একজনের সঙ্গে কথা বলেছে যিনি একটি সংখ্যা জানিয়েছেন। উপকূল নিয়ে গবেষণা করে এমন  প্রতিষ্ঠান ডেল্টারসের গবেষক জেনা ডিডনসিটস বলছেনপুরো পৃথিবীর উপকূলের পরিমাপ করা বিশাল দুঃসাধ্য এক      কাজ। ওপেন স্ট্রীটম্যাপের মতো ফ্রিম্যাপ  ব্যবহার   করে   কম্পিউটার  ডাটার মাধ্যমে দেখা যাচ্ছে  বরফাচ্ছন্ন  এলাকা সহ উপকূলীয়  এলাকার দৈর্ঘ্য ১১ লাখ   কিলোমিটারের মতো।
যার মধ্যে তিন লাখ কিলোমিটার এলাকা বালুময় সৈকত।এখন যদি তারার সংখ্যার সঙ্গে তুলনা করতে হয়,   তাহলে দেখা যাবেমহাবিশ্বে তারার সংখ্যা১০ সেক্সটিলিয়ন,যেখানে  বালুকণার সংখ্যা হবে চার সেক্সটি লিয়ন 
তাহলে এটি ঠিকই যে মহাবিশ্বে  বালুকণার চেয়ে   তারার   সংখ্যা বেশি। সূত্র : বিবিসি
আমাদের সূর্য একটি অতি সাধারণ তারকা। এর আকার তারকাগুলোর গড় আকারের মতোই।আমাদের বাসভূমির তারকা সূর্যের ব্যাস ১৪ লাখ কিলোমিটার। এর অর্থ হলো ১০৯টি পৃথিবী সূর্যের পৃষ্ঠে সাজিয়ে রাখা যায়। এটি এত বড় যে, ১৩ লাখ পৃথিবী এর মধ্যে ভরে রাখা যায়। একটি তারকার বর্ণনা যদি এমন হয়, সেক্ষেত্রে মহাবিশ্বে তারকার সংখ্যা কত? বাস্তবে বিশাল সংখ্যার তারকা নিয়ে একটি ছায়াপথ। তাহলে মহাবিশ্বে তারকা ও ছায়াপথ আসলে কয়টি? Kornreich মহাবিশ্বে ১০ ট্রিলিয়ন ছায়াপথ ধরে একটি মোটামুটি হিসাব বের করেছেন ছায়াপথের ১০ হাজার কোটি তারকার সাথে এই সংখ্যা গুণ করলে হয় ১০০অকটিলিয়ন (octillion) তারকা। তার মানে দাঁড়ায়, ১- এরসাথে ২৯টি শূন্য। Kornreich জোর দিয়ে বলেন, এটা সাধারণ হিসাব, তবে গভীর পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, মহাবিশ্বে ছায়াপথের সংখ্যা আরো বেশি। ১৩ অক্টোবর ২০১৬, নাসা থেকে পাওয়া তথ্য হচ্ছে, দুই ট্রিলিয়ন ছায়াপথই আছে মাত্র ১০ শতাংশ মহাবিশ্বের মধ্যে; কিন্তু ছায়াপথগুলোর ৯০ শতাংশের খোঁজ এখনো বাকি। আবার দেখা যায়, সবচেয়ে বড় তারকাগুলো সূর্যের চেয়ে ৫০০ গুণ শুধু বড় নয়, সেই সাথে একলাখ গুণ বেশি উজ্জ্বল। ছায়াপথের কেন্দ্রে অবস্থিত যে কৃষ্ণগহ্বর বা ব্ল্যাকহোল, তার ভর ৩০ লাখ সূর্যের সমান হয়ে থাকে। যদি প্রতি সেকেন্ডে একটি করে তারকা গণনা করা হয়, সেক্ষেত্রে এই হারে সব তারকা গুনতে পাঁচ হাজার বছর লাগবে। সব ছায়াপথ এক করলে সে সব মহাশূন্যের ১০ লাখ ভাগের এক ভাগ স্থান দখল করবে, যার অর্থ দাঁড়ায় বাস্তবে মহাশূন্য এত বিশাল যে, বিজ্ঞানের সুপার কল্পকাহিনী পর্যন্ত এর আওতার অনেক বাইরে।
