Sunday, March 24, 2024

জান্নাত বড়টা কত বৃহত?র

 প্রকৃত আসল ইমানের খোঁজে  সবচেয় সহজ ইবাদত:-পর্ব 2

কঠিন বিস্ময়কর ইমানের  ভাবনা: একজন মুমিন ইমানদারের জন্যে 

নিম্ন তম জান্নাত পৃথিবীর১০গুন, বড়টি ?

                                                                                                                         মুহামমাদ আলীরেজা   

 লেখাটি  মুনা (Muslim Ummah of North America)  বুলেটিনে    প্রকাশিত।                                                                                                                                                                                                                                                                             মহাবিশ্ব প্রসারমাণ এ আবিষ্কারটি বিংশ শতাব্দীর বৃহত্তম বৌদ্ধিক বিপ্লবগুলোর অন্যতম। রাতের আকাশের দিকে তাকিয়ে আমরা কি কখনো কোন ভাবে  কল্পনার ও কখনও  সুযোগ পাই; ছায়াপথগুলো প্রতি সেকেন্ডে৭০ কিলোমিটারের  চেয়ে বেশি গতিতে দূরাপসরণ করছে?প্রত্যাশিত হিসাবের চেয়েও দ্রুতগতিতে সম্প্রসারিত হচ্ছে মহাবিশ্ব। নাসা ও ইউরোপিয়ান স্পেস অ্যাজেন্সির দেয়া তথ্য অনুযায়ী,ধারণার চেয়ে ৫থেকে ৯ শতাংশ দ্রুতগতিতে মহাবিশ্বের সম্প্রসারণ ঘটে চলেছে।  ১৩ দশমিক ৮ বিলিয়ন বছর আগে  ঘটা  বিগব্যাঙ থেকে পাওয়া বিকিরণ পরিমাপ করে যে হিসাব বের করা হয়েছিল, তার সাথে মিলছে না বর্তমানে মহাবিশ্বের সম্প্রসারণের হার। প্রসারণশীল মহাবিশ্বের এই অভিক্রিয়া আমাদের দৈনন্দিন জীবনের ঘটনার উপমার মাধ্যমে সহজেই উপলব্ধি করা যাবে। রাস্তায় চলন্ত একটি গাড়ি যখন কাছে এগিয়ে আসে তখন এর ইঞ্জিনের শব্দের তীক্ষ্ণতা তীব্রতর হয় এবং গাড়িটি যখন কাছে এসে দূরে অপসারণ করে, তখন শব্দের তীক্ষ্ণতা নিম্নতর হয়ে থাকে। আলোকের তরঙ্গের আচরণও একই রকম। আলোকের স্পন্দাঙ্ক খুব বেশি সেকেন্ডে চার থেকে সাত লাখ মিলিয়ন। এর রয়েছে বিভিন্ন ধরনের স্পন্দাঙ্ক। আমাদের দৃষ্টিতে যা বিভিন্ন বর্ণ হিসেবে প্রতিভাত হয় সেগুলো হলো আলোকের বিভিন্ন স্পন্দাঙ্ক। সর্বনিম্ন স্পন্দাঙ্ক দেখা যায় বর্ণালীর লালের দিকে। তারকা যদি আমাদের দিকে আসে তাহলে প্রতি সেকেন্ডে আমরা যে স্পন্দাঙ্ক পাব তা বেড়ে যাবে, যেমনটি শব্দ শ্রোতার দিকে এগিয়ে আসার সময় ঘটে থাকে। অনুরূপভাবে তারকা যদি আমাদের কাছ থেকে দূরে অপসারমাণ হয়, সে ক্ষেত্রে আমাদের কাছে যে তরঙ্গগুলো পৌঁছাচ্ছে তার স্পন্দাঙ্ক হবে ক্ষুদ্রতর। তারকার আলোর স্পন্দাঙ্ক মেপে এর লাল বিচ্যুতি হলে স্পষ্টত বোঝা যাবে, তারকাগুলো আমাদের কাছ থেকে দূরাপসরণ করছে।সূরা আযজারিয়ার ৪৭ আয়াতে নভোমণ্ডল প্রসারিত হচ্ছে উল্লেখিত হয়েছে :                                                                                               ‘নভোমণ্ডল নির্মাণ করেছি আমার ক্ষমতাবলে  এবং  আমি  অবশ্যই  মহাসম্প্রসারণকারী।’

