বিজ্ঞান পরিমণ্ডলেও ভবিষ্যদ্বা ণীঃ রহস্য উন্মোচন
প্রচণ্ড গরম বা তাপদাহ, প্রবল বৃষ্টি, ঝড়, অর্থাৎ যে রকম আবহা ওয়ায় ভবিষ্যদ্বাণী থাকুক, আগেভা গে জেনে সেভাবেই প্রস্তুতি নিয়ে ঘর থেকে বের হতে হবে।ভবিষ্যদ্বাণীর কারণে আজকাল ভয়াবহ প্রাকৃতিক বিপর্যয় থেকে মানুষকে রক্ষা করা সহজ হয়ে পড়েছে। প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে উপ দ্রুত অঞ্চলের লোকদের আগেভাগেই নিরাপদ দূরত্বে সরিয়ে নেয়া যাচ্ ছে। ত্বরিৎ ব্যাবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে জানমালের ক্ষতি অনেক কমিয়ে আনা সম্ভব হচ্ছে। স মগ্র বিশ্বের কোনো নির্দিষ্ট স্ থানের সূর্যোদয়, সূর্যাস্ত, চন্দ্র ও সূর্যগ্রহণের বার্ষিক ক্যালেন্ডার যেটা কার্যত ভবিষ্যদ্বাণী বর্তমানে এখন অনায়াসে পা ওয়া যায়। নামাজ, রোজার চিরস্থা য়ি ক্যালেন্ডার বলে দেয় প্রাত্যহিক জীবনে আমরা কত বেশী ভবিষ্যদ্বাণী নির্ভরশীল হয়ে পড়েছি। প্রতি বছরই নিয়মিত বের হচ্ছে জ্যোতির্বিদ্যার বার্ষিক ক্যা লেন্ডার যার সাহায্যে পৃথিবীর যে স্থানে আপনি থাকুন না কেন, সেই স্থান থেকে কখন কোন মুহূর্তে কো ন কোন নক্ষত্র, ছায়াপথ সব কিছুই নির্দিষ্ট ভাবে দেখা যাবে তা জেনে অনায়াসেই দেখা যাবে। কোটি কোটি ছায়াপথ, নক্ষত্ররাজি, গ্ রহ উপগ্রহ তথা অগণিত, অসংখ্য সৃ ষ্টি যে কেবল মাত্র পরিকল্পিত ভাবে অসীম মহাকাশের ভিতরে বি চরণ করছে নিচের ভবিষ্যদ্বাণী তা র একটি দৃঢ় প্রমাণ। পরিকল্পিত না হলে চুলচেরা হিসেব করে এ ধরনের ভবিষ্যদ্বাণী করা কি বিজ্ঞান সম্মত/ কখনও সম্ভব? ২০১০ সালের ১৪ মার্চ নাসার ভবিষ্যষ্যদ্বা ণীঃ ১৬ মার্চ২৮৮০ সালে একটি গ্রহানু (DA-১৯৬০) মহাকাশ থেকে আছ ড়ে পড়বে। এটা প্রতি সেকেন্ডে ৯ মাইল (১৫ কিমি) বেগে ধেয়ে আসছে পৃথিবীর দিকে। এই সংঘর্ষের সম্ ভাবনার অনুপাত ৩০ শতাংশ বলা হয়ে্ ছে। অতি সাম্প্রতিক ভবিষ্যদ্বাণী হচ্ছে-
[স্বাধীন নিউজ ২৪.কম’ সূত্র: নিউজ১৮ প্রকাশ : মার্চ 5, 2020 10:16:08 পূর্বাহ্ন 0] ধেয়ে আসছে বিশাল গ্রহাণু, আগামী মাসেই ধ্বং’স হতে পারে মা’নবসভ্যতা: নাসা মুহূর্তে ধ্বং’স হয়ে যাবে মানবসভ্যতা।ব্রিটেনের এক্সপ্রেস নিউজ-এর খবর অনুযায়ী, নাসা জানিয়েছে, এই গ্রহাণুটি আয়তনে ৪ কিলোমিটার। প্রতি ঘণ্টায় ৩১ হাজার ৩২০ কিমি গতিতে এগিয়ে আসছে। এই গতিতে এগিয়ে আসতে থাকলে ২৯ এপ্রিল,২০২০ পৃথিবীর কাছে চলে আসবে।
নাসা জানিয়েছে, পৃথিবীর খুব কাছে আসবে গ্রহাণুটি। কোনওভাবে পৃথিবীর সঙ্গে সং’ঘর্ষ হলে গোটা মানবসভ্যতা কয়েক সেকেন্ডে ধ্বং’স হয়ে যাবে।
কিভাবে ভবিষ্যদ্বাণী ফলপ্র সূ হতে দেখা যায় সাম্প্রতিক ঘটে যাওয়া এই বিরল ঐতিহাসিক ঘটনাটি তার সুন্দর প্রমানঃ ভবিষ্যদ্ বাণীটি দেওয়া হয়েছে ২৮জুন ২০১৮ তে,শতাব্দীর দীর্ঘতম পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ হবে ২৭জুলাই২০১৮। 'রক্তিম পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ ১ ঘণ্টা ৪৩ মিনিট সময় পর্যন্ত স্থায়ী হবে আর চন্দ্রগ্রহণের প্ রক্রিয়াটি ৪ ঘণ্টা ধরে চলবে। এ সময় চাঁদ একেবারে অদৃশ্য হবে না । হলুদ ও লালের সংমিশ্রণে দেখা যাবে চাঁদকে।' এএফপি২৬জু লাই২০১৮ঃআগামী ২৭ জুলাই থেকে ৩০ জুলাই ২০১৮ পৃথিবীরকাছাকাছি অ বস্থানের কারনে মঙ্গলগ্রহকে অনে ক উজ্জ্বল দেখাবে। ৩১জুলাই পৃথি বী ও মঙ্গলের মাঝে দূরত্ব থা কবে ৫ কোটি ৭৬ লাখ কিলোমিটার। এটি হবে গত ১৫ বছরের মধ্যে সব চেয়ে কম দূরত্ব। এ সময় টেলিস্কো প অথবা খালি চোখে সহজেই মঙ্গলগ্ রহ দেখা যাবে। পেনসেলভানিয়ার ওয়াইডনার ইউনীভা র্সিটির জ্যোর্তিবি-জ্ঞানী হেরি আগেনসেনবলেনঃ মঙ্গলগ্রহকে এতো ব ড় আর উজ্জ্বল দেখাবে মনে হবে যেন, এটি একটি বিমানের ল্যান্ডিং লাইট। তিনি বলেন, মঙ্গলের উজ্জ্বলতা শুক্র গ্রহের চেয়ে বেশি হবে না,তবে লালচে ও কমলালাল রঙয়ের দেখা যা বে।মঙ্গলগ্রহটি পৃথিবীর কাছাকা ছি আসার আগে শুক্রবার সূর্যের বিপরীত দিকে অবস্থান কর বে।এর পর থেকে এটি দূরে সরতে শু রু করবে। এদিকে একই দিন শুক্রবা র রাতে পৃথিবী থেকে শতাব্দী দী র্ঘতম চন্দ্রগ্রহণও দেখা যাবে। আফ্রিকা,এশিয়া,অস্ট্রেলিয়া,ইউরো প ও দক্ষিণ আমেরিকা থেকে এ চন্ দ্রগ্রহণ দেখা সম্ভব হবে। আমে রিকার মহাকাশ সংস্থা নাসা এ কথা জানিয়েছে। অবাক বিস্ময়ে আমরা দে খছি ঠিক যা যা বলা হচ্ছে সবকিছু ই সঠিক ভাবে ঘটে যাচ্ছে। পূর্বে পরিকল্ পিত ভাবে এসব নির্ধারণ করা না থা কলে যুক্তিসম্মতভাবে কোনো কিছু আগাম বলা কোনোভাবেই কি কখনও সম্ভব বা বিজ্ঞান সম্মত? আগাম বলে দেওয়া এ সবই বিস্ময়কর মনে করা হলেও বর্ণনা মতই ঠিক ঠিক সব কিছুই ঘটে ্র যাচ্ছে, নিচে তার কিছু উৎকৃষ্ট দৃষ্টান্ত।
পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে এভারেস্টের সমান গ্রহাণু!
২৯ এপ্রিল, ২০২০ ১০:৪৩
অনলাইন ভার্সন
পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে এভারেস্টের সমান গ্রহাণু। ২.৫ মাইল চওড়া গ্রহাণুটি ঘণ্টায় ১৯ হাজার ৪৬১ মাইল বেগে পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে। ২৯ এপ্রিল ভোর ৫টা ৫৬ নাগাদ পৃথিবীর গা ঘেঁষে বেরিয়ে যাওয়ার কথা রয়েছে। এ গ্রহাণুর নাম দেয়া হয়েছে ২০১২এক্সএ১৩৩ ।
নাসা সূত্রে জানা গেছে, গ্রহাণুটির আয়তন প্রায় মাউন্ট এভারেস্টের সমান। আকারে বৃহৎ এ গ্রহাণুর সামনের অংশে উঁচু রেখার মতো রয়েছে, যা দূর থেকে ‘মাস্কের মতো’ দেখতে। গ্রহাণুটির কোড নাম ৫২৭৬৮ এবং এটি শেষবার ১৯৯৮ সালে দেখা গিয়েছিল।
পৃথিবী ঘেঁষে উড়ে যাওয়ার সময় পৃথিবী থেকে গ্রহাণুর দূরত্ব হবে ৩৯ লাখ কিলোমিটার। পৃথিবীর সঙ্গে এ গ্রহাণুর সংঘর্ষের আশঙ্কা নেই বলে জানিয়েছে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (নাসা)। নাসার মহাকাশবিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, পৃথিবী স্পর্শ করবে না এ উল্কাপিণ্ড।বেঁচে গেল মানবজাতি, পৃথিবীর পাশ কাটিয়ে গেল সেই ‘বিধ্বংসী’ গ্রহাণু
প্রায় দুই কিলোমিটার চওড়া পাথরখণ্ডটি কোনোমতে পৃথিবীকে স্প'র্শ করলেই গোটা মানবজাতি বিলুপ্ত হয়ে যেতে পারত বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
জানা যায়, আপ্রিল ২৯,২০২০ বুধবার সকালে পৃথিবী থেকে প্রায় ৬৩ লাখ কিলোমিটার (৩৯ লাখ মাইল) দূর দিয়ে চলে গেছে বিশাল গ্রহাণুটি। এর আকার মাউন্ট এভা'রেস্টের প্রায় অর্ধেক। নিরাপদ দূরত্বে থাকায় পৃথিবীতে এর কোনও প্রভাব পড়েনি। তবুও ঘটনার সময় মহাকাশে সতর্ক নজর রেখেছিলেন নাসার বিজ্ঞানীরা।
১৯৯৮ সালে নাসার জেট প্রোপালসন ল্যাবরেটরি প্রথমবারের মতো গ্রহাণুটি খুঁজে পাওয়ায় এর নাম দেয়া হয় ১৯৯৮ ওআর২। সম্প্রতি অবজারভেটরিতে ধ'রা পড়া এর একটি ছবিও প্রকাশ করা হয়েছে। আপাতদৃষ্টিতে গ্রহাণুটি দেখতে অনেকটা মাস্কের মতো মনে হচ্ছে।
মহাকাশবিদরা জানিয়েছেন, ভৌগলিক বৈশিষ্ট্যের কারণেই গ্রহাণুটিকে এমন দেখা গেছে। প্রকৃতপক্ষে সেটি অসংখ্য পাহাড়-পর্বতে ভরা। এ জন্যই তার এমন চেহারা তৈরি হয়েছে।
বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, অন্তত ২০৭৯ সাল পর্যন্ত গ্রহাণুটি নিয়ে মানুষের চিন্তার কিছু নেই। কারণ, এর আগে সেটি আর পৃথিবীর ধারেকাছে ঘেঁষবে না। আর ২০৭৯ সালের দিকে আসলেও পৃথিবী থেকে চাঁদের প্রায় চারগুণ দূরত্ব দিয়ে চলে যাবে সেটি।
শতাব্দীর দীর্ঘ চন্দ্র গ্রহণঃ
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর, জলবা য়ু মহাশাখার প্রদত্ত তথ্য অনুযা য়ী ২৮ জুলাই, ২০১৮ শুক্রবার রাত ১১ টা ১৩ মিনিট ০৬ সেকেন্ ড গ্রহণটি শুরু হয়। শেষ রাত ২ টা ২১ মিনিট ৪৮ সেকেন্ড কেন্দ্রীয় গ্রহণ ঘটে। গ্রহণটির সর্বোচ্চ মাত্রা ছিল ১.৬১৪। গ্রহণটির সর্বশেষ পর্যায় সমাপ্ত হয় ভো র ৫ টা ৩০ মিনিটে। 'রক্তাভ চাঁদ ' এর মহাজাগতিক বিস্ময়ে মুগ্ধ জ গতবাসী সন্ধ্যাকাশে চাঁদ উদিত হওয়ার পর ঘুরতে ঘুরতে প্রবেশ করে একেবারে পৃথিবীর ছায়ার মধ্যে। অতপর গ্রহণ স্পর্শ তাকে গ্রাস করতে থাকে।
টানা ১ ঘণ্টা ৪৩ মিনিট ধরে চাঁ দের মুখ ঢেকে যায় সম্পূর্ণ।তার আগে ১ ঘণ্টা ৬ মিনিট ধরে চলে আং শিক চন্দ্রগ্রহণ। আবার পূর্ণগ্ রাস হয়ে যাওয়ার পর শুরু হয় আংশি ক গ্রহণ,যা চলে আরও ১ ঘণ্টা ৬ মি নিট ধরে। এই দীর্ঘতম পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ বাংলাদেশের আকাশে ও যেখানে মেঘমুক্ত ছিল সেখান থে কে অবলোকন করা গেছে।
এর আগে এত বেশিক্ষণ ধরে চন্দ্ র গ্রহণ এই শতাব্দীতে কোনও দিন হয়নি। এর আগের দীর্ঘ চন্দ্রগ্ রহণ হয় ২০১১ সালের ১৫ জুন । সেটা ১০০ মিনিট স্থায়ী হয়েছিল। ২০০০সালের১৬ জুলাই ১০৬ মিনিট দী র্ঘস্থায়ী চন্দ্রগ্রহণ দেখা গিয়েছে, বিংশ শতাব্দীর সবচেয়ে দী র্ঘ চন্দ্রগ্রহণ ছিল এটি। আরে কটি পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণের জন্য অপেক্ষা করতে হবে ২০২৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। কিন্ত সেই চন্দ্রগ্রহণ এত দীর্ঘ হবে না। ১ ৮৬৬ সালের ৩১ মার্চ হয়েছিল বিরল চন্দ্রগ্রহণ। সুদী র্ঘ প্রায়১৫২বছর পর বিরল চন্দ্ গ্রহণের সাক্ষী হলো বিশ্ববাসী।৩ ১ জানুয়ারি ২০১৮,একসঙ্গে চাঁদে র ৩টি বিশেষ অবস্থা দেখা গেছে।বি রল এক মহাজাগতিক দৃশ্য উপভোগ করে ছে বিশ্ববাসী। এক অপার্থিব অভি জ্ঞতার সাক্ষী হয়েছে গোটা বিশ্ ব। রাতের আকাশে একইসঙ্গে দেখা গেল পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ, সু পার মুন ও ব্লুমুন। অবলোকন করা গেছে রক্তিম চাঁদ। শেষবার এমনটা ঘটেছিল ১৫২ বছর আগে।জ্যোতির্ বিদরা এই বিরল ঘটনার নাম দিয়ে ছেন সুপার ব্লুব্লাড মুন একবি দ্র