{২} আপনি কি কখনও ভাবতে/কল্পনাও করতে পারেনঃ সেকেন্ডে মহাবিশ্বের পরিধি বাড়ছে ৪৫ মাইল । মুলত মহাবিশ্ব অবিরাম সম্প্রসারিত হয়ে চলছে তা আবার সেকেন্ডে ৭০ মাইলের ও বেশি গতিতে। মহাবিশ্ব প্রসারিত হচ্ছে কেবল এটাই কিন্ত মানুষের কল্পনায়ও ভাবা একেবারেই অসাধ্য/ অসম্ভব। সর্বশেষ বিজ্ঞান কিন্ত বলছেঃ সেকেন্ডে ৭০ মাইলের ও বেশি বেগে মহাবিশ্ব দূরে প্রসারিত হচ্ছে।
১৩ দশমিক  বিলিয়ন বছর আগে ঘটা বিগব্যাঙ থেকে পাওয়া বিকিরণ পরিমাপ করে যে হিসাব বের করা হয়েছিলতার সাথেমিলছে না বর্তমানে মহাবিশ্বের সম্প্রসারণের হার।নাসা ইউরোপিয়ান স্পেস অ্যাজেন্সির দেয়া তথ্য অনুযায়ীধারণার চেয়ে  থেকে  শতাংশ দ্রুতগতিতে মহাবিশ্বের সম্প্রসারণ ঘটে চলেছে।প্রতিসেকেন্ডে৭০ কিলোমিটারের চেয়ে বেশি   প্রতিমেঘাপারসেকে ( মেঘাপারসেক হচ্ছে প্রায়   মিলিয়ন আলোক বর্ষছায়াপথগুলো দুরাপসরএকরছে।দেখাযাচ্ছেঃ  প্রত্যাশিত হিসাবের  চেয়েও দ্রুতগতিতে  সম্প্রসারিত হচ্ছে মহাবিশ্ব। প্রসারণশীল মহাবিশ্বের এই অভিক্রিয়া আমাদের দৈনন্দিন জীবনের ঘটনার উপমার মাধ্যমে সহজেই কিন্ত উপলব্ধি করা যাবে। রাস্তায় চলন্ত একটি গাড়ি যখন কাছে এগিয়ে আসে তখন এর ইঞ্জিনের শব্দের তীব্রতা তীব্রতর হয় এবং গাড়িটি যখন কাছে এসে দূরে অপসারণ করে,তখন শব্দের তীব্রতা নিম্নতর হয়ে থাকে। আলোকের তরঙ্গের আচরণও একইরকম।আলোকের স্পন্দাঙ্ক খুব বেশিসেকেন্ডে চার থেকে সাত লাখ মিলিয়ন। এর রয়েছে বিভিন্নধরনের স্পন্দাঙ্ক। আমাদের দৃষ্টিতে যা বিভিন্ন বর্ণ হিসেবে প্রতিভাত হয় সেগুলো হলো-আলোকের বিভিন্ন স্পন্দাঙ্ক। সর্বনিম্ন স্পন্দাঙ্ক দেখা যায় বর্ণালীর লালের দিকে।তারকা যদিআমাদের দিকে আসে  তাহলে প্রতি সেকেন্ডে আমরা যে স্পন্দাঙ্ক পাব তা বেড়ে যাবে,   যেমনটি শব্দ শ্রোতার   দিকে এগিয়ে আসার সময় ঘটে থাকে। অনুরূপভাবে তারকা যদি আমাদের কাছথেকে দূরে অপসারমাণ হয়সে ক্ষেত্রে আমাদের কাছেযে   তরঙ্গগুলো পৌঁছাচ্ছে তার  স্পন্দাঙ্ক  হবে দ্রুততর।তারকার আলোর স্পন্দাঙ্ক মেপে এর লাল বিচ্যুতি হলে স্পষ্টত বোঝা যাবে,তারকাগুলো আমাদের কাছ থেকে দূরাপসরণ   করছে।
