১) বর্তমান মুসলিম বিশ্বে স্বনামধন্য আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয় মূলত আদিতে ছিল একটি মসজিদ। মসজিদ হিসেবে এটির ভিত্তি প্রতিষ্ঠিত হয়। যেহেতু মসজিদ জ্ঞানচর্চার মূলকেন্দ্র হিসেবে বিবেচিত হতো এটি ধীরে ধীরে সম্প্রসারিত হয়ে শেষে একটি বিরাট বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপ নেয়।
২) বিশ্বের
প্রথম বিশ্ববিদ্যালয়
প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ৮৫৯ সালে একটি
মসজিদের অংশহিসেবে। মরক্কোর
এই কারওয়াইন
বিশ্ববিদ্যালয়টি হচ্ছে ইউনেস্কো স্বীকৃত বিশ্বের
প্রথম বিশ্ববিদ্যালয়।গিনেস বুকের রেকর্ড অনুসারেও মরক্কোর
ফেজ নগরীর
কারওয়াইন বিশ্ববিদ্যালয়
পৃথিবীর সর্বপ্রথম
বিশ্ববিদ্যালয়। ফাতেমা নামে এক
মহীয়সী নারী
পৈতৃক সূত্রে
প্রাপ্ত সব
অর্থ ব্যয়
করেছিলেন তার
সমাজের লেখকদের
জন্য একটি
মসজিদ তৈরির
পেছনে।
এই মসজিদ
হয়ে ওঠে
ধর্মীয় নির্দেশনা
এবং জ্ঞানবিজ্ঞানেরআলোচনার
স্থান।
মসজিদটি পুরোপুরি
নির্মাণে
লেগে যায়
২৭৮ বছর। ইতালির
বোনায় ১০৮৮
সালে প্রথম
ইউরোপীয় বিশ্ববিদ্যালয়
প্রতিষ্ঠিত হয়। তারও আগে
কারওয়াইন হয়ে
ওঠে এক
বিশ্ববিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয়।
ফেজকে তখন
বলা হতো
‘বাগদাদ অব
দ্য ওয়েস্ট’।
The oldest existing, and continually operating educational institution in the world is the University of Karueein, founded in 859 AD in Fez, Morocco. The University of Bologna, Italy, was founded in 1088 and is the oldest one in Europe.
'পৃথিবীর মধ্যে অনেক নিদর্শন রয়েছে বিশ্বাসীদের জন্য এবং তোমাদের নিজেদের মধ্যেও'- এ ধরনের আয়াতের প্রেরণায় মুসলামানেরা তাদের ইবাদতখানা পবিত্র মসজিদকেও বিজ্ঞান চর্চা ও অনুশীলনের জন্য ব্যবহার করেছেন। একমাত্র এ কারনে ইসলাম মানবজাতিকে উপহার দিতে সক্ষম হয়েছে আজকের প্রচলিত বিজ্ঞানকে। বিজ্ঞানের আদি রুপ ছিল পদার্থবিজ্ঞান আর এই পদার্থবিজ্ঞানের বিকাশই হচ্ছে বিজ্ঞানের আর সব শাখা প্রশাখা। এখনও পদার্থবিঙান বিঙ্গানের আত্মা হিসাবে বিবেচিত। বাস্তবে কিন্ত পদার্থবিঙ্গানের তত্ব ও যন্ত্রপাতি ছাড়া বাকি সব বিজ্ঞান অচল। এই পদার্থবিজ্ঞানের জন্ম/উদ্ভাবন করেছে ইসলাম যে রেকর্ডটি লাইব্রেরি অব কংগ্রেসে রয়েছে (লেখকের ওয়াশিংটনে লাইব্রেরি ভিজিট )।
মুজাদ্দেদ ইমাম গাজ্জালি রহ: লিখেছেন ‘কোনো মুসলমান যদি প্রয়োজনীয় ধর্মীয় শিাক্ষা শেষে মানুষের কল্যাণ চিন্তা করে ব্যবহারিক জ্ঞান অর্জন করে, সে ধর্মীয় শিক্ষারই সওয়াব লাভ করবে'।