এর আগে এত বেশিক্ষণ ধরে চন্দ্ র গ্রহণ এই শতাব্দীতে কোনও দিন হয়নি। এর আগের দীর্ঘ চন্দ্রগ্ রহণ হয় ২০১১ সালের ১৫ জুন । সেটা ১০০ মিনিট স্থায়ী হয়েছিল। ২০০০সালের১৬ জুলাই ১০৬ মিনিট দী র্ঘস্থায়ী চন্দ্রগ্রহণ দেখা গিয়েছে, বিংশ শতাব্দীর সবচেয়ে দী র্ঘ চন্দ্রগ্রহণ ছিল এটি। আরে কটি পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণের জন্য অপেক্ষা করতে হবে ২০২৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। কিন্ত সেই চন্দ্রগ্রহণ এত দীর্ঘ হবে না। ১ ৮৬৬ সালের ৩১ মার্চ হয়েছিল বিরল চন্দ্রগ্রহণ। সুদী র্ঘ প্রায়১৫২বছর পর বিরল চন্দ্ গ্রহণের সাক্ষী হলো বিশ্ববাসী।৩ ১ জানুয়ারি ২০১৮,একসঙ্গে চাঁদে র ৩টি বিশেষ অবস্থা দেখা গেছে।বি রল এক মহাজাগতিক দৃশ্য উপভোগ করে ছে বিশ্ববাসী। এক অপার্থিব অভি জ্ঞতার সাক্ষী হয়েছে গোটা বিশ্ ব। রাতের আকাশে একইসঙ্গে দেখা গেল পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ, সু পার মুন ও ব্লুমুন। অবলোকন করা গেছে রক্তিম চাঁদ। শেষবার এমনটা ঘটেছিল ১৫২ বছর আগে।জ্যোতির্ বিদরা এই বিরল ঘটনার নাম দিয়ে ছেন সুপার ব্লুব্লাড মুন একবি দ্র
প্রসঙ্গত একই মাসে দুবার পূর্ণি মার চাঁদ দেখা গেলে দ্বিতীয় পূ র্ণিমার চাঁদকে বলা হয় ব্লুমুন। নামে নীল চাঁদ হলেও নীল রঙের সঙ্গে এই চাঁদের কোনো সম্পর্ক নেই। তাছাড়া এই সময় চাঁদকে স্বাভাবিকের তুলনায় ১৪ শতাংশ বে শি উজ্জ্বল দেখায় বলে এই চাঁদকে বলা হচ্ছে সুপার মুন। চন্দ্র গ্রহণের সময় একইসঙ্গে দেখা যায় ব্লাড মুনও। পৃথিবীর ছায়ায় অবস্থানের কারণে চাঁদ রক্তিম বা রক্তরাঙা হয়েওঠে। ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ এক বিরল ঘটনার সাক্ষী ছিল পৃথিবীবাসী! নাসার তথ্যমতে, ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাতের আকাশে দেখা যায় সবচেয়ে বড় চাঁদের। যা ‘সুপারমুন’ হিসাবে পরিচিত। স্বাভাবিক অবস্থানের তুলনায় এই রাতে অনেক কাছে দেখা যায় চাঁদকে। ফলে এর আকারে অনেক বড় দেখায়। স্বাভাবিক অবস্থা থেকে প্রায় ১৪ শতাংশ বড় দেখায় চাঁদকে। উল্লেখ্য, সুপারমুন চাঁদের একটি দশা বা অবস্থা, চাঁদ যখন পৃথিবীর খুব কাছে অবস্থান করে তখন চাঁদকে পৃথিবী থেকে তুলনামূলকভাবে অনেক বড় আর উজ্জ্বল দেখায়। পূর্ণ গোলাকার চাঁদের এই অবস্থাকে সুপারমুন বলা হয়। সুপারমুনের কোন প্রচলিত বাংলা নেই। এটাকে অনেকে অতিকায় চাঁদ বলে থাকেন। পৃথিবী-চন্দ্র-সূর্য সিস্টেমে অতিকায় চাঁদের টেকনিক্যাল নাম হচ্ছে perigee-syzygy’।
চলতি বছরে ২০২০; এটাই প্রথম ও শেষ ‘সুপারমুন’। এর আগে শেষবার ‘সুপারমুন’ দেখা গিয়েছিল ২০১৬ সালের ১২ ডিসেম্বর। এরপর ২০২১ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারিতে আবার সুপারমুন দেখা যেতে পারে যাবে।
বাস্তবে বিজ্ঞানীরা এসব ভবিষ্যদ্বা ণী করেন অত্যাধুনিক প্রযুক্তি এ বং তাত্ত্বিক চুলচেরা বিশ্লেষণে র মাধ্যমে। অকাট্য বৈজ্ঞানিক প্ রমাণ না থাকলে এ ধরনের ভবিষ্যদ্ বাণী দেয়া সম্ভব না। বাস্তব দু নিয়ায় আমরা তখনই কোনো নির্দিষ্ট ঘটনা, বিষয় বা ব্যা পারে ভবিষ্যদ্বাণী করতে সক্ষম , যদি মূল ঘটনা বা বিষয়টি সুপরি কল্পিত ও সুনিয়ন্ত্রিত হয়। এ ছা ড়া ভবিষ্যদ্বাণী করার প্রশ্নই ও ঠে না। উদাহরণস্বরূপ ধরা যাক এক টি মহাশূন্য যানকে মঙ্গল গ্রহের মাটি, আবহাওয়া, গঠন প্রকৃতি ইত্যা দি তথ্য সংগ্রহের জন্য পৃথিবী থে কে পাঠানো হলো। যানটির সব যন্ত্ রপাতি সেভাবেই তৈরি, সন্নিবেশিত ও নিয়ন্ত্রিত করা হবে যাতে এটি পূর্বপরিকল্পিত সব কাজ ঠিক ঠি কভাবে সম্পন্ন করতে সক্ষম হয়। যা নটি যেহেতু সুপরিকল্পিত ও সুনিয়ন্ত্রিত তাই সহজেই এর মি শনের প্রতিটি মুহূর্তের সব খবরা খবর যেমন এটি কোথায়,কখন থাকবে এ বং কি কি করবে তা আগেই বলে দে য়া সম্ভব। উপরের উদাহরণ থেকে এটা স্পষ্ট যে, শুধু পরিকল্পিত ঘটনা র ক্ষেত্রে ভবিষ্যদ্বাণী করা বা স্তব এবং যুক্তি সম্মত। একই যু ক্তিতে আমাদের মহাবিশ্ব যদি সু পরিকল্পিত ও সুনিয়ন্ত্রিত হয়ে থাকে কেবল মাত্র সে ক্ষে ত্রেই যুক্তিসম্মতভাবে এর প্রতিটি কাজের ভবিষ্যদ্বাণী সম্ভব হবে। অতএব, মহাবিশ্বের যেকোনো ব্যাপা রে কোনো ভবিষ্যদ্বাণী ফলপ্রসূ হ ওয়ার অর্থ দাঁড়ায়, মহাবিশ্ব নি ছক দুর্ঘটনার ফসল নয় বা স্বয়ংক্ রিও ভাবেও এটা সৃষ্ট নয়। ‘নিশ্চয়ই এ র পেছনে রয়েছে এক অকল্পনীয় মহা জ্ঞানী সত্তার এক রহস্যময় অভিপ্ রেত। বিজ্ঞানীর দূরভিসারী জিজ্ ঞাসা সেখানে বিমূঢ় হয়ে যায়। বি জ্ঞানের চূড়ান্ত অগ্রগতিও সেখান থেকে স্তব্ধ হয়ে ফিরে আসবে। কি ন্ত সেই অনন্ত মহাজাগতিক রহস্মে র প্রতিভাস বিজ্ঞানীর মনকে এই নি শ্চিত প্রত্যয়ে উদ্বেল করে তোলে যে, এই মহাবিশ্বের একজন নিয়ন্ তা রয়েছেন। তিনি অলৌকিক জ্ঞানময় , তাঁর সৃষ্টিকে অনুভব করা যায়, কিন্তু তাকে কল্পনা করা যায় না ।’{আইনস্টাইন} বিশ্বে বিজ্ঞান প রিমণ্ডলে সাম্প্রতিক সবচেয়ে আলোড়ন সৃষ্টিকারী তোলপাড় সৃষ্টি করা সংবাদ হলো, ১১ ফেব্ রুয়ারি ২০১৬ বিজ্ঞানীদের মহাকর্ ষ তরঙ্গের অস্তিত্বের প্রমাণ মে লার ঘোষণা। মহাকর্ষ তরঙ্গের অস্তিত্বের ব্যাপারে ভবিষ্যদ্বা ণী করেছিলেন আইনস্টাইন আজ থেকে ১০০ বছর আগে।
লাইগো সনাক্তকরণ যন্ত্র এই সংকে ত পায়। বিজ্ঞানীরা নিশ্চিত হন, এটা পৃথিবীর কোনো নিজস্ব তরঙ্গ সঙ্কেত নয়, এটি হচ্ছে ১৩০ কোটি আলোকবর্ষ দূরে দু’টি কৃষ্ণ গহ্ বরের মিলনের ফলে সৃষ্ট মহাকর্ষ তরঙ্গেরই সঙ্কেত। ১০২ বছর আগে প্র কাশিত আইনস্টাইন তার তত্ত্বে জানিয়েছিলেনঃ প্রচণ্ড মহাকর্ষীয় টান যে এলাকায় বিদ্যমান, সেখা নে আলো প্রতি সেকেন্ডে কম তরঙ্গ সৃষ্টি করে ছড়াবে। বিজ্ঞানের পরিভাষায় এই ঘটনাকে বলে ‘রেড শি ফ্ট’। কারণ, প্রতি সেকেন্ডে কম তরঙ্গ সৃষ্টি করে ছড়ালে আলো লা ল রঙের দিকে এগোয়।
আইনস্টাইনের 'থিয়োরি অব রিলেটি ভিটি' প্রমাণিত { নয়া দিগন্ত অনলাইন ্২৮ জুলাই ২০ ১৮, ১৩:০৩} বিজ্ঞানীদের পক্ষ থেকে সদ্য প্র কাশিত তথ্য জানাচ্ছে, ২৬ হাজার আলোকবর্ষ দূরেও নক্ষত্রের আলো খবর দিচ্ছে আইনস্টাইনের ‘জেনা রেল থিয়োরি অব রিলেটিভিটি’ অক্ ষরে-অক্ষরে ঠিক। গেনজেল এক সাং বাদিক সম্মেলনে জানিয়েছেন, প্ রচণ্ড ভারী ওই ব্ল্যাক হোলের পা শ দিয়ে যখন ‘এস-টু’ ছুটছিল সেকে ন্ডে ৭৬০০ কিলোমিটার বেগে, তখন তার আলো পরীক্ষা করা হয়েছে। দে খা যাচ্ছে, সে আলো লালের দিকে ঘেঁ ষে যাচ্ছে ঠিক ততটা পরিমাণে, যত টা ‘জেনারেল থিয়োরি অব রিলেটিভি টি’তে আইনস্টাইন অনুমান করেছিলে ন। পৃথিবীর চারপাশে যেহেতু প্ রচণ্ড মহাকর্ষীয় প্রভাব নেই, তা ই জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের খুঁজতে হ য়েছিল এমন এক ব্ল্যাক হোল, যা সূ র্যের তুলনায় অনেক ভারী। এমন ব্লাক হোল যে আমাদের গ্যালাক্ সির কেন্দ্রে আছে, তা বিজ্ঞানী রা জানেন। আর দরকার ছিল, এমন এক নক্ষত্রের, যা ও রকম ভারী ব্লা ক হোলের পাশ দিয়ে যাবে। ‘এস-টু ’ হল, সে রকমই এক তারা।
১৯৯০ সাল থেকে গবেষকেরা ওই তারা র চলন লক্ষ্য করেছেন। দূর থেকে ব্ল্যাক হোলের কাছে এসে আবার দূ রে চলে যাবে ‘এস-টু’। কাছে এবং দূরে, মহাকর্ষীয় টানের প্রভেদে কতটা বাড়ছে-কমছে, ‘এস-টু’ থেকে নির্গত আলোর লাল র ঙের দিকে ঘেঁষা, তা পরীক্ষা করা ই ছিল বিজ্ঞানীদের উদ্দেশ্য। যেহেতু গত ২৮ বছর ধরে সব পরীক্ষাতে ‘জেনারেল থিয়োরি অ ব রিলেটিভিটি’ যখন সসম্মানে পাশ করেছে, তখন কি আর তা কোনো দিন ভুল প্রতিপন্ন হবে? গেনজেল এবং তার সতীর্থরা উড়িয়ে দিচ্ছেন তে মন সম্ভাবনা।
Science 10 August 2018 বলছেঃ আন্তর্জাতিক বিজ্ ঞানীদের একটি দল সরাসরি প্ রমান পেয়েছেন আইনস্টাইনের ‘জে নারেল থিয়োরি অব রিলেটিভিটি’। ম্যাক্স প্লাঙ্ক ইন্সটিটিউশনের সিনিয়র জ্যোতির্বিজ্ঞানী ফ্রাঙ্ ক আইজেনহর সাংবাদিকদের কাছে এটা প্রকাশ ক্রে তিনি বলেন," আমরা যা আজ দেখছি, আইনস্টাইন তার সম য়ে তা কখনও ভাবতে বা স্বপ্নেও কল্পনা করেননি।" ইউ রোপের দক্ষিন পর্যবেক্ষণ কেন্দ্ র হতে দেখা একটি ছায়াপথের ভি তরে প্রচণ্ড ভরের একটি কৃষ্ণ গ হ্বরের কাছ দিয়ে অতিক্রান্ত একটি তারা রঙ বদল করে লাল হয় । কৃ ষ্ণ গহ্বর টি সূর্যের চেয়ে ৪ মিলিয়ন গুন ভারী এবং পৃথিবী হ তে ২৬০০০ আলোকবর্ষ দূরে।
যুগেযুগেবিজ্ঞানীদের চমকপ্রদ চা ঞ্চল্যকর ভবিষ্যদ্বাণী :
কালের বিভিন্ন সময়ে বিজ্ঞানীরা যেসব ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন এবং পরে বর্তমান সময় পর্যন্ত সেসব ফ লপ্রসূ হয়েছে; তার কিছু বর্ণনা এখানে তুলে ধরা হচ্ছে।
১] বৈজ্ঞানিক মেন্ডেলিফ ১৮৬৯ সা লে বিজ্ঞানের সূক্ষ্মতাত্ত্বিক বিশ্লেষণে পিরিয়ডিক টেবিলে বিভি ন্ন মৌলিক পদার্থের অস্তিত্ব, ধ র্ম, আণবিক ওজন ইত্যাদির বিষয়ে ভবিষ্যদ্বাণী করেন, যেগুলোর অস্ তিত্তের কোনো রকম ধারণাই ওই সম য় পর্যন্ত কারো বিন্দুমাত্র ছিল না। বর্তমান সময় পর্যন্ত সেসব মৌলিক পদার্থ ঠিকই আবিষ্কৃত হয়ে ছে আর সবাই হতবাক এবং বিস্ময়াভি ভূত হয়েছে এটা দেখে যে, এই মৌ লিক পদার্থগুলোর ধর্ম, গুণাবলি এবং আণবিক ওজন হুবহু মিলে যায় মে ন্ডেলিফের ভবিষ্যদ্বাণীর সাথে। এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় একটা প্ রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে। মেন্ডেলি ফ রাসায়নিক পদার্থের আণবিক ওজন বৃদ্ধির জন্য শতাধিক বছরেরও বহু আগে যে পদ্ধতি তৈরি করেছেন, তা র জন্য একই প্রকার ধর্মের অধিকা রী মৌলিক পদার্থের সংগঠনের পর্ যায় বৃত্তি বা পিরিয়ডিক টেবিলকে কেউ কি যুক্তিসম্মতভাবে শুধু আ কস্মিক ব্যাপার অথবা নিছক অপরি কল্পিত বিগ ব্যাং অর্থাৎ সেই মহা বিস্ফোরণ নামে দুর্ঘটনার মতো কি ছু বলে মেনে নিতে পারে?
