Saturday, May 8, 2021

সোজা কথায় স্পষ্টভাবে: রোজা নামাজের আসল দাবি কি যে ভাবে বর্তমানে চলছে তাই?

 সোজা কথায় স্পষ্টভাবে: রোজা নামাজের আসল দাবি কি যে ভাবে বর্তমানে চলছে তাই?

চলমান মুসলিম সমাজ সংস্কৃতিতে ক'জন আসলে প্রাত্যহিক জীবনে এ বিষয়ে বাস্তবেই বিশেষভাবে সজাগ / সচেতন?
নামাজ রোজার প্রধানতম একটি উদ্দেশ্য / কাজ হচ্ছেঃ মিথ্যা - পাপাচার কাজ থেকে নিজকে বিরত রাখা - কোরআন, হাদিস কি বলে?
* আমরা কিন্ত সকলেই জানি- খাদ্যের কাজ হল শরীরে শক্তি সরবরাহ করা। যে খাবার শক্তি যোগান দিতে পারেনা সে খাবার আর খাদ্য হতে পারে?
*তেমনি শিক্ষা লাভের উদ্দেশ্য অবশ্যই কিন্ত জ্ঞান অর্জন ও ব্যাবহারিক কাজে তার প্রয়োগ। যদি কোন রকম জ্ঞান অর্জনই না হয় তাহলে শিক্ষা লাভের প্রচেষ্টা নিঃসন্দেহে প্রশ্নসাপেক্ষ!
* সে ভাবে কোরআন হাদিসের নির্দেশনা হচ্ছেঃ রোজা ও নামাজ উভয়েইপ্রত্যেক ব্যক্তিকে দৈনন্দিন জীবনে মিথ্যা , পাপাচার কাজ থেকে বিরত রাখবেই।
* নিয়মিত নামাজ, রোজা পালন করেও যদি এটি অর্জিত না হয় তাহলে অবশ্যই তা দিবালোকের মতই প্রশ্নসাপেক্ষ নয় কি? নামাজ রোজা পালন করার সাথে সাথে দুর্নীতিতে লিপ্ত থাকা, এটা তখন নামাজ, রোজার নামে কেবল দৈনন্দিন প্রহসন মহড়া মাত্র!
আর সে ক্ষেত্রে মসজিদের দেশ পরিণত হবে পাপিদের অভয়ারণ্যে।বর্তমান প্রেক্ষাপটে সমাজে দেখা যায়- আসল নামাজের উদ্দেশ্যের চেয়ে লোকদেখানো জামাত/ রাকাতের অনুষ্ঠান প্রতিষ্ঠায় এক শ্রেণীর মুসলিম খুব বেশি তৎপর/প্রতিযোগীতায় লিপ্ত । "নিশ্চয় নামাজ পাপাচার থেকে বিরত রাখে।" এই গুরুত্বপূর্ণ কোরানীক নির্দেশনা নিয়ে মাধাব্যাথা একেবারেই যেন তাদের অভিদানে নেই;আছে কত বড় তারাবী জামাত, জুমা-অয়াক্ত নামাজের কত বড় জামাত বানানো যায় তা নিয়ে! ফলে বিশ্ব সেরা দুর্নীতিবাজ দেশ হিসেবেও মসজিদের দেশ বাংলাদেশ অনায়াসে স্বীকৃতি পেয়েছে । যে নামাজ সমাজকে দুর্নীতিমুক্ত করার জন্য এসেছে সেখানে উল্টো দেখা যাচ্ছে নামাজীরা বেশিরভাগই যেন তৎপর কত বেশী লোক জামাতে আসবে আর কত বড় বড় মসজিদ হবে তা নিয়ে, কেন যেন আমাদের আদৌ লক্ষ্য নেই নামাজের আসল কাজ তথা প্রান নিয়ে/লক্ষ্য নিয়ে। প্রত্যেক নামাজীকে পাপাচার জীবন থেকে কলুষ মুক্ত করে পাপমুক্ত সমাজ, দেশ, রাষ্ট্র ও বিশ্ব গড়ে তোলার স্বপ্ন নিয়ে এগিয়ে আসার।বাস্তবে আজ সমাজ এবং ধর্ম রসাতলে যাবার একমাত্র কারন কিন্ত এটিই। ফলে বিশ্বে মুসলিম সমাজ এবং দেশ বেশি বেশি দুর্নীতি পরায়ণ হয়ে দিন দিন কেবল ইতিহাসই সৃষ্টি করছেনা বরং তা ইতিহাসে পরস্পরায় বজায় রাখতে ভূমিকা পালন করে চলছে।
## আল্লাহ তাআলার ঘোষণা-اِنَّ الصَّلٰوةَ تَنْهٰی عَنِالْفَحْشَآءِ وَ الْمُنْكَرِ. ' নিশ্চয়ই নামাজ অন্যায় ওঅশ্লীল কাজ থেকে বিরত রাখে। (২৯):৪
## সাওম ( রোজা) পালনের সময় মিথ্যা বলা ও সে অনুযায়ী আমল বর্জন না করা হলে তা রোজা নয়। [বুখারি হাদিস নম্বরঃ ১৭৮২]।
আদমইবনু আবূ ইয়াস (রহঃ) ... আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যাক্তি মিথ্যাবলা ও সে অনুযায়ী আমল বর্জন করেনি, তাঁর এ পানাহার পরিত্যাগকরায় আল্লাহর কোন প্রয়োজন নেই।
আসল কথা হচ্ছে পাপাচারী স্রষ্টার কাছে যেতে পারেনা হেতু স্রষ্টার সাথে তার কোনো সম্পর্ক সৃষ্টি হতে পারেনা।
আল্লাহ পাক নামাজ রোজার মাধ্যমে আমাদের থেকে যে কাজ চান, প্রার্থনা করি আল্লাহ পাক সে ভাবেই আমাদের কবুল করে নিয়ে বিশ্বে মুসলিম জাতির ভাবমূর্তি উন্নত করেন।
@# বর্তমানে ধারাবাহিকভাবে ১৭৯ দেশের দুর্নীতির র্যাঙ্কঃ- সবচেয়ে কম দুর্নীতি পরায়ণ দেশ থেকে উপরে যে সব দেশঃ
 https://www.transparency.org/en/cpi/2020/index/nzl  
*** নিউজিল্যান্ড-.....
*** ইহুদি রাষ্ট্র ইস্ রাইল-৩৫.....
*** মক্কা মদিনার রক্ষক সৌদি আরব -৫২.....
*** মসজিদের দেশ বাংলাদেশ-১৪৬..........
**** বিপ্লবের দেশ ইরান-১৪৯....................



No comments:

Post a Comment