Wednesday, March 13, 2024

তারাবীহতে 377বার কোরাআন খতমের নেকি অর্জনের সহজ পথ।

 তারাবীহতে কেবলমাত্র মাত্র 1বার না   377 বার কোরাআন খতমের নেকীর সুযোগ এবং সেই সাথে  অতি সহজেই অকলপনীয় বোনাসের সুযোগ । **********কখনও ভেবে দেখেছেন কি?আসলে তারাবীহতে  ৩৭৭ বার খতমের নেকী  সেই সাথে সম্পূর্ণ কোরআনের মুল কথা জানার সুবর্ণ  সহজ পন্থা-মুসলিম উমমাহ অনায়াসে  হাতছাড়া করছে কোন যুক্তিতে?

_#_#_#_#_#_#_#=

রামাদান মাসের  তারাবীহ নামাজের প্রতি   রাতে   ৬ রাকাতে ১বার করে সুরা এখলাস পড়লে ২ বার কোরআন খতমের নেকী পাওয়া যাবে। 

 ৪ রাকাতে ১বার করে সুরা কাফেরুন পড়লে ১ বার কোরআন খতমের নেকী পাওয়া যাবে। 

  বাকি ১০ রাকাতে  সব মিলিয়ে মাত্র ১বার  সুরা ইয়াসিীন পড়া  হলে  ১০ বার কোরআন খতমের নেকী পাওয়া যাবে। সব মিলে ২০ রাকাতে ১৩ বার  অতি সহজেই কোরআন  খতমের নেকী এক রাতের ভিতরে মাত্র ৩ সূরার মাধ্যমে।  প্রযোজনে যোগ বিয়োগ করে সুবিধা মত আরও কিছু সৃরার সহযোগীতা নিলে নেকী অনেক বাড়ানো যেতে পারে।

ফলে রামাদান মাসে কত বার খতমের নেকী পাওয়া যাচ্ছে?

২৯ দিন × ১৩ বার = ৩৭৭ বার কোরআন খতমের অফুরন্ত  নেকী। 

 জামাতে নামাজ জুমা মসজিদে আদায় করা হলে ৫০০ গুন বেড়ে যাবে নেকী।

 আর রামাদান মাসে নেকী হাজার গুন বেশি পাওয়া যাবে।

সব গুলো গুন করে যোগ করলে দাড়ায় সর্বমোট=

  377×500 ×1000 =  1885 00000 মানে 

  18 কোটিরও উপরে কোরাআন খতমের নেকী।  


  যুক্তরাষ্ট্রে ফেস বুকের জৈনিক বন্ধু  প্রশ্ন তুলেছিলেন :

রামাদান মাসে কুরআন পড়ার দারুন হিড়িক লাগে।

 কিন্তু  ক'জন সত্যিকার অর্থে সচেতন:কুরআন পড়ার মানে/অর্থ আসলে  কি?

 প্রচলিত অর্থে কিন্ত এটা এখন সুপ্রতিষ্ঠিত, কুরআন পড়া মানে আসলে আবৃত্তি  করা,অবশ্য  অবশ্যই পড়া নয়। বর্তমানে মুসলমানরা  আবৃত্তিকে পড়া বলে অভিহিত করে  চালাকি/তামাশা/ছলনা  করে চলছে তো চলছেই!  আর সে কথা যুক্তিযুক্ত না হবার পরেও   আমরা কিন্ত সবাই নিজেদের সাথে এবং কোরাআনের সাথে  চালাকি  করে নিজেদের সাথে বেইমানি করেই চলছি? 

 প্রচলিত আবৃত্তি   হচ্ছে একধরনের শিল্পকলা (ফাইন আর্টস)।তারপরেও আবৃত্তি করে   আমরা বিশ্ব বাসির কাছে  তথাকথিত  পড়া বলে চালিয়ে  কোরআনকে তথা নিজেদের কে  ফাঁকি দিয়ে কৌতুক/ তামাশা  করে চলছিনা তো!