২] জার্মান বিজ্ঞানী ম্যাক্সপ্ লাঙ্ক ১৯০০ সালে প্রস্তাব করেন যে, আলো বিকিরিত হতে পারে শুধু বিশেষ প্যাকেটে (Packet)। এর না ম দিয়েছিলেন তিনি কোয়ান্টা। ১৯২ ৬ সালে ওয়ার্নার হাইজেনবার্গ তা র বিখ্যাত অনিশ্চয়তাবাদ ( Uncertainty Principle) প্রয়োগের মাধ্যমে সর্ব প্রথম এর যথার্থতা প্রমাণ করেন।
৩] আইনস্টাইন ১৯১৫ সালে আলোর বি চ্যুতি সম্পর্কে ভবিষ্যদ্বাণী ক রেছিলেন। এর চার বছর পর ১৯১৯ সা লে এক ব্রিটিশ অভিযাত্রী দল একটি পরীক্ষার মাধ্যমে দেখিয়েছেন, আ লো সত্যি সত্যি সূর্য দ্বারা বি চ্যুত হয়।
৪] আইনস্টাইনের ব্যাপক আপেক্ষি কতাবাদ (১৯১৫) একটি ভবিষ্যদ্বা ণী হচ্ছে, পৃথিবীর মতো ভর সম্পন্ন কোনো বস্তুপিণ্ডের সন্ নিকটে সময়ের গতি শ্লথ বলে মনে হ বে; খুব উঁচুতে অবস্থিত কোনো ব্ যক্তির মনে হবে নিচের সব ঘটনাই একটু দেরিতে ঘটছে। ৪৭ বছর পর ১৯ ৬২-তে এই ভবিষ্যদ্বাণীটি পরীক্ ষা করা হয়। একটি জলধারের স্তম্ ভের ওপরে ও নিচে এক জোড়া নির্ভু ল ঘড়ি স্থাপন করা হয়েছিল। যে ঘ ড়িটা নিচে ছিল অর্থাৎ পৃথিবীর নি কটতর; দেখা গেলো এর গতি ধীরতর। এ তথ্যের সাথে ব্যাপক আপেক্ষি কতাবাদের নির্ভুল মিল রয়েছে। আধু নিককালে পৃথিবীর ওপরে বিভিন্ন উ চ্চতায় স্থাপিত বিভিন্ন ঘড়ির দ্রুতির পা র্থক্যের যথেষ্ট ব্যবহারিক গুরু ত্ব রয়েছে।
কৃত্রিম উপগ্রহ থেকে আগত সঙ্কে তের ভিত্তিতে নির্ভুল নৌ এবং বি মান চালনা ব্যবস্থার প্রচলনের সা থে সাথে এর গুরুত্বও বেড়েছে। ্ ব্যপক আপেক্ষিকতাবাদ ভবিষ্যদ্বা ণী অগ্রাহ্য করা হলে অবস্থানের হিসাবে কয়েক মাইল পর্যন্ত ভুল হ তে পারে।
৪] আইনস্টাইনের ব্যাপক আপেক্ষি কতাবাদ (১৯১৫) একটি ভবিষ্যদ্বা ণী হচ্ছে, পৃথিবীর মতো ভর সম্পন্ন কোনো বস্তুপিণ্ডের সন্ নিকটে সময়ের গতি শ্লথ বলে মনে হ বে; খুব উঁচুতে অবস্থিত কোনো ব্ যক্তির মনে হবে নিচের সব ঘটনাই একটু দেরিতে ঘটছে। ৪৭ বছর পর ১৯ ৬২-তে এই ভবিষ্যদ্বাণীটি পরীক্ ষা করা হয়। একটি জলধারের স্তম্ ভের ওপরে ও নিচে এক জোড়া নির্ভু ল ঘড়ি স্থাপন করা হয়েছিল। যে ঘ ড়িটা নিচে ছিল অর্থাৎ পৃথিবীর নি কটতর; দেখা গেলো এর গতি ধীরতর। এ তথ্যের সাথে ব্যাপক আপেক্ষি কতাবাদের নির্ভুল মিল রয়েছে। আধু নিককালে পৃথিবীর ওপরে বিভিন্ন উ চ্চতায় স্থাপিত বিভিন্ন ঘড়ির দ্রুতির পা র্থক্যের যথেষ্ট ব্যবহারিক গুরু ত্ব রয়েছে।
কৃত্রিম উপগ্রহ থেকে আগত সঙ্কে তের ভিত্তিতে নির্ভুল নৌ এবং বি মান চালনা ব্যবস্থার প্রচলনের সা থে সাথে এর গুরুত্বও বেড়েছে। ্ ব্যপক আপেক্ষিকতাবাদ ভবিষ্যদ্বা ণী অগ্রাহ্য করা হলে অবস্থানের হিসাবে কয়েক মাইল পর্যন্ত ভুল হ তে পারে।
৫] ফরাসি পদার্থবিদ ডিব্রোগলি ১ ৯২৪ সালে বিশ্বের বিজ্ঞানী সমা জের কাছে সনির্বন্ধ আবেদন জানি য়েছিলেন : আলোক রশ্মি হচ্ছে তরঙ্গ কিন্তু এটা যখন পদার্থের শক্তি এবং ভরবেগ সরবরাহ করতে সক্ষম হ য়, তাহলে একই যুক্তিতে আলোক রশ্ মির মতো পদার্থ রশ্মিও কেন এই এ কই ধরনের আচরণ দেখাবে না? ওই সম য় এটি ছিল ব্রোগলির এক যুগান্ তকারী ভবিষ্যদ্বাণী : আলোক তরঙ্ গ, জল তরঙ্গ অর্থাৎ অন্যসব তরঙ্ গের মতোই পদার্থও একই ধর্ম প্রদর্শন করবে। তিন বছর পর ১৯২৭ সালে পদার্থের তরঙ্গায়িত রূপটি সর্বপ্রথম চোখে পড়ে ডেডিসন এবং গারমানের পরীক্ষায়। বর্তমান সম য় পর্যন্ত সব পদার্থের অণু-পরমা ণুর তরঙ্গ ধর্ম আবিষ্কৃত হয়েছে। আজকের কোয়ান্টাম বিজ্ঞান বলছে : কণিকা ও তরঙ্গের মধ্যে দ্বিত্ ব রয়েছে। পদার্থ কার্যত তরঙ্গে র স্বচ্ছ রূপ মাত্র। ওদিকে হাজা র বছরেরও অনেক আগে সূরা আন নূরে র আয়াত ৩৫ বলছে, নভোমণ্ডল ও ভূ মণ্ডল তথা মহাবিশ্বের সব কিছুই তরঙ্গ, (নূর) অথবা আলো। “আল্লাহ হলেন আসমান ও জমিনের নূর।"
৬] বিজ্ঞানী ডিরাক ১৯৩০ সালে প্রটনের অস্তিত্ব সম্পর্কে বর্ণ না করে এক বিস্ময়কর ফল পেয়েছেন। এই গণনায় ক্ষুদ্র একদল কণিকার অস্তিত্বের সন্ধান মিলল। কোনো প রীক্ষার সাহায্য না নিয়েই শুধু খাতা-কলমের সাহায্যে ডিরাক নতুন এই কণিকার অস্তিত্ব সম্পর্কে এ ক মতবাদ প্রকাশ করেন। দুই বছর প র এন্ডারসন ডিরাকের কল্পিত এই ক ণিকার অস্তিত্ব প্রমাণ করলেন। মূ লত এই কণিকাটি আর কিছু নয়, পজি টিভ চার্জবিশিষ্ট ইলেকট্রন যার নামকরণ হয়েছে পজিট্রন।
৭] জাপানি বিজ্ঞানী ই্মপ্রক১৯৩৬ সালে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলেন যে , এক নতুন মৌল কণিকা রয়েছে যা নি উকিয়াসে নিউট্রন ও প্রোটনের মধ্ যে শক্তির আদান-প্রদান ঘটাচ্ছে। কণিকাটির নাম রাখা হলো মেসন। প রে নভোরশ্মি নিয়ে গবেষণা করার সময় এই কণিকাটির অস্তিত্ব পরীক্ ষামূলকভাবে প্রমাণিত হয়েছে।
৮] নিউট্রিনো কণিকার অস্তিত্বের ঘোষণা দিলেন বৈজ্ঞানিক পাউলি। তেজস্ক্রিয় পদার্থ থেকে বিটা কণি কা নির্গমনের বিষয় নিয়ে পরীক্ষা করতে কতগুলো সমস্যার উদয় হলো, যার সমাধান কোনো প্রকারেই হচ্ছি ল না। এ কারণে পাউলি প্রস্তাব ক রলেন, বিটা নির্গমন প্রক্রিয়ায় ইলেকট্রনের সাথে নিউকিয়াস থেকে আরো একটি তড়িৎবিহীন ক্ষুদ্র কণি কার নির্গমন যদি ধরে নেয়া হয় তা হলেই সব সমস্যার সমাধান হতে পা রে। তিনি ১৯৩০ সালে ওই কণিকার না ম দিলেন নিউট্রিনো।তবে এর অস্তি ত্ব সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায় ১৯৫০ সালে, যখন পারমাণবিক চুল্ লিগুলো নানা ধরনের কণা উৎপাদন শু রু করেছিল। এতদিন ধারণা করা হতো , নিউট্রিনো ভারবিহীন একটি কণা। কিন্তু ২০১৫ সালে পদার্থবিজ্ঞা নে নোবেল বিজয়ী দুই বিজ্ঞানী নি উট্রিনোর রহস্য ভেদ করে প্রমাণ করেন নিউট্রিনোর ভর আছে। নোবেল কমিটি ঘোষণা দিয়েছে- কণা সম্পর্ কিত পদার্থবিজ্ঞান ও মহাবিশ্ব সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা দিতে এই তাকাকি ও আর্থারের গবেষণায় বড় ধরনের সাফল্য এসেছে।
৯] জর্জ গ্যামো এবং ব্যালয় আলফা র ১৯৪৮ সালে তাদের একটি বিখ্যাত গবেষণাপত্রে মহাবিশ্বের উত্তপ্ ত প্রাথমিক অবস্থার একটি চিত্র প্রকাশ করেন যেখানে তারা একটি উল্লেখযোগ্য ভবিষ্যদ্বাণী করেছি লেন মহাবিশ্বের আদি পর্বের অতি উত্তপ্ত অবস্থার বিকিরণ (ফোটন রূপে) এখনও থাকা উচিত। তবে তার তাপমাত্রা হ্রাস পেয়ে চরম শূন্ যের (২৭৩ ডিগ্রি) কয়েক ডিগ্রি বে শি হতে পারে।
১৯৬৫ সালে এই বিকিরণই পেঞ্জিয়া স ও উইলসন আবিষ্কার করেন।
৯] জর্জ গ্যামো এবং ব্যালয় আলফা র ১৯৪৮ সালে তাদের একটি বিখ্যাত গবেষণাপত্রে মহাবিশ্বের উত্তপ্ ত প্রাথমিক অবস্থার একটি চিত্র প্রকাশ করেন যেখানে তারা একটি উল্লেখযোগ্য ভবিষ্যদ্বাণী করেছি লেন মহাবিশ্বের আদি পর্বের অতি উত্তপ্ত অবস্থার বিকিরণ (ফোটন রূপে) এখনও থাকা উচিত। তবে তার তাপমাত্রা হ্রাস পেয়ে চরম শূন্ যের (২৭৩ ডিগ্রি) কয়েক ডিগ্রি বে শি হতে পারে।
১৯৬৫ সালে এই বিকিরণই পেঞ্জিয়া স ও উইলসন আবিষ্কার করেন।
১০] মার্কিন পদার্থবিজ্ঞানী মা রে গেলমান ১৯৬১ সালে ভবিষ্যদ্বা ণী করেন,এক বিশেষ ধরনের কণিকার অস্তিত্বের, যার নাম ওমেগা মা ইনাস্। এর তিন বছর পর সত্যি সত্ যি একটি কণিকার সন্ধান মিলে যায় , যার ধর্ম ও গুণাবলি গেলমানের দেয়া বর্ণনার অনুরূপ।