‘ইসলামের এক গৌরবময় কীর্তি হচ্ছে কুরআন, হাদিস ও মুসলিম বিধান শাস্ত্র ফিকাহর অধ্যয়ন অনুশীলনের অনুরূপ অন্যসব জ্ঞান-বিজ্ঞানের সাধনাকেও সমান আসন ও মর্যাদা দিয়েছে এবং মসজিদের মধ্যেই তাকে প্রতিষ্ঠিত করেছে।’- পাশ্চাত্য চিন্তাবিদের এই মন্তব্য থেকে স্পষ্টত উপলব্ধি করা যায় দুনিয়ার সুখ, কল্যাণের জন্য মুসলমানেরা কাজ করছে আর তার বিনিময়ে আখেরাতের কল্যাণ লাভে ও তারা সফল হবে। জগতে একমাত্র ইসলামই ধর্মীও এবাদতখানাকে জ্ঞান ও বিজ্ঞান চর্চা এবং অনুশীলনে ব্যাবহার করেছে। ‘তোমরা স্ত্রীদের সাথে মেকিং লাভের জন্য পুরস্কৃত হবে’ রাসূলুুল্লাহ সা:-এর কাছ থেকে এ কথা শোনার পর সাহাবিরা জানতে চান, ‘যে কাজে আমরা সবচেয়ে বেশি তৃপ্তি এবং মজা পাই তাতেও আমরা প্রতিদান পাবো?’ উত্তরে রাসূলুল্লাহ সা: বলেন, ‘তোমরা যদি এটা অনির্ধারিত পন্থায় নিতে তাহলে কি সে জন্য শাস্তি পেতে না?’ জবাবে উপস্থিত সাহাবিরা যখন বলেন ‘অবশ্যই পেতাম’, শুনে রাসূলুল্লাহ সা: বলেন, ‘তোমরা যে নির্ধারিত পন্থায় এটা উপভোগ করছো, সে জন্য তোমাদের পুরস্কৃত করা হবে।’ ইসলামে এমনকি জ্ঞানীদের ঘুমকেও ইবাদত হিসেবে বিবেচনা করা হয়। শেষ জামানায় মসজিদের চাকচিক্যের প্রসার ঘটবে -রাসুলুল্লাহর ভবিষ্যদ্বানী । ঢাকা শহর মসজিদের নগরী আর বাংলাদেশ মসজিদের দেশ হলেও কয়টিতে জ্ঞানবিজ্ঞানের আলোচনা ,চর্চা ও অনুশীলনের সুজোগ সুবিধার জন্য জনগনের ও সরকারের সার্বিক দৃষ্টিভঙ্গি ও মণ মানসিকতা রয়েছে? ধর্মনিরপেক্ষতার আড়ালে মসজিদে মুসলিম সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের ঢাক ঢোল বাজিয়ে শেষে আধ্যাতিকতা ও জ্ঞান বিজ্ঞান অনুশীলনের বদলে মসজিদকে পরিণত করা হবে ইস্ লামি নয় বরং ধর্ম নিরপেক্ষ রাজনীতির মুল কেন্দ্র হিসাবে যদিও প্রমান করার প্রয়াস চলবে মসজিদ হচ্ছে রাজনীতিমুক্ত। বাস্তবে পরীক্ষিত হবেঃ মডেল মসজিদে পরোক্ষভাবে ধর্মনিরপেক্ষ রাজনীতিতে কোনো ক্ষতি নেই অসুবিধা শুধু ইসলামী রাজনিতিতে। এম এন রায় ‘The Historical Role of Islam.’ এ লিখেছেনঃ ‘সত্যিকার ধর্মীও আন্দোলনের চেয়ে রাজনৈতিক রুপ নিয়েই ইসলামের উত্থান হয়েছে।’… ‘তারা(ইসলামের আনুসারিরা) কেবলমাত্র রাজনৈতিক ঐক্যের উপযোগী পরিবেশই সৃষ্টি করে দিয়ে গেল,কিন্ত তাতেই হল আর্থিক উন্নয়ন ও আত্মিক উন্নতিশীল একটা যুগের পথ উন্মুক্ত।‘…. ‘ইসলাম অবদান রাখল আদর্শিক ব্যবস্থা নির্মাণে যা নিয়ে এল পরবর্তী সামাজিক বিপ্লব।’ ভারতের চিন্তাবিদ প্রখ্যাত ইসলামি বিশেষজ্ঞ মাওলানা আবুল কালাম আজাদ তার বই ‘মসজিদে রাজনীতি’ তে বলতে চেয়েছেন;
The oldest existing, and continually operating educational institution in the world is the University of Karueein, founded in 859 AD in Fez, Morocco. The University of Bologna, Italy, was founded in 1088 and is the oldest one in Europe.