এডউইন হাবল ১৯২৯ সালে প্রকাশ করেন যে, মহাবিশ্ব স্থিতাবস্থায় নেই। যে ছায়াপথটি যত দূরে অবস্থিত তার দূরাপসারণের গতিও তত বেশি। দেখা যায়এক মিলিয়ন আলোকবর্ষ দূরের ছায়াপথ প্রতি সেকেন্ডে ২২`৪কিলোমিটার বেগে এবং দুই মিলিয়ন আলোকবর্ষ দূরের ছায়াপথ প্রতি সেকেন্ডে ৪৪`৮কিলোমিটার বেগে দূরাপসরণ করছে। অবাক বিস্ময়ের সাথে ভাবার বিষয়,বাস্তবে প্রতিনিয়ত মহাবিশ্ব আমাদের থেকে কত দূরে বিস্তৃতি লাভ করছে!আমরা ক’জন গুরুত্বসহকারে ভেবে দেখেছি, "প্রকৃত ঈমানের স্বাদ" সম্পর্কে

=====*************======= 

স্পষ্ট ধারণা পেতে হলে সর্বশেষ বিজ্ঞানের নভোমণ্ডল ও মহাবিশ্ব সম্পর্কে ন্যূনতম একটি ধারণা একেবারে না থাকলেই কিন্ত নয়? প্রশ্ন আসা একেবারেই কিন্ত স্বাভাবিক ঈমানের  সত্যিকার স্বাদ পাওয়ার জন্য এসব তথ্য জেনে কী আর হবে? মুজাদ্দেদ ইমাম গাজ্জালি রহ:সেই মধ্যযুগের শ্রেষ্ঠইসলামি চিন্তাবিদ।বর্তমানে মহাকাশবিজ্ঞানের যে বিকাশ হয়েছে, সেই প্রেক্ষাপটে মধ্যযুগে এই বিজ্ঞানের অগ্রযাত্রা কোন পর্যায়ে ছিল, তা সহজেই অনুমেয়। সেই যুগে তার একটি উপমা এখানে তুলে ধরলে আমরা একেবারে চমকে উঠব! তিনি তার সময়ের এবং পরে সব কালের ঈমানদারদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন একটি উপমার মাধ্যমে, আল্লাহ পাকের প্রতি ঈমান সুদৃঢ় করার অতি সহজ একটি পথ। এটি হচ্ছেঈমানদারদের দৌড় শুধু মসজিদ নয়, বরং মহাকাশ বা মহাবিশ্ব সম্পর্কে যে ব্যক্তির কোনো ধারণাই নেই, তার ঈমানের স্বাদ বা স্তর  হচ্ছে একজন  Impotent (নপুংসক)-এর মতো, যার কোনো অনুভূতিই নেই নর-নারীর দৈহিক সম্পর্কের আসল মজা সম্পর্কে। বাস্তব দুনিয়ায় সবচেয়ে মজাদার,  অপার ফুর্তির  কোনো  কিছু থেকে থাকলে তা হচ্ছে একমাত্র এটি। তেমনি গাজ্জালি রহ:এর মতে, প্রকৃত ঈমানের আসল স্বাদ বা তৃপ্তি পেতে প্রয়োজন এবং পাওয়ার সহজ পথ হচ্ছে আল্লাহ পাকের অপার রহস্য মহাবিশ্ব সম্পর্কে ওয়াকিবহাল হওয়া। ঈমানদারদের তাচ্ছিল্য করে প্রচলিত কথায় বলে- ‘মোল্লার দৌড় মসজিদ’! কিন্তু আমরা ক’জন  ওয়াকিবহাল,  সে সময়ে সমরকন্দ, দামেস্ক, কায়রো আর  করডোভায় প্রথম বড় বড়  মানমন্দির গড়ে তুলে আরব মুসলমানেরা।মুসলিম জ্যোতিবেত্তারা এমন সব  পর্যবেক্ষণ  চালিয়েছেন,যে সব১২বছরের ওপরে দীর্ঘায়িত হয়েছিল।সে সময়ের মুসলিম বিশ্বের জ্যোতির্বিজ্ঞান কোন অবস্থানে পৌঁছেছিল তার বর্ণনা একটি ঘটনায় ফুটে ওঠে।সন্যাসী গারভাট (দ্বিতীয় সিলভেস্ট নামে তিনি ৯৯৯ সালে পোপ হন)  যখন  করডোভার মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ে  লেখাপড়া শেষ করে খ্রিষ্ট ধর্মাচরণে পুনরায় ফিরে  এলেন  তখন লোকে বলে  , তিনি নাকি সেখানে শয়তানের সাথে দহরম  পর্যন্ত করে এসেছেন। পৃথিবীর চার ভাগের তিন ভাগ পানি আর এক ভাগ স্থল।  এ স্থলভাগে  সাত শ’ কোটি মানুষ ছাড়াও রয়েছে কোটি কোটি জীবজন্তু,  পশুপাখি,ক্ষেতখামার, রাস্তাঘাট, পাহাড়পর্বত,বিশাল বিশাল মরুদ্যান, বনজঙ্গল ও আরো কত কী।  আর এত সবকিছু নিয়েই আমাদের আবাসভূমি পৃথিবী,যার বিশালত্ব কল্পনা করাও অনেক দুরূহ নয় কি? তাহলে রাতের আকাশের অগণিত তারকারাজিওছায়াপথ?                                                                    মহাকাশ ও মহাবিশ্ব সম্পর্কিত বিজ্ঞানের সর্বশেষ খবর

