Thursday, April 16, 2020

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রুখে দেওয়ার শ্বাস প্রশ্বাসের ব্যায়াম।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রুখে দেওয়ার শ্বাস প্রশ্বাসের ব্যায়াম। কালের কণ্ঠ ডেস্ক -২৫ জুন, ২০২০ ০২:১০ | তার আগে আমরা প্রথমে এক পলকে দেখিঃ করোনা আক্রমনের শিকার ফুসফুসটা আসলে কেমন!
'যারা দাড়িয়ে, বসে ও শায়িত অবস্থায় আল্লাহর জিকির করে এবং চিন্তা -গবেষণা করে আসমান ও জমিন সৃষ্টির বিষয়ে; তারা বলে হে আমাদেরপ্রতিপালক! এসব তুমি অনর্থক সৃষ্টি করনি।সব পবিত্রতা তোমারই, আমাদিগকে তুমি আগুনের শাস্তি থেকে বাচাও'[ ইমরান ৩ঃ১৯১] আল্লাহ তায়ালার জিকিরকরার অর্থ হলো সৃষ্টি সম্পর্কে চিন্তাভাবনা ও গবেষণা করা। 'فَبِأَيِّ آلَاءرَبِّكُمَا تُكَذِّبَانِ '"অতএব, তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন্‌ কোন্‌অনুগ্রহকে অস্বীকার করবে?"[আর রহমান ৫৫ঃ১৩]
শ্বাস প্রশ্বাস চালানোর জন্য দেহের অনেক যায়গা দরকার। ১]ফুসফুসে২৪০০কিঃমিঃ(১৫০০মাইল)বায়ুপথ থাকেএবং৩০০ থেকে ৫০০ মিলিয়ন গর্ত থাকে।তার মানে যদি ফুসফুসের সব শিরা ও গর্ত ভাজমুক্ত করে একের সাথে অপরের জোড়া লাগিয়ে সাজানো হয় তবে এটা ৯৯২কিঃমিঃলম্বা হবে।
২] আমাদেরফুসফুসের মধ্যে ৩০০ মিলিয়ন কৈশিকনালী আছে যা আমেরিকাকে আড়াআড়িভাবেবেষ্টন করবে।
৩] ফুসফুসের ভিতরে যে যায়গা রয়েছে সেটি একটি টেনিস কোর্টের এক দিকের প্রায় সমান হবে।
৪] প্রতি ২৪ ঘণ্টায় ফুসফুস ২৩,০০০ বার নিশ্বাস নেয়।

করোনা জব্দে নাক দিয়ে শ্বাস গ্রহণের ফর্মুলাঃ

কালের কণ্ঠ ডেস্ক -২৫ জুন, ২০২০ ০২:১০ |
শ্বাস প্রশ্বাসের ব্যায়াম করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রুখে দেওয়া যায় বলে আগেই দাবি করেছেন অনেকে। যাতে শ্বাস-প্রশ্বাসের নিয়ম মানার কথাও বলা হয়েছে। এবার তেমনই দাবি করলেন নোবেলজয়ী বিজ্ঞানী লুইস জে ইগনারো। আর সেই দাবি নিয়ে হৈচৈ পড়ে গেছে।