'পৃথিবীর মধ্যে অনেক নিদর্শন রয়েছে বিশ্বাসীদের জন্য এবং তোমাদের নিজেদের মধ্যেও'- এ ধরনের আয়াতের প্রেরণায় মুসলামানেরা তাদের ইবাদতখানা পবিত্র মসজিদকেও বিজ্ঞান চর্চা ও অনুশীলনের জন্য ব্যবহার করেছেন। একমাত্র এ কারনে ইসলাম মানবজাতিকে উপহার দিতে সক্ষম হয়েছে আজকের প্রচলিত বিজ্ঞানকে। বিজ্ঞানের আদি রুপ ছিল পদার্থবিজ্ঞান আর এই পদার্থবিজ্ঞানের বিকাশই হচ্ছে বিজ্ঞানের আর সব শাখা প্রশাখা। এখনও পদার্থবিঙান বিঙ্গানের আত্মা হিসাবে বিবেচিত। বাস্তবে কিন্ত পদার্থবিঙ্গানের তত্ব ও যন্ত্রপাতি ছাড়া বাকি সব বিজ্ঞান অচল। এই পদার্থবিজ্ঞানের জন্ম/উদ্ভাবন করেছে ইসলাম যে রেকর্ডটি লাইব্রেরি অব কংগ্রেসে রয়েছে (লেখকের ওয়াশিংটনে লাইব্রেরি ভিজিট )।
মুজাদ্দেদ ইমাম গাজ্জালি রহ: লিখেছেন ‘কোনো মুসলমান যদি প্রয়োজনীয় ধর্মীয় শিাক্ষা শেষে মানুষের কল্যাণ চিন্তা করে ব্যবহারিক জ্ঞান অর্জন করে, সে ধর্মীয় শিক্ষারই সওয়াব লাভ করবে'।
‘ইসলামের এক গৌরবময় কীর্তি হচ্ছে কুরআন, হাদিস ও মুসলিম বিধান শাস্ত্র ফিকাহর অধ্যয়ন অনুশীলনের অনুরূপ অন্যসব জ্ঞান-বিজ্ঞানের সাধনাকেও সমান আসন ও মর্যাদা দিয়েছে এবং মসজিদের মধ্যেই তাকে প্রতিষ্ঠিত করেছে।’- পাশ্চাত্য চিন্তাবিদের এই মন্তব্য থেকে স্পষ্টত উপলব্ধি করা যায় দুনিয়ার সুখ, কল্যাণের জন্য মুসলমানেরা কাজ করছে আর তার বিনিময়ে আখেরাতের কল্যাণ লাভে ও তারা সফল হবে। জগতে একমাত্র ইসলামই ধর্মীও এবাদতখানাকে জ্ঞান ও বিজ্ঞান চর্চা এবং অনুশীলনে ব্যাবহার করেছে। ‘তোমরা স্ত্রীদের সাথে মেকিং লাভের জন্য পুরস্কৃত হবে’ রাসূলুুল্লাহ সা:-এর কাছ থেকে এ কথা শোনার পর সাহাবিরা জানতে চান, ‘যে কাজে আমরা সবচেয়ে বেশি তৃপ্তি এবং মজা পাই তাতেও আমরা প্রতিদান পাবো?’ উত্তরে রাসূলুল্লাহ সা: বলেন, ‘তোমরা যদি এটা অনির্ধারিত পন্থায় নিতে তাহলে কি সে জন্য শাস্তি পেতে না?’ জবাবে উপস্থিত সাহাবিরা যখন বলেন ‘অবশ্যই পেতাম’, শুনে রাসূলুল্লাহ সা: বলেন, ‘তোমরা যে নির্ধারিত পন্থায় এটা উপভোগ করছো, সে জন্য তোমাদের পুরস্কৃত করা হবে।’ ইসলামে এমনকি জ্ঞানীদের ঘুমকেও ইবাদত হিসেবে বিবেচনা করা হয়। শেষ জামানায় মসজিদের চাকচিক্যের প্রসার ঘটবে -রাসুলুল্লাহর ভবিষ্যদ্বানী । ঢাকা শহর মসজিদের নগরী আর বাংলাদেশ মসজিদের দেশ হলেও কয়টিতে জ্ঞানবিজ্ঞানের আলোচনা ,চর্চা ও অনুশীলনের সুজোগ সুবিধার জন্য জনগনের ও সরকারের সার্বিক দৃষ্টিভঙ্গি ও মণ মানসিকতা রয়েছে? ধর্মনিরপেক্ষতার আড়ালে মসজিদে মুসলিম সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের ঢাক ঢোল বাজিয়ে শেষে আধ্যাতিকতা ও জ্ঞান বিজ্ঞান অনুশীলনের বদলে মসজিদকে পরিণত করা হবে ইস্ লামি নয় বরং ধর্ম নিরপেক্ষ রাজনীতির মুল কেন্দ্র হিসাবে যদিও প্রমান করার প্রয়াস চলবে মসজিদ হচ্ছে রাজনীতিমুক্ত। বাস্তবে পরীক্ষিত হবেঃ মডেল মসজিদে পরোক্ষভাবে ধর্মনিরপেক্ষ রাজনীতিতে কোনো ক্ষতি নেই অসুবিধা শুধু ইসলামী রাজনিতিতে। এম এন রায় ‘The Historical Role of Islam.’ এ লিখেছেনঃ ‘সত্যিকার ধর্মীও আন্দোলনের চেয়ে রাজনৈতিক রুপ নিয়েই ইসলামের উত্থান হয়েছে।’… ‘তারা(ইসলামের আনুসারিরা) কেবলমাত্র রাজনৈতিক ঐক্যের উপযোগী পরিবেশই সৃষ্টি করে দিয়ে গেল,কিন্ত তাতেই হল আর্থিক উন্নয়ন ও আত্মিক উন্নতিশীল একটা যুগের পথ উন্মুক্ত।‘…. ‘ইসলাম অবদান রাখল আদর্শিক ব্যবস্থা নির্মাণে যা নিয়ে এল পরবর্তী সামাজিক বিপ্লব।’ ভারতের চিন্তাবিদ প্রখ্যাত ইসলামি বিশেষজ্ঞ মাওলানা আবুল কালাম আজাদ তার বই ‘মসজিদে রাজনীতি’ তে বলতে চেয়েছেন;