আমাদের সূর্য একটি অতি সাধারণ তারকা। এর আকার তারকাগুলোর গড় আকারের মতোই।আমাদের বাসভূমির তারকা সূর্যের ব্যাস ১দশমিক ৪মিলিয়ন কিলোমিটা। এর অর্থ হলো ১০৯টি পৃথিবী সূর্যের পৃষ্ঠে সাজিয়ে রাখা যায়। এটি এত বড় যে, ১ দশমিক ৩ মিলিয়ন পৃথিবীএর মধ্যে ভরে রাখা যায়। আমাদের সৌরগ্রহগুলো সূর্যের  চতুর্দিকে চাকতির মতো জায়গা জুড়ে আছে, যার দূরত্ব সূর্য থেকে সাড়ে চার বিলিয়ন কিলোমিটার। একটি তারকার বর্ণনা যদি এমন হয়, সে ক্ষেত্রে মহাবিশ্বে তারকার সংখ্যা কত? বাস্তবে বিশাল সংখ্যার তারকা নিয়ে একটি ছায়াপথ। তাহলে মহাবিশ্বে তারকা ও ছায়াপথ আসলে কয়টি?  Kornreich মহাবিশ্বে ১০ ট্রিলিয়ন ছায়াপথ ধরে একটি রাফ হিসাব বের করেছেন- ছায়াপথের ১০০ বিলিয়ন তারকার সাথে  এই সংখ্যা গুণ   করলে হয় ১০০  অকটিলিয়ন (octillion) তারকা। তার মানে দাড়ায়, ১ এর সাথে ২৯টা শূন্ঃ১০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০।    Kornreich  জোর দিয়ে বলেন, এটা সাধারণ হিসাব,  তবে গভীর পর্যবেক্ষণে দেখা যায়,  মহাবিশ্বে ছায়াপথের সংখ্যা আরও বেশি। 13 October 2016 , NASA থেকে পাওয়া তথ্য হচ্ছে,দুই ট্রিলিয়ণ  বা ২০ লাখ কোটি ছায়াপথ আছে মাত্র ১০শতাংশ মহাবিশ্বের মধ্যে। কিন্ত ছায়াপথগুলোর ৯০ শতাংশর   খোজ এখনও বাকি। ছায়াপথ হচ্ছে এমন একটি সিসটেম যেখানে মিলিয়ন থেকে বিলিয়ন সংখ্যক তারা মাধ্যাকষনের টানে এক সাথে আটকে থাকে। গানিতিক মডেল  ব্যবহার করে জ্যোতিবিজ্ঞানীরা ‘অদৃশ্যমান’ ছায়াপথগুলোকে শনাক্ত করার চেষটা করছেন । কেননা এই সব ছায়াপথ টেলিস্কোপের আওতায় আসে না।সেখান থেকে ই ধারনা করা হচ্ছে, মানুষের ধারনারও বাইরে রয়ে গেছে আরও লাখ লাখ ছায়াপথ। সূত্রঃ গার্ডিয়ান।তার মাণে দাড়ায় মহাবিশ্বে ২০ ট্রিলিয়ণ ছায়াপথও ছাড়িয়ে  যেতে পারে!   আবার দেখা যায়  সবচেয়ে বড় তারকাগুলো সূর্যের চেয়ে পাঁচশ’ গুণ শুধু বড় নয়,  সেই সাথে  এক লাখ গুণ  বেশি উজ্জ্বল।   ছায়াপথের কেন্দ্রে  অবস্থিত যে কৃষ্ণগহ্বর বা ব্ল্যাকহোল  তার ভর তিন মিলিয়ন সূর্যের সমান হয়ে থাকে।  আপনি যদি প্রতি সেকেন্ডে একটি করে  তারকা  গণনা করেন,  সে ক্ষেত্রে এই হারে সব তারকা গুনতে পাঁচ হাজার বছর লাগবে। ছায়াপথগুলো মহাকাশে এলোমেলোভাবে ছড়িয়েছিটিয়ে  না থেকে সঙ্ঘবদ্ধভাবে  একে  অপর থেকে  বহু দূরত্ব বজায় রেখে অবস্থান করে। সব ছায়াপথ এক করলে তারা মহাশূন্যের এক মিলিয়ন ভাগের এক ভাগ স্থান দখল করবে, যার অর্থ দাঁড়ায় বাস্তবে মহাশূন্য এত  বিশাল যে, বিজ্ঞানের সুপার কল্পকাহিনী পর্যন্ত   এর আওতার আনেক বাইরে।                                    

