আলীরেজা
নয়াদিগন্ত, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৭
ইতিহাসেপ্রমানিতসত্যহচ্ছে,সন্ত্রাসজঙ্গিবাদ ধংশ,তাণ্ডব,বিশৃঙখলা ছাড়া কখনও গঠণমূলক কিছূ গড়ে তুলতে বা উপহার দিতে পারেনি।প্রকৃতির নিয়মেই এটা অসম্ভব । জগতের সব গঠণমূলক উন্নয়ন এনেছে শিক্ষা ও বিঞ্জাণ। আর এ দু'টি ক্ষেত্রে যে দেশ বা জাতি যত বেশি আগ্রসরমান আজকের দুনিয়ায় সেই দেশ বা জাতি ততবেশি উন্নত ও প্রভাবশালী। যারা শুরুতেই এদু'টির বুনিয়াদ গড়ে তুলে মানব জাতিকে উপহার দিয়ে সমগ্র মানব জাতিকে সভ্য হওয়ার এবং সুন্দর সাবলীল জীবন যাপনের পথ বাতলিয়ে দিয়েছেন, কথিত প্রগতিবাদীরা তাদেরকেই যদি সন্ত্রাসী-জঙ্গিবাদী বা মৌল বাদী বলে উপহাস করে তাহলে তামাম দুনিয়াটাকে কি ধীরে ধীরে মানুষরূপী পশুদের আভয়ারন্যে পরিণত হবার পথ ক্বরে দেয়া হবে না! মানব সভ্যতার ইতিহাস সাক্ষ্য দিচ্ছেঃ প্রথম বিশ্ববিদ্যালয়ই শুধু মুসলমাণরা প্রতিষ্ঠা করেনি, মানবজাতিকে সবার আগে শিখিয়ে দিয়েছে বিজ্ঞান বলতে আজ আমরা যেটাকে বুঝে থাকি সেই বিজ্ঞানের উদ্ভাবনের (Invention)পথ।বিশ্বের প্রথম বি শ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয় ৮৫৯ সালে । মরক্কোর এই কারওয়াইন বিশ্ ববিদ্যালয় হচ্ছে ইউনেসকো স্বীকৃ ত বিশ্বের প্রথম বিশ্ববিদ্যালয়
(http://www.guinnessworldrecor ds.com/world-records/oldest-un iversity)।The oldest existing, and continually operating educational institution in the world is the University of Karueein, founded in 859 AD in Fez, Morocco. The University of Bologna, Italy, was founded in 1088 and is the oldest one in Europe. গিনেস বুকের রেকর্ড অনু সারেও মরক্কোর ফেজ নগরীর কারওয়া ইন বিশ্ববিদ্যালয় পৃথিবীর প্রথম বিশ্ববিদ্যালয়। এটি পুরোপুরি নি র্মাণে লেগেছিল ২৭৮ বছর। ইতালি তে ব্লোনায় (Blogna) ১০৮৮সালে প্ রথম ইউরোপীয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতি ষ্ঠিতহয়।