ইমাম হাসান আল বসরী (৬৪২-৭২৮ খৃঃ) বলেনঃ 'কুরআনকে নাযিল করা হয়েছে এর নির্দেশনা বলীর ভিত্তিতে কাজ করার জন্য কিন্ত তা না করে তারা  { খতমে কোরআনের নামে} আবৃত্তি কে কাজ হিসাবে ধরে নিয়েছে।' যুক্তি সংগত ভাবে আসলে আবৃত্তি কে সরাসরি  পড়া বলে চালিয়ে যারা কোরাআনের সাথে মশকরা করে তাদের একটি অক্ষরের জন্যে কমকরে হলেও 10 টা করে বরং  গোনাহ হবারই কথা কারন আবৃত্তির জন্যে কোন  শব্দের অর্থ জানা একদম   কিন্ত দরকার ই নেই।যে কেউ সব ভাষায় ই আবৃত্তি করতে/গান গাইতে পারে;এরকম ভুরি ভুরি রয়েছে নজির।কিন্ত  পড়ার জন্যে সংশ্লিষ্ট  বাক্যের কেবল প্রতিটি শব্দের অর্থ  জানলেই হবেনা সেই সাথে জানতেই হবে, শব্দ গুলো সেখানে (ঐ বাক্যে) আসলেই   কি অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে ।কেননা একটি শব্দের একাধিক অর্থ থাকে/ হতে পারে।তাই আবৃত্তি কে  সরাসরি পড়া বলা কিন্ত আসলে হয়ে দাঁড়ায় অপরিকল্পিত  প্রতারনা/তামাশার কাজের শামিল; নিঃসনেদহে  সময়ের অবমূল্যায়ন । কোরাআন ময়নার সেই(ময়না কথা কয়না)আবৃত্তির জন্য আল্লাহ কখনও  নাযিল করননি।কোরাআন  নাযিল হয়েছে কেবলমাত্র   এটি জেনে তার হুবহু অনুসরণের জন্য প্রাত্যহিক জীবনে।পড়া ছাড়া আবৃতির মধ্য দিয়ে তা কোনো ভাবেই কখনও কস্মিনকালেও কিন্ত সমভব নয় হেতু কোরাআন বুঝার জন্যে প্রথম এটা অবশ্য ই  সত্যিকার অর্থে যথাযথ ভাবে  পড়তে হবে  যে জন্যে নাযিল করা হয়েছে । কোরাআনের সাথে না জেনে এই মশকরা  আসলেই মুসলিম বিশ্বে এক তালে/ছন্দে একেবারে 

কোন রকম আপত্তি বা বিরোধীতা ছাড়াই  করে চলছে/ করা হচ্ছে আর  ভাবনা যেন কোরাআনের বিরাট  প্রকান্ড   সেবা তারা করছে কিন্ত ইহা নাযিল হয়নি প্রচলিত এই তামাশার সংস্কৃতির জন্য।

--------------বিশ্বে প্রচলিত 

তারাবীর প্রকার ভেদ:-

বুলেট খতম তারাবীহ(৮/৯ দিনেই সম্পূর্ণ কোরাআন  খতম),

 সৌদি হাফেজে খতম   তারাবীহ [ সৌদি হাফেজ পড়ালে নাকি বেশি নেকী হবে এই প্রত্যাশায় আমেরিকার মেরিল্যান্ডের বালটিমোর মসজিদে দেখেছি রামাদানে সৌদি হতে হাফেজ আনতে।আমি সেই তারাবীহতে অংশ নিয়েছি। যদিও বাস্তবতা হচ্ছে, আন্তর্জাতিক কেরাত  প্রতিযোগিতায় আরব বিশ্বকে হারিয়ে বাঙ্গালী হাফেজ  প্রথম  পদকও ছিনিয়ে নিয়েছেন। ]

 শুধু নেকী অর্জনের জন্য খতম তারাবীহ হলে  সূরা তারাবীর মধ্যমেই তো ৩৭৭ বার কোরআন খতমের অতি সহজে  নেকী পাওয়া যাচ্ছে সেই সাথে খতম তারাবীর জন্য অতিরিক্ত যে সময় ব্যয় হতো সেই সময়টিতে প্রতিদিন কোরআনের এক পারার মুল বক্তব্য ইমাম সাহেব  অল্প কথায় বুঝিয়ে  দিতে পারেন।  অতি সহজেই দুটির ই নেকী পাওয়া যাবে।  

তারাবীহতে  377 বার কোরাআন খতমের নেকী পাওয়া গেল সেই সাথে সম্পূর্ণ কোরআনের মুল বক্তব্যও জানার সুজোগ ।এক ঢিলেই কেবলমাত্র  দুই পাখি নয়;অগনিত,অসংখ্য পাখি/সওয়াব।

কোরআন নাজিলের মাসে 

কোরআনের চুম্বক বিষয় আবগত হবার নেকী সেই সাথে ৩৭৭ খতমের নেকী,এ যেন সোনায়  সোহাগা।তুলনামূলকভাবে কোনটি ঈমানদার মোমিন মুসলিমের কাজ হওয়া ---?

No comments:

Post a Comment