         ছায়াপথ কত বড়?

এত বড় যে, বড় ধরনের ছায়াপথের আড়াআড়ি দূরত্ব এক মিলিয়ন আলোকবর্ষেরও বেশি হবে [এক বছরে প্রতি সেকেন্ডে এক লাখ ৮৬ হাজার মাইল বেগে যে দূরত্ব অতিক্রম করা যায়, সেটি হলো এক আলোকবর্ষ (৯দশমিক ৪ ট্রিলিয়ন কিলোমিটার।)] আমরা এমন  একটি ছায়াপথে থাকি, যেটা আড়াআড়ি মাপে  প্রায় এক লাখ  আলোকবর্ষ। আমাদের ছায়াপথটি ধীর গতিতে ঘূর্ণায়মান। এর সর্পিল বাহুগুলোতে অবস্থিত তারকাগুলো প্রায় কয়েক শ’ মিলিয়ন  বছরে একবার করে কেন্দ্রকে  প্রদক্ষিণ  করে। সবচেয়ে ছোট ছায়াপথের নাম ডর্ফ, যার প্রশস্ত  কয়েক হাজার আলোকবর্ষের দূরত্বের। অ্যান্ড্রোমেডার ছায়াপথটির এক প্রান্ত থেকে অপর  প্রান্তের দূরত্ব হবে দুই লাখ ৫০ হাজার আলোকবর্ষ। মজার বিষয় হচ্ছে, এই মুহূর্তে মহাবিশ্বের দিকে তাকালে দূর অতীতের মহাবিশ্বকে আমরা আসলে কিন্তু দেখতে পাবো, কেননা এই সময়ে দূর তারকা ছায়াপথ থেকে আলো এসে কেবল আমাদের কাছে পৌঁছেছে। যে কোয়সারগুলো এখন আমরা দেখছি, সেই আলো আমাদের কাছে পৌঁছতে শত শত কোটি বছর লেগে গেছে। আমাদের নিকটতম তারকা Proxima Centauri থেকে আলো আসতে লাগবে  ৪ দশমিক ৩ বর্ষ।     যুক্তরাষ্ট্রের একটি সর্বাধিক বিক্রীত ক্যারেন আর্মস্ট্রংয়ের বই ‘অ্যা হিস্ট্রি অব গড’ পুস্তকে বর্ণিত হয়েছে‘কুরআন পাকে সব সময়ই বিশেষভাবে গুরুত্বারোপ করা হয়েছে  আল্লাহ পাকের নিদর্শন বা বাণীর (আয়াত) রহস্য উদ্ঘাটনের জন্য। আর এ কারণে ইসলামের অনুসারীরা যুক্তি ও কারণকে এড়িয়ে না গিয়ে গভীর মনোযোগ এবং বিশেষ কৌতূহলের সাথে পৃথিবীর সব কিছুকে পর্যবেক্ষণ করছে। এই মনোভাব ও দৃষ্টিভঙ্গির ফলে পরে দেখা যায় প্রাকৃতিক বিজ্ঞানে(ন্যাচারাল সায়েন্স)মুসলমানদের এক উৎকৃষ্ট ঐতিহ্য গড়ে তোলার, যা কখনো বিজ্ঞানের সাথে ধর্মের বিরোধ বা সংঘর্ষ ঘটায়নি,খ্রিষ্টান ধর্মের ক্ষেত্রে যেটা দেখা গেছ।কাজেই মহাবিশ্বের সব কিছুকে পর্যবেক্ষণ ও রহস্য উদ্ঘাটনের মাধ্যমেই কেবল আল্লাহকে খুঁজে পাওয়া ও তার নৈকট্য লাভ করা যেতে পারে।  ঈমান বাড়ানোর পথ বা উপায় হলো  সৃষ্টি রহস্য নিয়ে গভীরভাবে  চিন্তাভাবনা করা।হাদিসশরিফেআছেঃ  সৃষ্টিরহস্য নিয়ে কিছু সময় চিন্তাভাবনা করা, সারা রাত নফল এবাদত থেকেও উত্তম। মহাবিজ্ঞানী আইনস্টাইনের ভাষায়: ‘নিশ্চয়ইএর পেছনে রয়েছে এক অকল্পনীয় মহাজ্ঞানী সত্তার এক রহস্যময় অভিপ্রেত।