দেশেদেশে[আমেরিকা(৯/১১),নিউজিল্যাণ্ড,নেদারল্যান্ড]ইসলাম-ফোবিয়া ইতিহাসেরই পুনরাবৃত্তি।
ইসলামের ঊষালগ্নে কি ঘটেছিল আর এখন কি ঘটছে? ভাবতে অবাক লাগে সময়ের বিস্তর ব্যবধানে হলেও সার্বিক ঘটনাপ্রবাহের ক্রিয়া/প্রতিক্রিয়ার ফলাফল দেখা যাচ্ছে কিন্ত একই রকম।
কোরাইশ নেতারা একসাথে আলোচনায় বসেন- এভাবে চলতে থাকলে আমাদের পায়ের নিচে আর মাটি থাকবে না। যে মুহাম্মাদের কাছে আসে সে-ই মুসলমান হয়। এখন এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে হবে, যার ফলে কেউ আর তার কাছে আসার সাহস না পায়। কিভাবে এটা করা যায়? প্রস্তাব আসে, প্রচার করতে হবে, মুহাম্মাদ একজন কবি। বাকিরা একমত না হয়ে বলেন, এটা বিশ্বাসযোগ্য হবে না। কোরআন কবিতার মতো নয়। লোকে এটা বিশ্বাস করবে না। তাহলে বলতে হবে, তিনি জাদুকর। - ‘তিনি তো কোনো জাদু দেখান না। তা বলাও সঠিক হবে না।’ তাহলে কী বলা যায়? বলতে হবে গণক। এটাও লোকে বিশ্বাস করবে না। কারণ তিনি কখনোই গণকের মতো কাজ করেন না। তাহলে উপায়! সত্য কথাটা সবাইকে আগেভাগেই জানিয়ে দিতে হবে। তাহলে কেউ আর কাছে ঘেঁষতে সাহস পাবে না। প্রচার করতে হবে- তার কাছে গেছ তো মরেছ। তিনি ভায়ে-ভায়ে বিরোধ বাধিয়ে দেন। পিতা-পুত্রের ভালোবাসা কেড়ে নেন। পিতা-পুত্র একে অপরের দুষমন হয়ে যায়। আর আত্মীয়স্বজন, পাড়া-প্রতিবেশী, সমাজের সবাইই তার বড় দুষমন হয়, সে একঘরে হয়ে পড়ে। এ কথা শুনে লোকজনের কৌতূহল বরং ভীষণভাবে বেড়ে যায়। কে এমন ব্যক্তি, যার কাছে গেলেই এত অঘটন ঘটে যাবে? ফলে বেশি বেশি মানুষ আসা শুরু করল এবং মুসলমান হওয়ার হারও দ্রুতগতিতে বাড়তে লাগল।
বর্তমান বিশ্বে তোলপাড় সৃষ্টিকারী ঐতিহাসিক বিরল তিনটি ঘটনা পর্যালোচনা করলে সকলের কাছে পরিষ্কার ভাবে ধরা পড়বে ইসলামের প্রাথমিক যুগের মত এর বিরোধিতা বরং ইসলাম প্রসারের গতিকে ত্বরান্বিত করছে। সামাজিক যোগাযোগ প্রযুক্তি তথা ইন্টারনেটের সুবিধা্র কারনে ইসলাম সকলের দোর গড়ায় তথা হাতের কাছে পৌছে যাওয়ায় বর্তমানে একটা অভাবনীয় পরিবর্তন লক্ষনীয়।সহজেই মানুষ যাচাই বাছাই করতে পারছে ইসলামের আসল রুপকে। সন্ত্রাসী ধর্মের তোক্ মা আর কাজে আসছেনা। নাইন ইলেভেনের পরবর্তি একটি বছরেই আমেরিকায় ৪৬ হাজার খৃষ্টান আমেরিকান ইসলাম গ্রহণ করে!
