Tuesday, April 30, 2019

সৌদি হাফে্যের আবৃতিতে প্রচলিত খতম তারাবীহ, বুলেট তারাবীহ না শর্টকাটে অনায়াসে ১০৩ খতমের নেকী?

সৌদি হাফে্যের আবৃতিতে প্রচলিত খতম তারাবী, বুলেট তারাবী  না শর্টকাটে অনায়াসে    তারাবীর প্রতিরাতেই ১৩ বার কোরআন খতমের নেকী?

  • ইমাম হাসান আল বসরী(৬৪২-৭২৮ খৃঃ) বলেনঃ 'কুরআনকে নাযিল করা হয়েছে এর নির্দেশনা বলীর ভিত্তিতে কাজ করার জন্য কিন্ত তা না করে তারা  { খতমে কোরআনের নামে}   আবৃতিকে কাজ হিসাবে ধরে নিয়েছে।' 
  • বুলেট খতম তারাবীহ(৮/৯ দিনেই তারাবীতে  খতম), সৌদি হাফেজের মাধ্যমে খত মে   তারাবী [ সৌদি হাফেজ  তারাবী পড়ালে  অনেক বেশি  নেকী হবে এই প্রত্যাশায় আমেরিকার মেরিল্যান্ডের বালটিমোর মসজিদে দেখেছি রামাদানে সৌদি হতে হাফেজ আনতে। সেই তারাবীতে অংশ নিয়েছি। যদিও বাস্তবতা হচ্ছে, আন্তর্জাতিক কেরাত  প্রতিযোগিতায় আরবদের হারিয়ে বাঙ্গালী হাফেজ  তাদের থেকে  পদকও  ছিনিয়ে নিয়েছেন। ]
  •  শুধু নেকী অর্জনের জন্য খতমে তারাবী  হ্লে  মাত্র  কয়েকটি সূরা  দিয়েইতো  রমজানে ৩৯০ বার কোরআন খতমের নেকী পাওয়া যাচ্ছে সেই সাথে  প্রচলিত খতমে তারাবীর জন্য অতিরিক্ত যে সময় ব্যয় হচ্ছে সেই সময়টিতে প্রতিরাতে কোরআনের এক পারার মুল বক্তব্য ইমাম সাহেব  অল্প কথায়  অতি সংক্ষেপে  তুলে ধরতে পারেন।  খুব সহজেই দুকূল রক্ষা হচ্ছে; এক ঢিলে দুটিই পাওয়া যাবে ।  
    তারাবীতে  ৩৯০ বার কোরআন খতমের  নেকী ও পাওয়া গেল সেই সাথে প্রতি রাতে ১ পারা করে সম্পূর্ণ কোরআনের মুল বক্তব্যও জানার সুজোগ হল। 