১১] রহস্যময় ঈশ্বর কণার ভবিষ্যদ্বা ণী : বিজ্ঞানী হিগস ও ইংলাতসহ এ কদল কণাতত্ববিদ ১৯৬০ সালে অতি পারমাণবিক কণার (সাব অ্যাটমিক পা র্টিকেল) ভরের উৎস খুঁজতে যেয়ে একটি মডেল প্রস্তাব করেছিলেন।মডে লটিতে অনুপস্থিত একটি কণিকার কথা বলা হয়, যার নাম দেয়া হলো হিগস বোসন; দু’জন বিজ্ঞানীর নাম অনু সরণে। তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞান অনুসারে, আমাদের এই মহাবিশ্বের সব কিছুই ভর পেয়েছে এই হিগস বো সন কণার কাছ থেকে। তাই এই কণাটি র সন্ধান পাওয়া মানে, এক হিসেবে মহাবিশ্বের সৃষ্টির রহস্য উন্ মোচন করা। এ কারণেই কণাটি পরিচি তি পেয়ে যায় ঈশ্বর কণা নামে। ষা টের দশকে এই কণার অস্তিত্ব আবি ষ্কারে বিস্তর গবেষণা চলতে থাকে । ১৯৫২ সালে সুইজারল্যান্ডের জে নেভার কাছে মহাবিশ্বের সৃষ্টির রহস্য উন্মোচনে স্থাপিত, সুবিশা ল যন্ত্র লার্জ হ্যাড্রন কলাইডা রের মাধ্যমে অর্ধশতাব্দী পর অবশে ষে আবিষ্কৃত হয়েছে কাঙ্ক্ষিত ওই কণার অস্তিত্ব। বলা হয়, বিজ্ঞা নের গবেষণায় গত অর্ধশতাব্দীর মধ্যে সবচেয়ে বড় অর্জন এটি।
১২] ভারহীন কণা ‘ভাইল ফার্মিয়ন’ এর অস্তিত্বের ভবিষ্যদ্বাণীর ৮ ৫ বছর পর ২০১৫-তে আবিষ্কার হলো। ১৯২৯ সালে হারম্যান ভাইল নামের এক বিজ্ঞানী এমন একটি কণার অস্তিত্ব সম্পর্কে ধারণা দিয়েছি লেন।এরপর পরীক্ষাগারে চলে ব্যা পক পর্যবেক্ষণ ও গবেষণা।
অবশেষে, ৮৫ বছরের মাথায় বাংলাদে শি বিজ্ঞানী জাহিদ হাসানের নেতৃ ত্বে একদল পদার্থবিজ্ঞানীর নি রন্তর প্রচেষ্টায় সেই কণা পরীক্ ষাগারে সনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে। ভাইল ফার্মিয়ন কণার ভর নেই। এটি ইলেকট্রনের মতো পথ চলতে গিয়ে ছ ড়িয়ে পড়ে না। এই আবিষ্কারের পর শুধু তত্ত্বীয় পদার্থবিজ্ঞানই পা ল্টে যা্যনি, ইলেক্ট্রনিক ও কম্ পিউটার দুনিয়ায় বৈপ্লবিক পরি বর্তন এনেছে।
১২] ভারহীন কণা ‘ভাইল ফার্মিয়ন’ এর অস্তিত্বের ভবিষ্যদ্বাণীর ৮ ৫ বছর পর ২০১৫-তে আবিষ্কার হলো। ১৯২৯ সালে হারম্যান ভাইল নামের এক বিজ্ঞানী এমন একটি কণার অস্তিত্ব সম্পর্কে ধারণা দিয়েছি লেন।এরপর পরীক্ষাগারে চলে ব্যা পক পর্যবেক্ষণ ও গবেষণা।
অবশেষে, ৮৫ বছরের মাথায় বাংলাদে শি বিজ্ঞানী জাহিদ হাসানের নেতৃ ত্বে একদল পদার্থবিজ্ঞানীর নি রন্তর প্রচেষ্টায় সেই কণা পরীক্ ষাগারে সনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে। ভাইল ফার্মিয়ন কণার ভর নেই। এটি ইলেকট্রনের মতো পথ চলতে গিয়ে ছ ড়িয়ে পড়ে না। এই আবিষ্কারের পর শুধু তত্ত্বীয় পদার্থবিজ্ঞানই পা ল্টে যা্যনি, ইলেক্ট্রনিক ও কম্ পিউটার দুনিয়ায় বৈপ্লবিক পরি বর্তন এনেছে।
১৩] সাধারণ আপেক্ষিকতা বোঝাতে গি য়ে এক’শ বছর আগে মহাকর্ষীয় তরঙ্গে র কথা জানিয়েছিলেন বিজ্ঞানী আলবা র্ট আইনস্টাইন। দুই ব্ল্যাকহোল পরষ্পরের কাছে এলে ধ্বংস হয়ে যা য়। যার পরিণামে সৃষ্টি হয় মহা কর্ষীয় তরঙ্গ। কিন্তু তাত্ত্বিক প্রমাণ ছাড়া এর বাস্তব অস্তিত্ ব অজানা ছিল। অবশেষে ২০১৫ সালে লিগো গবেষণাগারে ধরা পড়ে এরকমই মহাকর্ষীয় তরঙ্গ।
মহাকর্ষীয় তরঙ্গ নিয়ে গবেষণায় উ ল্লেখযোগ্য অবদানের জন্য পদার্থ বিদ্যায় 20017 নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন তিন মার্কিন জ্যোতির্বিজ্ঞানী— রেইনার ওয়েসিস, ব্যারি বরিশ এবং কিপ থ্রোন। তাদের নাম ঘোষণা করে নোবেল কমিটি জানিয়েছে, ‘অজানা বিশ্বের খবরাখবর সংগ্রহ করতে তারা সম্পূর্ণ নতুন এবং ভি ন্ন পথ দেখিয়েছেন।’
রয়্যাল সুইডিশ একাডেমির পক্ষে বলা হয়েছে, মহাবিশ্ব থেকে আসা ত রঙ্গ নিয়ে ভবিষ্যতে যারা কাজ কর বেন তাদের পথ প্রদর্শক হিসেবে কা জ করবে এই বিজ্ঞানীদের গবেষণা। মহাবিশ্ব থেকে আগত বার্তা গ্রহণ এবং বিশ্লেষণও হবে তাদের দেখা নো পথেই। মহাকর্ষীয় তরঙ্গ ধরার জন্য যে লিগো গবেষণাগার রয়েছে সে খানে গুরুত্বপূর্ণ পদে রয়েছেন এ ই তিন জ্যোতির্বিজ্ঞানী। নোবেল কমিটির পক্ষে জানানো হয়েছে, ‘এদের আবিষ্কার বিশ্বকে নাড়িয়ে দিয়েছে।’
১৪] সূরা আয জারিয়ার ৪৭ আয়াতে ন ভোমণ্ডল প্রসারিত হচ্ছে উল্লে খিত হয়েছেঃ নভোমণ্ডল নির্মাণ করেছি আমার ক্ষমতাবলে এবং আমি অবশ্যই মহাসম্প্রসারণকা রী।' দেশনন্দিত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ তার এক গ্রন্থে আলোচনায় প্রসঙ্গক্ রমে সূরা আয-যারিয়াতের ৪৭আয়াতটি এভাবে ভাষান্তর করেছেন ''We created the heaven with a twist of the (divine)hand. And surely we are expanding it.'' বইটির ৬৩ ও ৬৪ নম্বর পৃষ্ ঠায় তিনি আরো লিখেছেন ‘মহাবিশ্ব সৃষ্টি হলো বিগ ব্যাংয়ের মাধ্ যমে এবং তারপর থেকে মহাবিশ্ব ছড়ি য়ে পড়ছে (Expanding Universe). বাস্তবে আমরা দেখছি ঐতিহাসিকভাবে আমাদের বিজ্ঞান তখ ন একেবারে তিমির অন্ধকারে ছিল। ' এর হাজার বছরেরও অনেক পরে ১৯২ ২ সালে এক যুগান্তকারী ভবিষ্যদ্বাণী ছিল আলেকজান্ডার ফ্রি ডম্যানের। মহাবিশ্ব সম্পর্কে তি নি দু’টি সহজ সরল অনুমান করেছি লেন আমরা যেদিকেই দৃষ্টিপাত করি না কেন; মহাবিশ্বের রূপ একই র কম দেখায় এবং আমরা যদি মহাবিশ্ বের কোনো স্থান থেকে পর্যবেক্ষণ করি, তাহলে মহাবিশ্বকে একই রকম দেখাবে। শুধু এ দুটো অনুমান থে কে ফ্রিডম্যান দেখিয়েছিলেন, মহা বি শ্বকে স্থির মনে করা আমাদের উচি ত নয়। মূলত এটি ছিল যুগান্তকারী ভবিষ্যদ্বাণী। সাত বছর পর ১৯২৯ সালে এড উইন হাবল প্রকাশ করেন যে, মহাবি শ্ব স্থিতাবস্থায় নেই। যে ছায়া পথটি যতদূরে অবস্থিত তার দূরা পসারণের গতিও তত বেশি। হাবলের এ ই যুগনির্দেশক পর্যবেক্ষণের অর্থ হলো, অতীত যুগে মহাবিশ্বের সব বস্তপিণ্ড পরস্পরের নিকটবর্তী ছিল। দশ কিংবা কু ড়ি হাজার মিলিয়ন বছর আগে সব নী হারিকা একই জায়গায় ছিল। সুতরাং সে সময় মহাবিশ্বের ঘনত্ব ছিল অসী ম। হাবলের এই আবিষ্কারই শেষে ্র মহাবিশ্বের সূচনার প্রশ্নকে বি জ্ঞানের অঙ্গনে নিয়ে আসে।
১৫] সোমবার, ২৫ নভেম্বর, ২০১৯, ১২:২১:২৯ আন্তর্ জাতিক খবর হচ্ছেঃ আসছে ২৬ ডিসেম্বর বিরল সূর্যগ্রহণ, চারপাশে থাকবে আগুনের বলয়।
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: আগামী ২৬ ডিসেম্বর এমন এক সূর্যগ্রহণ দেখবে বিশ্ব, যা শেষবার মানুষ দেখেছিল ১৭২ বছর আগে। এ গ্রহণের সময় সূর্যের চারপাশে থাকবে আগুনের বলয়। বিজ্ঞানীরা যাকে বলেন ‘রিং অব ফায়ার’। মহাকাশ বিজ্ঞানীরা জানান, আড়াই ঘণ্টা ধরে চলবে এই মহাজাগতিক দৃশ্য। সূর্যকে ৯০ শতাংশের বেশি ঢেকে ফেলবে চাঁদ, যা খালি চোখেই অবলোকন করতে পারবেন পৃথিবীবাসী।
এই দশকের শেষ সূর্যগ্রহণ ছিল ২৬ ডিসেম্ব্ র,২০১৯। সকাল ৮টা ২৭ মিনিট থেকে ২টা ৫মিনিট পর্যন্ত চলে সূর্যগ্রহণ। সূর্যগ্রহণের সময় চাঁদ সূর্যের সামনে চলে আসে। ধীরে ধীরে ঢেকে ফেলে সূর্যকে। বিজ্ঞানীরা এবারের সূর্যগ্রহণের নাম দিয়েছেন ‘রিং অব ফায়ার’। অর্থাৎ চাঁদ সূর্যকে ঢেকে ফেলার পর দেখায় আগুনের আংটির মতো।'