এবার একবার ভেবে দেখি- আজ থেকে হাজার বছরের ও আগে নাযিলকৃত কোরআনের সূরা আজ জারিয়ার ৪৭ আয়াতে নভোমণ্ডল প্রসারিত হচ্ছে উল্লিখিত হয়েছে :
‘নভোমণ্ডল নির্মাণ করেছি আমার ক্ষমতাবলে এবং আমি অবশ্যই মহাসম্প্রসারণকারী।’[৫১ঃ৪৭]
একজন জান্নাতবাসির সবচেয়ে ছোট জান্নাতের আকৃ্তি/পরিধি হবে আমাদের পৃথিবীর ১০ গুন। জান্নাতে যারা যাবেন তাদের সুখের ধরন কেউ কল্পনাও করতে পারে কি?
ঈমানদারদের সাধারণত অনেকটা তাচ্ছিল্য করে প্রচলিত কথায় বলা হয়ে থাকেঃ ‘মোল্লার দৌড় মসজিদ’! কিন্তু আমরা ক’জন ওয়াকিবহাল; ইসলামের সোনালী  যুগে- সমরকন্দ, দামেস্ক, কায়রো আর করডোভায় প্রথম বড় বড় মানমন্দির গড়ে তোলেন আরব মুসলমানেরা। মুসলিম জ্যোতির্বেত্তারা এমন সব পর্যবেক্ষণ  চালিয়েছেন, যে সব ১২ বছরের ওপরে দীর্ঘায়িত হয়েছিল। সে সময়ের মুসলিম বিশ্বের জ্যোতির্বিজ্ঞান কোন অবস্থানে পৌঁছেছিল তার বর্ণনা একটি ঘটনায় ফুটে ওঠে। সন্ন্যাসী গারভাট (দ্বিতীয় সিলভেস্ট নামে তিনি ৯৯৯ সালে পোপ হন) যখন কর্ডোভার  মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া শেষ করে খ্রিষ্ট ধর্মাচরণে পুনরায় ফিরে এলেন তখন লোক মুখে প্রচার হয়ঃ তিনি নাকি সেখানে শয়তানের সাথে দহরম পর্যন্ত করে এসেছেন।       
মূলতঃ ঈমানকে শক্তিশালী করার প্রকৃত অর্থ হচ্ছে  আল্লাহ্‌র ক্ষমতা, শক্তি সর্বোপরি তার সৃষ্টিকে অবলোকন করে এই ধারনা  পাওয়া / বিশ্বাস অর্জন করা- যিনি এসব অলৌকিক কাজ অনায়াসেই সম্পন্ন করতে পারেন বা এসব কিছুই একেবারে শূন্য থেকে অস্তিত্ব দান করেছেন তিনি তা হলে কত বড় ক্ষমতাবান /  অলৌকিক ক্ষমতার অধিকারী?আইনস্টাইনের  ভাষায়ঃ   ‘নিশ্চয়ই এর পেছনে রয়েছে এক অকল্পনীয় মহাজ্ঞানী সত্তার এক রহস্যময় অভিপ্রেত। বিজ্ঞানীর দূরভিসারী জিজ্ঞাসা সেখানে বিমূঢ় হয়ে যায়। বিজ্ঞানের চূড়ান্ত অগ্রগতিও সেখান থেকে স্তব্ধ হয়ে ফিরে আসবে। কিন্তু সেই অনন্ত মহাজাগতিক রহস্যের প্রতিভাস বিজ্ঞানীর মনকে এই নিশ্চিত প্রত্যয়ে উদ্বেল করে তোলে যে, এই মহাবিশ্বের একজন নিয়ন্তা রয়েছেন। তিনি অলৌকিক জ্ঞানময়, তাঁর সৃষ্টিকে অনুভব করা যায়, কিন্তু তাকে কল্পনা করা যায় না।’

