চলমান ইসলাম-ফোবিয়া মুলতঃ ইতিহাসেরই পুনরাবৃত্তি
দেশে দেশে (নেদারল্যান্ড,নিউজিল্যাণ্ড, আমেরিকা) ইসলাম-ফোবিয়া ইতিহাসেরই পুনরাবৃত্তি
কোরাইশ নেতারা একসাথে আলোচনায় বসলেন- এভাবে চলতে থাকলে আমাদের পায়ের নিচে আর মাটি থাকবে না। যে মুহাম্মাদের কাছে আসে সে-ই মুসলমান হয়। এখন এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে হবে, যার ফলে কেউ আর তার কাছে আসার সাহস না পায়। কিভাবে এটা করা যায়? প্রস্তাব আসে, প্রচার করতে হবে, মুহাম্মাদ একজন কবি। বাকিরা একমত না হয়ে বলেন, এটা বিশ্বাসযোগ্য হবে না। কুরআন কবিতার মতো নয়। লোকে এটা বিশ্বাস করবে না। তাহলে বলতে হবে, তিনি জাদুকর। ‘তিনি তো কোনো জাদু দেখান না। তা বলাও সঠিক হবে না।’ তাহলে কী বলা যায়? বলতে হবে গণক। এটাও লোকে বিশ্বাস করবে না। কারণ তিনি কখনোই গণকের মতো কাজ করেন না। তাহলে উপায়! সত্য কথাটা সবাইকে আগেভাগেই জানিয়ে দিতে হবে। তাহলে কেউ আর কাছে ঘেঁষতে সাহস পাবে না। প্রচার করতে হবে- তার কাছে গেছ তো মরেছ। তিনি ভাইয়ে-ভাইয়ে বিরোধ বাধিয়ে দেন। পিতা-পুত্রের ভালোবাসা কেড়ে নেন। পিতা-পুত্র একে অপরের শত্রু হয়ে যায়। আর আত্মীয়স্বজন, পাড়া-প্রতিবেশী, সমাজের সবাই তার দুষমন হয়, সে একঘরে হয়। এ কথা শুনে লোকজনের কৌতূহল বরং ভীষণভাবে বেড়ে যায়। কে এমন ব্যক্তি, যার কাছে গেলেই এত অঘটন ঘটে যাবে? ফলে বেশি বেশি মানুষ আসা শুরু করল এবং মুসলমান হওয়ার হারও দ্রুতগতিতে বাড়তে লাগল।
১) নেদারল্যান্ডে ইসলাম-ফোবিয়া ইতিহাসেরইঃ
ইসলামের বিরুদ্ধে পৃথিবীতে যেসব “মুভি” বানানো হয়েছিলো, সেগুলোর মধ্যে “Fitna” মুভিটি অন্যতম। মুভিটি নেদারল্যান্ডে বানানো হয়।
মুভিটি বানানো হয় নেদারল্যান্ড ভিত্তিক রাজনৈতিক সংগঠন PVV (Partij voor de Vrijheid) এর তত্ত্বাবধানে। Partij voor de Vrijheid একটি ডাচ পরিভাষা যার ইংরেজি অর্থ- Party For Freedom.