[১]বুশের সাড়া জাগান বিশ্ব আলোড়ন সৃষ্টিকারী 'নাইন-ইলেভেন' ইতিহাসের আর এক ধাপঃ
বুশের নাইন-ইলেভেনের ঐতিহাসিক নাটক মঞ্চস্থের পর সমগ্র দুনিয়ায় এর মিশ্র প্রতিক্রিয়া পরিলক্ষিত হতে দেখা যায়।নয় এগারোর ঘটনার ১৫ তম বার্ষিকী উপলক্ষে (ইএসআই) বা ইউরোপিয়ান সায়েন্টিফিক ইন্সটিটিউটের প্রকাশনা 'ইউরোপিয়ান সায়েন্টিফিক জার্নাল' বলছে: অব্যাহত নানা অনুসন্ধানের ফলাফলে দেখা যাচ্ছে যে মার্কিন বিশ্ব বাণিজ্য কেন্দ্রের টুইন টাওয়ার্স ধ্বংস করা হয়েছিল নিয়ন্ত্রিত ধ্বংস-প্রক্রিয়ার মাধ্যমে। ঘটনা প্রবাহ বিশ্লেষণে সামগ্রিকভাবে গত বছরেগুলোতে বিশ্ববাসীর কাছে যে জিনিষ গুলো বাস্তবে একেবারেই পরিষ্কারঃ
(@) BLDG. # 7, সম্পুর্ণ controlled demolition, এটা এখন বিতর্কের উর্ধে।
(@) কোন বিমান Pentagon কে আঘাত করেনি, ওটা ছিল missile, যা সবসময় আমেরিকার Air Force অথবা Navy এর নিয়ন্ত্রণে। তাছাড়া Pentagon এর কোন অংশে Renovation চলছে এটা বাইরের কারও জানার কথা না।Building #7- ৪৭ তালা ভবন, কোন বিমান আঘাত করেনি অথচ পরিষ্কার ওটা ছিল controlled demolition, Free Fall, তারপর পেন্টাগনে যাত্রীবাহী বিমান ধংসের যাত্রীদের মালামাল আর মৃতদেহের কোন প্রমান সরকার দেখাতে পারেনি। আর Shanksville, Pennsylvania-তেও কোন যাত্রীবাহী বিমান ধ্বংসের নমুনা CNN, ABC, FOXNEW তুলে ধরতে পারেনি।সবচেয়ে বড় তাক লাগানো বিশ্ব রেকর্ড তুল্য ঘটনা হচ্ছে নিচের বাস্তব গল্পঃ
(@) টুইন টাওয়ার হামলার প্রায় দুবছর আগে ভাগে ট্রাম্প তার বইতে (‘The America We Deserve’প্রকাশিত জানুয়ারি ২০০০) Nostrodomas এর মত ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন~~ ও সামা বিন লাদেন টুইন টাওয়ারে হামলা চালাবেন। US Presidential hopeful Donald Trump "warned" of the horrific September 11 attack on the World Trade Center in a book published less than two years before the world's worst terror strikes happened, it is being claimed. By JON AUSTIN PUBLISHED: 03:42, Tue, Feb 23, 2016 | ট্রাম্প ইতিহাসে তাই নাম লিখালেন ‘মডার্ন ডে নসটডোমাস।’ হিসাবে। Alex Jenes Radio Show সাক্ষাতকারে ট্রাম্প বলেন, “আমি ওই বইতে বলেছি, আমাদের সতর্ক থাকতে হবে এই ব্যাক্তি ওসামা বিন লাদেন সম্পর্কে।’’ঘটনা প্রবাহ বিশ্লেষণে সামগ্রিকভাবে দেখা যায় আসলে টুইন টাওয়ারে হামলা ছিল আভ্যন্তরীণ বিষয় (পরিকল্পনা) মাত্র। সেটিই আজ অবশেষে বিশ্ববাসীর কাছে স্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছে নিচের আবেদনেঃ ৩,৩২৫ জন আরকিটেকট এবং ইঞ্জিনিয়ার আমেরিকার কংগ্রেস ও সিনেট সদস্যদের কাছে সম্প্রতি আবেদন জানিয়েছেন 9/11 Truth উৎঘাটনের জন্যেঃ
To the Members of the House of Representatives and of the Senate of the United States of America,PLEASE TAKE NOTICE THAT:On Behalf of the People of the United States of America, the undersigned Architects and Engineers for 9/11 Truth and affiliates hereby petition for, and demand, a truly independent investigation with subpoena power in order to uncover the full truth surrounding the events of 9/11/01 — specifically the collapses of the World Trade Center Towers and Building 7. We believe there is sufficient doubt about the official story and therefore the 9/11 investigation must be re-opened and must include a full inquiry into the possible use of explosives that might have been the actual cause of the destruction of the World Trade Center Twin Towers and Building 7. Architect and Engineer Signatories: 3,325
Thousands of Experts Are Speaking Out https://www.ae911truth.org/…
প্রকৃত সত্য হচ্ছে, কেবল মাত্র বুশের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন প্রক্রিয়া গভীর পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণ করলেই কিন্ত স্পষ্টত ধরা পড়ে যাবেঃ বুশ কেন, কি স্বার্থ হাসিলের প্রত্যাশায় ৯/১১ নাটক বিশ্বকে উপহার দিলেন? আসলে বাস্তব সত্যটা জানলে সবাই স্তম্ভিত হবেন!.....