ইতিমধ্যেই কারওয়াইন হয়ে ওঠে একবিশ্ববিখ্যাত বিশ্ববিদ্ যালয়। ফেজকে তখন বলা হতো;‘বাগদা দঅবদ্যওয়েস্ট’। ঐতিহাসিকভাবে বিজ্ঞান বলতে আদি তে শুধু পদার্থবিজ্ঞানকে বোঝানো হতো। বর্তমানেও পদার্থবিজ্ঞানে র সূত্র তত্ত্ব এবং আবিষ্কৃত কল কব্জা, যন্ত্রপাতি ব্যতিরেকে বি জ্ঞানের অপরাপরশাখাগুলো বলতে গে লে হয় ভোঁতা, না হয় নিষ্প্রাণ হয়ে পড়বে। বিদ্যুৎ, বৈদ্যুতিক য ন্ত্রপাতি, কম্পিউটার, রোবট, ইন্টারনেটসহ দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহৃ ত সব কিছু প্রত্যক্ষ অথবা পরোক্ষভাবে পদার্থবিজ্ঞানেরই অব দান।প্রাণপদার্থবিজ্ঞান,ভূপদার্ থবিজ্ঞান, মহাকাশ পদার্থবিজ্ঞান ইত্যাদি হরেকরকম নামকরণ থেকে স হজেই ধারণা নেয়া যায় মূল বিজ্ঞা নপরিবারে পদার্থবিজ্ঞানের অবস্থা ন তার কেন্দ্রবিন্দুতে হবে। আমি চট্টগ্রাম ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ ববিদ্যালয়ে পদার্থবিজ্ঞান বিভা গে শিক্ষকতা করেছি, যুক্তরাষ্ট্ রের শীর্ষস্থানীয় মেডিক্যাল রিসা র্চবিশ্ববিদ্যালয় জন্স হপকিন্সে প্রাণপদার্থবিজ্ঞানে গবেষণা করে ছি, কিন্তু কোথাও শুনিনি, দেখি নি, পাইনি পদার্থবিজ্ঞানের উদ্ভা বক একটি ধর্ম! বিশ্বের সচেতন এবং অভিজ্ঞ মহল অবগত যে রসায়ন, গণি ত এবং জ্যোতিষ শাস্ত্রে ইসলামের অনুসারীরা অভূতপূর্ব যুগান্তকা রী অবদান রেখেছেন; কিন্তু পদার্ থবিজ্ঞানের উদ্ভাবক ইসলাম ধর্ম এ রেকর্ডটি কোথায় লিপিবদ্ধ রয়েছে তা দেখারজন্য লাইব্রেরি অব কংগ্ রেসে ঘুরে আসাযেতেপারেদুইশতাধি কবছর পুরনো বিশ্বের সবচেয়ে সমৃদ্ ধশালী এই পাঠাগারের সব বই ওয়াশিং টন ডিসির তিনটি ভবনে সংরক্ষিত। ১৮৯৭ সালের জেফারসন ম্যাগনিফিসি য়েন্ট ভবনটি শুধুদর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত রাখা হয়েছে। প্ রথমতলায় স্থায়ীভাবে প্রদর্শনীর মধ্যে রয়েছে World famous : The Giant Bible & The Giant Bible of Maing।
লাইব্রেরি অব কংগ্রেসের বিশালসং গ্রহশালার মধ্য থেকে ২০০টি ঐতিহা সিক পুস্তক ভবনটির দ্বিতীয়তলার ট্রেজারি গ্যালারিতে সংরক্ষিত র য়েছে। এই তলার মাঝখানে একটি বড় গম্বুজ। গম্বুজের মধ্যে একেকটি চিত্রের নিচে একেকটি দেশের নাম। ব্যতিক্রম চোখে পড়বে এত দেশের মধ্যে এক স্থানে শুধু একটি ধর্ মের নাম। কোন দেশ কী উদ্ভাবন করে ছে, সেটি গাইড আমাদের বুঝিয়ে দি লেন। দেশের নামের বদলে যেচিত্রে র নিচে ‘ইসলাম’ লেখা ছিল, সেটি দেখিয়ে গাইড আমাদের বলেন, এটার মাধ্যমে বোঝানো হয়েছে পদার্থবিজ্ঞানে Invention করেছে ইসলাম ধর্ম। এ সময়ে বাল্টিমোরে