এই রাজনৈতিক সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন Greet Wilders , যিনি ওয়ার্ল্ডওয়াইড একজন নামকরা ইসলাম বিদ্বেষী বলে খ্যাত ছিলেন।
“Fitna” মুভিটা নির্মিত হয় এই লোকের প্ররোচনায়। বলা বাহুল্য, Party For Freedom নামের রাজনৈতিক সংগঠনটি যতোটা না রাজনৈতিক, তারচেয়ে বেশি ইসলাম বিদ্বেষী বলে পরিচিত ছিলো।
নেদারল্যান্ডে কোরআন এবং মুসলিম প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধের দাবি সর্বপ্রথম এই সংগঠনটিই তুলেছিলো।
২০০৬ সালে প্রতিষ্ঠিত এই সংগঠন সে বছরই নেদারল্যান্ডের জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেয় এবং পার্লামেন্টে ৯ টি আসন লাভ করে। এরপর, ২০১০ সালের সাধারণ নির্বাচনে অংশ নিয়ে এটি লাভ করে মোট ২৪ টি আসন।
“Fitna” মুভিটা সম্পর্কে কিছুটা ধারণাঃ ইসলামের বিরুদ্ধে অপপ্রচারমূলক জঘন্য কয়েকটি মুভির মধ্যে এটি একটি।
এই মুভির সবচেয়ে জঘন্যতম দিক হলো এই, এই মুভির শুরুতেই দেখানো হয় ,- ইসলামের সর্বশেষ নবী হজরত মুহাম্মদ (সাঃ) মাথায় একটি বোমা নিয়ে দৌড়াচ্ছেন (নাউজুবিল্লাহ)।
এরপরে মুভিটিতে কোরআনের “জিহাদ” সম্পর্কিত বিভিন্ন আয়াত কোট করে সেগুলো দিয়ে প্রমাণ করার চেষ্টা করা হয় যে, ইসলাম একটি সন্ত্রাসী এবং জঙ্গীবাদী ধর্ম। সেই মুভিতে বিতর্কিত ৯/১১ এর ঘটনাকেও প্রদর্শন করা হয়। মুভিটা মুক্তি পায় ২০০৮ সালে।
Party For Freedom এর প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকে যে কয়েকজন নেতা এই সংগঠনকে সামনে থেকে নের্তৃত্ব দিয়েছিলেন, Arnoud Van Doorn তাদের অন্যতম। এই লোকও ছিলেন Party For Freedom এর প্রতিষ্ঠাতা Greet Welders এর মতো প্রচন্ডরকম ইসলাম এবং মুসলিম বিদ্বেষী।
“Fitna” মুভিটা তৈরি এবং এর প্রচার-প্রসারেও Arnoud Van Doorn এর ভূমিকা ছিলো ব্যাপক।
কিন্তু দারুন কৌতূহলের ব্যাপার হচ্ছে, প্রচন্ড ইসলাম-মুসলিম বিদ্বেষী এই লোক ২০১২ সালে ঘোষণা দিয়ে ইসলাম গ্রহণ করে ফেলেন।
এই মুভিটা তৈরির পরে একটা হিতে-বিপরীত কান্ড হয়। দেখা গেলো, এই মুভি দেখার পরে প্রচুর সংখ্যক অমুসলিম ইসলামের প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠে এবং তারা ইসলাম এবং মুসলিমদের ব্যাপারে রিসার্চ শুরু করে। Arnoud Van Doorn ছিলেন তাদের একজন।
নিজের সম্পর্কে বলতে গিয়ে তিনি বলেন, “I have heard so many negative stories about Islam, but I am not a person who follows opinions of others without doing my own research.Therefore, I have actually started to deepen my knowledge of the Islam out of curiosity.”…
ইসলাম নিয়ে পশ্চিমা মহলের অপপ্রচারে বিভ্রান্ত এই লোক “Fitna”র মতো ইসলাম বিদ্বেষী মুভির প্রডিউচারদের একজন ছিলেন।
কিন্তু, ইসলাম নিয়ে যখন তিনি নিরপেক্ষ গবেষণা শুরু করলেন, তখন তিনি দেখলেন যে, এতোদিন তাদেরকে ইসলাম নিয়ে যা যা জানানো হয়েছে এবং দেখানো হয়েছে, তা আদতে অপপ্রচার। ইসলাম কোন সন্ত্রাসী ধর্ম নয়, জঙ্গীবাদী ধর্ম নয়। ইসলাম একটি শাশ্বত, পরিপূর্ণ জীবন বিধান।
ইসলামের প্রতি আসক্ত হবার পরে যখন তিনি পুরোদাগে ইসলাম নিয়ে পড়াশুনায় নিমজ্জিত হন, তখন ২০১১ সালে Party For Freedom ভেঙে যায়।
২০১৩ সালে Arnoud Van Doorn মক্কা যান হজ্ব করার জন্য। সেখানে Saudi Gezzete কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে উনি বলেন,- “I found myself among these faithful hearts. I hope that my tears of regret will wash out all my sins after my repentance”
তিনি আরো বলেন, “I felt ashamed standing in front of the Prophet’s grave. I thought of the grave mistake which I had made by producing that sacrilegious film. I hope that Allah will forgive me and accept my repentance.