আমেরিকার ইতিহাসে এবারই প্রথম কোনো ইহুদি (অখ্রিষ্টান) হোয়াইট হাউজের একটি গুরুত্বপূর্ণ পদে নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন।স্পষ্টতঃ বাস্তবতা হচ্ছে আল্ গোরের প্যানেল সব ইহুদী ভোট পাচ্ছে; কেননা এই প্যানেলে ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রার্থী একজন ইহুদী। উদ্ভুত পরিস্থিতির সার্বিক বিবেচনায়, বুশ জয়ের বিকল্প পথ হিসেবে পরোক্ষভাবে হলেও মুসলমানদের দ্বারস্থ হন। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে এই প্রথম একজন প্রার্থী জাতীয় বিতর্কের সময়ে মুসলমানদের কাছে অত্যন্ত সুকৌশলে ভোট চান। কেন?.... সেই সময়ে আমেরিকান মুসলমানদের প্রাণের একমাত্র দাবি ছিল, জননিরাপত্তা আইনে সংযুক্ত ‘সিক্রেট এভিডেন্স’ রহিত করন। আইনটি উদ্দেশ্যমূলকভাবে সংযুক্ত হয়েছিল মুসলমানদেরকে সামাজিকভাবে কোণঠাসা ও জব্দ করার মানসে। এই সিক্রেট এভিডেন্সের দোহাই দিয়ে বা এর ফাঁকফোকড় উদ্ভাবন করে শুধু মুসলিম সম্প্রদায়ের লোকদের জেলে পাঠানো হতো। বুশ দেখলেন, এ বিষয়ে কথা বললে সব মুসলিম ভোটারের ভোট অতি সহজে, অনায়াসে পাওয়া যাবে। প্রেসিডেন্ট বিতর্কের সময় তিনি অতি গুরুত্ব দিয়ে রাখ ঢাক না রেখে সরাসরি খোলাখুলি বলেন : ‘নিরাপত্তা আইনে সিক্রেট এভিডেন্সকে discriminatory/বৈষম্যমূলক মনে করি। ক্ষমতায় গেলে এটি বাতিল করব।' জবাবে আল গোর বলেন : ‘আমি এটাকে বৈষম্যমূলক মনে করি না।’ [ লেখক তখন যুক্তরাষ্ট্রে টিভিতে লাইভ বিতর্ক দর্শক।]
আমেরিকান মুসলিম ভোটারদের সবারই মনে হলো, বুশ তাদের পক্ষ নিয়েছেন। ফলে এই প্রথম মুসলমানরা যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে জোটবদ্ধভাবে একদিকে/ এক পাল্লায় ভোট প্রয়োগ করেন।আগে বিতর্ক ছিল, এদেশে ভোট প্রয়োগ জায়েজ কিনা? সার্বিক পরিস্থিতি এবং বুশের আশ্বাস সবকিছু পাল্টে দিলো।এমনকি বুশের পক্ষে সক্রিয়ভাবে নির্বাচনী প্রচারে জড়িয়েও পড়েন আমেরিকান মুসলমানরা । শেষে ইহুদি লবির সাথে প্রতিযোগিতায় বিজয় ছিনিয়ে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেন, মুসললমানরা ও মার্কিন মাটিতে রাজনৈতিক শক্তি প্রদর্শনে সক্ষম। মুসলিম ভোট ব্যাংকের শক্তির মহড়া কে বরং দেখা হলো যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিতে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হিসেবে। প্রচারমাধ্যম এটা লুফে নিলো। ইনভেস্টরস বিজিনেস ডেইলি এক নিবন্ধে লিখে ‘আমেরিকান মুসলমানদের জন্য এটা ছিল বিজয়ের চেয়ে অনেক বেশি।’ [যেন বুশের নয় বিজয়টা মুসলমানদের!] । ক্ষমতায় যেয়ে বুশ অবশ্য তার কথা আদৌ রক্ষা করেননি বরং কার্যত নাইন ইলেভেনেরই রুপকার হলেন যাতে আমেরিকার রাজনীতিতে মুসলমানদের ভুমিকা অদূর ভবিষ্যতে চিরতরে নির্মূল করা যায়।