ICNA (ইসলামিক সার্কেল অব নর্থ আমেরিকা)-র বার্ ষিক সম্মেলন চলছিল। প্রফেসর রাও এর লেখা, মুহাম্মদ দ্য প্রফেট অ ব ইসলাম’ বইটি হাতে পাই। লেখকের বর্ণনা মতে, রবার্ট ব্রিফল্ট তার বিখ্যাত গ্রন্থ দ্যমেকিং অব হিউম্যানিটিতে অনেক উদাহরণ পরিবেশ ন করে সমাপ্তি টেনেছেন এভাবে ‘ আমাদের বিজ্ঞান আরব মুসলমানদের কাছে ঋণী শুধু এতটুকুর জন্য নয় যে, বিজ্ঞানকে তারা কেবলচমকপ্রদ আবিষ্কার অথবা বৈপ্লবিক বৈজ্ঞা নিক তত্ত্ব উপহার দিয়েছে। বিজ্ ঞান আরব সংস্কৃতির কাছে আরো অনে ক বেশি ঋণী। বিজ্ঞান তার নিজের অস্তিত্বের জন্য ঋণী।’ এই একই লে খককথাটির ব্যাখ্যায় বলেছেন, গ্ রিকরা নিয়মাবদ্ধ ও সার্বজনীন করা এবং তত্ত্বসম্বন্ধে সিদ্ধান্ত নেয়ার পথ বাতলে ছিল, কিন্তু ধৈ র্য ধরে গবেষণার পদ্ধতি, সন্দে হাতীত জ্ঞানকে পুঞ্জীভূতকরণ,বিজ্ ঞানের প্রতিটি ক্ষুদ্র ব্যাপারে ও বিশদ পরীক্ষণ পদ্ধতি, বিস্তা রিত ও দীর্ঘ প্রসারিত নিয়মিত পর্ যবেক্ষণ, পরীক্ষা মূলক অনুসন্ধা ন এসবই গ্রিক মানসিক ধাত বা মে জাজে ছিল বহিরাগত। আমরাযেটাকে আ জ বিজ্ঞানবলি, তার উত্থান ইউরো পে হয়েছিল নতুন পদ্ধতি গবেষণার ফলে এবং পরীক্ষা , পর্যবেক্ষণ, পরিমাপন ও গণিত শাস্ত্রের উন্ নয়ন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে যে পদ্ধ তিগুলো গ্রিকদেরকাছে অজানা ছিল। ...ইউরোপকে আরবীয় মুসলমানেরা এস ব মূলনীতি ও পদ্ধতিগুলো পরিচয় ক রিয়ে দেয়।’ রবার্ট ব্রিফল্ট যেস ব উদাহরণ থেকে এই মন্তব্যে পৌঁ ছেছেন সে সবের মধ্যে রয়েছে :মুস লিমউদ্ভিদবিদ্যাবিদ ইবনে বতুতা বিশ্বের সব অঞ্চল থেকে উদ্ভিদ সং গ্রহ করে যে গ্রন্থ লিখেছেন সেটি কে Mayer তার The Geschder Botan ika তে অধ্যবসায়ের এক উল্লেখযো গ্য উদাহরণ হিসেবেবর্ণনা করেন। অপর দিকে আল বিরুনি ৪০ বছর ভ্ রমণ করেছিলেন মানিকবিদ্যা সম্ পর্কিত (মিনারোলজি) নমুনা সংগ্ রহের জন্য এবং মুসলিম জ্যোতির্ বেত্তারা এমন সব পর্যবেণ পর্যন্ ত চালিয়েছেন,যেসব পর্যবেক্ষন ১২ বছরের ওপরে পর্যন্ত দীর্ঘায়িত হয়েছিল। পক্ষান্তরে অ্যারিস্ টটলপদার্থবিজ্ঞানের ওপর একটি বই লিখেছেন এমনকি একটি পরীক্ষা না চালিয়েই এবং প্রকৃতির ইতিহাসের ওপরগ্রন্থ রচনা করেছেন একেবারে ই নিশ্চিত না হয়ে, অসতর্কতার সা থে বর্ণনা দিয়ে প্রাণীদের চেয়ে মানুষের অর্ধেক দাঁত রয়েছে যে তথ্য অতি সহজেই অনুসন্ধান করা যে ত। গ্যালেন, যিনি ক্লাসিক্যালঅ্ যানাটমির নির্ভরযোগ্য বিশেষজ্ঞ, জানিয়েছিলেন যে নিচের চোয়াল দু ’টি হাড় দিয়ে গঠিত। এই প্রতিবে দনটি শতাব্দী ধরে গ্রহণ করে নে য়া হয়েছিল একেবারে কোনো আপত্তি ছাড়াই, যখন পর্যন্তনা আব্দুল লতি ফ একটু কষ্ট স্বীকার করে মানুষে র কঙ্কাল পরীক্ষা করে সত্য-মিথ্ যাযাচাই করলেন।
‘আমরা যেটাকে আজ বিজ্ঞানবলেজানি ' ‘দ্য মেকিং অব হিউম্যানিটি’ গ্রন্থের লেখকের এ উক্তিটির সাথে লাইব্রেরি অব কংগ্রেসের রেকর্ড, ‘আদি বিজ্ঞান তথা পদার্থবিজ্ঞা নের উদ্ভাবক ইসলাম’এ দু’টি বক্ত ব্যের মধ্যে স্পষ্টত একটি যোগসূ ত্র লক্ষণীয়। প্রচলিত ধারণা হচ্ ছে, ধর্মের মূলমন্ত্র এবং পুঁজি হচ্ছে অন্ধবিশ্বাস। তাই যদি হয় তাহলে এই অন্ধবিশ্বাস কিভাবে মু সলমানদের অনুপ্রাণিত করেছে আজকে র মূল বিজ্ঞানকে উদ্ভাবনকরতে? এ প্রশ্নের জবাব মেলে যুক্তরাষ্ ট্রের একটি সর্বাধিক বিক্রীত ক্ যারেন আর্মস্ট্রংয়ের বই ‘অ্যা হি স্ট্রি অব গড’ পুস্তকে, যেখানে বর্ণিত হয়েছে, ‘কুরআন পাকে সব সময়ই বিশেষভাবেগু রুত্বারোপ করা হয়েছে আল্লাহ পাকে র নিদর্শন বা বাণীর (আয়াত) রহস্ য উদঘাটনের জন্য। আর এ কারণে ইস লামের অনুসারীরা যুক্তি ও কারণকে এরিয়ে না গিয়ে গভীর মনোযোগ এবং বিশেষ কৌতূহলের সাথে পৃথিবীর সব কিছুকে পর্যবেক্ষণ করছে। এই মনো ভাব ও দৃষ্টিভঙ্গির ফলে পরে দে খা যায় প্রকৃতিক বিজ্ঞানে (ন্যা চারাল সায়েন্স) মুসলমানদের এক উ ৎকৃষ্ট ঐতিহ্য গড়েতোলার, যা কখনো বিজ্ঞানের সাথে ধর্মের বিরোধ বা সংঘর্ষ ঘটায়নি, খ্রিষ্টান ধর্ মের ক্ষেত্রে যেটা দেখা গেছে।’ অতএব, স্পষ্টত ঐতিহাসিক বাস্তবতা বলছে, ধর্ম বিজ্ঞানবিরোধী এবং এ দুয়েরসহাবস্থান সাংঘর্ষিক, অন্ যান্য ধর্মের সাথে এ ধরনের বক্ তব্যের মিল খুঁজে পাওয়া সম্ভব হ লেও ইসলামের ব্যাপারে এটা ঐতিহা সিকভাবে প্রমাণিত সত্যিকার বি জ্ঞান বলতে আজ আমরাযেটাকে বলে থা কি এবং বুঝে থাকি, সেই আদি বিজ্ ঞানের উদ্ভাবক ইসলামের অনুসারী রা। মুহাম্মাদ দ্য প্রফেট অব ইস লাম গ্রন্থে প্রফেসর রাও লিখেছে ন, ‘কুরআন পাকে যতগুলো আয়াতমৌলিক ই বাদত সম্পর্কিত তার চেয়ে অনেক বেশি হবে সেই সম্পর্কিত আয়াত যেখা নে আমন্ত্রণ করা হয়েছে প্রকৃতি/ সৃষ্টি রহস্য নিয়ে গভীরভাবে চিন্ তা-ভাবনা, পর্যবেক্ষণ ও অনুসন্ ধানের।