বর্তমানে তিনি European Daw’ah Foundation চেয়ারম্যান এবং Canadian Daw’ah Association এর এ্যাম্বাসেডর।উনার আগের ভুল (Fitna Movie) সম্পর্কে বলতে গিয়ে তিনি বলেন,- “I feel an urge and a responsibility to correct the mistakes I have done in the past. I want to use my talents and skills in a positive way by spreading the truth about Islam. I am trying to make a new movie about Islam and the life of Prophet Muhammad (peace be upon him). It would show people what examples the Prophet set in his life and the movie would invite younger people to Islam.”
কাহিনীর এখানেই সমাপ্তি নয়। বাবার ইসলাম গ্রহণের পরে, বাবাকে পুরোপুরি পাল্টে যেতে দেখে উনার ২২ বছর বয়সী ছেলেও ইসলাম গ্রহণ করে। বাবার পরিবর্তন সম্পর্কে বলতে গিয়ে সে (উনার ছেলে) বললো,- “I saw my father become more peaceful after converting to Islam. That’s when I realised there is something good in this religion and it made me change my perception of Muslims. I started studying the Holy Quran and going through lectures of important scholars”
এই হচ্ছে একজন চরম ইসলাম বিদ্বেষীর ইসলামে দাখিল হবার গল্প।“বলুন, সত্য এসেছে আপনার র’বের পক্ষ থেকে। এবার যাদের ইচ্ছা হয় বিশ্বাস করুক আর যাদের ইচ্ছা প্রত্যাখ্যান করুক”- আল কাহাফ, ২৯
২) নিউজিল্যাণ্ডে ইসলাম-ফোবিয়া ইতিহাসেরইঃ
@ নিউজিল্যাণ্ডে পৌচাশিকতার কারণে নিউজিল্যাণ্ডের পার্লামেন্টের অধিবেশন কুরআন তেলাওয়াত দিয়ে শুরু হয়েছে।
@ নিউজিল্যাণ্ডের পুলিশ মসজিদে গিয়ে ইসলাম সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করছে।
@ ক্ষতিগ্রস্থ মুসলমানদেরকে নিউজিল্যাণ্ডের রাষ্ট্রীয় তহবীল সহায়তা দিচ্ছে।
@ নিউজিল্যাণ্ডের প্রচলিত অস্ত্র আইনের সংস্কার হচ্ছে।
চলমান ইসলাম-ফোবিয়া মুলতঃ ইতিহাসেরই পুনরাবৃত্তি
দেশে দেশে (নেদারল্যান্ড,নিউজিল্যাণ্ড, আমেরিকা) ইসলাম-ফোবিয়া ইতিহাসেরই পুনরাবৃত্তি