নাইন-ইলেভেনে মাত্র ১৫ মিনিটের ব্যবধানে দু’টি যাত্রীবাহী বিমান আছড়ে পড়েছিল নিউ ইয়র্কের বিশ্ববাণিজ্য কেন্দ্রে। অতঃপর আগুন, ধোঁয়া; তাসের ঘরের মতো দু’টি টাওয়ার ভেঙে পড়ে। ‘নয়-এগারো’র ভয়াল সন্ত্রাসী হামলার দশক পূর্তির পরেও বিবিসি, রয়টার, এএফপি পরিবেশিত সংবাদে প্রশ্ন করা হলো : আসলে কী ঘটেছিল ২০০১-এর এই দিনে? সত্যিই কি আলকায়েদা মার্কিন শৌর্যে আঘাত হেনেছিল, নাকি সবই পাতানো?যুক্তরাষ্ট্রের উটাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞানের অধ্যাপক স্টিভেন জোন্সের নেতৃত্বে ৭৫ জন শীর্ষস্থানীয় বুদ্ধিজীবীর অভিযোগ নিউইয়র্ক ও পেন্টাগনে সে হামলা যাত্রীবাহী বিমানের নয়, এটা ছিল ভেতর থেকেই সংঘটিত। নিউ ইয়র্ক টাইমস পত্রিকাকে অধ্যাপক স্টিভেন বলেন, ভেঙে পড়া টুইন টাওয়ারে ধ্বংসস্তূপ পরীক্ষার পর নিশ্চিত প্রমাণ পাওয়া গেছে সেখানে ভবন ধসানোর বিস্ফোরক ব্যবহারের। জোন্স বলেন, আফগান গুহায় বসে কিছু লোক এবং ১৯ জন বিমান ছিনতাইকারী এমন ঘটনা ঘটিয়েছে বলে আমরা মনে করি না। সরকারের এই তত্ত্বের বিরুদ্ধে আমরা চ্যালেঞ্জ করছি।কানাডার দি গেজেট পত্রিকায় ডেভিড গোল্ডস্টেইন টুইন টাওয়ার ধ্বংসের জন্য খোদ বুশকে দায়ী করে একাধিক বাস্তবসম্মত যুক্তি দিয়ে বলেছেন এ কাজ কোনোভাবেই বিন লাদেনকে দিয়ে সম্ভব নয়।
ক্লিনটন তখন মসনদে। আমি বাল্টিমোরে, ঘুম থেকে উঠে একদিন এক অবিশ্বাস্য নাটকীয় সংবাদ জানতে পারি। হোয়াইট হাউজে ইসলামের চাঁদতারা পতাকা উড়ছে। ভয়ের কিছু ছিল না, কারণ আলকায়েদার জন্ম তখনো হয়নি এবং বিন লাদেনেরও পাত্তা ছিল না, যিনি হোয়াইট হাউজে এসে এ ধরনের অঘটন ঘটানোর হিম্মত রাখেন। তবে সে সময় এখানকার মিডিয়ায় একটি ঝড় বয়ে যাচ্ছিল- যুক্তরাষ্ট্রে দ্রুত সম্প্রসারণশীল ধর্ম হচ্ছে ইসলাম। এ সময়টিতে আমি বাল্টিমোর জনস হপকিন্সে গবেষণা করছি, এই বিশ্ববিদ্যালয়টি যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষস্থানীয় মেডিক্যাল রিসার্চ ইউনিভার্সিটি। বিশ্ববিদ্যালয়ের বাল্টিমোর হোমউড ক্যাম্পাসের লাইব্রেরির বেসমেন্টের দেয়ালের একটি তথ্য আমার চোখে পড়ে- প্রতি বছর যুক্তরাষ্ট্রে একশ হাজার লোক ধর্মান্তরিত হয়ে ইসলাম গ্রহণ করছে। মিডিয়ার সূত্রে জানতে পারি, এই এক লাখ নওমুসলিমের মধ্যে মহিলার সংখ্যা আবার পুরুষদের চেয়ে বেশি। পাশ্চাত্য ভাবধারায় লালিতপালিত মুক্ত হাওয়ায় বেড়ে ওঠা মেয়েরা এত ঝুঁঁকি নিয়ে কেন ইসলামকে পছন্দ করছে যেখানে বিদ্যমান শৃঙ্খলা, আত্মসমর্পণ ও ভিন্ন রূপ হওয়ার বিধান বিদ্যমান! এক মার্কিন মা ধর্মান্তরিত মেয়েদের সাক্ষাৎকার সহ অন্য পথের কন্যারা নামে একটি বই লিখেন যখন তার নিজ মেয়েও ইসলাম গ্রহণ করে সেই শোকে। বইটি সম্পূর্ণটা ইন্টারনেটে রয়েছে।
DAUGHTERS OF ANOTHER PATHE
xperiences ofAmerican Women Choosing Islam by Carol L. Anway
বইটি আমার এত ভালো লেগেছিল যে অনুবাদের কথা ভাবি। কিন্ত ঢাকায় এসে দেখি বাংলায় ছাপা হয়ে গেছে ইতিমধ্যে।