বিজ্ঞানীর দুরভিসারি জিজ্ঞাসা সেখানে বিমূঢ়  হয়ে যায় বিজ্ঞানের সমাগত  চূড়ান্ত অগ্রগতিও সেখান থেকে স্তব্ধ হয়ে ফিরে আসবে; কিন্তু সেই অনন্ত মহাজাগতিক রহস্যের প্রতিভাস বিজ্ঞানীর  মনকে এই নিশ্চিত  প্রত্যয়ে উদ্বেল  করে তোলে,  এই মহাবিশ্বের একজন নিয়ন্ত্রা রয়েছেন। তিনি অলৌকিক জ্ঞানময়, তাঁর সৃষ্টিকে অনুভব করা যায় কিন্তু তাকে কল্পনা করা যায় না।’ যে ছায়াপথটি যত দূরে অবস্থিত তার দূরাপসারণের গতিও তত বেশি। প্রতিনিয়ত মহাবিশ্ব কত বিস্তৃতি লাভ করছে! আবার যেহেতু সব ছায়াপথ মহাকাশের  দশ লাখ ভাগের মাত্র এক ভাগ জায়গা দখল করে আছে, সে ক্ষেত্রে ১০ পৃথিবীর সমান নিম্নস্তরের জান্নাত হওয়াটা একেবারে সাধারণ ঘটনা। ‘নিশ্চয়ই এর পেছনে রয়েছে এক অকল্পনীয় মহাজ্ঞানী সত্তার এক রহস্যময় অভিপ্রেত।’ আবু হোরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত রাসুলুল্লাহ (দঃ) বলেছেন, "আল্লাহ্‌ পাক বলেন - জান্নাতে এমন নেয়ামত তৈরী করে রেখেছি যা কোন চোখ দেখেনি, কোন কান যার কথা শোনেনি, এবং কোন মানুষের কল্পনায়েও যা আসেনি।" জান্নাতে অসুস্থ্যতা ও বার্ধক্যতা নেই, চির যৌবন লাভ করবে জান্নাতবাসীরা, রাসুলুল্লাহ (দঃ) একদিন বলেন, "বৃদ্ধদের জান্নাতে দেখা যাবে না।" নিকটে অবস্থানরত এক বৃদ্ধা এ কথা শুনে কেঁদে ফেললেন। যখন তাঁকে কান্নার কারণ জিজ্ঞাসা করা হলো, তিনি বললেন, "আমি বৃদ্ধা হয়ে গেছি। আগে যদি মারা যেতাম, জান্নাত লাভের সৌভাগ্য হত।" তাঁকে আশ্বস্ত করে রাসুল (সাঃ) বললেন, "জান্নাতবাসী সকলেই চির যৌবন লাভ করবে, অতঃএব ভয়ের কিছু নেই।"    সবচেয়ে নিম্ন স্তরের জান্নাতের আয়তন হবে দশ পৃথিবির সমান। আর বড়টি কত বড় হবে তা মহাবিশ্ব নিয়ে  একটু চিন্তা  করলে  সবার কাছে একেবারে  পরিষ্কার হবারই  কথা ।   

 [ লেখাটি  মুনা (Muslim Ummah of North America)  বুলেটিনে    প্রকাশিত  ]                                                                                            লেখক : সাবেক  পদার্থবিজ্ঞান শিক্ষক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়

No comments:

Post a Comment