কোরাইশ নেতারা একসাথে আলোচনায় বসলেন- এভাবে চলতে থাকলে আমাদের পায়ের নিচে আর মাটি থাকবে না। যে মুহাম্মাদের কাছে আসে সে-ই মুসলমান হয়। এখন এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে হবে, যার ফলে কেউ আর তার কাছে আসার সাহস না পায়। কিভাবে এটা করা যায়? প্রস্তাব আসে, প্রচার করতে হবে, মুহাম্মাদ একজন কবি। বাকিরা একমত না হয়ে বলেন, এটা বিশ্বাসযোগ্য হবে না। কুরআন কবিতার মতো নয়। লোকে এটা বিশ্বাস করবে না। তাহলে বলতে হবে, তিনি জাদুকর। ‘তিনি তো কোনো জাদু দেখান না। তা বলাও সঠিক হবে না।’ তাহলে কী বলা যায়? বলতে হবে গণক। এটাও লোকে বিশ্বাস করবে না। কারণ তিনি কখনোই গণকের মতো কাজ করেন না। তাহলে উপায়! সত্য কথাটা সবাইকে আগেভাগেই জানিয়ে দিতে হবে। তাহলে কেউ আর কাছে ঘেঁষতে সাহস পাবে না। প্রচার করতে হবে- তার কাছে গেছ তো মরেছ। তিনি ভাইয়ে-ভাইয়ে বিরোধ বাধিয়ে দেন। পিতা-পুত্রের ভালোবাসা কেড়ে নেন। পিতা-পুত্র একে অপরের শত্রু হয়ে যায়। আর আত্মীয়স্বজন, পাড়া-প্রতিবেশী, সমাজের সবাই তার দুষমন হয়, সে একঘরে হয়। এ কথা শুনে লোকজনের কৌতূহল বরং ভীষণভাবে বেড়ে যায়। কে এমন ব্যক্তি, যার কাছে গেলেই এত অঘটন ঘটে যাবে? ফলে বেশি বেশি মানুষ আসা শুরু করল এবং মুসলমান হওয়ার হারও দ্রুতগতিতে বাড়তে লাগল।
১) নেদারল্যান্ডে ইসলাম-ফোবিয়া ইতিহাসেরইঃ
ইসলামের বিরুদ্ধে পৃথিবীতে যেসব “মুভি” বানানো হয়েছিলো, সেগুলোর মধ্যে “Fitna” মুভিটি অন্যতম। মুভিটি নেদারল্যান্ডে বানানো হয়।
মুভিটি বানানো হয় নেদারল্যান্ড ভিত্তিক রাজনৈতিক সংগঠন PVV (Partij voor de Vrijheid) এর তত্ত্বাবধানে। Partij voor de Vrijheid একটি ডাচ পরিভাষা যার ইংরেজি অর্থ- Party For Freedom.
এই রাজনৈতিক সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন Greet Wilders , যিনি ওয়ার্ল্ডওয়াইড একজন নামকরা ইসলাম বিদ্বেষী বলে খ্যাত ছিলেন।
“Fitna” মুভিটা নির্মিত হয় এই লোকের প্ররোচনায়। বলা বাহুল্য, Party For Freedom নামের রাজনৈতিক সংগঠনটি যতোটা না রাজনৈতিক, তারচেয়ে বেশি ইসলাম বিদ্বেষী বলে পরিচিত ছিলো।
নেদারল্যান্ডে কোরআন এবং মুসলিম প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধের দাবি সর্বপ্রথম এই সংগঠনটিই তুলেছিলো।
২০০৬ সালে প্রতিষ্ঠিত এই সংগঠন সে বছরই নেদারল্যান্ডের জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেয় এবং পার্লামেন্টে ৯ টি আসন লাভ করে। এরপর, ২০১০ সালের সাধারণ নির্বাচনে অংশ নিয়ে এটি লাভ করে মোট ২৪ টি আসন।
মুভিটি বানানো হয় নেদারল্যান্ড ভিত্তিক রাজনৈতিক সংগঠন PVV (Partij voor de Vrijheid) এর তত্ত্বাবধানে। Partij voor de Vrijheid একটি ডাচ পরিভাষা যার ইংরেজি অর্থ- Party For Freedom.