কী সেই দাবি? ইগনারো বলছেন, নাক দিয়ে

নিঃশ্বাস গ্রহণ করতে হবে আর মুখ দিয়ে ছাড়তে

হবে। আর তাতেই আটকে দেওয়া যাবে করোনার

সংক্রমণ। তাঁর আরো দাবি, নাক দিয়ে শ্বাস নিয়ে

মুখ দিয়ে তা পরিত্যাগ করাটা খুবই উপকারী

পদ্ধতি। এতে শরীরে নাইট্রিক অক্সাইড উৎপন্ন হয়,

ফুসফুসে রক্ত সঞ্চালন বাড়ে আর গোটা শরীরে

অক্সিজেনের মাত্রা বৃদ্ধি পায়।

দ্য কনভার্সেশন প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন

অনুযায়ী, কোনো মানুষ ঠিক কিভাবে শ্বাস নেয়,

তার ওপর নির্ভর করতে পারে করোনা সংক্রমণ

আটকানো যাবে কি না। প্রতিবেদনে এও দাবি করা

হয়েছে, যাঁরা নাক দিয়ে শ্বাস গ্রহণ করে মুখ দিয়ে

ছাড়েন তাঁদের শরীরে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতাই

বেশি হয়। আর সেই দাবিকে একেবারে উড়িয়ে

দেওয়া যাচ্ছে না। কারণ দাবিটি করেছেন

নোবেলজয়ী ফার্মাকোলজিস্ট লুইস জে ইগনারো।

ইগনারো ১৯৯৮ সালে মেডিসিনে নোবেল পান।

তাঁরই গবেষণা অনুযায়ী যাঁরা নাক ও মুখ দিয়ে

শ্বাস-প্রশ্বাস নেন তাঁদের ন্যাজাল ক্যাভিটিতে

নাইট্রিক অক্সাইড তৈরি হয়। এই মলিকিউল

ফুসফুসে রক্তের প্রবাহ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। একই সঙ্গে

রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা বাড়িয়ে তোলে।

বিজ্ঞানীদের দাবি, যখন কেউ নাক দিয়ে শ্বাস নেয়,

তখন নাইট্রিক অক্সাইড সরাসরি ফুসফুসে পৌঁছে

যায়। এর জেরে করোনাভাইরাসের ফুসফুসে

রেপ্লিকেশন আটকে দেয়। রক্তে অধিক অক্সিজেন

থাকলে মানুষ সতেজ বোধ করে।

মানুষের শরীরে সব সময়

নাইট্রিক অক্সাইড তৈরি হয় আর

তার মাধ্যমে মানব দেহের ধমনি

ও শিরাগুলোতে, বিশেষত

ফুসফুসের এন্ডোথেলিয়াম গঠনে

সহায়তা করে। এই এন্ডোথেলিয়াম

ধমনির পেশিগুলো মসৃণ করতে

সহায়তা করে, যা উচ্চ রক্তচাপ

সম্পর্কিত সমস্যা প্রতিরোধে

সহায়তা করে। সূত্র: দি ওয়াল।

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
COVID-19 কে পরাস্ত করার সবচেয়ে সহজ কার্যকর পদ্ধতিঃ
প্রতিদিনের সহজ ব্রেথিং ইক্সারসাইজের মাধ্যমে কেবল COVID-19 আক্রমণই ণয় বরং নতুন ভাবে গড়ে তূলতে সক্ষম হবেণ জীবনী শক্তিকে।বলা হয়- মানুষ অভ্যাসের দাস। এই অতি সহজ অভ্যাসটি যদি একবার আয়ত্ব করতে সফল হন তবে নিশ্চিত সমগ্র জীবনটাই পাল্টে দিবে; এক ঢিলে দু’ পাখি শিকারের ন্যায় সাথে সাথে COVID-19 এর ছোবল থেকেও নিজেকে হেফাজত করতে সক্ষম হবেণ।
বিশ্বের বেশির ভাগ মানুষ জানেনা কি ভাবে শ্বাস প্রশ্বাস নিতে হয়?
আপনি কি অবহিত - বিশ্বের বেশির ভাগ মানুষ জানেনা কি ভাবে শ্বাস প্রশ্বাস নিতে হয় জদিও দুনিয়ার সবচেয়ে সহজ কাজের সাথে তুলনা করা হয় এটাকে, কোন সহজ কাজকে এভাবে বলা হয় “ As easy as breathing.”
আমরা সবাই shallow breathing করতে আভ্যস্ত। তবে ভালো থাকার জন্য চাই deep breathing । আজীবন শরীর ভালো রাখার জন্য প্রোয়োজন সব সময়ই deep breathing গ্রহনের অভ্যাস। ঘুম ছাড়া সারাদিনই এই আভ্যাস রপ্ত করতে পারলে সারা জীবন ভালো থাকার জন্য খুবই সহায়ক ও কার্যকরী।
কেন deep breathing ?
পমূলতঃ ফুসফুসের সব গুলো cell (কোষগুলো একসাথে) সক্রিয় হবার সুজোগ পায়। ফলে সমগ্র ফুসফুস সারাজীবন ভালো থাকবে।
দিতীয়তঃ কিছুটা সময় ফুসফুসে বাতাস আটকিয়ে রাখতে পারলে ফুসফুস সবসময় বেশি আক্সিজেন রক্তে সরবরাহ করতে পারবে / করার সুযোগ পাবে। প্রধানত আমাদের ফুসফুস সবসময় দেহের রক্ত শোধানাগার হিসেবে কাজ করে থাকে।
যেহেতু আমরা প্রাত্যহিক জীবনে সব সময়ই গভীরভাবে শ্বাস নিতে আভ্যস্ত একেবারেই নই হেতু প্রতিদিন সকালে এবং বিকালে দুবার গভীর শ্বাস প্রশ্বাস গ্রহণের এই ব্যায়ামটি নিয়মিত করতে আভ্যস্ত হতে হবে যৌবনকে ধরে রাখার জন্যে।। প্রথমে বুক ভরে শ্বাস নিয়ে কিছু সময় ধরে রাখতে হবে তারপর ধীরে ধীরে ছাড়তে হবে। ২০/২৫ বার ব্যায়ামটি করতে হবে।
Boost Lung Power: COVID-19 attacks the lungs and severe complications include pneumonia and acute respiratory failure. So, you need to take steps to make your lungs strong. This will not only help you fight the disease but also bring down your risk of severe complication in case of infection. You can easily do this by adopting a daily practice of breathing exerecises.

Wednesday, April 15, 2020

এক সেকেন্ড

 কখন ও ভাবা সম্ভবঃমাত্র এক সেকেন্ডের এই অতি কিঞ্চিৎ সময়ের মধ্যেই কি কি ঘটছে!
                         মানব দেহে সেকেন্ডের মধ্যেইঃ
১ ] ৩ মিলিয়ন লাল রক্ত কনিকা (RBC) তৈরী হচ্ছে।
২ ] প্রাপ্ত বয়স্করা প্রতি সেকেন্ডে কোষ হারাচ্ছে ৬৯৪৪৪৪ (প্রায় ৭লক্ষ)
৩] ব্রেইনে প্রতি সেকেন্ডে এক লক্ষ (১০০০০০)রাসায়নিক ক্রিয়া ঘটছে।
প্রতি সেকেন্ডে মহাবিশ্বে যা ঘটে যাচ্ছেঃ
১] চার হাজার আটশ' তারা জন্ম নিচ্ছে।
২] ৬ বিলিয়ন টন ভর হারাচ্ছে সূর্য।
৩] ১০ টি তারা বিস্ফোরিত হয়ে ব্লাকহোল অথবা নিউট্রন তারা বানাচ্ছে।
৪] মহাবিশ্বের পরিধি বাড়ছে ৪৫ মাইল ।
ভাবা সম্ভবঃ- শূন্য কেলভিন তাপমাত্রায় একটি অনুত্তেজিত সিজিয়াম ১৩৩ পরমাণুর ৯,১৯২,৬৩১,৭৭০ টি স্পন্দন ( ৯১৯ কোটির উপ্ রে ) সম্পন্ন করতে যে সময় লাগে সেটি আমাদের অতি পরিচিত অতি ক্ষুদ্র ১ সেকেন্ড ।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
‘নিশ্চয়ই মহাকাশ ও পৃথিবী সৃষ্টিতে এবং দিবা-রাত্রিরআবর্তনের মধ্যে বোধসম্পন্ন লোকদের জন্য নিদর্শন রয়েছে।যারা দাঁড়িয়ে, বসে ও শায়িত অবস্থায় আল্লাহকে স্মরণ করে এবংমহাকাশ ও পৃথিবীর সৃষ্টির বিষয়ে চিন্তা-গবেষণা করে এবং বলে,হে আমাদের প্রতিপালক! এ সবকিছু তুমি অনর্থক সৃষ্টি করনি।সব পবিত্রতা একমাত্র তোমারই। আমাদের তুমি দোজখেরশাস্তি হতে বাঁচাও। (সূরা আল-ইমরান ১৯০-৯১)