৯/১১ ধারাবাহিকতায় মার্কিন নওমুসলিম ‘মনিকা ওয়েট’-এর ইসলাম গ্রহণের কাহিনী একটি বিচ্ছিন্ন খণ্ড চিত্র হলেও সত্যিই কিন্ত চমক সৃষ্টিকারী। - জুন ১৩, ২০১৬ ১৮:৪৪ Asia/Dhaka: পশ্চিমা দেশগুলোতে ইসলামের প্রতি আকর্ষণ ও ইসলাম গ্রহণের হার ক্রমেই বাড়ছে। যারা ইসলামে দীক্ষিত হওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন তাদের মধ্যে নারীর সংখ্যাই বেশি। মার্কিন নওমুসলিম ‘মনিকা ওয়েট’ এইসব সৌভাগ্যবান মার্কিন নারীদের একজন।মার্কিন সশস্ত্র বাহিনীতে ছয় মাস কাজ করার অভিজ্ঞতাও রয়েছে মনিকার। বিভিন্ন ধর্ম নিয়ে গবেষণা ও যাচাই-বাছাইয়ের পর ইসলামে দীক্ষিত হয়েছেন এই মার্কিন মহিলা। ‘অকুপাই ওয়ালস্ট্রিট’ বা ‘ওয়ালস্ট্রিট দখল কর’ আন্দোলনের সক্রিয় কর্মী হিসেবে খ্যাত মার্কিন নওমুসলিম ‘মনিকা ওয়েট’ ইরানে উপস্থিত হয়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। ২০১২ সালের জানুয়ারি মাসেই ঘটেছে এই শুভ ঘটনা। ইসলাম গ্রহণের পর তিনি নিজের নতুন নাম রেখেছেন ‘নার্গিস’। কিভাবে মুসলমান হয়েছেন তা তুলে ধরতে গিয়ে নওমুসলিম নার্গিস বা সাবেক ‘মনিকা ওয়েট’ বলেছেন: “বেশ কিছু দিন ধরে একটা প্রশ্ন আমার চিন্তাকে আচ্ছন্ন করে রেখেছিল। প্রশ্নটা হল, কেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও আমাদের ধর্মে তথা খ্রিস্ট ধর্মে ভবিষ্যত ও জীবন-পদ্ধতি সম্পর্কে গুরুত্ব দেয়া হয় না? পাশ্চাত্যে আমাকে বলা হতো- শক্তিমান হও, উপযুক্ত পেশা বা চাকরি বেছে নাও, উত্তম জীবনের অধিকারী হও, আদর্শ স্বামী ও সন্তানের অধিকারী হও। কিন্তু এসব কাজের উদ্দেশ্য কী তা আমাকে কেউ বলত না। এ অবস্থায় একদিন বিশ্ববিদ্যালয়ে কুরআনের সঙ্গে পরিচিত হলাম। এরপর অনুভব করলাম যে আমার জন্য খ্রিস্ট ধর্মের প্রয়োজন ফুরিয়ে গেছে এবং এ ধর্ম আমার ইচ্ছা বা চাহিদাগুলো পূরণ করতে পারছে না ও দেখাতে পারছে না কোনো স্পষ্ট বা উজ্জ্বল ভবিষ্যত, অথচ এই ভবিষ্যত ইসলামে স্পষ্টভাবে দেখা যায়। জীবনের মূল উদ্দেশ্য কী এবং কেনই বা সর্বোত্তম পন্থায় জীবন যাপন করব- এইসব প্রশ্নই আমাকে ইসলামের প্রতি উৎসাহিত বা আকৃষ্ট করেছে।” মার্কিন নওমুসলিম নার্গিস বা সাবেক ‘মনিকা ওয়েট’ বলেছেন : “যেসব বিষয় ইসলাম সম্পর্কে চিন্তা-গবেষণা করতে আমাকে উৎসাহ যুগিয়েছে নারীর প্রতি মানুষের আচরণের ধরন ও বিশেষ করে নারীর প্রতি ইরানি মুসলমানদের দৃষ্টিভঙ্গি বা আচরণ। যখন মার্কিন সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য ছিলাম তখন পেশাগত প্রয়োজনে ইরানের সঙ্গে পরিচিত হই। এ সময় আমি ইরান সম্পর্কে ব্যাপক গবেষণা করে এটা বুঝতে পেরেছি যে, নারীর সঙ্গে ইরানিদের দৈনন্দিন আচরণ নারীর প্রতি পশ্চিমাদের আচরণের চেয়ে সম্পূর্ণ ভিন্ন। নারীরা কেন ইরানে এত সম্মানিত তার কারণ খুঁজতে গিয়ে আমি ইসলামকে আবিস্কার করেছি। এ ধর্মের কারণেই মানুষের দৃষ্টিতে নারী এতটা মর্যাদা, সম্মান ও শক্তিমান সত্তা হিসেবে বিবেচিত হয়।” মার্কিন নওমুসলিম নার্গিস বা সাবেক ‘মনিকা ওয়েট’ অকুপাই ওয়ালস্ট্রিট আন্দোলনের একজন সক্রিয় কর্মী। তিনি তার দেশের রাজনৈতিক ও সামাজিক অবস্থা প্রসঙ্গে বলেছেন, “বর্তমানে আমেরিকায় যা ঘটছে