কোরআন নাযিলের মাসে খতমে তারাবী নামাজের মাধ্যমে এ মাসে সমগ্র কোরআনের বক্তব্য শ্রবণ করে উপলব্ধি ও হ্রদয়ঙ্গম করাই হচ্ছে কোরআন খতমের একমাত্র উদ্দেশ্য, এত কষ্ট করে খতমে  তারাবীহ পড়ার আর কোন কারন নেই বা থাকতেই পারেনা। আর কোনো মাসে তারাবী না থাকার কারনে এই মাসকেই কোরান খতমের উত্তম মাস হিসেবে সকলে গ্রহণ করে থাকে। এ মাসে কোরআনের বিষয়বস্ত জানার সুযোগ হচ্ছে সেই সাথে আনেক গুন বেশি নেকী পাওয়া যাচ্ছে। আবার কোরআনের কথা যদি না বুঝে শুনা হয় তবে বাস্তবে এতে খতমে কোরআনের কোনো উদ্দেশ্যই  কিন্ত কার্যত সাধিত হচ্ছে না। যে কোন চিন্তাশীল মানুষ বলবে - না বুঝে শুনা শুধুমাত্র সময়কে ফাকি দেওয়া / অপচয় করা । পড়া বা শুনার সংজ্ঞা আনুসারে কেবল মাত্র শব্দের মানে/অর্থ জানলেই সঠিক ভাবে পড়া বা শুনা কোণটাই সম্পন্ন হয়না। সংশ্লিষ্ট শব্দটি ঐ বাক্যে কি অর্থে ব্যবহত হয়েছে তা অবশ্যই জানতে হবে। কারন একটি শব্দ বাক্যে বিভিন্ন অর্থে ব্যবহত হতে পারে। সংশ্লিষ্ট শব্দটির আগে বা পরে বাক্যে যে সব শব্দ রয়েছে তার উপরও শব্দের অর্থ নিয়ন্ত্রিত হয়ে থাকে। বাক্যের কোনো শব্দেরই অর্থ না জানলে পড়া বা শুনা কোনটাই কিন্ত হয় না,  কেবল উপহাসে র বিষয় হতে  বাধ্য। যেমন সুরা কাওছারে 'আবতার' (নিবংশ/অপুত্রক) শব্দটি বিশেষ অর্থে /ভাবে ব্যাবহত হয়েছে যেটা না জানলে বিষয়টা  অস্পষ্ট থেকে যাবে।
রাসুলুল্লাহ(সঃ) উপস্থিত সাহাবীদের একদিন বললেন- 'তোমরা স্ত্রীদের কাছে যাওয়ার আগে প্রথমে দূত পাঠাও, তারপর প্রবেশ কর।'  উপস্তিত সাহাবীরা যেন আকাশ থেকে পড়লেন এই  ভেবে -নিজ স্ত্রীর কাছে আবার অন্যকে পাঠাবো ? তিনি (দঃ)এখানে দূত  শব্দটির কী অর্থ /  ব্ লতে এখানে কি ব্ লা হয়েছে বুঝিয়ে দেন।
একবার উম্মু্ল মুমিনীন গন জানতে চান-ইয়া রাসুলুল্লাহ, আপনার ইন্তেকালের পর আমাদের মধ্যে (উম্মুল মুমিনুন) কে প্রথম আপনার সাথে মিলিত হবে? যার হাত সবচেয়ে লম্বা সে-জবাবে তিনি (দঃ)বলেন।
হাত মাপামাপি করে তারা দেখতে পান বড় হাত ওয়ালা নয় বরং যার হাত সবচেয়ে ছোটো তিনি আগে ইন্তেকাল করেন । আসলে এখানে বড় হাতওয়ালা বলতে উদার/দানশীল ব্যক্তিকে বুঝানো হয়েছিল। ছোট হাতওয়ালা হওয়া সত্ত্বেও তিনিই প্রথমে ইন্তেকাল করেন- যেহেতু সবার মধ্যে সবচেয়ে বেশি দানশীল / দয়ালু ছিলেন তিনি।কাজেই  শব্দের মানে / অর্থ সংশ্লিষ্ট অনেক বিষয়ের  উপর নির্ভর করে।
আমেরিকার বালটিমোর শহরের মসজিদে রমজানে তারাবীর নামাজের জন্য সৌদি থেকে হাফে্য আনা হয়ে থাকে। তাদের কঠিন যুক্তি, তারাবীতে সহিহ পড়া শুনলে অনেক অনেক গুন বেশি নেকী পাওয়া যাবে। আসলে কিন্ত বাস্তবে অর্থ না জানলে শুনা হয়ই না।সাম্প্রতিক সাড়া জাগানো খবর হচ্ছেঃ বিশ্ব হেফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশি তরুণরা আরব জগতকে হারিয়ে আরব বিশ্ব থেকে পদক ছিনিয়ে এনেছে। মোদ্দাকথা হলো আমাদের অঢেল বেশি বেশি নেকী চাই, তাহলে প্রচলিত খতমে  তারাবির চেয়েও শতগুন বেশি নেকী পাবার সহজ পথ খোলা  রয়েছে ।যে সময়ে হাজার(১০০০) নেকী সেই সময়ের মধ্যই যদি শর্টকাটে এক লক্ষের (১০০,০০০)বেশি নেকী লাভ করা যায় ক্ষতি কি, কে চায়না? তারাবীর  প্রতি রাতে ২০ রাকাতেই  ১৩ বার কোরআন খতম করার নেকী লাভ করতে পারা যায় অতি সহজ উপায়ে। সময় শ্রম বাচল, আবার যে সময়টা বাচল সে সময়ে কোরআন বোঝার বা সত্যিকার অর্থে কোরআন জানার সুযোগ তৈরী করে নেয়া ও যেতে পারে ইচ্ছা থাকলে। 
সুরা ইয়াসীন ১ বার পাঠ করলে ১০ বার কোরআন খতম করার নেকী হয়।
সুরা এখলাস ৩ বার পাঠ করলে ১ বার কোরআন খতম করার নেকী হয়।
সুরা কাফেরুন ৪ বার পাঠ করলে ১ বার কোরআন খতম করার নেকী হয়।
এবার হিসাব করা যাক, এসব কিছু সুরা দিয়ে বিশ রাকাত নামাজ আনায়েসে শেষ করে কত খতমের নেকী পাওয়া যাবার কথা? ২০ রাকাতে   এক বার সুরা ইয়াসীন (১০  বার কোরআন খতম),৬বার সুরা এখলাস ( ২ বার কোরআন খতম), ৪বার সুরা কাফেরুন (১বার কোরআন খতম), সব মিলে দাঁড়াল  এক রাতেই ১৩    বার কোরআন খতমের নেকী মাত্র  কয়েকটি টি সুরার সাহায্য নিয়েই।৩০ রাতে অনায়াসেই কিন্ত  (১৩)(৩০)=৩৯০ বার কোরআন খতমের নেকী/ছওয়াব নিজের আমল নামায় সঞ্চিত হচ্ছে।
যে উদ্দেশ্যে কোরআন খতম সে উদ্দেশ্য সাধিত হলে খতমে   তারাবীর অবশ্য অবশ্যই কোনো বিকল্পই নেই।প্রচলিত খতমে তারাবী সেই উদ্দেশ্য কি পুরন করে? আমরা ফাকি দিয়ে নেকী লাভের প্রতিযোগিতা না করে কোরআন নাযিলের মাসে প্রচলিত তারাবী মাত্র কয়েকটি  সুরার সাহায্য নিয়ে পড়ে সময় বের করে কোরআন বুঝার/ শেখার সময় সুযোগ করে নিয়ে সত্যিকার কোরআনের দাবি পুরন করতে পা্রি, আবার সেই সাথে এক খতমের জায়গায় অনেক গুন বেশি, ৩৯০ কোরআন খতমের নেকী ও লাভ করতে পারি,কোনটি উত্তম? আল্লাহ আমাদের সকলের উপলব্ধি  দান ক্রুন ও বাস্তবায়নের সুযোগ দিন।