Friday, February 24, 2017

ফোবিয়াঃসন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ প্রসঙ্গ

                                       আলীরেজা 
নয়াদিগন্ত, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ 
                                                                                        ইতিহাসেপ্রমানিতসত্যহচ্ছে,সন্ত্রাসজঙ্গিবাদ  ধংশ,তাণ্ডব,বিশৃঙখলা ছাড়া কখনও গঠণমূলক কিছূ গড়ে   তুলতে বা পহার   দিতে পারেনি।প্রকৃতির নিয়মেই এটা অসম্ভব  জগতের সব গঠণমূলক উন্নয়ন এনেছে  শিক্ষা  বিঞ্জাণ। আর  দু'টি ক্ষেত্রে যে দেশ বা জাতি যত বেশি আগ্রসরমান আজকের দুনিয়ায় সেই দেশ বা জাতি ততবেশি উন্নত  প্রভাবশালী।  যারা শুরুতেই এদু'টির বুনিয়াদ গড়ে তুলে মানব জাতিকে উপহার দিয়ে সমগ্র মানব জাতিকে সভ্য হওয়ার এবং সুন্দর সাবলীল জীবন যাপনের পথ বাতলিয়ে দিয়েছেনকথিত প্রগতিবাদীরা তাদেরকেই যদি সন্ত্রাসী-জঙ্গিবাদী বা মৌল বাদী বলে উপহাস করে তাহলে তামাম দুনিয়াটাকে কি ধীরে ধীরে মানুষরূপী পশুদের আভয়ারন্যে পরিণত হবার পথ ক্বরে দেয়া হবে নামানব সভ্যতার ইতিহাস সাক্ষ্য দিচ্ছেঃ প্রথম বিশ্ববিদ্যালয়ই শুধু মুসলমাণরা প্রতিষ্ঠা করেনিমানবজাতিকে সবার আগে শিখিয়ে দিয়েছে বিজ্ঞান বলতে আজ আমরা যেটাকে বুঝে থাকি সেই বিজ্ঞানের উদ্ভাবনের (Invention)পথ।বিশ্বের প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয় ৮৫৯ সালে  মরক্কোর এই কারওয়াইন বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে ইউনেসকো স্বীকৃ বিশ্বের প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় 

(http://www.guinnessworldrecords.com/world-records/oldest-university)The oldest existing, and continually operating educational institution in the world is the University of Karueein, founded in 859 AD in Fez, Morocco. The University of Bologna, Italy, was founded in 1088 and is      the oldest one in Europe. গিনেস বুকের রেকর্ড অনুসারেও মরক্কোর ফেজ নগরীর কারওয়াইন বিশ্ববিদ্যালয় পৃথিবীর প্রথমবিশ্ববিদ্যালয়। এটি পুরোপুরি নির্মাণে লেগেছিল ২৭৮ বছর। ইতালিতে ব্লোনায় (Blogna) ১০৮৮সালে প্রথম ইউরোপীয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিতহয়ইতিমধ্যেই কারওয়াইন হয়ে ওঠে একবিশ্ববিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয়। ফেজকে তখন বলা হতো;‘বাগদাদঅবদ্যওয়েস্ট ঐতিহাসিকভাবে  বিজ্ঞান বলতে আদিতে শুধু পদার্থবিজ্ঞানকে বোঝানো হতো বর্তমানেও পদার্থবিজ্ঞানে সূত্র তত্ত্ব এবং আবিষ্কৃত কলকব্জাযন্ত্রপাতি ব্যতিরেকে বিজ্ঞানের অপরাপরশাখাগুলো বলতে