তা সাগরের একটি বিন্দু বা ফোঁটা মাত্র। ভবিষ্যতে যুক্তরাষ্ট্রে আরো বড় ধরনের ও ব্যাপক ফলদায়ক অনেক ঘটনা ঘটবে। মার্কিন জনগণ তাদের সরকারের নানা নীতি এবং সম্প্রসারণকামী ও কর্তৃত্বকামী নানা খাহেশ মেটানোর কাজে জনগণকে বর্ম হিসেবে ব্যবহারের নীতির ব্যাপারে অতিষ্ঠ হয়ে গেছে। আর এইসব ক্ষোভই তারা বিভিন্নভাবে প্রকাশ করছে।” মার্কিন নওমুসলিম নার্গিস বা সাবেক ‘মনিকা ওয়েট’ ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করতে পেরে গর্ব অনুভব করছেন। তিনি বলেছেন, “ইসলামকে ধর্ম হিসেবে মনোনীত করতে পেরে আমি এখন খুবই খুশি। কারণ, এ ধর্ম মানবীয় সব চাহিদাগুলো মেটাতে সক্ষম। আমি আশা করছি ইসলামী বিধানগুলো মেনে চলা ও কুরআন থেকে অনুপ্রেরণা নেয়ার মাধ্যমে একজন সত্যিকার মুসলমানের মত জীবন যাপন করতে পারব।”
আমেরিকার স্বাধীনতা প্রাপ্তির সময় জনসংখ্যার বেশির ভাগ ছিল খ্রিষ্টান। এরপর ছিল ইহুদি। অন্যান্য ধর্মের লোক আনুপাতিকভাবে উল্লেখযোগ্য ছিল না। সরকারিভাবে তখন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়, খ্রিষ্টান ও ইহুদি এই দুই ধর্মের পতাকা হোয়াইট হাউজের আকাশে স্থান পাবে।দেখতে দেখতে ধারাবাহিকভাবে মুসলিমদের সংখ্যা ইহুদিদের টপকিয়ে যায়। ফলে হোয়াইট হাউজে ক্লিনটনের সময় থেকে ইসলামের পতাকাও স্থান করে নেয়। সময়ের পরিক্রমায় এর পরে মঞ্চস্থ হয় কিন্ত বুশের ৯/১১।হোয়াইট হাউজে ইসলাম ধর্মের চাঁদ তারা পতাকা উড্ডয়নের পরের দিনই সেটি গায়েব হয়ে গেলে মিডিয়ায় দারুন হৈ চৈ শুরু হলে আবার হোয়াইট হাউজে ঐ পতাকা শোভা পায়।মিডিয়া জানায়ঃ কে বা কারা পতাকা গায়েব করে আবার প্রতিস্থাপন করে হোয়াইট হাউজ তা জানেনা।বর্তমানে স্থায়ীভাবে সেখানে ইসলামের চাঁদ তারা পতাকা শোভা পাচ্ছে।
[২] নিউজিল্যাণ্ডে ইসলাম-ফোবিয়া ইতিহাসের আর এক চিত্রঃ
২০১৯ সালের ১৫ই মার্চ তারিখে নিউজিল্যান্ড স্থানীয় সময় দুপুর ১:৪০ এর কাছাকাছি ডিন্স এভিনিউ, রিকার্ট্টন-এর আল নূর মসজিদে একটি বিশাল অস্ত্র সজ্জিত বন্দুকধারী জুম্মার নামাজ আদায় করার সময়ে তাদের উপর অতর্কিত হামলা শুরু করে। বন্দুকধারী ফেসবুক সরাসরি ব্যবহার করে প্রাথমিকভাবে টানা ১৭ মিনিট ধরে আক্রমণের দৃশ্য সরাসরি সম্প্রচার করে এবং গাড়ি চালিয়ে লক্ষ্যস্থল পর্যন্ত না পৌছানো পর্যন্ত তা ফেসবুকে সরাসরি সম্প্রচার করে। গণমাধ্যেমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, তিনি ২৮-বছর-বয়সী অস্ট্রেলীয় শ্বেতাঙ্গ হিসাবে চিহ্নিত যিনি নব্য নাৎসি প্রতীক ব্যবহার করেছেন বলে জানা যায়।
@ নিউজিল্যাণ্ডে পৌচাশিকতার কারণে নিউজিল্যাণ্ডের পার্লামেন্টের অধিবেশন কুরআন তেলাওয়াত দিয়ে শুরু হয়েছে।
@ নিউজিল্যাণ্ডের পুলিশ মসজিদে গিয়ে ইসলাম সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করছে। @ ক্ষতিগ্রস্থ মুসলমানদেরকে নিউজিল্যাণ্ডের রাষ্ট্রীয় তহবীল সহায়তা দেয়।
@ নিউজিল্যাণ্ডের প্রচলিত অস্ত্র আইনের সংস্কার হয়।