এই রাজনৈতিক সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন Greet Wilders , যিনি ওয়ার্ল্ডওয়াইড একজন নামকরা ইসলাম বিদ্বেষী বলে খ্যাত ছিলেন।
“Fitna” মুভিটা নির্মিত হয় এই লোকের প্ররোচনায়। বলা বাহুল্য, Party For Freedom নামের রাজনৈতিক সংগঠনটি যতোটা না রাজনৈতিক, তারচেয়ে বেশি ইসলাম বিদ্বেষী বলে পরিচিত ছিলো।
নেদারল্যান্ডে কোরআন এবং মুসলিম প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধের দাবি সর্বপ্রথম এই সংগঠনটিই তুলেছিলো।
২০০৬ সালে প্রতিষ্ঠিত এই সংগঠন সে বছরই নেদারল্যান্ডের জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেয় এবং পার্লামেন্টে ৯ টি আসন লাভ করে। এরপর, ২০১০ সালের সাধারণ নির্বাচনে অংশ নিয়ে এটি লাভ করে মোট ২৪ টি আসন।
“Fitna” মুভিটা সম্পর্কে কিছুটা ধারণাঃ ইসলামের বিরুদ্ধে অপপ্রচারমূলক জঘন্য কয়েকটি মুভির মধ্যে এটি একটি।
এই মুভির সবচেয়ে জঘন্যতম দিক হলো এই, এই মুভির শুরুতেই দেখানো হয় ,- ইসলামের সর্বশেষ নবী হজরত মুহাম্মদ (সাঃ) মাথায় একটি বোমা নিয়ে দৌড়াচ্ছেন (নাউজুবিল্লাহ)।
এরপরে মুভিটিতে কোরআনের “জিহাদ” সম্পর্কিত বিভিন্ন আয়াত কোট করে সেগুলো দিয়ে প্রমাণ করার চেষ্টা করা হয় যে, ইসলাম একটি সন্ত্রাসী এবং জঙ্গীবাদী ধর্ম। সেই মুভিতে বিতর্কিত ৯/১১ এর ঘটনাকেও প্রদর্শন করা হয়। মুভিটা মুক্তি পায় ২০০৮ সালে।
Party For Freedom এর প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকে যে কয়েকজন নেতা এই সংগঠনকে সামনে থেকে নের্তৃত্ব দিয়েছিলেন, Arnoud Van Doorn তাদের অন্যতম। এই লোকও ছিলেন Party For Freedom এর প্রতিষ্ঠাতা Greet Welders এর মতো প্রচন্ডরকম ইসলাম এবং মুসলিম বিদ্বেষী।
“Fitna” মুভিটা তৈরি এবং এর প্রচার-প্রসারেও Arnoud Van Doorn এর ভূমিকা ছিলো ব্যাপক।
কিন্তু দারুন কৌতূহলের ব্যাপার হচ্ছে, প্রচন্ড ইসলাম-মুসলিম বিদ্বেষী এই লোক ২০১২ সালে ঘোষণা দিয়ে ইসলাম গ্রহণ করে ফেলেন।
এই মুভিটা তৈরির পরে একটা হিতে-বিপরীত কান্ড হয়। দেখা গেলো, এই মুভি দেখার পরে প্রচুর সংখ্যক অমুসলিম ইসলামের প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠে এবং তারা ইসলাম এবং মুসলিমদের ব্যাপারে রিসার্চ শুরু করে। Arnoud Van Doorn ছিলেন তাদের একজন।
নিজের সম্পর্কে বলতে গিয়ে তিনি বলেন, “I have heard so many negative stories about Islam, but I am not a person who follows opinions of others without doing my own research.Therefore, I have actually started to deepen my knowledge of the Islam out of curiosity.”…
ইসলাম নিয়ে পশ্চিমা মহলের অপপ্রচারে বিভ্রান্ত এই লোক “Fitna”র মতো ইসলাম বিদ্বেষী মুভির প্রডিউচারদের একজন ছিলেন।
কিন্তু, ইসলাম নিয়ে যখন তিনি নিরপেক্ষ গবেষণা শুরু করলেন, তখন তিনি দেখলেন যে, এতোদিন তাদেরকে ইসলাম নিয়ে যা যা জানানো হয়েছে এবং দেখানো হয়েছে, তা আদতে অপপ্রচার। ইসলাম কোন সন্ত্রাসী ধর্ম নয়, জঙ্গীবাদী ধর্ম নয়। ইসলাম একটি শাশ্বত, পরিপূর্ণ জীবন বিধান।
ইসলামের প্রতি আসক্ত হবার পরে যখন তিনি পুরোদাগে ইসলাম নিয়ে পড়াশুনায় নিমজ্জিত হন, তখন ২০১১ সালে Party For Freedom ভেঙে যায়।
২০১৩ সালে Arnoud Van Doorn মক্কা যান হজ্ব করার জন্য। সেখানে Saudi Gezzete কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে উনি বলেন,- “I found myself among these faithful hearts. I hope that my tears of regret will wash out all my sins after my repentance”
তিনি আরো বলেন, “I felt ashamed standing in front of the Prophet’s grave. I thought of the grave mistake which I had made by producing that sacrilegious film. I hope that Allah will forgive me and accept my repentance.