Monday, May 10, 2021

অবিশ্বাস্য হলেওঃকদর রাতে বাইডেনের বাংলাদেশ আগমন- অতপ র~~

 অবিশ্বাস্য হলেওঃকদর রাতে বাইডেনের বাংলাদেশ আগমন- অতপ র~~

বাইডেন বাংলাদেশে আসলেন আলট্রা সুপার ডিজিটাল মিরাকল বিমানে। এদেশের সতের কোটি মানুষ সবাই এক সাথে মেতে উঠল তাঁর বাহন সেই আলট্রা সুপার মিরাকল বিমান নিয়ে -সবাই যেন একেবারে হিতাহিত ঞ্জান হারিয়ে হৈ হুল্লা করে প্রতিযোগিতা শুরু করে দিয়েছে সেই অলৌকিক আলট্রা সুপার বিমান নিয়ে। আর অন্যদিকে কি আজব ঘটনা ঘটছে - বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর সুপার ব্যক্তি সেই বাইডেন বেচারার কোনো খোজ কেউ নেবার সময় একদমই যেন পাচ্ছে না, কারও মধ্যেই রাখার কোন প্রয়োজন/ উদ্যোগ পরি লক্ষিত যেন হচ্ছে না, এমনকি তাকে নিয়ে কারও মাথা ব্যাথা একেবারেই যেন একটুও নেই! --- তেমনি ভাবে যে কারনে রাতটি হাজার মাস থেকেও এত গুরুত্ব পেল সবার ভেবে দেখা দরকার কি ছিল,না আসলে গুরুত্বটা রাতের প্রাপ্য না কোরআন করিমের?

যার নাযিলের জন্যই রাত এত সুপার গুরুত্বপেল , প্রকৃত গুরুত্ব আসলে কিন্ত অবশ্যই প্রাপ্য কোরআনের ! আলট্রা সুপার রাতের আরোধোনার চেয়ে কোরআনে র প্রতি বিশেষ গুরুত্ব/ অনুপ্রেরনা সৃষ্টি করার জন্যই এই উপমা দেওয়া হয়েছে;

{ যার নাযিল হবার সময়টা যদি সীমাহীন সম্মান, অপরিসীম মূল্য / গুরুত্ব পায়, সেক্ষেত্রে সামগ্রিক জীবনে তার ( কোরানের ) অনুশীলনের মুল্য/দাম/ গুরুত্ব কত বেশি হবে কেউ একটিবারও কল্পনা করেছে কি! নিযুত কোটি কোটি গুনের ও অনেক অনেক বেশি হবার কথা নয় কি?}

কোরআনের বিধান মেনে জীবন গঠন করাকে লোভনীয় / গুরুত্বপূর্ণ করার জন্য এর নাযিলের সময়টাকে এত গুরুত্ব দিয়ে চিত্রিত করা হয়েছে।