@ নিউজিল্যাণ্ডে পৌচাশিকতার কারণে তখন সারা পশ্চিমা বিশ্বে যে আলোড়নের সৃষ্টি হয়েছে ও মুসলমানদের প্রতি সহানুভুতির হাত প্রসারিত হয়েছে, তা মুসলমানরা নিজেরা কঠোর পরিশ্রম করেও হয়তো আগামী এক শ' বছরে পারতো না।
[৩] নেদারল্যান্ডে ইসলাম-ফোবিয়া ইতিহাসেরই আর একঃ
পৃথিবীতে ইসলামের বিরুদ্ধে যেসব “মুভি” হয়েছে, “Fitna” মুভিটি সেগুলোর মধ্যে অন্যতম। মুভিটি নেদারল্যান্ড ভিত্তিক রাজনৈতিক সংগঠন PVV (Partij voor de Vrijheid) এর তত্ত্বাবধানে বানানো হয় । Partij voor de Vrijheid একটি ডাচ পরিভাষা যার ইংরেজি অর্থ- Party For Freedom. এই রাজনৈতিক সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন Greet Wilders , যিনি ওয়ার্ল্ডওয়াইড একজন নামকরা ইসলাম বিদ্বেষী বলে পরিচিত ছিলেন।“Fitna” মুভিটা নির্মিত হয় এই লোকের প্ররোচনায়। বলা বাহুল্য, Party For Freedom নামের রাজনৈতিক সংগঠনটি যতোটা না বাস্তবে রাজনৈতিক, তারচেয়ে বেশি ইসলাম বিদ্বেষী বলে পরিচিত ছিলো।নেদারল্যান্ডে কোরআন এবং মুসলিম প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধের দাবি সর্বপ্রথম এই সংগঠনটিই তুলে ধরেছিল।২০০৬ সালে প্রতিষ্ঠিত এই সংগঠন সে বছরই নেদারল্যান্ডের জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেয় এবং পার্লামেন্টে ৯ টি আসন লাভ করে। এরপর, ২০১০ সালের সাধারণ নির্বাচনে অংশ নিয়ে এটি লাভ করে মোট ২৪ টি আসন।“Fitna” মুভিটা কার্যত হচ্ছেঃ ইসলামের বিরুদ্ধে অপপ্রচারমূলক জঘন্য কয়েকটি মুভির মধ্যে একটি।এই মুভির সবচেয়ে জঘন্যতম দিক হলো এই, মুভির শুরুতেই দেখানো হয় ,- ইসলামের সর্বশেষ নবী হজরত মুহাম্মদ (সাঃ) মাথায় একটি বোমা নিয়ে দৌড়াচ্ছেন!এরপরে মুভিটিতে কোরআনের “জিহাদ” সম্পর্কিত বিভিন্ন আয়াত কোট করে সেগুলো দিয়ে প্রমাণ করার চেষ্টা করা হয় যে, ইসলাম একটি সন্ত্রাসী এবং জঙ্গীবাদী ধর্ম। সেই মুভিতে বিতর্কিত ৯/১১ এর ঘটনাকেও প্রদর্শন করা হয়। মুভিটা মুক্তি পায় ২০০৮ সালে।Party For Freedom এর প্রতিষ্ঠা কালীন সময় থেকে যে কয়েকজন নেতা এই সংগঠনকে সামনে থেকে নের্তৃত্ব দিয়েছিলেন, Arnoud Van Doorn তাদের অন্যতম। এই লোকও ছিলেন Party For Freedom এর প্রতিষ্ঠাতা Greet Welders এর মতো প্রচন্ডরকম ইসলাম এবং মুসলিম বিদ্বেষী।“Fitna” মুভিটা তৈরি এবং এর প্রচার-প্রসারেও Arnoud Van Doorn এর ভূমিকা ছিলো ব্যাপক।কিন্তু দারুন কৌতূহলের ব্যাপার হচ্ছে, প্রচন্ড ইসলাম-মুসলিম বিদ্বেষী এই লোক ২০১২ সালে ঘোষণা দিয়ে ইসলাম গ্রহণ করেন।এই মুভিটা তৈরির পরে সবাইকে অবাক করে দিয়ে এক অপ্রত্যাশিত হিতে-বিপরীত কান্ড ঘটতে শুরু করলো। দেখা গেলো, এই মুভি দেখার পরে প্রচুর সংখ্যক অমুসলিম ইসলামের প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠে এবং তারা ইসলাম এবং মুসলিমদের ব্যাপারে রিসার্চ শুরু করে।অবশ্য Arnoud Van Doorn ও ছিলেন তাদেরই একজন।