বর্তমানে তিনি European Daw’ah Foundation চেয়ারম্যান এবং Canadian Daw’ah Association এর এ্যাম্বাসেডর।উনার আগের ভুল (Fitna Movie) সম্পর্কে বলতে গিয়ে তিনি বলেন,- “I feel an urge and a responsibility to correct the mistakes I have done in the past. I want to use my talents and skills in a positive way by spreading the truth about Islam. I am trying to make a new movie about Islam and the life of Prophet Muhammad (peace be upon him). It would show people what examples the Prophet set in his life and the movie would invite younger people to Islam.”
কাহিনীর এখানেই সমাপ্তি নয়। বাবার ইসলাম গ্রহণের পরে, বাবাকে পুরোপুরি পাল্টে যেতে দেখে উনার ২২ বছর বয়সী ছেলেও ইসলাম গ্রহণ করে। বাবার পরিবর্তন সম্পর্কে বলতে গিয়ে সে (উনার ছেলে) বললো,- “I saw my father become more peaceful after converting to Islam. That’s when I realised there is something good in this religion and it made me change my perception of Muslims. I started studying the Holy Quran and going through lectures of important scholars”
এই হচ্ছে একজন চরম ইসলাম বিদ্বেষীর ইসলামে দাখিল হবার গল্প।“বলুন, সত্য এসেছে আপনার র’বের পক্ষ থেকে। এবার যাদের ইচ্ছা হয় বিশ্বাস করুক আর যাদের ইচ্ছা প্রত্যাখ্যান করুক”- আল কাহাফ, ২৯
২) নিউজিল্যাণ্ডে ইসলাম-ফোবিয়া ইতিহাসেরইঃ
@ নিউজিল্যাণ্ডে পৌচাশিকতার কারণে নিউজিল্যাণ্ডের পার্লামেন্টের অধিবেশন কুরআন তেলাওয়াত দিয়ে শুরু হয়েছে।
@ নিউজিল্যাণ্ডের পুলিশ মসজিদে গিয়ে ইসলাম সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করছে।
@ ক্ষতিগ্রস্থ মুসলমানদেরকে নিউজিল্যাণ্ডের রাষ্ট্রীয় তহবীল সহায়তা দিচ্ছে।
@ নিউজিল্যাণ্ডের প্রচলিত অস্ত্র আইনের সংস্কার হচ্ছে।
@ নিউজিল্যাণ্ডে পৌচাশিকতার কারণে সারা পশ্চিমা বিশ্বে যে আলোড়নের সৃষ্টি হয়েছে ও মুসলমানদের প্রতি সহানুভুতির হাত প্রসারিত হয়েছে, তা মুসলমানরা নিজেরা কঠোর পরিশ্রম করেও হয়তো আগামী এক শ' বছরে পারতো না।
৩) বুশের সাড়া জাগান বিশ্ব আলোড়ন সৃষ্টিকারী 'নাইন -ইলেভেন' ইতিহাসেরইঃ
৩) বুশের সাড়া জাগান বিশ্ব আলোড়ন সৃষ্টিকারী 'নাইন -ইলেভেন' ইতিহাসেরইঃ
বুশের নাইন-ইলেভেনের ঐতিহাসিক নাটকের পরও এমন কিছু একটা প্রতিক্রিয়া দেখা যায়।