ওদিকে কার্যত সেই কোরআনকে একেবারে পাশ কাটিয়ে মুসলিম বিশ্ব যেন বাইডেন নয় তার বিমান নিয়ে সব বাজীমাত শুরু কর দিয়েছে! কেউ ভাবছে কি- এক রাতে ৮৩ বছরের সওয়াবে আসলে লাভ কি যদি না দোজোগই ঠিকানা হয় ?আসমান উচু পরিমাণ নেকী অর্জন করেও প্রকৃত সঠিক কথা হচ্ছে, সারা জীবন যাদের হক নষ্ট করা হয়েছে নিজের উপার্জিত মূলধনের সব নেকী দিয়ে তাদের সাথে বিনিময় করতে হবে। আর এভাবে পরিশোধ করতে করতে আগেই যদি নেকী সব শেষ হয়ে যায় সেক্ষত্রে প্রাপকের গুনাহ নিজের কাঁধে নিয়ে জাহান্নামের ভয়াবহ আগুনে জ্বলতে হবে।হাদিসে এসেছেঃবিড়ালের সাথে সঠিক আচরণ না করার জন্য জনৈক দ্বীনদার মহিলাকে পর্যন্ত জাহান্নামে যেতে হয়।আর সৃষ্টির সেরা যে কোন বনি আদমের সাথে দুর্নীতির ঘোমটার আড়ালে অযাচিত ব্যাবহার বা আচরণ করা হলে তার পরিণাম কি হতে পারে সহজে অনুমেয়, সে বিষয়টি দুনিয়ার মুসলিমগন সবিশেষ গুরুত্ব সহকারে কখন ও একটিবারও ভেবে দেখেছে/ প্রচার করেছে কি? তাহলে কি আজকে সারা দুনিয়ায় দুর্নীতিপরায়ণ দেশ/ জাতির তকমা পেত?রাসুলুল্লাহ(দঃ)কে তার সাহাবিরা জিজ্ঞেস করেছিলেন, হে আল্লাহর রাসুল- গীবত কি জিনার চেয়েও মারাত্মক? জবাবে তিনি বললেন, হ্যাঁ, কারণ কোনো ব্যক্তি জিনার পর (বিশুদ্ধ) তওবা করলে আল্লাহ ক্ষমা করেন। কিন্তু গীবতকারীকে যার গীবত করা হয়েছে, তিনি মাফ না করলে আল্লাহ মাফ করবেন না। (মুসলিম)আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত , হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, তোমরা কি জান গীবত কাকে বলে? সাহাবিরা বললেন, আল্লাহ ও তার রাসুল (সঃ) ভালো জানেন।তিনি বলেন, তোমার কোনো ভাই সম্পর্কে এমন কথা বলা, যা সে অপছন্দ করে, তাই গীবত। সাহাবায়ে কেরাম জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহর রাসুল, আমি যে দোষের কথা বলি সেটা যদি আমার ভাইয়ের মধ্যে থাকে তাহলেও কি গীবত হবে? উত্তরে রাসুল সাল্লাল্লাহ (সঃ) বলেন, তুমি যে দোষের কথা বল, তা যদি তোমার ভাইয়ের মধ্যে থাকে তবে তুমি অবশ্যই গীবত করলে আর তুমি যা বলছো তা যদি তার মধ্যে না থাকে তবে তুমি তার ওপর মিথ্যা অপবাদ দিয়েছো।(মুসলিম) ইসলামে অপবাদ কারীর শাস্তি কিন্ত অত্যন্ত ভয়াবহ কঠোর। আবার সার্বিকভাবে দেখলে কিন্ত গীবতকে বলা যায় অনেক অসীম দুরথেকে পরোক্ষ ভাবে গুনাহ করা। আর তার থেকেই যদি কোন পরিত্রাণ না থাকে / একেবারে (সরাসরি) না জোটে তবে ভেবে দেখা জরুরী, মানুষের সাথে প্রত্যক্ষভাবে ঘটে যাওয়া দুর্নীতির সাজা কত কঠিন/ ভয়াবহ হবে?
''সেই সত্তার শপথ, যাঁর হাতে আমার প্রাণ! যদি কোনো ব্যক্তি আল্লাহর পথে শহীদ হয়, তারপর পুনর্জীবিত হয়ে আবার আল্লাহর রাস্তায় শহীদ হয়, তারপর পুনর্জীবিত হয়ে আবার আল্লাহর রাস্তায় শহীদ হয় তথা তিনবার শাহাদাতের মর্যাদা লাভ করে, আর তার অনাদায়ী ঋণ থেকে যায়, তাহলে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে না, যতক্ষণ তার ঋণ পরিশোধ না করা হয়।" (আবু দাউদ, মিশকাত পৃষ্ঠা. ১৬৩)
আবূ হুরাইরাহ্‌ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃরসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, তোমরা কি বলতে পার অভাবী লোক কে? তাঁরা বললেন, আমাদের মাঝে যার দিরহাম (টাকা কড়ি) ও ধন-সম্পদ নেই সে তো অভাবী লোক। তখন তিনি বললেন, আমার উম্মতের মধ্যে সে প্রকৃত অভাবী লোক, যে ব্যক্তি কিয়ামতের দিন সলাত, সাওম ও যাকাত নিয়ে আসবে; অথচ সে এ অবস্থায় আসবে যে, সে কাউকে গালি দিয়েছে, কাউকে অপবাদ দিয়েছে, অমুকের সম্পদ ভোগ করেছে, অমুককে হত্যা করেছে ও আরেকজনকে প্রহার করেছে। এরপর সে ব্যক্তিকে তার নেক ‘আমাল থেকে দেয়া হবে, অমুককে নেক ‘আমাল থেকে দেয়া হবে। এরপর যদি পাওনাদারের হাক্ব তার নেক ‘আমাল থেকে পূরণ করা না যায় সে ঋণের পরিবর্তে তাদের পাপের একাংশ তার প্রতি নিক্ষেপ করা হবে। এরপর তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে। (সহিহ মুসলিম, হাদিস নং ৬৪৭৩)

আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘রমজান মাস! যে মাসে কোরআন নাজিল হয়েছে মানবের দিশারি রূপে ও হিদায়াতের সুস্পষ্ট নিদর্শন হিসেবে।’ (সুরা-২ বাকারা, আয়াত: ১৮৫)।

Saturday, May 8, 2021

সোজা কথায় স্পষ্টভাবে: রোজা নামাজের আসল দাবি কি যে ভাবে বর্তমানে চলছে তাই?

 সোজা কথায় স্পষ্টভাবে: রোজা নামাজের আসল দাবি কি যে ভাবে বর্তমানে চলছে তাই?

চলমান মুসলিম সমাজ সংস্কৃতিতে ক'জন আসলে প্রাত্যহিক জীবনে এ বিষয়ে বাস্তবেই বিশেষভাবে সজাগ / সচেতন?
নামাজ রোজার প্রধানতম একটি উদ্দেশ্য / কাজ হচ্ছেঃ মিথ্যা - পাপাচার কাজ থেকে নিজকে বিরত রাখা - কোরআন, হাদিস কি বলে?
* আমরা কিন্ত সকলেই জানি- খাদ্যের কাজ হল শরীরে শক্তি সরবরাহ করা। যে খাবার শক্তি যোগান দিতে পারেনা সে খাবার আর খাদ্য হতে পারে?
*তেমনি শিক্ষা লাভের উদ্দেশ্য অবশ্যই কিন্ত জ্ঞান অর্জন ও ব্যাবহারিক কাজে তার প্রয়োগ। যদি কোন রকম জ্ঞান অর্জনই না হয় তাহলে শিক্ষা লাভের প্রচেষ্টা নিঃসন্দেহে প্রশ্নসাপেক্ষ!
* সে ভাবে কোরআন হাদিসের নির্দেশনা হচ্ছেঃ রোজা ও নামাজ উভয়েইপ্রত্যেক ব্যক্তিকে দৈনন্দিন জীবনে মিথ্যা , পাপাচার কাজ থেকে বিরত রাখবেই।
* নিয়মিত নামাজ, রোজা পালন করেও যদি এটি অর্জিত না হয় তাহলে অবশ্যই তা দিবালোকের মতই প্রশ্নসাপেক্ষ নয় কি? নামাজ রোজা পালন করার সাথে সাথে দুর্নীতিতে লিপ্ত থাকা, এটা তখন নামাজ, রোজার নামে কেবল দৈনন্দিন প্রহসন মহড়া মাত্র!
আর সে ক্ষেত্রে মসজিদের দেশ পরিণত হবে পাপিদের অভয়ারণ্যে।বর্তমান প্রেক্ষাপটে সমাজে দেখা যায়- আসল নামাজের উদ্দেশ্যের চেয়ে লোকদেখানো জামাত/ রাকাতের অনুষ্ঠান প্রতিষ্ঠায় এক শ্রেণীর মুসলিম খুব বেশি তৎপর/প্রতিযোগীতায় লিপ্ত । "নিশ্চয় নামাজ পাপাচার থেকে বিরত রাখে।" এই গুরুত্বপূর্ণ কোরানীক নির্দেশনা নিয়ে মাধাব্যাথা একেবারেই যেন তাদের অভিদানে নেই;আছে কত বড় তারাবী জামাত, জুমা-অয়াক্ত নামাজের কত বড় জামাত বানানো যায় তা নিয়ে! ফলে বিশ্ব সেরা দুর্নীতিবাজ দেশ হিসেবেও মসজিদের দেশ বাংলাদেশ অনায়াসে স্বীকৃতি পেয়েছে । যে নামাজ সমাজকে দুর্নীতিমুক্ত করার জন্য এসেছে সেখানে উল্টো দেখা যাচ্ছে নামাজীরা বেশিরভাগই যেন তৎপর কত বেশী লোক জামাতে আসবে আর কত বড় বড় মসজিদ হবে তা নিয়ে, কেন যেন আমাদের আদৌ লক্ষ্য নেই নামাজের আসল কাজ তথা প্রান নিয়ে/লক্ষ্য নিয়ে। প্রত্যেক নামাজীকে পাপাচার জীবন থেকে কলুষ মুক্ত করে পাপমুক্ত সমাজ, দেশ, রাষ্ট্র ও বিশ্ব গড়ে তোলার স্বপ্ন নিয়ে এগিয়ে আসার।বাস্তবে আজ সমাজ এবং ধর্ম রসাতলে যাবার একমাত্র কারন কিন্ত এটিই। ফলে বিশ্বে মুসলিম সমাজ এবং দেশ বেশি বেশি দুর্নীতি পরায়ণ হয়ে দিন দিন কেবল ইতিহাসই সৃষ্টি করছেনা বরং তা ইতিহাসে পরস্পরায় বজায় রাখতে ভূমিকা পালন করে চলছে।
## আল্লাহ তাআলার ঘোষণা-اِنَّ الصَّلٰوةَ تَنْهٰی عَنِالْفَحْشَآءِ وَ الْمُنْكَرِ. ' নিশ্চয়ই নামাজ অন্যায় ওঅশ্লীল কাজ থেকে বিরত রাখে। (২৯):৪
## সাওম ( রোজা) পালনের সময় মিথ্যা বলা ও সে অনুযায়ী আমল বর্জন না করা হলে তা রোজা নয়। [বুখারি হাদিস নম্বরঃ ১৭৮২]।
আদমইবনু আবূ ইয়াস (রহঃ) ... আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যাক্তি মিথ্যাবলা ও সে অনুযায়ী আমল বর্জন করেনি, তাঁর এ পানাহার পরিত্যাগকরায় আল্লাহর কোন প্রয়োজন নেই।
আসল কথা হচ্ছে পাপাচারী স্রষ্টার কাছে যেতে পারেনা হেতু স্রষ্টার সাথে তার কোনো সম্পর্ক সৃষ্টি হতে পারেনা।
আল্লাহ পাক নামাজ রোজার মাধ্যমে আমাদের থেকে যে কাজ চান, প্রার্থনা করি আল্লাহ পাক সে ভাবেই আমাদের কবুল করে নিয়ে বিশ্বে মুসলিম জাতির ভাবমূর্তি উন্নত করেন।
@# বর্তমানে ধারাবাহিকভাবে ১৭৯ দেশের দুর্নীতির র্যাঙ্কঃ- সবচেয়ে কম দুর্নীতি পরায়ণ দেশ থেকে উপরে যে সব দেশঃ
 https://www.transparency.org/en/cpi/2020/index/nzl  
*** নিউজিল্যান্ড-.....
*** ইহুদি রাষ্ট্র ইস্ রাইল-৩৫.....
*** মক্কা মদিনার রক্ষক সৌদি আরব -৫২.....
*** মসজিদের দেশ বাংলাদেশ-১৪৬..........
**** বিপ্লবের দেশ ইরান-১৪৯....................