* মৌমাছি প্রতি সেকেন্ডে ২০০ বার পাখা ঝাপটাতে সক্ষম।

প্রতি দিন ২৪ ঘণ্টায় আমাদের দেহে কি কি ঘটছে!

কখন ও  ভাবা কি সম্ভবঃ প্রতি দিন ২৪ ঘণ্টায় আমাদের দেহে  কি কি ঘটছে। 
 'যারা দাড়িয়ে, বসে ও শায়িত অবস্থায় আল্লাহর জিকির  করে এবং চিন্তা -গবেষণা করে আসমান ও জমিন সৃষ্টির বিষয়ে; তারা বলে হে আমাদের প্রতিপালক! এসব তুমি অনর্থক সৃষ্টি করনি।সব পবিত্রতা তোমারই, আমাদিগকে তুমি আগুনের শাস্তি থেকে বাচাও'                              [ ইমরান ৩ঃ১৯১]
 আল্লাহ তায়ালার জিকির করার অর্থ হলো পৃথিবী ও পৃথিবীর বাইরের জগত সম্পর্কে চিন্তাভাবনা ও গবেষণা করা।  
فَبِأَيِّ آلَاء رَبِّكُمَا تُكَذِّبَانِ অতএব, তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার                                                       কোন্‌ কোন্‌ অনুগ্রহকে অস্বীকার করবে?[আর রহমান ৫৫ঃ১৩  ]
চোখঃপ্রতিদিন (প্রতি ২৪ ঘণ্টায়)২৩হাজার বার পলক ফেলে।  মানবদেহে প্রতিদিন ১০০ মিলিয়ন থেকে  বিলিয়ন ব্যাকটেরিয়া জন্ম  নিতে পারেতবে তাদের বেশির ভাগ ক্ষতি করেনা বরং অংশবিশেষ উপকারী
*পাকস্থলীঃ প্রতি দিন (২৪ ঘণ্টায়)   লিটার  এসিড তৈরি করে
*ফুসফুসঃ প্রতিদিন (২৪ ঘণ্টায়)  ২৩,০০০ বার নিশ্বাস নেয়
*হার্টঃ প্রতিদিন ১০০বার করে আমাদের দেহে রক্ত  ঘুরিয়ে   ফিরিয়ে প্রবাহিত করে
*রক্তঃ প্রতিদিন ১৯,৩১২ কিঃমিঃ দূরত্ব অতিক্রমকরে
* হার্ট ঃ প্রতিদিন  স্পন্দিত হয় ১00,000 বার
*হার্ট ঃ  প্রতিদিন ২হাজার গ্যালন রক্ত পাম্পিং করে। 
*প্রাপ্ত বয়স্কদেরঃ প্রতিদিন ৫০থেকে৭০বিলিয়ন দেহ কোষ নষ্ট হয়
 যে সবের বেশির  ভাগ হচ্ছে রক্ত  স্কিন কোষ যারা প্রতিনিয়ত আবা  তৈরী  হচ্ছে। 
*ব্রেইন সেলঃ প্রতিদিন নষ্ট হয়১লক্ষ ৯০ হাজার তার ভিতর নিউরন হচ্ছে ৯ হাজার।
দেহে প্রতিদিন ৩০০ বিলিয়ন নতুন কোষ তৈরি হয়।
*যকৃতঃ প্রতি দিন ,৫০০ লিটার রক্ত শোধন করে
*একজন পুরুষঃ  প্রতি দিনে ১০ মিলিয়নের মত শুক্র তৈরী করে।