গেলে হয় ভোঁতানা হয় নিষ্প্রাণ হয়ে পড়বে বিদ্যুৎবৈদ্যুতিক ন্ত্রপাতিকম্পিউটাররোবটইন্টারনেটসহ দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহৃ সব কিছু প্রত্যক্ষ অথবা পরোক্ষভাবে পদার্থবিজ্ঞানেরই অবদানপ্রাণপদার্থবিজ্ঞান,ভূপদার্থবিজ্ঞানমহাকাশ পদার্থবিজ্ঞান ইত্যাদি হরেকরকম নামকরণ থেকে হজেই ধারণা নেয়া যায়  মূল বিজ্ঞানপরিবারে পদার্থবিজ্ঞানের অবস্থা তার কেন্দ্রবিন্দুতে হবে আমি চট্টগ্রাম  জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্থবিজ্ঞান বিভাগে শিক্ষকতা করেছিযুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষস্থানীয় মেডিক্যাল রিসার্চবিশ্ববিদ্যালয় জন্স হপকিন্সে প্রাণপদার্থবিজ্ঞানে গবেষণা করেছিকিন্তু কোথাও শুনিনিদেখিনিপাইনি পদার্থবিজ্ঞানের উদ্ভাবক একটি ধর্মবিশ্বের সচেতন এবং অভিজ্ঞ মহল অবগত যে রসায়নগণি এবং জ্যোতিষ শাস্ত্রে ইসলামের অনুসারীরা অভূতপূর্ব যুগান্তকারী অবদান রেখেছেনকিন্তু পদার্থবিজ্ঞানের উদ্ভাবক ইসলাম ধর্ম  রেকর্ডটি কোথায় লিপিবদ্ধ রয়েছে তা দেখারজন্য লাইব্রেরি অব কংগ্রেসে ঘুরে আসাযেতেপারেদুইশতাধিকবছর পুরনো বিশ্বের সবচেয়ে সমৃদ্ধশালী এই  পাঠাগারের সব বই ওয়াশিংটন ডিসির তিনটি ভবনে সংরক্ষিত। ১৮৯৭ সালের জেফারসন ম্যাগনিফিসিয়েন্ট ভবনটি শুধুদর্শনার্থীদের জন্য  উন্মুক্ত রাখা হয়েছে। প্রথমতলায় স্থায়ীভাবে   প্রদর্শনীর মধ্যে রয়েছে World famous : The Giant Bible  & The Giant Bible of Maing      

লাইব্রেরি অব কংগ্রেসের বিশালসংগ্রহশালার মধ্য থেকে ২০০টি ঐতিহাসিক পুস্তক ভবনটির দ্বিতীয়তলার ট্রেজারি গ্যালারিতে সংরক্ষিত য়েছে। এই তলার মাঝখানে একটি বড় গম্বুজ। গম্বুজের মধ্যে একেকটি চিত্রের নিচে একেকটি দেশের নাম। ব্যতিক্রম চোখে পড়বে এত দেশের মধ্যে এক স্থানে শুধু একটি ধর্মের নাম। কোন দেশ কী উদ্ভাবন করেছেসেটি গাইড আমাদের বুঝিয়ে দিলেন। দেশের নামের বদলে যেচিত্রে নিচে ‘ইসলাম’ লেখা ছিলসেটি দেখিয়ে গাইড আমাদের বলেনএটার মাধ্যমে বোঝানো হয়েছে                              পদার্থবিজ্ঞানে Invention করেছে ইসলাম ধর্ম।  সময়ে বাল্টিমোরে ICNA (ইসলামিক সার্কেল অব নর্থ আমেরিকা)- বার্ষিক সম্মেলন চলছিল। প্রফেসর রাও এর লেখামুহাম্মদ দ্য প্রফেট  ইসলাম’ বইটি হাতে পাই। লেখকের বর্ণনা মতেরবার্ট ব্রিফল্ট তার বিখ্যাত গ্রন্থ দ্যমেকিং অব হিউম্যানিটিতে অনেক উদাহরণ পরিবেশ করে সমাপ্তি টেনেছেন এভাবে  ‘আমাদের বিজ্ঞান আরব মুসলমানদের কাছে ঋণী শুধু এতটুকুর জন্য নয় যেবিজ্ঞানকে তারা কেবলচমকপ্রদ আবিষ্কার অথবা বৈপ্লবিক বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব উপহার দিয়েছে। বিজ্ঞান আরব সংস্কৃতির কাছে আরো অনে বেশি ঋণী। বিজ্ঞান তার নিজের অস্তিত্বের জন্য ঋণী।’ এই একই লেখককথাটির ব্যাখ্যায় বলেছেনগ্রিকরা নিয়মাবদ্ধ  সার্বজনীন করা এবং তত্ত্বসম্বন্ধে সিদ্ধান্ত নেয়ার পথ বাতলে ছিলকিন্তু ধৈর্য ধরে গবেষণার পদ্ধতিসন্দেহাতীত জ্ঞানকে পুঞ্জীভূতকরণ,বিজ্ঞানের প্রতিটি ক্ষুদ্র ব্যাপারে বিশদ পরীক্ষ পদ্ধতিবিস্তারিত  দীর্ঘ প্রসারিত নিয়মিত পর্যবেক্ষপরীক্ষা মূলক অনুসন্ধা এসবই গ্রিক মানসিক ধাত বা মেজাজে ছিল বহিরাগত। আমরাযেটাকে  বিজ্ঞানবলিতার উত্থান ইউরোপে হয়েছিল নতুন পদ্ধতি গবেষণার ফলে এবং পরীক্ষা , পর্যবেক্ষপরিমাপন  গণিত শাস্ত্রের উন্নয়ন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে যে পদ্ধতিগুলো গ্রিকদেরকাছে অজানা ছিল।...ইউরোপকে আরবীয় মুসলমানেরা এস মূলনীতি  পদ্ধতিগুলো পরিচয় রিয়ে দেয়।’ রবার্ট ব্রিফল্ট যেস উদাহরণ থেকে এই মন্তব্যে পৌঁছেছেন সে সবের মধ্যে রয়েছে :মুসলিমউদ্ভিদবিদ্যাবিদ ইবনে বতুতা বিশ্বের সব অঞ্চল থেকে উদ্ভিদ সংগ্রহ করে যে গ্রন্থ লিখেছেন সেটিকে Mayer তার The Geschder Botanika তে অধ্যবসায়ের এক উল্লেখযোগ্য উদাহরণ হিসেবেবর্ণনা করেন। অপর দিকে আল বিরুনি ৪০ বছর ভ্রমণ করেছিলেন মানিকবিদ্যা সম্পর্কিত (মিনারোলজিনমুনা সংগ্রহের জন্য এবং মুসলিম জ্যোতির্বেত্তারা এমন সব পর্যবেণ পর্যন্ চালিয়েছেন,যেসব পর্যবেক্ষন ১২ বছরের ওপরে পর্যন্ত দীর্ঘায়িত হয়েছিল। ক্ষান্তরে অ্যারিস্টটলপদার্থবিজ্ঞানের ওপর একটি বই লিখেছেন এমনকি একটি পরীক্ষা না চালিয়েই এবং প্রকৃতির ইতিহাসের ওপরগ্রন্থ রচনা করেছেন একেবারে নিশ্চিত না হয়েঅসতর্কতার সাথে বর্ণনা দিয়ে  প্রাণীদের চেয়ে মানুষের অর্ধেক দাঁত রয়েছে যে তথ্য অতি সহজেই অনুসন্ধান করা যেত। গ্যালেনযিনি ক্লাসিক্যালঅ্যানাটমির নির্ভরযোগ্য বিশেষজ্ঞ, জানিয়েছিলেন যে নিচের চোয়াল দুটি হাড় দিয়ে গঠিত। এই প্রতিবেদনটি শতাব্দী ধরে গ্রহণ করে নেয়া হয়েছিল একেবারে কোনো আপত্তি ছাড়াইযখন পর্যন্তনা আব্দুল লতি একটু কষ্ট স্বীকার করে মানুষে কঙ্কাল পরীক্ষা করে সত্য-মিথ্যাযাচাই করলেন
আমরা যেটাকে আজ বিজ্ঞানবলেজানি' দ্য মেকিং অব হিউম্যানিটি’ গ্রন্থের লেখকের  উক্তিটির সাথে লাইব্রেরি অব কংগ্রেসের রেকর্ড, ‘আদি বিজ্ঞান তথা পদার্থবিজ্ঞানের উদ্ভাবক ইসলাম দুটি বক্তব্যের মধ্যে স্পষ্টত একটি যোগসূত্র ক্ষণীয়। প্রচলিত ধারণা হচ্ছেধর্মের মূলমন্ত্র এবং পুঁজি হচ্ছে অন্ধবিশ্বাস। তাই যদি হয় তাহলে এই অন্ধবিশ্বাস কিভাবে মুসলমানদের অনুপ্রাণিত করেছে আজকে মূল বিজ্ঞানকে উদ্ভাবনকরতে প্রশ্নের জবাব মেলে যুক্তরাষ্ট্রের একটি সর্বাধিক বিক্রীত ক্যারেন আর্মস্ট্রংয়ের বই অ্যা হিস্ট্রি অব গড’ পুস্তকেযেখানে বর্ণিত হয়েছে, ‘কুরআন