আরবীয় মুসলমানেরা এই প্রে রণায় প্রকৃতির রহস্য নিয়ে নিয়মি তভাবে পর্যবেক্ষণ আরম্ভ করে দেয় যেটা বর্তমান সময়ের বৈজ্ঞানিক পর্যবেক্ষন, পরীক্ষা ও গবেষণার মূলনীতির ভিত্তি নির্মাণকরে, যা অজ্ঞাত ছিল গ্রিকদের কাছে।’
শয়তানের সাথে দহরম প্রসঙ্গঃ ইসলামের সোনালি যুগে সমরকন্দ,কায়রো আর করডোভায় প্রথম মানমন্দির তৈরী করে মুসলমানরা।মুসলিম জ্যোতির্বেত্তা রা এমন সব পর্যবেক্ষণ চালিয়েছেন, যে সব ১২ বছরের ওপরে দীর্ঘায়িত হয়েছিল। সে সময়ের মু সলিম বিশ্বের জ্যোতির্বিজ্ঞান কোন অবস্থানে পৌঁছেছিল তার বর্ণনা একটি ঘটনায় ফুটে ওঠে। সন্ন্যা সী গারভাট (দ্বিতীয়সিলভেস্ট নামে তিনি ৯৯৯ সালে পোপ হন) যখন করডোভার মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখা পড়া শেষ করে খ্রিষ্ট ধর্মাচরণে পুনরায় ফিরে এলেন তখন লোকে বলা বলিকরে, তিনি নাকি সেখানেশয়তানে র সাথে দহরম পর্যন্ত করে এসেছেন । এখানে বিশেষভাবে উল্লেখ্য,ইউরোপীয়রা যখন মহাকাশ গবেষণাকে দুনিয়াদারীর মানদণ্ডে অপ্রয়জনীয় ফালতুকাজ অভিহিত করে একে শয়তানের সাথে দহরম করাতুল্য বলে মনে করেন সেই সময়ে মুসলমানেরা বড় বড় মানমন্দির বিশ্বে প্রথম প্রতিষঠা করে চমক সৃষটি করেন। মুসলমানরা পরকালের সুখশান্তির জন্য কাজ করে খাকে।তাহলে মহাকাশ নিয়ে মাথাব্যাথার দরকার ছিল কী? আসলে মুসলমানেরা যে কারনে আজকের বিঞ্জানের সুত্রপাত করেছেন সেইএকই কারনে মহাকাশ গবেষণাও করেছেন। কাজেই মহাবিশ্বের সব কি ছুকে পর্যবেক্ষণ ও রহস্য উদ্ঘাট নের মাধ্যমেই কেবল আল্লাহকে খুঁ জে পাওয়া ও তার নৈকট্যলাভ করা যেতে পারে। ঈমান বাড়ানোর পথ বা উপায় হলো সৃষ্টি রহস্য নিয়ে গভীরভা বে চিন্তাভাবনাকরা,আরএভাবেইস্রষ্ টাকেজানা। হাদিস শরিফে আছে- সৃ ষ্টিরহস্য নিয়ে কিছু সময়চিন্তা ভাবনা করা, সারা রাত নফল এবাদত থেকেও উত্তম।মহাবিজ্ঞানী আইনস্ টাইনের ভাষায়,‘নিশ্চয়ই এর পেছনে রয়েছে এক অকল্পনীয় মহাজ্ঞানী স ত্তার এক রহস্যময়অভিপ্রেতবিজ্ঞা নীর দুরভিসারি জিজ্ঞাসা সেখানে বিমূঢ় হয়ে যায়বিজ্ঞানের সমাগত চূ ড়ান্ত অগ্রগতিও সেখান থেকে স্তব্ধ হয়ে ফিরে আসবে; কিন্তু সেই অনন্ত মহাজাগতিক র হস্যের প্রতিভাস বিজ্ঞানীরমনকে এই নিশ্চিত প্রত্যয়ে উদ্বেল করে তোলে,এই মহাবিশ্বের একজন নিয়ন্ ত্রা রয়েছেন।