যুগান্তকারী এই সব পর্যবেক্ষণ থেকে মনে হয়,একটা কালের অস্তিত্ব ছিল যার নাম দেয়া হয়ে ছে বৃহৎ বিস্ফোরণ (Big Bang)। তখন ছিল অসীম ক্ষুদ্র মহা বিশ্ব এবং এর ঘনত্ব ছিল অসীম। এ রকম পরিস্থিতিতে বিজ্ঞানের সব জা না বিধিই ভেঙ্গে পড়ে। সুতরাং স্বভাবতই ভেঙ্গে পড়ে ভবিষ্যদ্বা ণী করার ক্ষমতা। কিন্তু বাস্ তবতা সম্পূর্ণই বিপরীত। মহাবিশ্ বের বৃহৎ বিস্ফোরণ এবং দূরাপসা রণ গতির সব ব্যাপারই শুধু সু পরিকল্পিত এবং সুনিয়ন্ত্রিত হলে ই যুগ যুগ ধরে বিজ্ঞানীদের সব ভ বিষ্যদ্বাণী কেবলমাত্র ফলপ্রসূ হতে পারে এটি আমরা ধারা বাহিকভাবে দেখতে পারছি।অন্য দি কে, তাপ গতিবিদ্যার প্রথম সূত্র বলছে : এরূপ যন্ত্র তৈরি করা এ কেবারেই অসম্ভব, যেটি শুন্য থে কে শক্তি বানাতে পারবে এবং অবিরাম চলবে বা স্বয়ংক্রিয়ভাবে চলতেই থাকবে। আমরা দেখতে পাচ্ছি , ঘুরে ফিরে যে বিষয়টি স্পষ্ট হ চ্ছেঃ মহাবিশ্বের সৃষ্টি ও বিকা শ পরিকল্পিত বিঁধায় এর যে কোনো বিষয়ে /পরিস্থিতিতে এই ব্যাখ্যা একেবারেই অসম্ভব, কোনো কিছু শূন্য থেকে শক্তি উৎপন্ন করতে পারবে এবং অবিরাম চলবে বা স্বয়ংক্রিয়ভাবে চলতেই থাকবে। আ মরা দেখতে পাচ্ছি, ঘুরে ফিরে যে বিষয়টি স্পষ্ট হচ্ছে : মহাবিশ্ বের সৃষ্টি ও বিকাশ পরিকল্পিত বি ধায় এর যেকোনো ব্যাপারেই যৌক্তি ক বিজ্ঞানসম্মত ভবিষ্যদ্বাণী সব সময় ফলপ্রসূ হতে দেখা যায়। বি শিষ্ট প্রাণ-পদার্থবিজ্ঞানী পাল কায়েন্স ইবারসোল্ডের মতে : ‘এই মহাবিশ্বের জন্ম সম্পর্কে বি জ্ঞান আপাত দৃষ্টিতে খুব মহাপ্লাবনিক একটি তত্ত্ব দাঁড় ক রাতে পারে। তারই ফলে ছায়াপথ ও নক্ষত্রের সৃষ্টি হয়েছে বলে উল্লে খ করতে পারে। কিন্তু কোথা থেকে এই সৃষ্টির জন্য জড়পদার্থ ও শক্ তি এসেছে এবং কেনই বা এই মহাবি শ্বটি এমনিভাবে গঠিত ও শৃঙ্খলা বদ্ধ, সে বিষয়ে কোনো ব্যাখ্যাই বিজ্ঞানে জুটবেনা’। প্রকৃতপক্ষে বিজ্ঞানের সীমাবদ্ধতা আমাদের কা ছে স্পষ্ট। ভরশক্তির অবিনাশিতাবাদ তত্ত্ব বলছে, নতুন করে যে কোনো কিছু সৃষ্টি করা যেমন কখনো বিজ্ঞানে সম্ভব নয়, তেমনি স্পষ্ট বলে দিচ্ছে যে, এমনকি তু চ্ছ কোনো কিছুর বিনাশও একেবারেই অসম্ভব। শুধু আছে বস্ত-শক্তির রূপান্তর, নতুন করে নেই কোনো সৃ ষ্টি, ধ্বংস বা বিনাশ। মহাবিশ্ বের বর্তমান অস্তিত্ব প্রমাণ করে, এটি সুপরিকল্পিত ও সুনিয়ন্ত্ রিত বিধায় বাস্তবে বিজ্ঞান ও যুক্তি নির্ভরশীল ভবিষ্যদ্বাণী ফলপ্রসূ হতে দে খা যায়।
এসব ভবিষ্যদ্বাণী গুলো সাধারণ মা নসেও যুক্তিসঙ্গত এবং বাস্তব সম্মত মনে করা হলেও এমন কিছু ভবি ষ্যদ্বাণী ইতিহাসে বাস্তবে পরী ক্ষিত, যেগুলোর পেছনে নেই কোনো বৈজ্ঞানিক প্রমাণ বা ভিত্তি। কি ন্ত এসব ভবিষ্যদ্বাণী সত্যি সত্যি সংঘটিত হয়ে সবাইকে হতবাক করছে। এই ভবিষ্যদ্বাণীর কার্যকারণ বিষয়ে আমরা এখন আলো কপাত করব।মধ্যযুগে বেতার তো দূ রের কথা, টেলিফোনের অস্তিত্বও ছি ল না। ১১৫২ খ্রিস্টাব্দে শাহ নেয়ামতুল্লাহ ফারসিতে কাসিদা (কবিতা) লিখে যার মাধ্যমে তিনি অনেক কিছুর মধ্যে এটাও উল্লেখ করেন, শেষ যামানায় এমন যন্ত্র আবিষ্কার করা হবে যে ন মনে হবে আকাশ থেকে ওহি নাজিল হচ্ছে।{ এত আগে রেডিও,টিভির উদ্ভাবনের কথা কি করে কল্পনা করা স্মভব?} প্রথম ও দ্বিতীয় মহা যুদ্ধের কথাও তিনি বর্ণনা করেছে ন। কোন কোন দেশ যুদ্ধে অংশ নেবে এবং কত লোক নিহত হবে, এসব অনেক কিছু তার কাসিদায় রয়েছে। লিখে ছেন, ১০০ বছর পরই ইংরেজ ভারত ছে ড়ে চলে যাবে। একটি ঘটনা উল্লেখ না করলে নয়, যে ঘটনাটি আমাকে গভী রভাবে প্রভাবিত করেছে। তিনি লি খেছিলেন, ইংরেজরা চলে গেলে ভা রতবর্ষে হিন্দু-মুসলমানদের মধ্ যে বিবাদ-সংঘর্ষ লেগে থাকবে। বাং লাদেশের অভ্যুদয়ের ব্যাপারে তার কবিতায় এসেছে, দুই ঈদের মধ্ যবর্তী সময়ে এটি ঘটবে। কাসিদা র দুটি প ংতি এখানে তুলে দেয়া হলঃ
৪০) মুসলিম নেতা অথচ বন্ধু কাফে রের তলে তলে
মদদ করিবে অরি কে সে এক পাপ চু ক্তির ছলে
.
৪১) প্রথম অক্ষরে থাকিবে শীনে’র অবস্থান
শেষের অক্ষরে থাকিবে নূন ও বিরা জমান
ঘটিবে তখন এসব ঘটনা মাঝখানে দু’ ঈদের
আনুমানিক শেখ <মু><><><র> <র><><>ন ।
একমাত্র এই নামটি ঐতিহাসিক ভাবে মিলে যায়।
ঈদুল আজহা আমরা যুদ্ধের মধ্যে উ ৎযাপন করেছি, কিন্তু ঈদুল ফিতর আমরা স্বাধীন বাংলাদেশের মাটিতে পালন করছি। কাসিদার পুস্তকটি ব হু আগে লেখা কি না এটা নিশ্চিত হতে একজন ফারসি ভাষায় অভিজ্ঞ ব্ যক্তির শরণাপন্ন হই। তিনি আমাকে নিশ্চিত করেন, এর ভাষাটি উল্লি খিত সময়কালের। দুই ঈদের মধ্যবর্তী একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বাংলাদেশের অভ্যুদয় হবে, এত বছর আগে কী করে তা তিনি লি খেগেলেন?
এই মুহূর্তের ঘটনা প্র্রবাহে কি ঘটতে যাচ্ছেঃ অপেক্ষা করি!
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
শাহ নেয়ামুতুল্ল্রাহ লিখেছেনঃ
৪৩) সৃষ্টি হইবে ভারত ব্যাপিয়া প্রচণ্ড আলোড়ন
৪৭) মিলে এক সাথে দক্ষিণী ফৌজ ই রানী ও আফগান
বিজয় করিয়া কব্জায় পুরা আনিবে হিন্দুস্তান
৪৮)বরবাদ করে দেয়া হবে দ্বীন ঈমা নের দুশমন
অঝোর ধারায় হবে আল্লাহ’র রহমাত বর্ষণ
.৪৯)দ্বীনের বৈরী আছিল শুরুতে ছ য় হরফেতে নাম
প্রথম হরফ গাফ সে কবুল করিবে দ্বীন ইসলাম
.ব্যাখ্যাঃ ছয় অক্ষর বিশিষ্ট এক টি নাম যার প্রথম অক্ষরটি হবে “ গাফ” এমন এক প্রভাবশালী হিন্দু ইসলাম গ্রহণ করে মুসলিম পক্ষে যো গদান করবেন। তিনি কে তা এখন ও অস্পষ্ট!
.৫০) আল্লাহ’র খাস রহমাতে হবে মু মিনেরা খোশদিল
হিন্দু রসুম রেওয়াজ এ ভূমে থাকি বে না এক তিল
ব্যাখ্যাঃ ভারতবর্ষে হিন্দু ্র ধর্ম তো দূরের, হিন্দুদের কোন রসম রেওয়াজও থাকবে না।
আমরা অপেক্ষা করি ভারতবর্ষের ঘটনা প্রবাহের সাথে কতটুকু মিল লক্ষ্য করা যায়?
আমাদের সময় ডেস্কঃ বাংলাদেশ ও ভারতে হবে ভয়াল প্লাবন ৫ জানুয়ারি ২০২০ ০০:০০ | আপডেট: ৫ জানুয়ারি ২০২০ ০১:০৪ হিমালয় পর্বতমালা থেকে বেরিয়ে আসা নদীর অববাহিকাগুলোতে থাকা ভারত ও বাংলাদেশের জনপদগুলোর জন্য অপেক্ষা করছে ভয়ঙ্কর প্রাকৃতিক দুর্যোগ। সম্প্রতি আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান জার্নাল ‘প্রসিডিংস অব দ্য ন্যাশনাল একাডেমি অব সায়েন্সেসে (পিএনএএস বা পিনাস)’ এক গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, এই দশকের যে কোনো সময়ে ভেসে যেতে পারে হিমালয়ের অন্তত ৫ হাজার হ্রদ। আর এর ফলে হিমালয়ের কোলে থাকা গ্রাম ও জনপদগুলো বন্যায় ভেসে যাবে। খবর : আনন্দবাজার।
গবেষকদের অন্যতম জার্মানির পোস্টড্যাম বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই অধ্যাপক জর্জ ভেহা ও অলিভার কোরুপ জানান, হিমালয় পর্বতমালার অন্যান্য অংশের চেয়ে সিকিম হিমালয়সহ পুরো পূর্ব হিমালয়ে বন্যার আশঙ্কা অন্তত তিনগুণ বেশি। বরফ গলা পানির তোড়ে হ্রদগুলোর পানিকে ঘিরে থাকা মাটি ও নুড়ি পাথরের দেয়ালগুলো ভেসে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। যাকে বিজ্ঞানের পরিভাষায় বলা হয়, ‘মোরেন’।
গবেষকরা আরও জানান, এ মোরেনের ফলে এই দশকেই হিমালয় পর্বতমালার একটি বড় অংশে ভয়াল বন্যা হবে। যাকে গ্লেসিয়াল লেক আউটবার্স্ট ফ্লাড (জিএলওএফ বা গ্লফ) বলা হয়। হিমালয়ের কোলে যে হ্রদগুলো বেশি গভীর ও বরফ গলা পানি বেশি, সেই হ্রদগুলোর দেয়ালই ভেসে গিয়ে এ বন্যা হবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন গবেষকরা।
অতিতে ঘটে যাওয়া নিম্নের ভবিষ্যদ্বাণীর কি কোনো বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা আছে বা দেওয়া যবে?
এমনকি কাকতালীয় ভাবেও কি কোনভাবে এরকম ভবিষ্যতের কথা বলা বাস্তবে কখনও সম্ভব ?