পাকে সব সময়ই বিশেষভাবেগুরুত্বারোপ করা হয়েছে আল্লাহ পাকে নিদর্শন বা বাণীর (আয়াতরহস্ উদঘাটনের জন্য। আর  কারণে ইসলামের অনুসারীরা যুক্তি  কারণকে এরিয়ে না গিয়ে গভীর মনোযোগ এবংবিশেষ কৌতূহলের সাথে পৃথিবীর সব কিছুকে পর্যবেক্ষ করছে। এই মনোভাব  দৃষ্টিভঙ্গির ফলে পরে দেখা যায় প্রকৃতিক বিজ্ঞানে (ন্যাচারাল সায়েন্সমুসলমানদের এক ৎকৃষ্ট ঐতিহ্য গড়েতোলারযা কখনো বিজ্ঞানের সাথে ধর্মের বিরোধ বা সংঘর্ষ ঘটায়নিখ্রিষ্টান ধর্মের ক্ষেত্রে যেটা দেখা গেছে।’অতএব, স্পষ্টত ঐতিহাসিক বাস্তবতা বলছেধর্ম বিজ্ঞানবিরোধী এবং  দুয়েসহাবস্থান সাংঘর্ষিকঅন্যান্য ধর্মের সাথে  ধরনের বক্তব্যের মিল খুঁজে পাওয়া সম্ভব লেও ইসলামের ব্যাপারে এটা ঐতিহাসিকভাবে প্রমাণিত  সত্যিকার বিজ্ঞান বলতে আজ আমরাযেটাকে বলে থাকি এবং বুঝে থাকিসেই আদি বিজ্ঞানের উদ্ভাবক ইসলামের অনুসারীরা। মুহাম্মাদ দ্য প্রফেট অব ইসলাম গ্রন্থে প্রফেসর রাও লিখেছে, ‘কুরআন পাকে যতগুলো আয়াতমৌলিক বাদত সম্পর্কিত তার চেয়ে অনেক বেশি হবে সেই সম্পর্কিত আয়াত যেখানে আমন্ত্রণ করা হয়েছে প্রকৃতি/সৃষ্টি রহস্য নিয়ে গভীরভাবে চিন্তা-ভাবনাপর্যবেক্ষ  অনুসন্ধানের।আরবীয় মুসলমানেরা এই প্রেরণায় প্রকৃতির রহস্য নিয়ে নিয়মিতভাবে পর্যবেক্ষ আরম্ভ করে দেয় যেটা বর্তমান সময়ের বৈজ্ঞানিক পর্যবেক্ষনপরীক্ষা  গবেষণার মূলনীতির ভিত্তি নির্মাণকরেযা অজ্ঞাত ছিল গ্রিকদের কাছে।
শয়তানের সাথে দহরম প্রসঙ্গঃ ইসলামের সোনালি যুগে সমরকন্দ,কায়রো আর করডোভায় প্রথম মানমন্দির তৈরী করে মুসলমানরা।মুসলিম জ্যোতির্বেত্তারা এমন সব পর্যবেক্ষ চালিয়েছেনযে সব ১২ বছরের ওপরে দীর্ঘায়িত হয়েছিল সে সময়ের মুসলিম বিশ্বের জ্যোতির্বিজ্ঞান কোন অবস্থানে পৌঁছেছিল তার বর্ণনা একটি ঘটনায় ফুটে ওঠে সন্ন্যাসী গারভাট (দ্বিতীয়সিলভেস্ট নামে তিনি ৯৯৯ সালে পোপ হনযখন করডোভার মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া শেষ করে খ্রিষ্ট ধর্মাচরণে পুনরায় ফিরে এলেন তখন লোকে বলাবলিকরেতিনি নাকি সেখানেশয়তানে সাথে দহরম পর্যন্ত করে এসেছেন এখানে বিশেষভাবে উল্লেখ্য,ইউরোপীয়রা যখন মহাকাশ গবেষণাকে দুনিয়াদারীর মানদণ্ডে অপ্রয়জনীয় ফালতুকাজ অভিহিত করে  একে শয়তানের সাথে দহরম করাতুল্য বলে মনে করে সেই সময়ে মুসলমানেরা  বড় বড় মানমন্দির বিশ্বে প্রথম প্রতিষঠা করে চমক সৃষটি  করে মুসলমানরা পরকালের সুখশান্তির জন্য কাজ করে খাকে।