নয় এগারোর ঘটনার ১৫ তম বার্ষিকী উপলক্ষে ইএসআই বা ইউরোপিয়ান সায়েন্টিফিক ইন্সটিটিউটের প্রকাশনা 'ইউরোপিয়ান সায়েন্টিফিক জার্নাল' বলছে: অব্যাহত নানা অনুসন্ধানের ফলাফলে দেখা যাচ্ছে যে মার্কিন বিশ্ব বাণিজ্য কেন্দ্রের টুইন টাওয়ার্স ধ্বংস করা হয়েছিল নিয়ন্ত্রিত ধ্বংস-প্রক্রিয়ার মাধ্যমে।
ঘটনা প্রবাহ বিশ্লেষণে সামগ্রিকভাবে গত ১৬ বছরে যে জিনিষ গুলো বাস্তবে একেবারেই পরিষ্কারঃ
নয় এগারোর ঘটনার ১৫ তম বার্ষিকী উপলক্ষে ইএসআই বা ইউরোপিয়ান সায়েন্টিফিক ইন্সটিটিউটের প্রকাশনা 'ইউরোপিয়ান সায়েন্টিফিক জার্নাল' বলছে: অব্যাহত নানা অনুসন্ধানের ফলাফলে দেখা যাচ্ছে যে মার্কিন বিশ্ব বাণিজ্য কেন্দ্রের টুইন টাওয়ার্স ধ্বংস করা হয়েছিল নিয়ন্ত্রিত ধ্বংস-প্রক্রিয়ার মাধ্যমে।
ঘটনা প্রবাহ বিশ্লেষণে সামগ্রিকভাবে গত ১৬ বছরে যে জিনিষ গুলো বাস্তবে একেবারেই পরিষ্কারঃ
১) BLDG. # 7, সম্পুর্ণ controlled demolition, এটা এখন বিতর্কের উর্ধে।
২) কোন বিমান Pentagon কে আঘাত করেনি, ওটা ছিল missile, যা সবসময় আমেরিকার Air Force অথবা Navy এর নিয়ন্ত্রণে। তাছাড়া Pentagon এর কোন অংশে Renovation চলছে এটা বাইরের কারও জানার কথা না।
Building #7- ৪৭ তালা ভবন, কোন বিমান আঘাত করেনি অথচ পরিষ্কার ওটা ছিল controlled demolition, Free Fall, তারপর পেন্টাগনে যাত্রীবাহী বিমান ধংসের যাত্রীদের মালামাল আর মৃতদেহের কোন প্রমান সরকার দেখাতে পারেনি। আর Shanksville, Pennsylvania-তেও কোন যাত্রীবাহী বিমান ধ্বংসের নমুনা CNN, ABC, FOXNEW তুলে ধরতে পারেনি।
টুইন টাওয়ার হামলার প্রায় দুবছর আগে ভাগে ট্রাম্প তার বইতে (‘The America We Deserve’প্রকাশিত জানুয়ারি ২০০০) Nostrodomas এর মত ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন~~ ও সামা বিন লাদেন টুইন টাওয়ারে হামলা চালাবেন। US Presidential hopeful Donald Trump "warned" of the horrific September 11 attack on the World Trade Center in a book published less than two years before the world's worst terror strikes happened, it is being claimed. By JON AUSTIN PUBLISHED: 03:42, Tue, Feb 23, 2016 | ট্রাম্পকে তাই বলা হচ্ছে ‘মডার্ন ডে নসটডোমাস।’
Alex Jenes Radio Show সাক্ষাতকারে ট্রাম্প বলেন, “আমি ওই বইতে বলেছি, আমাদের সতর্ক থাকতে হবে এই ব্যাক্তি ওসামা বিন লাদেন সম্পর্কে।’’ ঘটনা প্রবাহ বিশ্লেষণে সামগ্রিকভাবে দেখা যায় আসলে টুইন টাওয়ারে হামলা ছিল আভ্যন্তরীণ বিষয় (পরিকল্পনা) মাত্র।