নিজের সম্পর্কে বলতে গিয়ে তিনি খোলামনে বলেন, “I have heard so many negative stories about Islam, but I am not a person who follows opinions of others without doing my own research.Therefore, I have actually started to deepen my knowledge of the Islam out of curiosity.”…ইসলাম নিয়ে পশ্চিমা মহলের অপপ্রচারে বিভ্রান্ত এই লোক “Fitna”র মতো ইসলাম বিদ্বেষী মুভির প্রডিউচারদের একজন ছিলেন।কিন্তু, ইসলাম নিয়ে যখন তিনি নিরপেক্ষ গবেষণা শুরু করেন, তিনি দেখেনঃ 'এতোদিন ধরে তাদেরকে ইসলাম নিয়ে যা যা জানানো হয়েছে, বলা হয়েছে এবং দেখানো হয়েছে, তা আদতে সম্পূর্ণই অপপ্রচার। ইসলাম আসলে কোন সন্ত্রাসী , জঙ্গীবাদী ধর্ম নয়। ইসলাম শান্তির ধর্ম।'ইসলামের প্রতি আসক্ত হবার পরে যখন তিনি আন্তরিকতার সাথে ইসলাম নিয়ে পড়াশুনা শুরু করেন , তখন ২০১১ সালে Party For Freedom ভেঙে যায়।২০১৩ সালে Arnoud Van Doorn হজ্ব পালনের জন্য মক্কা যান । সেখানে Saudi Gezzete কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন,- “I found myself among these faithful hearts. I hope that my tears of regret will wash out all my sins after my repentance”তিনি আরো বলেন, “I felt ashamed standing in front of the Prophet’s grave. I thought of the grave mistake which I had made by producing that sacrilegious film. I hope that Allah will forgive me and accept my repentance.বর্তমানে তিনি European Daw’ah Foundation চেয়ারম্যান এবং Canadian Daw’ah Association এর এ্যাম্বাসেডর।Fitna Movie সম্পর্কে বলতে গিয়ে তিনি বলেন,- “I feel an urge and a responsibility to correct the mistakes I have done in the past. I want to use my talents and skills in a positive way by spreading the truth about Islam. I am trying to make a new movie about Islam and the life of Prophet Muhammad (peace be upon him). It would show people what examples the Prophet set in his life and the movie would invite younger people to Islam.”কাহিনীর সমাপ্তি কিন্ত এখানেই নয়। পিতার ইসলাম গ্রহণের পরে, পিতাকে পুরোপুরি পাল্টে যেতে দেখে তার ২২ বছর বয়সী ছেলেও ইসলাম গ্রহণ করে। বাবার পরিবর্তন সম্পর্কে বলতে গিয়ে ছেলে বলে,- “I saw my father become more peaceful after converting to Islam. That’s when I realised there is something good in this religion and it made me change my perception of Muslims. I started studying the Holy Quran and going through lectures of important scholars”এটি হচ্ছে একজন চরম ইসলাম বিদ্বেষীর ইসলাম গ্রহণের বাস্তব ছবি।
“বলুন, সত্য এসেছে আপনার র’বের পক্ষ থেকে। এবার যাদের ইচ্ছা হয় বিশ্বাস করুক আর যাদের ইচ্ছা প্রত্যাখ্যান করুক”- আল কাহাফ, ২৯।
AE911Truth is a nonprofit organization that represents more than 3,000 architects and engineers who are calling for a new investigation…