১২০১ সালে তৎকালীন বাংলার রাজা লক্ষণ সেন বাংলার রাজধানী নদিয়া য় অবস্থান করছিলেন কারণ নদিয়া ছিল সবচেয়ে সুরক্ষিত অঞ্চল। রা জসভার কিছু দৈবজ্ঞ পণ্ডিত তাকে সতর্ক করে দিয়েছিলেন যে এক তু র্কি সৈনিক তাকে পরাজিত করতে পা রে। লক্ষণ সেন নদিয়ার প্রবেশপথ রা জমহল ও তেলিয়াগড়ের নিরাপত্তা জোরদার করেন। লক্ষণ সেনের ধারণা ছিল যে ঝাড়খণ্ডের শ্বাপদশংকুল অরণ্য দিয়ে কোনো সৈন্যবাহিনীর পক্ষে নদিয়া আক্রমণ করা সম্ভব নয় কিন্তু বখতিয়ার সেইপথেই তা র সৈন্যবাহিনীকে নিয়ে আসেন। নদি য়া অভিযানকালে বখতিয়ার ঝাড় খণ্ডের মধ্য দিয়ে এত দ্রুতগতি তে অগ্রসর হয়েছিলেন যে তার সা থে মাত্র ১৮ জন সৈনিকই তাল মেলা তে পেরেছিলেন।বখতিয়ার সোজা রা জা লক্ষণ সেনের প্রাসাদদ্বারে উ পস্থিত হন এবং দ্বাররক্ষী ও প্ রহরীদের হত্যা করে প্রাসাদের ভি তরে প্রবেশ করেন। এতে প্রাসাদের ভিতরে হৈচৈ পড়ে যায় এবং লক্ ষন সেন দিগ্বিদিক জ্ঞান হারিয়ে ফেলে প্রাসাদের পেছনের দরজা দি য়ে নৌপথে বিক্রমপুরে যান।
লক্ষণ সেনের দৈবজ্ঞ পণ্ডিতেরা যা যা বলেন ঠিক ঠিক সে রকমটি ঘটে গেল এর কি কোনো বিজ্ঞান সম্মত ব্যাখ্যা আদৌ সম্ভব!কি ভাবে দৈবজ্ঞ পণ্ডিতেরা ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন তার চেয়ে ও গুরুত্বপূর্ণ এ ঘটনা প্রমাণ করে ভবিষ্যতের ঘটনাপ্রবাহ কোথাও সংরক্ষিত যা আমাদের কল্পনায়ও আসেনা। আর আছে বলেই এরকম অনেক ঘটনা বিশ্বে ঘটেছে যা আগে ভাগে প্রকাশ সম্ভবপর হচ্ছে।
এখন থেকে সাড়ে চার শ’ বছরেরও বে শি আগে ফ্রান্সের এক অতীন্দ্রিয় ভবিষ্যদ্বক্তা নস্ট্রাডেমাস অনে ক ভবিষ্যদ্বাণী করে গেছেন, যার সব ফলপ্রসূ না হলেও কিছু বাস্তবায়িত হয়ে বিশ্বজুড়ে সাড়া জাগিয়ে তুলতে সক্ষম হয়েছে। সাড়ে চার শ’ বছরেরও আগে কবিতার ছন্দে তিনি লিখেছেন ‘ঝড়, মহামা রী অথবা যুদ্ধ পারস্যের রাজার প তন ঘটাবে না। এটা বিশ্বাসের (ঈমা ন) ওপর ভিত্তি করে হবে এবং শুরু হবে ফ্রান্স থেকে।’ ভবি ষ্যদ্বাণীটি এখানে তুলে দেয়া হলো ।
: 'Rain,fame and war will not cease in Persia,too great a faith will betray with the monarch.These (actions) started in France will end there.A secret sign for one to be sparing'
এখানে স্মরণযোগ্য : আয়াতুল্লাহ খোমেনি ফ্রান্সে নির্বাসিত হয়ে সেখান থেকেই ইসলামি বিপ্লবের নেতৃত্ব প্রদান করে শেষে বিজয়ী হন।ভবিষ্যদ্বাণীটিতে পারস্যে বিপ্লব হবে ফ্রান্সে বসে- এত পূর্বে এধরনের কল্পনা করাও কারও পক্ষে কখন ও কি সম্ভব? ইতিহাস কি বলে!
করোনায় মৃত্যু ৭০ হাজার ছাড়াল প্রাণঘাতী করোনা
ভাইরাসে বিশ্বে
মোট আক্রান্তের
সংখ্যা ০৬ এপ্রিল
২০২০ পর্যন্ত ১২
লাখ ৮২
হাজার ৩৮৩।
অপরদিকে এখন
পর্যন্ত ৭০
হাজার ১৮৩
জনের প্রাণ
কেড়ে নিয়েছে
এই ভাইরাস।করোনায়
আক্রান্ত ২
লাখ ৬৯
হাজার ৪৯৪
জন চিকিৎসা
শেষে সুস্থ
হয়ে বাড়ি
ফিরেছেন। বিশ্বের
২০৮টি দেশ
ও অঞ্চলে
করোনার প্রকোপ
ছড়িয়ে পড়েছে।
৪০ বছর আগের এই থ্রিলার উপন্যাসে উহানের 'করোনা' ভাইরাস নিয়ে ভবিষ্যদ্বাণী!
https://www.youtube.com/watch?v=ufIf53qyo24&feature=push-u-sub&attr_tag=m2ign-xKq3aFtFhf%3A6
https://www.youtube.com/watch?v=ufIf53qyo24&feature=push-u-sub&attr_tag=m2ign-xKq3aFtFhf%3A6
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ১৯৮১ সালের 'দ্য আইজ অব ডার্কনেস' শিরোনামে থ্রিলার ধর্মী উপন্যাস লিখেছিলেন দিয়ান কুনটজ। সেখানে উহান ভাইরাসের কথা উল্লেখ রয়েছে। বইটিতে ভাইরাসটির নাম দেয়া হয়েছিল 'উহান-৪০০'। ল্যাবরেটরিতে অস্ত্র হিসাবে ভাইরাসটি সৃষ্টি করা হয় বলে উপন্যাসে উল্লেখ করা হয়।ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম মিরর জানিয়েছে, উহানের একটি ল্যাব থেকেই করোনা ভাইরাস ছড়িয়েছে। ৪০ বছর আগেই উপন্যাসে কীভাবে উহান ভাইরাস সম্পর্কে ভবিষ্যদ্বাণী দেয়া হলো, তাই বিস্ময় তৈরি করেছে সবার মনে।
চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহর থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনা ভাইরাসের আ'ত'ঙ্কে রয়েছে বিশ্ব। এরই মধ্যে এ ভাই'রাসে দুই হাজারেরও বেশি মানুষের মৃ'ত্যু হয়েছে এবং আ'ক্রা'ন্ত হয়েছে ৭৩ হাজারের বেশি মানুষ। এরই মধ্যে বিস্ময়কর এক তথ্য বেরিয়ে এসেছে সবার সামনে। সূত্র : দ্য সাউথ চায়না পোস্ট।
বিশ্বে সাড়া জাগানো ১১ সেপ্টেম্বর টুইন টাওয়ার হামলার ঘটনাটি সম্পর্কে নস্ট্রাডেমাসের কবিতায় এই উপমা ব্যবহার হয়েছে : টুইন টাওয়ার - মানব নির্মিত পর্বত এবং বিমান-ধাতব পাখি। বাস্তব প্রেক্ষাপটে এসব ভবিষ্যদ্বাণী ফলপ্রসূ হওয়ার সামান্যতম ব্যাখ্যাও বিজ্ঞানের পরিমণ্ডলে জুটবে না। বিজ্ঞানীরা বিভিন্ন সময় যেসব ভবিষ্যদ্বাণী করে গেছেন তার পেছনে গভীর বৈজ্ঞানিক যুক্তি, বিশ্লেষণ, ব্যাখ্যা থাকার কারণে এসব ফলপ্রসূ হলে তা তেমন কোনো আলোড়ন সৃষ্টি না করলেও যে বিষয়টি এ ক্ষেত্রে বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ তা হচ্ছে মহাবিশ্ব সুপরিকল্পিত এবং সুনিয়ন্ত্রিত সৃষ্টি বিধায় এর ক্ষুদ্র কোনো ব্যাপারেও ভবিষ্যদ্বাণী করা সম্ভব হচ্ছে এবং ভবিষ্যদ্বাণী কার্যকর হচ্ছে। কিন্তু বিজ্ঞানভিত্তিক ভবিষ্যদ্বাণী ছাড়া অন্য প্রকৃতির ভবিষ্যদ্বাণী সফল হওয়ার পেছনে কোনো যুক্তি বা ব্যাখ্যা আছে কি? প্রসঙ্গক্রমে বাস্তবে সংঘটিত দু’টি সত্য ঘটনা উল্লিখিত হচ্ছে।
১] শেখ সাদীর এক কাছের বন্ধু তার মৃত্যুর আগমুহূর্তে নিকটাত্মীয়স্বজনকে অসিয়ত করলেন : তার জানাজার নামাজ যেন শেখ সাদী পড়ান। তিনি মৃত্যুবরণ করলে আত্মীয়স্বজন কিভাবে মৃতদেহ সংরক্ষণ করে শেখ সাদীকে খবর দেবেন, এ নিয়ে সংশয়ে পড়ল। তখন বরফ আবিষ্কৃত হয়নি। অন্য দিকে শেখ সাদীকে লোক পাঠিয়ে খবর দিয়ে নিয়ে আসতে কয়েক মাস লেগে যাবে। এত দিনে লাশ পচে গলে যাবে। ঠিক এই কঠিন মুহূর্তে শেখ সাদী এসে হাজির। তিনি বহু আগেই রওনা দিয়েছিলেন এখানে আসার জন্য। বন্ধুর শেষ ইচ্ছা অনুসারে তিনিই জানাজার নামাজ পড়ালেন।
২] আমার এক আত্মীয় মাওলানা সিদ্দিকুর রহমান, যিনি মোহাদ্দেস এবং অর্থনীতিতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী। ঢাকার মহাখালী হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। আগেভাগেই তিনি কিভাবে যেন জেনে যান, কোন দিন তিনি মারা যাচ্ছেন! প্রথমে তিনি খবর দিয়ে তার এক আত্মীয়কে হাসপাতালে এনে বললেন, ‘গওহরডাঙ্গা মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে যেন তার কবরটি মাওলানা শামসুল হক ফরিদপুরী পীরে কামেল সদর ছাহেব রহ:-এর কবরের পাশে দেয়া হয়। তার আত্মীয় গওহরডাঙ্গা মাদ্রাসার কর্তৃপক্ষের কাছে এ কথা জানালে তারা সাফ জানিয়ে দিলেন, ‘তিনি মারা যাবেন না, আমাদের মাঝেই বেঁচে থাকবেন।’ সময় ঘনিয়ে আসছে। বুধবার তার স্ত্রীকে তিনি বললেন, ‘তুমি অনেক কষ্ট করেছ। আমি আর দুই দিন আছি। তারপর আর কষ্ট করতে হবে না।’ পরদিন তার ভায়রা হাসপাতালে তার সাথে দেখা করতে গেলে তিনি তাকে বলেন, ‘আমি তো মাত্র এক দিন আছি।’ অর্থাৎ শুক্রবার রাতে তিনি ইন্তেকাল করেন।অবশ্য মৃত্যুর পর কর্তৃপক্ষ তার ইচ্ছাকে মেনে নিয়েছিলেন। প্রশ্ন আসাটা একেবারেই স্বাভাবিকঃ কিভাবে তিনি তার মৃত্যুর সময়ক্ষণের ঠিক ঠিক ভবিষ্যদ্বাণী করতে সক্ষম হলেন? ভবিষ্যদ্বাণী সম্পর্কিত এসব ঘটনার সরাসরি কোনো ব্যাখ্যা আজকের বিজ্ঞান, যুক্তি, দর্শন আমাদের উপহার দেয়নি এবং কোনো ভাবেই দেওয়ার সুযোগ একেবারেই নাই। এর পরোক্ষ সম্ভাব্য ব্যাখ্যা এভাবে করা যেতে পারেঃ যিনি মহাবিশ্বের সব কিছুর স্রষ্টা, তাঁর জ্ঞান সব কিছুরই ওপরে। কারণ তিনিই তো মহান স্রষ্টা। সমুদ্রের অতল গভীরে, অরণ্যের নিভৃত কোণে, মহাকাশের নীহারিকা-ছায়াপথ সমেত প্রতিটি অঞ্চলে কোথায় কী হচ্ছে সবই তার জ্ঞাত। এ মুহূর্তের সব খবর যেমন তিনি রাখেন, তেমনি অতীতের সব কিছু তিনিই জানেন। কোটি কোটি বছর পর ভবিষ্যতে কী হবে, তা জেনেই পরিকল্পিতভাবে তিনি এসব বানিয়েছেন। বর্ণিত আছে, তিনি আশরাফুল মাখলুকাত (সৃষ্টির সেরা) মানুষকে তার ছুরতে বানিয়েছেন, আদমকে নিজের রূহ ফুঁকে দিয়েছেন আর ফেরেশতাকুল তাঁরই নির্দেশে আদমকে সিজদা করেছে। ফেরেশতারা মানুষের জ্ঞান ও বুদ্ধির প্রখরতার কাছে নতিস্বীকার করে তাকে সিজদাহ করতে বাধ্য হয়েছে। স্রষ্টাই ভবিষ্যৎ জানেন। মানুষ যেহেতু স্রষ্টারই ছুরতে তৈরি, এর ফলে মানুষের পক্ষে এটা সম্ভবপর হওয়া অসম্ভব হয়তো কিছু নয়ঃ কিঞ্চিৎ স্রষ্টাপ্রদত্ত ক্ষমতা , কৌশল এবং শক্তিকে সম্ভাব্য সব প্রক্রিয়ায় কাজে লাগিয়ে হতে পারে কোনো ঘটনা সংগঠিত হবার পূর্বেই কিছু আঁচ করা বা আভাস পাওয়া। ক্ষেত্রবিশেষে রূহানি শক্তিও বিশেষ ভূমিকা পালন করে। এ শক্তির বলে ঈসা আ:-এর খেতাব রূহুল্লাহ (আল্লাহর রূহ) এবং তিনি মৃতকে জীবিত করতে পারতেন আল্লাহর কুদরতে। বৈজ্ঞানিক ভবিষ্যদ্বাণী ছাড়া অন্য ভবিষ্যদ্বাণীর যৌক্তিক বা বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা নেই। এ ধরনের ভবিষ্যদ্বাণী ফলপ্রসূ হওয়ার কার্যকারণ একটি : মহান স্রষ্টা তাঁর সৃষ্টির মধ্যে এমন কোনো সুযোগ রেখেছেন কেবল যার ফলে এটি সম্ভব হচ্ছে। মানুষ যেমন নতুন করে কিছু বানাতে বা ধ্বংস করতে সক্ষম নয় তেমনি প্রকৃতির কোনো নিয়ম পাল্টাতে একেবারেই অক্ষম। বর্ণিত আছে, স্বেচ্ছায় বা অনিচ্ছায় মানুষ শুধু প্রকৃতির ইচ্ছার কাছে (ইসলামের ওপর বা আল্লাহর ইচ্ছার কাছে আত্মসমর্পণ) মাথা নত করতে বাধ্য। ইসলাম হচ্ছে আত্মসমর্পণ। মহাবিশ্বের সব কিছুই আত্মসমর্পিত হয়ে একটি নির্ধারিত নিয়মরীতি অনুসরণ করছে এবং সেভাবেই চলছে। নির্ধারিত নিয়মে মহাবিশ্বের সবই আবর্তিতহচ্ছে এর অর্থ দাঁড়ায়, এ সম্পর্কিত ভবিষ্যদ্বাণী যুক্তিসম্মত। তবে এ কথা বা বিষয়টি স্পষ্ট, কোনো ব্যাপারে ভবিষ্যদ্বাণী হলে সেটি ফলপ্রসূ হওয়ার পরই এটি আমাদের বিশেষ নজরে পড়ে। শেষ জামানা সম্পর্কে শেষ নবী (সা:)-এর অনেক ভবিষ্যদ্বাণী রয়েছে। সময় যতই এগিয়ে যাচ্ছে~ এসবের আলামতও ধারাবাহিকভাবে ঘটতে লক্ষ্য করা যাচ্ছে। শেষ নবী (সা:)-এর ভবিষ্যদ্বাণীর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু হচ্ছে :
১) সময় খুব দ্রুত বয়ে যাবে। [বুখারী, মুসলিম, ও আহমাদ] এ কথাটির অর্থ ও তাৎপর্য হচ্ছে মানুষের দৈনন্দিন ও সামাজিক জীবনে কর্মব্যস্ততার পরিধি এত বেড়ে যাবে যে, মনে হবে, সময় যেন দ্রুত চলে যাচ্ছে। আগের মানুষের গড় আয়ু অনেক কম হলেও জীবনের সময়কে তারা উপভোগ করে ধীরে ধীরে ব্যবহার করেছে। আধুনিক জীবনযাত্রায় গড় আয়ু কয়েক গুণ বৃদ্ধি পেলেও সময়ের সাথে প্রতিযোগিতায় মানুষ দিশেহারা। প্রতিদিনের রুটিন কাজের মধ্যে রয়েছে হরেক রকমের বাড়তি কাজ।প্রতিদিনের কাজ যেন বেড়েই চলছে। ফলে প্রত্যেকেরই মনে হয়, যেন সময় হুহু করে চলে যাচ্ছে যেটি অতীতকালে অনুভূত হয়নি। সম্প্রতি দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিনে প্রকাশিত একটি বক্তব্য দেখলে মনে হবে যেন, তা আমাদের সবারই অনুভূতির প্রতিধ্বনি। জনৈক চিন্তাবিদ লিখেছেন : ‘দিনগুলো যেন খুব তাড়াতাড়ি ফুরাচ্ছে আজকাল। বছরগুলোও চোখের পলকে চলে যাচ্ছে। এই সে দিন গেল জন্মদিন, এখনো চুপসানো বেলুন দেয়ালে ঝুলে আছে; আর এখনই কিনা আরেক জন্মদিন চলে এলো। আগে দিন ফুরাতো না। ক্লাস সিক্স থেকে সেভেনে উঠব; তখন কবে উঠব কবে উঠব করি, দিন যায়, মাস যায় কিন্তু বছর তবু যায় না।’ সময় যে পাল্লা দিয়ে দ্রুত গতিতে ছুটে চলেছে এই অনুভূতিটি সবার ভেতরেই প্রবলভাবে কাজ করছে। ভাবতে অবাক লাগে, এই ভবিষ্যদ্বাণীটি কত আগে দেয়া হয়েছিল।
২) দাসী প্রভুর জন্ম দেবে : অর্থাৎ, সন্তানেরা মায়ের সাথে ক্রীতদাসীর মতো আচরণ করবে। পৃথিবীর সব দেশে এমনকি উন্নত বিশ্বেও সন্তানদের এই প্রবণতা দিন দিন বেড়েই চলছে। যুক্তরাষ্ট্রের একটি জাতীয় টিভির অনুষ্ঠানে সে সমাজেও এমনটি ঘটছে সেই বিষয়টির উপর পরোক্ষভাবে আলোকপাত করতে দেখেছি।
৩) মসজিদগুলো ভীষণ সুসজ্জিত হবে। সম্পদের প্রাচুর্য এতটাই বৃদ্ধি পাবে যে যাকাত নেয়ার মত লোক খুঁজে পাওয়া কষ্টকর হবে। যখন লোকেরা বড় বড় দালান তৈরি করতে একে অপরের সাথে প্রতিযোগিতায় লেগে যাবে। ' যখন দেখবা মরুভুমির রাখাল এরা বড় বড় অট্টালিকা তৈরির প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হয়ে গেছে তখন বুঝবে কেয়ামত খুবই কাছে...'