তিনি অলৌকিক জ্ঞানম য়,তাঁর সৃষ্টিকে অনুভব করা যায় কিন্তু তাকে কল্পনা করা যায় না। ’ আমরা ক’জন গুরুত্বসহকারে ভেবে দেখেছি, প্রকৃত ঈমানের স্বাদ স ম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা পেতে হলে সর্বশেষ বিজ্ঞানের নভোমণ্ডল ও ম হাবিশ্ব সম্পর্কে ও ন্যূনতম একটি ধারণা একেবারে নাথাকলেই নয়? প্ রশ্ন আসা স্বাভাবিক, ঈমানের সত্ যিকার স্বাদ পাওয়ার জন্য এসব তথ্ য জেনে কী হবে? মুজাদ্দেদ ইমাম গাজ্জালি রহ: সেই মধ্যযুগের শ্রে ষ্ঠ ইসলামি চিন্তাবিদ। বর্তমানে মহাকাশবিজ্ঞানের যে বিকাশ হয়েছে, সেই প্রক্ষাপটে মধ্যযুগে এই বি জ্ঞানের অগ্রযাত্রা কোন পর্যায়ে ছিল, তা সহজেই অনুমেয়। সেই যু গে তার একটি উপমা এখানে তুলে ধর লে আমরা একেবারে চমকেউঠব! তিনি তার সময়ের এবং পরে সব কালের ঈমা নদারদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন একটি উপমার মাধ্যমে, আল্ লাহ পাকের প্রতি ঈমান সুদৃঢ় করা র অতি সহজ একটি পথ। এটিহচ্ছে ঈমা নদারদের দৌড় শুধু মসজিদ নয়, বরং মহাকাশ বা মহাবিশ্ব সম্পর্কে যে ব্যক্তির কোনো ধারণাই নেই, তার ঈমানের স্বাদ বা স্তর হচ্ছে এক জন Impotent (নপুংসক)এর মতো, যারকোনো অনুভূতি ই নেই নর নারীর দৈহিক সম্পর্কের আসল মজা সম্পর্কে। বাস্তব দুনি য়ায় সবচেয়ে মজাদার, অপার ফুর্তি র কোনো কিছু থেকে থাকলে তা হচ্ছে একমাত্র এটি। তেমনি গাজ্জালিরহ :এর মতে, প্রকৃত ঈমানের আসল স্বা দ বা তৃপ্তি পেতে প্রয়োজন এবং পা ওয়ার সহজ পথ হচ্ছে আল্লাহ পাকের অপার রহস্য মহাবিশ্ব সম্পর্কে ওয়াকিবহাল হওয়া। প্রকারন্ত্ররে এভাবেই ঈমানকে সুদৃঢ় করা সম্ভব। আমাদের দেশে এক শ্রেণীর লোক সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদের সাথে মুসলিম এবং ইস লামকে গুলিয়ে ফেলতে চেষ্টা করছেন আর আন্যদিকে প্রেসিডেনট টেরাম্পের উপদেষ্টারা কেউ কেউ একই সুরে বাদ্য বাজাচ্ছেন তাকে নিয়ে বাস্তবে যে মুসলিম জাতি প্রথম বিশ্ববিদ্যালয়, মানমন্দির এবং আসল বিজ্ঞানের অস্তিত্বের উপহার দিয়ে মানব সভ্যতাকে এগিয়ে নিয়ে এসেছে।
লেখকঃ সাবেক সিক্ষক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
No comments:
Post a Comment