তাহলে মহাকাশ নিয়ে মাথাব্যাথার দরকার ছিল কীআসলে মুসলমানেরা যে কারনে আজকের বিঞ্জানের সুত্রপাত করেছে সেইএকই কারনে মহাকাশ গবেষণাও করেছেন কাজেই মহাবিশ্বের সব কিছুকে পর্যবেক্ষণ  রহস্য উদ্ঘাটনের মাধ্যমেই কেবল আল্লাহকে খুঁজে পাওয়া  তার নৈকট্যলাভ করা যেতে পারে ঈমান বাড়ানোর পথ বা উপায় হলো সৃষ্টি রহস্য নিয়ে গভীরভাবে চিন্তাভাবনাকরা,আরএভাবেইস্রষ্টাকেজানা হাদিস শরিফে আছেসৃষ্টিরহস্য নিয়ে কিছু সময়চিন্তাভাবনা করাসারা রাত নফল এবাদত থেকেও উত্তমমহাবিজ্ঞানী আইনস্টাইনের ভাষায়,‘নিশ্চয়ই এর পেছনে রয়েছে এক অকল্পনীয় মহাজ্ঞানী ত্তার এক রহস্যময়অভিপ্রেতবিজ্ঞানীর দুরভিসারি জিজ্ঞাসা সেখানে বিমূঢ় হয়ে যায়বিজ্ঞানের সমাগত চূড়ান্ত অগ্রগতিও  সেখান থেকে স্তব্ধ হয়ে ফিরে আসবেকিন্তু সেই অনন্ত মহাজাগতিক হস্যের প্রতিভাস বিজ্ঞানীরমনকে এই নিশ্চিত প্রত্যয়ে উদ্বেল করে তোলে,এই মহাবিশ্বের একজন নিয়ন্ত্রা রয়েছেন।তিনি অলৌকিক জ্ঞানম,তাঁর সৃষ্টিকে অনুভব করা যায় কিন্তু তাকে কল্পনা করা যায় না।’  আমরা জন গুরুত্বসহকারে ভেবে দেখেছিপ্রকৃত ঈমানের স্বাদ ম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা পেতে হলে সর্বশেষ বিজ্ঞানের নভোমণ্ডল  হাবিশ্ব সম্পর্কে  ন্যূনতম একটি ধারণা একেবারে নাথাকলেই নয়প্রশ্ন আসা স্বাভাবিকঈমানের সত্যিকার স্বাদ পাওয়ার জন্য এসব তথ্ জেনে কী হবেমুজাদ্দেদ ইমাম গাজ্জালি রহসেই মধ্যযুগের শ্রেষ্ঠ ইসলামি চিন্তাবিদ বর্তমানে মহাকাশবিজ্ঞানের যে বিকাশ হয়েছেসেই প্রক্ষাপটে মধ্যযুগে এই বিজ্ঞানের অগ্রযাত্রা কোন পর্যায়ে ছিলতা সহজেই অনুমেয় সেই যুগে তার একটি উপমা এখানে তুলে ধরলে আমরা একেবারে চমকেউঠবতিনি তার সময়ের এবং পরে সব কালের ঈমানদারদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন একটি উপমার মাধ্যমেআল্লাহ পাকের প্রতি ঈমান সুদৃঢ় করা অতি সহজ একটি পথ এটিহচ্ছে ঈমানদারদের দৌড় শুধু মসজিদ নয়বরং মহাকাশ বা মহাবিশ্ব সম্পর্কে যে ব্যক্তির কোনো ধারণাই নেইতার ঈমানের স্বাদ বা স্তর হচ্ছে একজন Impotent (নপুংসক)এর মতোযারকোনো অনুভূতি নেই নর নারীর দৈহিক সম্পর্কের আসল মজা সম্পর্কে বাস্তব দুনিয়ায় সবচেয়ে মজাদারঅপার ফুর্তি কোনো কিছু থেকে থাকলে তা হচ্ছে একমাত্র এটি তেমনি গাজ্জালিরহ:এর মতেপ্রকৃত ঈমানের আসল স্বা বা তৃপ্তি পেতে প্রয়োজন এবং পাওয়ার সহজ পথ হচ্ছে আল্লাহ পাকের অপার রহস্য মহাবিশ্ব সম্পর্কে ওয়াকিবহাল হওয়া। প্রকারন্ত্ররে এভাবেই ঈমানকে সুদৃঢ় করা সম্ভব। আমাদের দেশে এক শ্রেণীর লোক সন্ত্রাসজঙ্গিবাদের সাথে মুসলিম এবং ইস লামকে গুলিয়ে ফেলতে চেষ্টা করছেন আর  আন্যদিকে প্রেসিডেনট টেরাম্পের উপদেষ্টারা কেউ কেউ  একই সুরে বাদ্য বাজাচ্ছেন তাকে নিয়ে বাস্তবে যে মুসলিম জাতি প্রথম বিশ্ববিদ্যালয়মানমন্দির এবং আসল বিজ্ঞানের  অস্তিত্বের উপহার দিয়ে মানব সভ্যতাকে এগিয়ে নিয়ে এসেছে
লেখকঃ সাবেক সিক্ষক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়