২০০৮ সালের তুলনায় বাংলাদেশের অর্থনীতির জিডিপির প্রবৃদ্ধির হার, সেটা ৬ শতাংশ থেকে সাত দশমিক ৮৬ শতাংশ হয়েছে ২0১৮ সালে। এটা তো একটা বিরাট পরিবর্তন।
"এর পাশাপাশি মাথাপিছু আয়, সেখানেও বিরাট পরিবর্তন এসেছে। ২০০৮ সালে ৬৮৬ ডলার ছিল যেটা, সেটা এখন ২০১৮ সালে ১৭৫৮ ডলার হয়েছে। চরম দারিদ্রের হার দশ বছর আগে ছিল ১৯.৬ শতাংশ। সেটা এখন কমে দাড়িয়েছে ১৪.৮ শতাংশে। একসময়ের বিশ্বে অনুন্নত শ্রেণীভুক্ত বাংলাদেশের গ্রামগঞ্জেও এখন সুউচ্চ ইমারত লক্ষণীয়। ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশে রূপান্তরিত হবার লক্ষ্যে সরকার কাজ করছে।২০৩০ সালে ২৬তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ হতে যাচ্ছেঃ এইচএসবিসির এই ভবিষ্যদ্বাণী। হংকং-সাংহাই ব্যাংকিং করপোরেশনের গবেষণা সেল এইচএসবিসি গ্লোবাল রিসার্চের পূর্বাভাস অনুযায়ী, মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) নিরিখে ২০৩০ সাল নাগাদ বিশ্বের ২৬তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ হবে বাংলাদেশ। ‘দ্য ওয়ার্ল্ড ইন ২০৩০: আওয়ার লংটার্ম প্রজেকশন ফর ৭৫ কান্ট্রিজ’ শিরোনামের একটি গবেষণা প্রতিবেদনে ৭৫টি দেশের অর্থনীতি নিয়ে তাদের ভবিষ্যত সম্পর্কে পূর্বাভাস দেওয়া হয়। এইচএসবিসি’র গবেষণা অনুসারে, আগামী ১২ বছরের মধ্যে ১৬ ধাপ এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ।ধারাবাহিকভাবে বিশ্বের সব দেশের সম্পদ ভীষণ গতিতে বেড়ে যাবে বলে প্রতীয়মান হচ্ছে। দেশের প্রথম বাজেটের (১৯৭১) আকার ছিলো ৭৮৬ কোটি টাকা। বর্তমান অর্থমন্ত্রীর নতুন অর্থবছরের (২০২০) )বাজেট ৫ লাখ ২৩ হাজার কোটি টাকার বেশি।Bangladesh will make the biggest jump in global GDP ranking by 2030 [The Finantial Express]Bangladesh is placed as one of the five fastest growing economies in Asia. Other countries are: India, Philippines, Pakistan and Vietnam.But by jumping the biggest steps within a decade and two years, Bangladesh is set to replace Austria, which is now the 26th largest economy of the world, as per International Monetary Fund (IMF) estimation.According to the HSBC projection, Bangladesh will outnumber Philippines, UAE, Malaysia, Pakistan, Austria, Nigeria, Ireland, Israel, Colombia, Hong Kong, Taiwan, South Africa Denmark, Singapore and Finland.২০৩০ সালের পর টেলিস্কোপ দিয়ে খুঁজেও দরিদ্র মানুষ পাওয়া যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।২০৪১ সাল নাগাদ ২.৬ ট্রিলিয়ন ডলার জিডিপির স্বপ্ন বাংলাদেশেরঃযুগান্তর ডেস্ক১১ ডিসেম্বর ২০১৯, ১৮:৪১ | অনলাইন সংস্করণ
৪) নারীদের সংখ্যা পুরুষের তুলনায় বেড়ে যাবে, এমনকি একজন পুরুষের বিপরীতে হবে পঞ্চাশ জন মহিলা । [বুখারী, মুসলিম, ও আহমদ] ।
বর্তমান বিশ্বে সব দেশেই নারীদের গড় আয়ু সাধারণত পুরুষদের চেয়ে বেশি। অন্য দিকে, নারী শিশুদের জন্মহারও পুরুষদের চেয়ে বেশি। x, y ক্রোমসোমের মিলনের আনুপাতিক হারের ওপর নির্ভর করে শিশু ছেলে না মেয়ে হবে। x ও y-এর মিলনে কেন কন্যাশিশু জন্মের সম্ভাব্যতা বেড়ে যায়, এর বৈজ্ঞানিক কারণ বা ব্যাখ্যা পাওয়া যায় না লিখেছে একটি ইন্টারন্যাশনাল সায়েন্স ম্যাগাজিন যেটি দেখেছিলাম যুক্তরাষ্ট্রে জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ে। বিশ্বে ধীরে ধীরে ক্রমান্বয়ে নারীর সংখ্যা বৃদ্ধির হার লক্ষণীয়।
৫) আল্লাহর রাসুল সঃ বলেছেন…কেয়ামতের আগে যখন জিনা, নগ্নতা বেড়ে যাবে,তখন উদ্ভট রোগ আসবে তাদের উপর, যে রোগের নাম তাদের বাপ দাদারা ও শুনেনি।
চীনে সমপ্রতি ছড়িয়ে পড়েছে করোনাভাইরাসের নতুন একটি প্রজাতি।
চীনে ডিসেম্বর ২০১৯ থেকে দেখা যাওয়া এই নতুন ভাইরাস মূলত ফুসফুসে বড় ধরণের সংক্রমণ ঘটায়।১২ ফেব্রুয়ারি ,২০২০ আপডেট হচ্ছে- করোনাভাইরাসে মৃত্যুর সংখ্যা ১,০১২; সুস্থ হয়েছেন ৩,৯১৯ জন। ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৪২,৩৭২ জন। সন্দেহ করা হচ্ছে বা পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে ২৩,৫৮৯ জনকে।
২০ মার্চ, ২২০ঃ ১০০৪৮ জনের প্রাণ কেড়েছে করোনা
করোনায় মৃত্যু ৭০ হাজার ছাড়াল প্রাণঘাতী করোনা
ভাইরাসে বিশ্বে
মোট আক্রান্তের
সংখ্যা ০৬ এপ্রিল
২০২০ পর্যন্ত ১২
লাখ ৮২
হাজার ৩৮৩।
অপরদিকে এখন
পর্যন্ত ৭০
হাজার ১৮৩
জনের প্রাণ
কেড়ে নিয়েছে
এই ভাইরাস।করোনায়
আক্রান্ত ২
লাখ ৬৯
হাজার ৪৯৪
জন চিকিৎসা
শেষে সুস্থ
হয়ে বাড়ি
ফিরেছেন। বিশ্বের
২০৮টি দেশ
ও অঞ্চলে
করোনার প্রকোপ
ছড়িয়ে পড়েছে।
৬)২০০০ বছর আগেই করোনাভাইরাসের কথা বলেছিল তুর্কি ক্যালেন্ডার!