Alex Jenes Radio Show সাক্ষাতকারে ট্রাম্প বলেন, “আমি ওই বইতে বলেছি, আমাদের সতর্ক থাকতে হবে এই ব্যাক্তি ওসামা বিন লাদেন সম্পর্কে।’’ ঘটনা প্রবাহ বিশ্লেষণে সামগ্রিকভাবে দেখা যায় আসলে টুইন টাওয়ারে হামলা ছিল আভ্যন্তরীণ বিষয় (পরিকল্পনা) মাত্র।
ক্লিনটন তখন মসনদে। আমি বাল্টিমোরে, ঘুম থেকে উঠে একদিন এক অবিশ্বাস্য নাটকীয় সংবাদ জানতে পারি। হোয়াইট হাউজে ইসলামের চাঁদতারা পতাকা উড়ছে। ভয়ের কিছু ছিল না, কারণ আলকায়েদার জন্ম তখনো হয়নি এবং বিন লাদেনেরও পাত্তা ছিল না, যিনি হোয়াইট হাউজে এসে এ ধরনের অঘটন ঘটানোর হিম্মত রাখেন। তবে সে সময় এখানকার মিডিয়ায় একটি ঝড় বয়ে যাচ্ছিল- যুক্তরাষ্ট্রে দ্রুত সম্প্রসারণশীল ধর্ম হচ্ছে ইসলাম। এ সময়টিতে আমি বাল্টিমোর জন হপকিন্সে গবেষণা করছি। এই বিশ্ববিদ্যালয়টি যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষস্থানীয় মেডিক্যাল রিসার্চ ইউনিভার্সিটি। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের বাল্টিমোরের হোমউড ক্যাম্পাসের লাইব্রেরির বেসমেন্টের ওয়ালের একটি তথ্য আমার চোখে পড়ে- প্রতি বছর যুক্তরাষ্ট্রে এক লাখ মানুষ ধর্মান্তরিত হয়ে ইসলাম গ্রহণ করছে। মিডিয়ার অন্য সূত্রে জানতে পারি, এই এক লাখ নওমুসলিমের মধ্যে মহিলার সংখ্যা বেশি। পাশ্চাত্য ভাবধারায় লালিতপালিত মুক্ত হাওয়ায় বেড়ে ওঠা মেয়েরা এত ঝুঁঁকি নিয়ে কেন ইসলামকে পছন্দ করছে যেখানে বিদ্যমান শৃঙ্খলা, আত্মসমর্পণ ও ভিন্ন রূপ হওয়ার বিধান। হয়।
আমেরিকার স্বাধীনতা প্রাপ্তির সময় জনসংখ্যার বেশির ভাগ ছিল খ্রিষ্টান। এরপর ছিল ইহুদি। অন্যান্য ধর্মের লোক আনুপাতিকভাবে উল্লেখযোগ্য ছিল না। সরকারিভাবে তখন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়, খ্রিষ্টান ও ইহুদি এই দুই ধর্মের পতাকা হোয়াইট হাউজে ওড়ানো হবে। হোয়াইট হাউজে ক্লিনটনের সময় থেকে ইসলামের পতাকাও স্থান করে নেয়।
আমেরিকার স্বাধীনতা প্রাপ্তির সময় জনসংখ্যার বেশির ভাগ ছিল খ্রিষ্টান। এরপর ছিল ইহুদি। অন্যান্য ধর্মের লোক আনুপাতিকভাবে উল্লেখযোগ্য ছিল না। সরকারিভাবে তখন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়, খ্রিষ্টান ও ইহুদি এই দুই ধর্মের পতাকা হোয়াইট হাউজে ওড়ানো হবে। হোয়াইট হাউজে ক্লিনটনের সময় থেকে ইসলামের পতাকাও স্থান করে নেয়।