বিচিত্র জগৎ ডেস্ক: গত ৩১ ডিসেম্বর চীনের হুবেই প্রদেশের উহানে প্রথমবারের মতো শনা'ক্ত হয় প্রা'ণঘা'তী করোনাভাইরাস। এরই মধ্যে বিশ্বের অন্তত ১৯৮টি দেশ ও অঞ্চলে ছ'ড়িয়ে পড়েছে এই ভাইরাস। এ ভাইরাসে এখন পর্যন্ত মা'রা গেছেন ২২ হাজার ২৬ জন।
এদিকে, ২০০০ বছর আগেই নাকি গোটা বিশ্বে ত্রা'সের সৃষ্টি করা করোনাভাইরাসের কথা বলে গিয়েছিলেন তুর্কি জ্যোতি'ষবিদরা। ২০২০ সালে গোটা পৃথিবী যে ম'হামা'রীর ক'বলে পড়বে, সেই পূ'র্বাভা'স দেওয়া হয়েছে প্রাচীন তুর্কি ক্যালেন্ডারে। করোনা ছাড়াও আরও কয়েকটি বি'প'র্যয়ের কথা উল্লেখ রয়েছে এখানে।
যিশু খ্রিস্টের জন্মের ২০৯ বছর আগে তৈরি এই ক্যালেন্ডারে এমন এক ভাইরাসের কথা বলা হয়, যাকে স'র্দি-কা'শি-জ্ব'র ও শ্বা'সক'ষ্ট প্রধান উপস'র্গ। করোনাভাইরাসের ক্ষেত্রেও যে একই উপস'র্গ তা আমরা সবাই জানি। তবে উড়ি হিন্দি নামক একটি গাছের কথা সেখানে উল্লেখ রয়েছে। এই গাছের পাতার রস করোনাভাইরাসের অব্য'র্থ ওষুধ বলে ক্যালেন্ডারে দা'বি করা হয়েছে।
করোনাভাইরাস ছাড়াও ২০২০ সালে ভ'য়াব'হ আগুন ও ভূমিক'ম্প হতে পারে বলেও জানিয়েছে প্রাচীন তুর্কি ক্যালেন্ডার। এই বছরটিকে ইঁদুরের বছর বলে উল্লেখ করা হয়েছে। ভ'য়াব'হ আগুন বলতে অস্ট্রেলিয়ার দাবানলের কথা এখানে বলা হয়েছে বলে অনেকেই মনে করছেন।সূত্র: এই সময়
করোনাভাইরাস ছাড়াও ২০২০ সালে ভ'য়াব'হ আগুন ও ভূমিক'ম্প হতে পারে বলেও জানিয়েছে প্রাচীন তুর্কি ক্যালেন্ডার। এই বছরটিকে ইঁদুরের বছর বলে উল্লেখ করা হয়েছে। ভ'য়াব'হ আগুন বলতে অস্ট্রেলিয়ার দাবানলের কথা এখানে বলা হয়েছে বলে অনেকেই মনে করছেন।সূত্র: এই সময়
এ পর্যন্ত রোগের তালিকায় নিত্য নতুন নাম সংযোজিত হয়ে চলছে। বিশ্বে অটিটিস্টিক রোগীর সংখ্যা আকাশ ছোঁয়া রূপ ধারন করতে চলছে বলে পরিসংখ্যান বলছে। গ্রিক শব্দ অটিস্টিক "নিজ" - এরা নিজেদের মাঝে নিজেদের গুঁটিয়ে রাখে।কারো দিকে তাকাতে চায় না, কারো সঙ্গে কথা বলতে চায় না, বন্ধুত্ব করতে চায় না। সবচেয়ে বিশ্বয়কর ব্যপার হলো, বিজ্ঞানীরা এখনো জানেন না এর কারণ কি! জিকা ভাইরাসের নতুন আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ছে বিশ্ব কুরে কুরে মস্তিষ্ক শেষ করে দিচ্ছে এই ভাইরাস।অন্তঃসত্ত্বা মহিলাদে র ওপর এই ভাইরাসের প্রভাব এত ভয়াবহ যে, নবজাতকের মাথা শরীরের তুলনায় অস্বাভাবিক ছোট আকারের হচ্ছে। অসম্পূর্ণ মস্তিষ্ক নিয়ে জন্মানো এই শিশুদের জীবনভর সেভাবেই বাঁচতে হবে বলে চিকিৎসাবিজ্ঞানীরা মনে করেন। এইডস রোগের প্রতিষেধক এখনো পাওয়া যায়নি। জাতিসংঘ শিশু তহবিল-ইউনিসেফের প্রতিবেদন বলছে , এইডসের কারণে ২০১৮ থেকে ২০৩০ সালের মধ্যে প্রায় ৩ লাখ ৬০ হাজার কিশোর-কিশোরীর মৃত্যু হতে পারে। এই সময়ে এইচআইভি প্রতিরোধ, পরীক্ষা- নিরীক্ষা ও চিকিৎসা প্রকল্পে বাড়তি বিনিয়োগ করা না হলে প্রতিদিন ৭৬ জন কিশোর-কিশোরীর মৃত্যু হবে। বতর্মানে প্রতি ২ মিনিটে একজন কিশোর বা কিশোরী এইচআইভি আক্রান্ত হচ্ছে। ‘ডেঙ্গু রোগ বর্তমানে বিশ্বের ১২৮টি দেশের মানুষকে ভোগান্তিতে রেখেছে। বিশ্বের ১২৮টি ডেঙ্গু আক্রান্ত দেশের মধ্যে বাংলাদেশও একটি।
৭) মাদকদ্রব্য গ্রহণ ব্যাপক বিস্তার লাভ করবে।[বুখারী ও মুসলিম]ব্যভিচার ও অবৈধ যৌন সম্পর্ক সহজ হয়ে যাবে।[বুখারী,মুসলিম, ইবন মাজাহ]
মানুষ রাস্তাঘাটে 'গাধাদের মত' ব্যভিচার করবে,বাদ্যযন্ত্র এবং গানবাজনার ব্যাপক প্রসার ঘটবে। বহু ধরনের বাদ্যযন্ত্র এখন বিশ্ববাজারে। এ হার বেড়েই চলছে। সাথে সাথে বাড়ছে সঙ্গীতের প্রসার।
৭) খুন এবং হত্যা বেড়ে যাবে। [বুখারী, মুসলিম, ইবন মাজাহ, ও আহমাদ]। হত্যাকাণ্ড এত বেশি বৃদ্ধি পাবে যে, যাকে মারা হলো সে জানতেও পারবে না, কেন তাক হত্যা করা হলো,আবার হত্যাকারী জানবেনা যে, কি কারনে সে হত্যা করলো। সমগ্র বিশ্বে হত্যার ছড়াছড়ি এবং সংখ্যাধিক্য এ রকম আভাস দিচ্ছে এবং হত্যাযজ্ঞের প্রবণতাও বৃদ্ধি পেয়ে চলছে উন্নত বিশ্ব সহ সব দেশে।যুক্তরাষ্ট্রের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি দপ্তরের প্রতিবেদন জানাচ্ছে,২০১৫-এর আগের দশকে বন্দুকধারীদের হামলায় মারা গেছে ২ লাখ ৮০ হাজার ২৪ জন! প্রতিবছর ওই দেশে লক্ষাধিক মানুষ গুলিবিদ্ধ হয়। যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্ রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্রের তথ্য প র্যালোচনা করে মার্কিন সংবাদমা ধ্যম সিএনএন জানিয়েছে, ২০০৪ থে কে ২০১৩ সাল পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে আগ্নেয়া স্ত্রের হামলায় মারা যায় ৩,১৬,৫৪৫ জন।
৮) নারীরা এমন পোশাক-পরিচ্ছদে নিজেদের আবৃত করবে যে, মনে হবে না কোনো পোশাক
পড়েছে। বিভিন্ন দেশে বিকিনি এবং স্বল্পদৈর্ঘ্যরে পোশাকের প্রতি নারীদের আকর্ষণ
ও ঝোঁক প্রবণতা এখানে উল্লেখ করার মতো। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ ‘কিয়ামতের আলামত হচ্ছে মহিলাদের জন্য এমন পোষাক আবিস্কার হবে যা পরিধান করার পরও মহিলাদেরকে উলঙ্গ মনে হবে’’।[ইমাম হায়ছামী বলেনঃ ইমাম বুখারী এই হাদীছের বর্ণনাকারীদের থেকে হাদীছ গ্রহণ করেছেন, মাজমাউজ্ জাওয়ায়েদ, (৭/৩২৭)]
৯) ভাগ্য গণনার ওপর মানুষের নির্ভরশীলতা বৃদ্ধি পাবে। টেলিভিশনে এবং খবরের কাগজে প্রাত্যহিক রাশিফল পর্যালোচনা এটি প্রমাণ করে।
১০) ইসলামের অনুসারী অন্য যে কোনো ধর্মের চেয়ে বশি হবে।২০৭০ সালের মধ্যে জনসংখ্যার ভিত্তিতে সবচেয়ে বড় ধর্ম হবে ইসলাম। যুক্তরাষ্ট্র-ভিত্তিক বেসরকারি প্রতিষ্ঠান পিউ রিসার্চ সেন্টারের সম্প্রতিক গবেষণায় উঠে এসছে এমন তথ্য। গবেষনায় দেখা গেছে, ২০১০ সালের হিসাব অনুযায়ী বিশ্বে মুসলিম জনসংখ্যা ১শ’ ৬০ কোটি ও খ্রিস্টান ২শ’ ১৭ কোটি। ২০১০ থেকে ২০৫০ এই ৩০ বছরের মধ্যে মুসলমান ধর্মানুসারী জনসংখ্যা বাড়বে ৭৩ শতাংশ। ফলে মুসলিম জনসংখ্যা ১শ’ ৬০ কোটি থেকে বেড়ে প্রায় ২শ’ ৭৬ কোটিতে দাঁড়াবে। আর খ্রিস্টান জনসংখ্যা বাড়বে ৩৫ শতাংশ।
এতে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী মানুষের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াবে ২শ’ ৯২ কোটিতে। ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকলে ২০৭০ সালের মধ্যে বিশ্বের বৃহত্তম জনগোষ্ঠি হবে মুসলিম সম্প্রদায়। তবে এ সময়ের মধ্যে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সংখ্যা বেড়ে ১শ’ ৩৮ কোটিতে দাঁড়ালেও অপরিবর্তিত থাকবে বৌদ্ধদের সংখ্যা।
এসব ভবিষ্যদ্বাণী ছাড়াও রাসূলুল্লাহের সা: প্রাত্যহিক জীবনের ঘটনাপ্রবাহে আরো ভবিষ্যদ্বাণী আমাদের দৃষ্টিতে পড়ে থাকে। বহুল পঠিত ও আলোচিত একটি : একদা রাসূলুল্লাহর(সা:} সহধর্মিণীগণ জানতে আগ্রহ প্রকাশ করেন, ‘ইয়া রাসূলুল্লাহ(সা:), আপনার মৃত্যুর পর আমাদের মধ্যে সর্বপ্রথম কে আপনার সাক্ষাৎ লাভ করবে?’ ‘যার হাত বেশি বড় (দানশীল),জবাবে তিনি বললেন। উম্মুল মুমিনিনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি দানশীল ছিলেন হজরত জয়নব (রা:) এবং তিনি এই সৌভাগ্যের অধিকারী হন। এক শাবান মাসের শেষ শুক্রবারে রমজানের ফজিলত সম্পর্কে বলতে গিয়ে বিশ্বনবী (সা.) ভাষণের শেষ পর্যায়ে কাঁদতে থাকেন। তা দেখে আমিরুল মু’মিনিন হযরত আলী (রা.) এর কারণ জানতে চান। জবাবে মহানবী বহু বছর পর রমজান মাসে আলীর (রা.) মর্মান্তিক শাহাদতের ভবিষ্যদ্বাণীর কথা উল্লেখ করলেন। তিনি বললেন, ‘হে আলী, এই মাসে তোমার ওপর যা নেমে আসবে সে জন্য আমি কাঁদছি। (আমি নিজেকে কল্পনা করছি) তোমার স্থানে যখন তুমি আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করছো এবং সামুদ জাতির কাছে পাঠানো (খোদায়ী) উটের পা কর্তনকারী লোকটির মতই মানব ইতিহাসের সবচেয়ে নিকৃষ্ট ব্যক্তিটি তোমার মাথার ওপর আঘাত হানবে এবং তোমার দাড়ি তাতে (রক্তে) রঞ্জিত হবে।’নিঃসন্দেহে এই ভবিষ্যদ্বাণীটির ব্যাখ্যা বিজ্ঞানে অসম্ভব। প্রকৃতপক্ষে এসব ঘটনার ভবিষ্যদ্বাণীর ব্যাখ্যা যান্ত্রিক ও ডিজিটাল বিজ্ঞানের কষ্টিপাথরে কোনোভাবেই সম্ভব না হলেও ভবিষ্যদ্বাণী করা হচ্ছে আর ক্খনও সেই সব যথাযথভাবে ফলপ্রসূ হতে দেখা যাচ্ছে। এই সফলতার কার্যকারণের তাত্ত্বিক বিশ্লেষণ কী হতে পারে?বাস্তবতার আলোকে বলা যায়, অতীত, বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ সব কিছুর জ্ঞান একমাত্র মহান স্রষ্টার রয়েছে। সবই তিনি জ্ঞাত, নিযুত কোটি বছর পরে কী ঘটবে তিনি তা জ্ঞাত। তা না হলে তিনি এর স্রষ্টা হতে পারতেন না। গভীর সমুদ্রের অতল তলে, অরণ্যের নিভৃত কোণে, মহাকাশের সুদূর অন্তরীে কোথায় কী ঘটছে, এমনকি প্রত্যেক মানুষের মনের অভ্যন্তরে কী কথা লুকিয়ে আছে, কী ভাবছে মানুষ, এসবই স্রষ্টার নখদর্পণে। কারণ তিনি সৃষ্টিকর্তা। বর্ণিত আছে, তিনি মানুষকে সৃষ্টির সেরা বানিয়েছেন, নিজ ছুরতে তৈরি করেছেন, নিজ রূহ আদমকে ফুঁকে দিয়েছেন। ভবিষ্যদ্বাণী বাস্তবে ঘটার পরই এটাকে ফলপ্রসূ ভবিষ্যদ্বাণী বলা হয়। অন্যথায় ঘটার জন্য অপেক্ষা করতে হয়, না ঘটলে এটি আর ভবিষ্যদ্বাণী হয় না। প্রকৃত সত্য হচ্ছে নিযুত কোটি ঘটনার মধ্যে দু-একটি ছিটেফোঁটা ঘটনার ভবিষ্যদ্বাণী আমরা জানছি এবং ফলপ্রসূ হতে দেখছি। তবে সার্বিক বিবেচনায় যে বিষয়টি স্পষ্ট : মহাবিশ্ব সুচিন্তিত, সুনিয়ন্ত্রিত, সুপরিকল্পিত বিধায় এর যেকোনো ক্ষুদ্র ও তুচ্ছ বিষয়েও ভবিষ্যদ্বাণী করা সম্ভব এবং তা ফলপ্রসূ হতে দেখা যায়। আইনস্টাইনের সে উক্তিটি আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয়, ‘নিশ্চয়ই এর পেছনে রয়েছে এক অকল্পনীয় মহাজ্ঞানী সত্তার রহস্যময় অভিপ্রেত।’
৩ নভেম্বর ২০১৯ থেকে আমরা অপেক্ষা করতে থাকি কি ঘটে, ভবিষ্যৎ বাণী কতটুকু ফলপ্রসূ হয়? ২০৩০ সালের মধ্যেই পৃথিবীতে ফিরে আসবে তুষার যুগ!
২০২০ থেকে ২০৩০ সালের মধ্যে সোলার সাইকেল সিস্টেম ক্র্যাশ করতে পারে! যা ১৬৪৬ থেকে ১৭১৫ সালের মধ্যে আগেও একবার ঘটেছিল। বৈজ্ঞানিকদের আশঙ্কা, একটু একটু করে ‘তেজ’ হারাচ্ছে সূর্য। যার জেরেই ২০৩০ সালের মধ্যেই পৃথিবীতে ফিরে আসবে তুষারযুগ।
ডেইলি মেইলসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়, ব্রিটিশ বৈজ্ঞানিকদের আশঙ্কা, যে হারে ‘তেজ’ বা ‘শক্তি’ হারাচ্ছে সূর্য, তাতে ২০৩০ সালের মধ্যেই ৬০ শতাংশ উত্তাপ হারিয়ে ফেলবে। যার ফলে আগামী ১৫ বছরের মধ্যে এই বিশ্বে ফের তুষার যুগ ফিরে আসতে পারে ।
লেখক:সাবেক শিক্ষক,পদার্থবি জ্ঞান
,জাহাঙ্গীরনগর বিশ্শ্ববিদ্যালয়।